জাতীয়
এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, ৪০ শতাংশই সমকামী: গবেষণা
প্রতিনিয়তই ঊর্ধ্বমুখী এইচআইভি বা এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। গবেষণা বলছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই সমকামী। এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ১ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস। আর ২০৩০ সাল নাগাদ দেশ থেকে এইচআইভি বা এইডস নির্মূলের পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের।
রাজধানীতে এলার্জি পরীক্ষা করতে গিয়ে এইডস শনাক্ত হয় এক যুবকের। তিনি জানান, সমকামিতায় জড়িয়ে যাওয়ায় এমন পরিণতি তার।
ওই যুবক বলেন, এই ভুল পথে না যেতে সবাইকে অনুরোধ করবো। একটা ভুলের জন্য সারাজীবন পস্তাতে হয়। আমি চাই না, আমার মতো কেউ এভাবে পস্তাক।
চিকিৎসকরাও বলছেন একই কথা। চিকিৎসক ড. এ আর এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে এইচআইভি আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই সমকামী। এ ছাড়া ৪০ শতাংশের মতো বিদেশ থেকে এ রোগ বহন করে নিয়ে আসে। আর ব্ল্যাড বা এ জাতীয় বিভিন্নভাবে কিছু লোক আক্রান্ত হন।
ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল দেশের একমাত্র বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র। চলতি বছর এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৩০০ এইচআইভি রোগী। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১২ জন। কিট সংকটের পাশাপাশি জনবলের অভাবে বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও তা পাচ্ছেন না রোগীরা।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাসার বলেন, আমাদের এখানে যারা আসেন, তারা খুব খারাপ পর্যায়ে এসে ভর্তি হন। এখানে আসা রোগীদের এইচআইভি ছাড়াও অন্যান্য রোগ থাকে। এগুলোর জন্য যে ধরনের ল্যাবের সাপোর্ট দরকার, সেটা আমরা তাদেরকে দিতে পারি না।
দেশব্যাপী এইডস শনাক্তকরণ কেন্দ্রগুলোতেও আছে কিট সংকট। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে চলতি সপ্তাহেই কেটে যাবে তা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় এইডস বা এসটিডি কন্ট্রোলের পরিচালক ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘কিটের কিছুটা স্বল্পটা ছিল। বিমানবন্দরে যখন কিট আসে, এর এক বা দুইদিন আগে আগুন লাগে। তাই ওই কিট আমরা এখনও পাইনি। তবে কয়েক দিনের মধ্যে কিট পেয়ে যাব।’
এইডস বা এসটিডি কন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০২৪ সালে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৮ জন, মারা গেছেন ১৯৫ জন। ২০২৩ সালে আক্রান্ত হন ১ হাজার ২৭৬ জন এবং মৃত্যু হয় ২৬৬ জনের। আর চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াতে পারে দেড় হাজার। একদিকে যখন সীমা ছাড়িয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা অন্যদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস নিমূলের পরিকল্পনা করছে সরকার।
একই বেডে ঘুমালে কিংবা একই প্লেটে খেলে এইডস ছড়ায় না। চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন এইচআইভি রোগীরা।
এমকে
জাতীয়
পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব হলেন ২২ কর্মকর্তা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত ২২ জন কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে তাদেরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ক্যাডার বহির্ভূত সহকারী সচিব) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়-এর ২৭-১১-২০২৫ তারিখের ৮০.০০.০০০০.০০০.১১০.১২.০০১১.২৫-২৯৯ সংখ্যক স্মারকে প্রদানকৃত পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণ-কে জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী ৯ম গ্রেডভুক্ত (২২,০০০-৫৩,০৬০/-) সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা [সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত)] পদে নিয়োগ করা হলো।
সিনিয়র সহকারী সচিব শিফা নুশরাত স্বাক্ষরিত এ পজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
জাতীয়
আজ বিশ্ব এইডস দিবস
প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে এইচআইভি/এইডসের সমস্যা এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। এই দিনটি সেই সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ, যাদের আমরা এই রোগে হারিয়েছি এবং যারা এইচআইভি নিয়ে বেঁচে আছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন প্রকাশের দিন।
২০২৫ সালের মূল বার্তা ‘চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে, নতুনভাবে এইডস প্রতিরোধ গড়ে তোলা’ – যা দেখায় যে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকট, যুদ্ধ, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ এবং স্বাস্থ্য খাতে অর্থের ঘাটতি আমাদের অগ্রগতিকে ধীর করে দিয়েছে। তবে এই বার্তা একই সঙ্গে আশা জাগায় যে আমরা চাইলে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক এইডস প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্য থেকে বোঝা যায় যে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, কিন্তু সামনে এখনও বড় চ্যালেঞ্জ আছে। ২০২৪ সালের শেষে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪ কোটি ৮ লাখ মানুষ এইচআইভি নিয়ে বেঁচে ছিলেন। একই বছরে ১৩ লাখ নতুন সংক্রমণ এবং প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এইডস-সংক্রান্ত জটিলতায়। যদিও এই সংখ্যা আগের দশকের তুলনায় অনেক কমেছে, তবুও এখনও প্রায় ৯২ লাখ মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না।
বিশেষ করে শিশু, কিশোর-কিশোরী, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে বোঝা যায়, সমাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য এখনও আমাদের সবচেয়ে বড় বাধা।
২০২৫ সালে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল আমাদের নতুন আশার আলো দেখায়। দীর্ঘমেয়াদি ইনজেকশন ভিত্তিক অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ এখন অনেকের জন্য সহজ ও টেকসই চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করছে। পাশাপাশি নতুন মডেলের গবেষণা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীতে সংক্রমণের হার আরও নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করছে, যা সঠিকভাবে পরিকল্পনা ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে অর্থসংকট ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ অগ্রগতিকে আটকে দিতে পারে, এবং বৈশ্বিক ৯৫-৯৫-৯৫ লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
তাই ২০২৫ সালের বিশ্ব এইডস দিবস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে বিজ্ঞান, চিকিৎসা এবং বিশ্বব্যাপী সচেতনতার কারণে আমরা অনেক সাফল্য অর্জন করেছি, কিন্তু সমান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত না হলে এবং বৈষম্য দূর না হলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এইডস মোকাবিলা শুধু চিকিৎসার বিষয় নয়— এটি মানবিক অধিকার, ন্যায়, সমতা এবং সম্মানের বিষয়।
এই দিনে আমরা সেই সব মানুষকে স্মরণ করি যারা আর আমাদের মাঝে নেই, যারা এইচআইভি নিয়ে লড়াই করছেন তাদের পাশে দাঁড়াই, এবং প্রতিজ্ঞা করি যে একসঙ্গে কাজ করলে একদিন আমরা এইডস-মুক্ত পৃথিবী গড়তে পারব।
এমকে
জাতীয়
সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যেসব সদস্য অন্যায়ভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, বঞ্চিত অন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো তাদের প্রতিও সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এদিন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান ও অন্য সদস্যরা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন।
এসময় ড. ইউনূস তদন্ত কমিশনের উদ্দেশে বলেন, যখন আপনাদের এ কাজটি করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম তখন মনে হয়েছিল সামান্য কিছু অনিয়ম হয়তো হয়েছে। কিন্তু আপনারা যে পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে এনেছেন তা রীতিমতো ভয়াবহ। এটি কল্পনার একেবারে বাইরে।
পূর্ণ পেশাদারত্ব ও নির্মোহ থেকে সত্য বের করে আনায় কমিটির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তদন্ত কমিটির সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ, কমিটির সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মুহম্মদ শামস-উল-হুদা, মেজর জেনারেল (অব.) শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ শফিউল আজম ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মুহাম্মদ শাফকাত আলী উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি মোট ৭৩৩টি অভিযোগ পায়, যার মধ্যে ৪০৫টি গৃহীত হয়। কমিটির সুপারিশ করা আবেদনের সংখ্যা ১১৪টি, কার্যপরিধির আওতাবহির্ভূত আবেদন ২৪টি এবং আবেদনকারীর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ভঙ্গের, সাজা মওকুফের ও নৈতিক স্খলনজনিত ৯৯টি বিষয় রয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ জানান, আবেদনপত্র পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটি গত ১৯ আগস্ট প্রথম সভা আহ্বান করে। বঞ্চিত অফিসারদের সেন্ট্রাল অফিসার্স রেকর্ড অফিস, আইএসপিআর এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়ার মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলা হয়।
তিনি আরও জানান, স্ব স্ব বাহিনীর গঠিত বোর্ড যাদের বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কোনো নৈতিক স্খলনজনিত শাস্তি কিংবা অভিযোগ ডোসিয়ারে লিপিবদ্ধ ছিল না।
তিনি বলেন, কমিটি ভুক্তভোগী অফিসারদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের অধিনায়ক ও ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের বঞ্চনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।
কমিটির অনুসন্ধানে জানা যায়, আবেদনকারীদের মধ্যে ছয়জন অফিসারকে তাদের আত্মীয়-স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে বা জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অপবাদ দিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বিভিন্ন মেয়াদে (১ বছর হতে ৮ বছর পর্যন্ত) গুম করে রাখা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এমনকি একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়; পরবর্তীকালে ওই অফিসারের স্ত্রীকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক বছরের শিশুসহ বিনা বিচারে দুই দফায় দীর্ঘ ছয় বছর কারাগারে রাখা হয়।
তদন্তে আরও জানা যায়, কিছু সংখ্যক অফিসার ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর হত্যাযজ্ঞের নারকীয় ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় সোচ্চার ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে একটি ভুয়া ঘটনা (ব্যারিস্টার তাপস হত্যাচেষ্টা মামলা) সাজিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, পাঁচজন অফিসার ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডিজিএফআইতে কর্মরত থাকাকালীন তাদের মিথ্যা অভিযোগে কিংবা বিনা অভিযোগে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, কিছু অফিসার বিডিআর হত্যাযজ্ঞের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দরবারে প্রশ্ন করার জন্য সেনাসদর কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। একপর্যায়ে ওই দরবারে ব্যাপক হৈচৈ ও হট্টগোল হওয়ায় পাঁচজন অফিসারকে অযথা দায়ী করা হয় এবং তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো প্রকার সুযোগ না দিয়ে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
চারজন কনিষ্ঠ অফিসার (লেফটেন্যান্ট পদবির) ধর্মীয় আচার-আচরণ নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার কারণে তাদের কোনো একটি দলের অনুসারী হিসেবে অথবা জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে অন্যায়ভাবে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয় বলেও বেরিয়ে আসে তদন্তে।
তদন্ত দেখা যায়, বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করে পদক্ষেপ গ্রহণ সত্ত্বেও ২৮ জন গুম, অপহরণ, অবৈধভাবে আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন ও জেরা, লোক দেখানো প্রহসনের তদন্ত, আইন-বহির্ভূত কার্যকলাপে নানাবিধ বঞ্চনা, নির্মম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, বর্ণনাতীত পারিবারিক ও সামাজিক লাঞ্ছনা এবং প্রভৃতি আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীতে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার ১১৪ জন কর্মকর্তা সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের (যার জন্য যা প্রযোজ্য) স্বাভাবিক অবসর প্রদান, পদোন্নতি, অবসরপূর্ব পদোন্নতি, বকেয়া বেতন ও ভাতা এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি দিতে কমিটি সুপারিশ করে। এর মধ্যে চারজনকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
নৌবাহিনীতে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার ১৯ জন কর্মকর্তাকে (যার জন্য যা প্রযোজ্য) স্বাভাবিক অবসর প্রদান, পদোন্নতি, অবসরপূর্ব পদোন্নতি, বকেয়া বেতন-ভাতা এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি দিতে সুপারিশ করে কমিটি।
বিমানবাহিনীতে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার ১২ জন কর্মকর্তাকে (যার জন্য যা প্রযোজ্য) স্বাভাবিক অবসর প্রদান, পদোন্নতি, অবসরপূর্ব পদোন্নতি, বকেয়া বেতন-ভাতা এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি দিতে কমিটি সুপারিশ করে।
আবেদনকারীদের মধ্যে ১২৫ জন সেনা, ৫১ জন নৌ এবং ২৫ জন বিমানবাহিনীর সদস্য রয়েছেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।
জাতীয়
আজ আর চলবে না মেট্রোরেল
ঢাকার সচিবালয় এলাকায় মেট্রোরেলের ছাদে দুজন উঠে পড়ায় রাত ৮টার পর থেকে বন্ধ আছে পুরো মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক। মেট্রো লাইনের বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়েছে একাধিক ট্রেন। এ কারণে আজ রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে আর যাত্রী পরিবহন করবে না মেট্রোরেল।
রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে মেট্রোরেলের দুটা কারের মধ্যবর্তী স্থানে এক কিশোর উঠে পড়ায় মেট্রোরেল চলাচল রাত ৮টা ৫ মিনিট থেকে বন্ধ করা হয়। আজকের অবশিষ্ট সময়ের জন্য ট্রেন আর চলাচল করবে না।
যাত্রীদের অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
জাতীয়
মেট্রো রেলের ছাদে দুই যাত্রী, চলাচল বন্ধ
বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রো ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠে পড়ায় ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ আছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাত আটটা চল্লিশ মিনিটের দিকে বিষয়টি জানিয়েছেন এমআরটি লাইন-৬ এর উপ-প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশন এ মেট্রো ট্রেনের ছাদের উপর দুই জন ব্যক্তি উঠে পড়ায় ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ আছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
তবে কয়টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে সেটি এই মুহূর্তে তিনি জানাতে পারেননি।



