জাতীয়
শাপলা কলি প্রতীকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি
আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনে শাপলা কলি প্রতীকে এনসিপি প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরি করেছি, বিচারের জন্য কথা বলে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশাআল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবো। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনার-আমার সবার দল।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য এনসিপি মনোনীত হওয়ায় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যারা নতুন করে রাজনীতি করতে চান, বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে চান- আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সব জেলায়, সব আসনে সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চাই। সারাদেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যেই আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করবো। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেবো। আমরা মানুষের কাছ থেকে যে সাড়া এবং সমর্থন পেয়ে এসেছি, আগামী নির্বাচনে সেটি পাবো বলে প্রত্যাশা করি।’
তিনি বলেন, অনেক দিনের চেষ্টার মাধ্যমে আজ আমরা নিবন্ধন পেয়েছি। এনসিপি এখন থেকে একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। শাপলা কলি প্রতীকে আমরা নিবন্ধন পেয়েছি। নিবন্ধন পাওয়ার পেছনে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূলের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সেজন্য আপনাদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষ একটি নতুন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছিল, সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠার পর মার্চ মাস থেকে আমরা নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করি এবং জুন মাসে আমাদের নিবন্ধনের সব কাগজপত্র জমা দেই। নির্বাচন কমিশনে সবকিছু জমা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের প্রত্যাশিত মার্কা শাপলা দিতে গড়িমসি করে। তারপর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের এক ধরনের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
সারাদেশে আমাদের যেসব অফিস রয়েছে, নেতাকর্মী রয়েছেন, কমিটি রয়েছে- সেগুলোতে নির্বাচন কমিশন তাদের অবজারভেশন করে এবং দেড় মাস আগে আমরা জানতে পারি আমরা নিবন্ধন পেতে যাচ্ছি। তবে আমাদের প্রতীক আটকে ছিল। অবশেষে আমরা শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছি। সেজন্য আন্তরিকভাবে আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন- এই পুরোটা সময় আমরা মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছি। জুলাই পদযাত্রায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি, মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি।’: নাহিদ ইসলাম
জাতীয়
এনসিপিসহ ৩ দল নিয়ে দাবি-আপত্তি আহ্বান ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে দলগুলো নিয়ে আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি-আপত্তি আহ্বান করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হ্যান্ডশেক’ মার্কায় বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, ‘শাপলা কলি’ মার্কায় এনসিপি ও ‘কাঁচি’ মার্কায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। দলগুলোর নিয়ে কারও কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে তা ১২ নভেম্বরের মধ্যে ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ৫৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। এছাড়া ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয়
চূড়ান্ত নিবন্ধন পেলো এনসিপিসহ তিন দল
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) নতুন করে তিনটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পাচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব বলেন, নতুন করে তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দলগুলোর ওপর দাবি আপত্তি জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান ইসি সচিব।
১২ তারিখ পর্যন্ত দাবি আপত্তি জানানো যাবে উল্লেখ করে নির্ধারিত সময় পরেই গেজেট হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয়
আগামী সপ্তাহে শেখ হাসিনার বিচারের রায় হবে: মাহফুজ আলম
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচারের রায় হবে। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে, তাদের দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান ঘটবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, অনেকের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে। যারা অতীতে আমাদের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে, গুম-খুনে জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকদূর এগিয়েছে। জুলাই সনদে সাক্ষর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে আমরা একটি নতুন সরকার গঠন করেছি। এই সরকারের কাজ হলো স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, যাতে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে সবার মতামতের মূল্য থাকবে, ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। গুম-খুনের মতো কালো অধ্যায় আর ফিরে আসবে না।
জাতীয়
জলবায়ু তহবিল খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির নতুন সুযোগ: টিআইবি
জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। এ খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির ধরণ ও মাত্রা নির্দেশ করে যে, এটি একটি দুর্নীতির নতুন সুযোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু অর্থায়নে জাতীয় তহবিলের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশে দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ৮৯১টি প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতির প্রাক্কলিত পরিমাণ ২৪৮.৪ মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ২ হাজার ১১০.৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক টিআইবির গবেষণার সার্বিক পর্যবেক্ষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত মোট ১২টি তহবিলের আওতায় ৯৪২টি প্রকল্পের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয় গবেষণাটিতে। ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. মাহফুজুল হক ও রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মো. সহিদুল ইসলাম। এসময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থের চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থ বরাদ্দ হয়নি। জাতীয় তহবিল বা বিসিসিটির অর্থ বরাদ্দে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই, আবার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টে নানা সংকট রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ বরাদ্দে অধিক বিপদাপন্ন এলাকা কম গুরুত্ব পেয়েছে। জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে ২০১৫ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ৮৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর প্রয়োজনের ০ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। তহবিল সময়ের অনিয়ম দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়, অভিযোজনের সঙ্গে সম্পর্কহীন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অর্থে সাফারি পার্ক, ইকো পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ সম্পাদন করা হয়েছে এবং অর্থ জালিয়াতি করা হয়েছে, এমনকি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
জাতীয় তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও ব্যর্থতার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির (৬১.৬%) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গড়ে প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বেড়ে ১,৫১৫ দিনে পৌঁছেছে—অর্থাৎ ১৩৩.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৪ বছর মেয়াদের প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লেগেছে ১৪ বছর।
সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জলবায়ু অর্থায়ন এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য বাজেট বরাদ্দ, চাহিদা, ভৌগোলিক বাস্তবতা ও পরিকল্পনা নীতির সঙ্গে সংগতিহীন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
গবেষণাটির সুপারিশে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন ২০১০ সংশোধন করতে হবে, তহবিলের তদারকি ও নিরীক্ষার জন্য পৃথক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশের ১০-১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা পেয়েছি মাত্র ১.২ বিলিয়ন ডলার, যা অত্যন্ত নগণ্য।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দুর্নীতির কারণে জাতীয় তহবিলের ৫৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লুটপাট হয়েছে। এ তহবিলের সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও তা দুর্নীতির কারণে পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ ও প্রভাবশালীরা এ অর্থ লুটপাট করেছে। জবাবদিহিতার ঘাটতি, সুশাসনের ঘাটতি, রাজনৈতিক প্রভাব, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণে এ দুর্নীতি হয়েছে। আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাই।
জাতীয়
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য: হেডকোয়ার্টার্স
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করবে সব বাহিনী। এরই মধ্যে ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছে হেডকোয়ার্টার্স।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
তিনি জানান, নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য- পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদরদফতরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত ৯টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে বলেও জানান মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এদিকে, শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিন বাহিনীর প্রধানরা। বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেই বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজার নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।



