রাজনীতি
বিদ্যমান নির্বাচনী পদ্ধতিতে দেশ কলঙ্কিত হয়েছে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতেই ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালে আমি-ডামি নির্বাচন হয়েছে। সেই পদ্ধতি বহাল রেখে কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না, জনগণের সরকার গঠিত হতে পারে না।
শনিবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহবাগ পশ্চিম থানার উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘর গেইটে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে পিআর পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না, কেন্দ্র দখল দিতে যাবে না, মনোনয়ন বাণিজ্য হবে না। ফলে কালো টাকার ছড়াছড়িও বন্ধ হয়ে যাবে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং প্রতিটি ভোটের মূল্যায়নের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠিত হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, মানুষের মৌলিক ৫টি অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু অতীতের কোনো সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেনি। তারা তাদের নিজেদের সুটকেস ভর্তি করার কাজে ব্যস্ত ছিল। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সৎ, যোগ্য, আল্লাহভীরু, নৈতিক ও আদর্শিক নেতৃত্ব তৈরি করছে। যার দৃষ্টান্ত ঢাবির শিক্ষার্থীরা সহ পুরো দেশবাসী দেখতেছে। ডাকসুতে ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর মাত্র ২ মাসে যা করেছে বিগত ৫৪ বছরে তা কেউ ঢাবি শিক্ষার্থীদের জন্য করেনি, করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে একই ভাবে রাষ্ট্রের অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটিয়ে দেশকে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) এডভোকেট ড হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার রাজনীতি করে না; জামায়াত মানুষের কল্যাণে নিবেদিত সংগঠন। জামায়াতে ইসলামী ৪ দফা কর্মসূচিতে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারমধ্যে অন্যতম একটি সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা। সামাজিক সেবামূলক যেকোন কাজ জামায়াতে ইসলামী দলমত, ধর্ম বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে পরিচালনা করে আসছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে এই ধারা অব্যাহত রেখে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। ‘যারা এখন বলে ক্ষমতায় গিয়ে এই করবে, সেই করবে; তারা বিগত সময়ে যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কী করেছে জনগণ তা জানে’।
তিনি বলেন, আওয়ামী অপশাসনের ১৫ বছর তাদের নেতারা বিদেশে নিরাপদে উন্নত জীবনযাপন করেছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মী বিদেশে চলে যায়নি। জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে তারপরও জামায়াতের কোনো নেতা আধিপত্যবাদের কাছে মাথানত করে দেশের মানুষকে রেখে বিদেশে চলে যায়নি। জামায়াত নেতারা জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, খুন- গুম, আয়না ঘরের অমানবিক টর্চারের শিকার হতে হয়েছে। এতো জুলুম-নির্যাতনের পরও জামায়াতে ইসলামী একদিনের জন্যও কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি, রাখবে না। কোনো ষড়যন্ত্র জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারেনি, পারবে না। জামায়াতে ইসলামীর সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বন্ধ করতে একটি দল গোপন ষড়যন্ত্র করছে। তারা প্রথমে গণভোটের পক্ষে সমর্থনই দেয়নি। পরবর্তীতে জনগণের চাপে পড়ে গণভোটের পক্ষে সমর্থন দিলেও গণভোটের সময় নিয়ে নানারকম টালবাহানা করছে। গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হয়ে গেলে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে না পারার ভয়ে তারা কোনভাবেই গণভোট মেনে নিতে পারছে না, চাচ্ছে না। তাদের মনে রাখতে হবে, জুলাই আন্দোলনের দুই হাজার শহীদ পরিবার এবং ৫০ হাজারের অধিক আহত জুলাই যোদ্ধা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না। জামায়াতে ইসলামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে জনগণ যেভাবে নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামীও সেভাবে নির্বাচন চায়। অবশ্যই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।
শাহবাগ পশ্চিম থানা নায়েবে আমীর ডা. মেসবাহ উদ্দিন সায়েমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডা. মো. আনোয়ারুল হক, ডা. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
শাহবাগ পশ্চিম থানা সেক্রেটারি এম. লোকমান হোসেনের পরিচালনায় এবং ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আলফেসানী’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ঔষধ সরবরাহ করা হয়৷
এদিকে ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লালমনিরহাটের কাজিউল ইসলামকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ১ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করেন। উল্লেখ্য কাজিউলের ব্রেইন টিউমার অপারেশনের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন জানতে পেরে ড. হেলাল উদ্দিন তাকে এই সহযোগিতা করেন।
কাফি
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন বেশ স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গত এক মাসের মধ্যে এখন বেশ স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আজকে প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, গত ১ মাসের মধ্যে এখন ওনার শারীরিক অবস্থা বেশ স্থিতিশীল আছে। আজকেও ওনার ছোট একটি অপারেশন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
করোনারি কেয়ার ইউনিটের আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত কেবিনে এখন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, অর্থাৎ তিনি সিসিইউতে থাকলেও সেখানে আইসিইউর সব সুবিধা আছে। আপনারা এটাকে আইসিইউতে আছে বলতে পারেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডাম আজকের অপারেশন গ্রহণ করতে পেরেছেন সফলভাবে। আলহামদুলিল্লাহ ওনার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি ঘটেনি।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দল এবং পরিবারের পক্ষে থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করেছেন, বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ।
কাফি
রাজনীতি
শাহবাগে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে ঢাকায় জুমার পরে শাহবাগে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল, সেটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়াক নাহিদ ইসলাম। পরিবর্তে বিকাল ৪টায় বাংলামোটর থেকে বিক্ষোভ মিছিল হবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে সামাজিক মাধ্যম ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, জুমার নামাজের পর যেকোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। বৃহস্পতিবারের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই বিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।
জনগণের ক্ষোভকে ব্যবহার করে কোনো হঠকারী গ্রুপ কোথাও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ অথবা কোনো নাশকাতমূলক কার্যক্রম যাতে করতে না পারে সে ব্যাপারে ভূমিকা পালন করুন।
প্রসঙ্গত, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে রাতভর সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল। চট্টগ্রামে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাবেক দুই মন্ত্রীর বাড়ি। রাজশাহীতে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অফিস। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের অনল। এছাড়াও রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।
এমকে
রাজনীতি
কর্মসূচি স্থগিত, জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দলীয় দুই কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি। শুক্রবার বিকাল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সেচ ভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া বিকাল ৪টায় কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কর্মসূচিও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, দলীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি।
বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলীয় সাংগঠনিক বিষয় এবং আসন্ন কর্মসূচি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে এবং রাতে স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এমকে
রাজনীতি
হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে হান্নান মাসউদের চাচা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির হাতিয়া উপজেলার সমন্বয় কমিটি প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজ হাতিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বলে থানার ওসি মো. সাইফুল আলম জানিয়েছেন।
শামছল তিব্রিজ বলেন, “আমার ভাতিজা আবদুল হান্নান মাসউদকে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারবার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি আসায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
“যেকোনো সময় তার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। এ কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। প্রশাসনের কাছে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।”
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ‘রুপক নন্দী’ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে আবদুল হান্নান মাসউদকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া একই দিন বিকালে ‘Israt Raihan Ome’ নামের আরেকটি ফেইসবুক আইডি থেকে এনসিপির এক কর্মীর মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে হান্নান মাসউদ ও তার সহযোগীদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
জিডিতে সাতজনের নাম উল্লেখ করা বলা হয়। তারা হলেন- হাতিয়ার কান্তি লালের ছেলে রুপক নন্দী (২৫), চর ঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ (৪৬), তার ছেলে ইসরাত রায়হান অমি (২৭), সঙ্কর চন্দ্রের ছেলে প্রেম নাল (২৫), তোফায়েল সেরাংয়ের ছেলে নুর হোসেন রহিম (২৬), সঙ্কর চন্দ্র দাসের ছেলে বাবুলাল (৩২) ও বেলায়েত হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩২)।
এই সাতজন বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে আবদুল হান্নান মাসউদ ও তার সহযোগীদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। তারা যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলেও ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, “হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো ঘৃণ্য অপরাধ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরাসরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টের অপচেষ্টা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর নগ্ন হামলা।
“বিষয়টি ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে এ ধরনের অপরাধ আরও উৎসাহিত হবে। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
ওসি সাইফুল আলম বলছেন, “ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করা হয়েছে। স্ক্রিনশটগুলো যাচাই-বাছাই করে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এমকে
রাজনীতি
মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে, দায় সরকারের: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু ও তৎপরবর্তী মব সন্ত্রাসের ঘটনায় সরকারকে দায়ী করেছেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে একটি স্ট্যাটাসে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সব পক্ষকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
পোস্টে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমালের দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। শহীদ হাদির মৃত্যুতে শোকার্ত জাতি যখন সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছে হাদির আত্মার মাগফেরাতের জন্য, তখন ডেইলি স্টার, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরসহ আরও অনেকের ওপর হীন হামলা সংঘটিত হলো। আমি এই সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি! সরকারকে এই ঘটনার পুরো দায়িত্ব নিতে হবে। হাদির আততায়ীর বিচার এবং প্রতিটি মব সন্ত্রাসের বিচার করতে হবে।’
ফখরুল আরও উল্লেখ করেছেন, ‘প্রায় এক বছরের বেশি সময়কাল ধরে বিভিন্ন মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পরে সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হলো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন করা। আমরা সব পক্ষকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এদিন রাতে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ কারওয়ান বাজারে গিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এরপর তারা পাশে ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনে গিয়ে ইংরেজি দৈনিকটির ভবনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে।
এছাড়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা বাড়ি এবং ছায়ানট ভবনেও ভাঙচুর করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
এমকে




