রাজনীতি
দল পরিচালনায় যারা অক্ষম, তারা দেশ চালাতে পারবে না: ড. হেলাল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, যারা দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না; তারা কখনো দেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা-৮ আসনের উদ্যোগে মতিঝিলে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ অভিযান পূর্বক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠা-ফুটপাত শেষ করে এবার মানুষের বাসা-বাড়িতে, ফ্ল্যাটে-ফ্ল্যাটে গিয়ে চাঁদা দাবি করছে। এমনকি তারা নিজ দলের সাবেক মহাসচিবের পরিবারের কাছ থেকেও গভীর রাতে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী তাদের দলীয় নেতাকর্মী সারাদেশে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, লুটপাট, দখল, খুন, ধর্ষণের মহোৎসবে মেতে উঠেছে।
দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সৎ, যোগ্য, দক্ষ, আদর্শিক ও নৈতিক নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীতে রয়েছে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, আদর্শিক ও নৈতিক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত নেতৃত্ব রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে ৫ বছরে নয় এক বছরেই দেশকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করবে। ক্ষুধা, দারিদ্র, বেকারত্ব দূরীকরণের মাধ্যমে বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। অন্যরা ক্ষমতায় বসতে পারলে দেশকে দেউলিয়া করবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যারাই ক্ষমতায় বসেছে তারাই চেয়েছে নিজস্ব মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করে ইসলামের বিধান মুছে দিতে। জামায়াতে ইসলামীসহ এদেশের আলেম-ওলামা সমাজে ইসলামের আদর্শিক সৌন্দর্য পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা আলেমদের প্রতিহত করেছে। জামায়াতে ইসলামী এদেশের প্রতিটি ঘরে-ঘরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর মহান দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছে।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে একটি দলের নেতাকর্মীরা মতিঝিল, শাহজাহানপুর, গুলিস্তান সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে কোনো সভা-সমাবেশে যেতে পারবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না করে নির্বাচন দিলে সেটি হবে জাতির সাথে তামাশা। জাতি তামাশার নির্বাচন মেনে নেবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অনতিবিলম্বে প্রশাসনে দলীয়করণ বন্ধ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে এবং সর্বস্তরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের হৃৎপিন্ড হচ্ছে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকা। এখানেই রয়েছে পিজি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল, সচিবালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বহু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে অতীতে জনসাধারণকে শোষন করা হয়েছে। আগামী জনগণকে শোষনমুক্ত করতে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের বিকল্প নেই। অতীতে যারা বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে তাদের দ্বারা বৈষম্যহীন দেশ গড়া সম্ভব হবে না। বৈষম্যহীন দেশ গড়তে নতুন নেতৃত্বে নির্বাচতি করতে তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আগামীতে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ তাকে নির্বাচিত করলে তিনি জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকাকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ, মাদক মুক্ত করে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলবেন জানিয়ে তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও মতিঝিল দক্ষিণ থানা আমীর মাওলানা মোতাছিম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালক শামছুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমেদ খান, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মতিঝিল উত্তর থানা আমীর মো. শামছুল বারি, রমনা থানা আমীর মো. আতিকুর রহমান, পল্টন থানা সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু সহ ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে, নেতৃবৃন্দ মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় নেতৃবৃন্দ স্থানীদের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর লিফলেট বিতরণ করে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে সমর্থন কামনা করেন।
রাজনীতি
আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনের হাসপাতালে নিতে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার অনুমতি নিয়েছিল। তবে আজ সেই অনুমতি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে তারা। অর্থাৎ মঙ্গলবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসছে না এবং খালেদা জিয়াও আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জার্মানিভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ স্থানীয় সমন্বয়কারী সংস্থার মাধ্যমে পূর্বের স্লট অনুমোদন প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। এটি আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছি।
এর আগে রোববার জমা দেওয়া অপারেটরের প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় অবতরণ ও একই দিন রাত ৯টার দিকে উড্ডয়নের অনুমোদন নিয়েছিল।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানিভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এটি বোমবার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ মডেলের একটি বিজনেস জেট যা দীর্ঘ দূরত্বের মেডিকেল ইভাকুয়েশনের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। চ্যালেঞ্জার ৬০৪ তার শক্তিশালী ট্রান্সকন্টিনেন্টাল সক্ষমতার জন্য পরিচিত, যা ঢাকা–লন্ডন মেডিকেল ট্রান্সফারের জন্য উপযোগী।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন। এই অসুস্থতাগুলোর মধ্যে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং কিডনি জটিলতা অন্যতম। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত কিছুদিন ধরেই তাকে বিদেশে নেওয়ার তোড়জোড় চলছে।
২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। হাসপাতালে ভর্তির পর তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। এর ফলস্বরূপ, ২৭ নভেম্বর তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তিনি ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
রাজনীতি
ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় অব্যাহতি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান।
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল-১ এ আদেশ দেন। বিরূপ মন্তব্যের জেরে আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান।
এদিন বেলা ১১টার পর আইনজীবীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন বিএনপির এই নেতা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ফজলুর রহমান ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আল্লাহর পরই আপনাদের প্রতি আমার সম্মান।
একপর্যায়ে ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করার পাশাপাশি আদালত অবমাননা থেকে ফজলুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনার মতো ব্যক্তির কাছে এমন বক্তব্য আশা করি না।
গত ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর বিএনপির এই নেতাকে আজ সোমবার সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন ট্রাইব্যুনাল। এরমধ্যেই গত ৩ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ফজলুর রহমান।
আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে গত ২৬ নভেম্বর প্রসিকিউশন জানায়, চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর চ্যানেল 24-এর একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান। ওই টকশোতে ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি, এই কোর্ট আমি মানি না।’
পরে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সবাই জানে, জানবে না কেন? আমার ইউটিউব শুনেন, আমি এই কোর্ট মানি না। এই কোর্টের আমি বিচার মানি না, ইউটিউবে বলেছি, টকশো’তে বলেছি। যদি না বলে থাকি এখন বললে আমার ভুল, মাফ চাইব, প্রতিদিন বলছি এই কোর্টের বিচার আমি মানি না। এই কোর্টের গঠন প্রক্রিয়া বলে এই কোর্টে বিচার হইতে পারে না। এই কোর্টে যারা বিচার করছে আমার ধারণা এদের মধ্যে, এদের ভেতরে একটা কথা আছে।
এছাড়াও ওই টকশোতে তিনি অনেক মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে প্রসিকিউশন সেদিন আরও জানায়, আমরা শুধু কোর্ট নিয়ে তিনি যেটুকু কথা বলেছেন সেটি ট্রাইব্যুনালের সামনে পড়েছি।
রাজনীতি
ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির শুরুতে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি ডিসেম্বর বা আগামী জানুয়ারিতেই দেশে ফিরতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তাজুল ইসলাম। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের বিভিন্ন প্রস্তুতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব এখন আরও সুসংগঠিত হচ্ছে এবং যেকোনো সময় বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
তাজুল ইসলাম জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরলে দলের আন্দোলন, সাংগঠনিক পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা আরও গতিশীল হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই, ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারির মধ্যেই তারেক রহমানকে দেশে দেখতে পাবো। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার এবং দলের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে তারেক রহমানের দেশে ফেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে তার প্রত্যাবর্তন নির্ভর করছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ওপর।
দলীয় কর্মীরা এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আসবে।
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে মঙ্গলবার সকালে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে আগামী মঙ্গলবার সকালে ঢাকা পৌঁছাতে পারে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। রোববার রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপাসনের জন্য যে এয়ার অ্যাম্বুলেসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেটি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ইতোমধ্যে ওই সময়ে ঢাকায় অবতরণের অনুমতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বেবিচক সূত্র। এক কর্মকর্তা বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার কথা থাকলেও ‘কারিগরি ত্রুটি’ দেখা দেওয়ায় কাতার বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে।
কাতার সরকার যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে সেটি হলো বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ (সিএল৬০)। জার্মানির শীর্ষস্থানীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও মিশন-ক্রিটিক্যাল এভিয়েশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ এটি পরিচালনা করে।
প্রতিষ্ঠানটি বোম্বার্ডিয়ার বিজনেস জেটের বহর পরিচালনা করে, যা রোগীদের জন্য চিকিৎসা পরিবহন ও ভিআইপি পরিবহন উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবসা পরিচালনা করে।
চ্যালেঞ্জার ৬০৪ দীর্ঘপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় সক্ষমতার জন্য পরিচিত। এটি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা ফ্লাইটের জন্য উপযোগী। বিএনপি চেয়ারপারসন গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি সমস্যার কারণে কাতারের মূল উড়োজাহাজটি ঢাকায় পৌঁছাতে না পারায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পূর্বপরিকল্পিত স্থানান্তর বিলম্বিত হচ্ছে। সমস্যার সমাধান হলে শনিবার উড়োজাহাজটি পৌঁছাতে পারে।
রাজনীতি
ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল
ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে, জাতি কোনো তামাশা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহানগরী দক্ষিণ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক জরুরী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী (ঢাকা-৮ আসন কমিটির পরিচালক) মুহাম্মদ শামছুর রহমানের সভাপতিত্বে মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও আসন কমিটির সদস্য সচিব শাহীন আহমেদ খানের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী) এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামসহ ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার সাংগঠনিক সকল থানা আমীর, নায়েবে আমীর, সেক্রেটারী ও সহকারী সেক্রেটারিবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। কমিশন যথা সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডিসেম্বরের ১০ বা ১১ তারিখ কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু একটি দল সংঘবদ্ধভাবে নির্বাচন ভণ্ডলের চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র করছে। কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রে নির্বাচনের রোডম্যাপ পরিবর্তন করা যাবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জনগণ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। প্রশাসনে দলীয়করণ বন্ধ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ সহ গণমানুষের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ঘোষিত রোডম্যাপে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রকারীরা নানারকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। সকল অপপ্রচার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুঁখে দিতে তিনি সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জামায়াতে ইসলামীর প্রতি যেভাবে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে এই দ্বারা বজায় রাখতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে আমাদের ত্যাগ, আমাদের কুরবানি অব্যাহত থাকবে এবং রাখতে হবে। ইসলামি সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে একটি সুখি-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনে তিনি দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে নিঃস্বার্থ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ শামছুর রহমান ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি জনগণের সমর্থনের সার্বিক দিক তুলে ধরে বলেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রতি মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা দেখে একটি কুচক্রী মহল নানান রকম অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন অর্জনের লক্ষ্যে দায়িত্বশীল ভূমিকা অব্যাহত রাখতে তিনি ঢাকা-৮ আসনের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানান।
এমকে



