জাতীয়
থার্টি ফার্স্ট নাইটে বন্ধ থাকবে সকল বার, পতেঙ্গা-পারকি বিচ
থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৬ উদযাপন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে শান্তি-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে জানানো হয়, ২০২৫ সালের বর্ষবিদায় ও ২০২৬ সালের নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুমতি ছাড়া সড়ক, উন্মুক্ত স্থান, ছাদসহ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, উচ্চ শব্দে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে নাচ-গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালি বা শোভাযাত্রা করা যাবে না।
এছাড়া মহানগর এলাকায় যেকোনো ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার সব বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে। একই সময়ে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশস্থল ও উৎসবস্থলে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রসহ সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র, তলোয়ার, বর্শা, ছোরা, লাঠি ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো, উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, মাদকাসক্ত অবস্থায় চলাফেরা, নৈতিক মূল্যবোধবিরোধী কর্মকাণ্ড, নারীদের প্রতি যেকোনো ধরনের হয়রানি বা ইভটিজিং এবং অন্যান্য বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিএমপি জানিয়েছে, এসব নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয়
দিল্লি থেকে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে জরুরি ঢাকায় তলব
নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় ডেকে এনেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। ডাক পেয়ে সোমবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহর ঢাকা ফেরার তথ্য নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা পেতে বাংলাদেশ দূতকে জরুরি ডেকে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনায় সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের মধ্যে একদফা আলোচনা হয়েছে। আজকালের মধ্যে তারা দিল্লি ফেরত হাইকমিশনারকে নিয়ে বসতে পারেন।
সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি ও ময়মনসিংহে পোশাক কারখানার শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে নির্মম হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
ভারতে থাকা বাংলাদেশের মিশনগুলোতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা। সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে হামলা করেছে হিন্দুত্ববাদী তিনটি সংগঠন। এরপর ভিসা কেন্দ্রটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও দিল্লিতে দুই দেশের হাইকমিশনারদের পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দেশ দুবার করে পরস্পরের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানিয়েছে। সবশেষ, গত ২৩ ডিসেম্বর দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এর জের ধরে এদিন বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। একই দিনে দুই দেশের দূতকে পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাসে এটাই প্রথম।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চীনের প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এ শোক জানান। ঢাকায় চীন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লি কিয়াং বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রবীণ রাজনীতিক এবং চীনা জনগণের একজন পুরোনো বন্ধু। তার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব, সমতা ও পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে সমন্বিত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সম্পর্ক জোরদারে তার ভূমিকা চীনা পক্ষ উচ্চভাবে মূল্যায়ন করে।
শোকবার্তায় আরও বলা হয়, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বেইজিং। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে, যাতে উভয় দেশের জনগণ আরও বেশি উপকৃত হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় ইসহাক দার বলেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, মহান আল্লাহ তাআলা যেন তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালে ৩৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়। এ অবস্থায় ২৩ নভেম্বর তাকে জরুরিভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা জানান তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সঙ্গে আরও কিছু জটিলতা আছে। তার কিডনি ডায়ালাইসিসও করতে হয়েছে।
এমকে
জাতীয়
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারাল। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীই ছিলেন না; তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর অবদান, তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং তাঁর প্রতি জনগণের আবেগ বিবেচনায় নিয়ে সরকার চলতি মাসে তাঁকে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর আপোষহীন নেতৃত্বের ফলে গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে জাতি বারবার মুক্ত হয়েছে, মুক্তির অনুপ্রেরণা পেয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও জাতির কল্যাণে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব এবং দৃঢ় মনোবল সব সময় পথ দেখিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত রাজনীতিককে হারাল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি’র চেয়ারপারসন, যিনি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাঁর স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালে গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে আসা বেগম খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব স্বৈরশাসক এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের দুঃশাসনের পতন ঘটাতে প্রধান ভূমিকা রাখে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বহু কর্ম ও সিদ্ধান্ত দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। তিনি মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তি চালু করেন, যা বাংলাদেশের নারী শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক জীবনে বেগম খালেদা জিয়া ভীষণভাবে সফল ছিলেন। তিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি।
১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনগুলোতে তিনি পাঁচটি পৃথক সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি যে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেখানেই তিনি জয়লাভ করেছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর অর্থনৈতিক উদারীকরণের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতির একটি মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সংগ্রাম ও প্রতিরোধের এক অনন্য প্রতীক। তাঁর আপোষহীন ভূমিকা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে জাতিকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সাফল্যের কারণেই বেগম খালেদা জিয়া চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাঁকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দীর্ঘদিন কারাবাস করতে হয়েছিল।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির দিনে তিনি দেশবাসীকে শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যার যার অবস্থান থেকে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
এমকে
জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২ হাজার ৫৮২ জন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র থেকে মোট ২ হাজার ৫৮২টি মনোনয়পত্র দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসন থেকে মোট ৩ হাজার ৪০৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে দুই হাজার ৫৮২ জন জমা দিয়েছেন।
জমা পড়া মনোনয়নপত্রের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে ৪১টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৪৪৪টি, ফরিদপুর অঞ্চলে ১৫টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ১৪২টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২৩টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ১৯৪টি, কুমিল্লা অঞ্চলে ৩৫টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৩৬৫টি, রাজশাহী অঞ্চলে ৩৯টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ২৬০টি, খুলনা অঞ্চলে ৩৬টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ২৭৬টি, বরিশাল অঞ্চলে ২১টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ১৬৬টি, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৩৮টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৩১১টি, সিলেট অঞ্চলে ১৯টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ১৪৬টি এবং রংপুর অঞ্চলে ৩৩টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ২৭৮টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
এর আগে, নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, তফসিলের নির্বাচন প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল আজ। এই সময়সীমা আর বাড়নো হবে না।
উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ ১২ ফেব্রুয়ারি।




