ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ডাকসু নেত্রী সেই তন্বী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সানজিদা আহমেদ তন্বী বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনি এমন তথ্য জানান।
জানা গেছে, পাত্রের নাম জিহাদ আবদুল্লাহ। তিনি পেশায় সাংবাদিকতা, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে তিনি সাংবাদিকতা করছেন বলে জানা গেছে।
ফেসবুক পোস্টে তন্বী লেখেন, কিছু কিছু বন্ধন এত সহজভাবে তৈরি হয় যে মনে হয় সবটাই যেন আগে থেকে ঠিক করা ছিল। আমাদের প্রথম আড্ডাটার কথা আজও পরিষ্কার মনে পড়ে—বন্ধুদের বোকা বানানোর জন্য সেই অদ্ভুত মজা নিয়ে আমাদের হাসাহাসি, মুহূর্তটার হঠাৎ ওলটপালট হয়ে যাওয়া, একদম ছোট ছোট জিনিসে আমাদের দুজনের একইরকম আনন্দ খুঁজে পাওয়া, আর আমার ভেতরকার ছটফটে রোমাঞ্চপ্রিয় সত্তাটাকে তোমার অবলীলায় আপন করে নেওয়া। সেই সাধারণ মুহূর্তগুলোতেই কখন যে মনের অজান্তে এমন সব স্মৃতি জমিয়ে ফেলেছিলাম, যা আমি বারবার ফিরে দেখতে চাইব।
গত বছরের ১৫ জুলাই বিকেলে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হন সানজিদা আহমেদ তন্বী। তার রক্তে মাখা ভীত মুখটি ভাইরাল হয় এবং আন্দোলন বেগবান করতে ছবিটি ব্যাপক অনুপ্রেরণা জোগায়।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জয় পান সানজিদা আহমেদ তন্বি। তিনি (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ছিলেন। ১১ হাজার ৭৭৭টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিন অন্য পরীক্ষা না রাখার নির্দেশ
আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার দিন অন্য পরীক্ষা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরীক্ষার দিন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে পরীক্ষা না রাখার জন্য কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে পত্র পাওয়া গেছে।
এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার দিন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পরীক্ষা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থি ৬ ডিনের পদত্যাগ
দিনব্যাপী আন্দোলন, চেম্বারে তালা ও রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখার মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় ডিন পদত্যাগ করেছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তারা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
এ বিষয়ে আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সাথে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। এই বিষয়ে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) হয়তোবা উপাচার্য একটা সিদ্ধান্ত জানাবেন।
পদত্যাগ করা ছয় ডিন হলেন আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক ড. এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. এস এম একরাম উল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক ড. বিমল কুমার প্রামাণিক ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. এএইচএম সেলিম রেজা।
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এসএম এক্রাম উল্ল্যাহ বলেন, আজ কী হয়েছে সেটা জানি না, তবে আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না বলে জানিয়ে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেয়নি।
এর আগে আওয়ামীপন্থি ছয় ডিনের পদত্যাগ দাবিতে রোববার সকাল ১০টার দিকে ডিনস কমপ্লেক্সে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তারা। তবে এদিন ডিনদের কেউ বিভাগের শিক্ষক ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না।
পরে দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাদের দাবি জানান। এ সময় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরেও তালা ঝুলিয়ে দেন।
প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর তালা খুলে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাতে আরেকটি সভা ডাকা হবে বলে ওই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি হলুদ প্যানেল থেকে ছয় প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনের নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্ব-পদে থাকার নির্দেশ দেন।
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আ.লীগপন্থি তিন ডিনের অফিসে তালা দিল রাকসু নেতারা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামী লীগপন্থি ডিনদের পদত্যাগের দাবিতে তিন ডিনের কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) প্রতিনিধিরা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে থাকা এসব কার্যালয়ে তারা তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে ডিনদের অপসারণের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলে কার্যালয়গুলোর তালা খুলে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ ছয়টায় জরুরি বৈঠকে বসবেন উপাচার্য।
কার্যালয় তালাবদ্ধ করা ঘটনায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবির নেতাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদের ডিনদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
তালা লাগানো তিনটি অনুষদের আওয়ামীপন্থি ডিনরা হলেন- আইন অনুষদের অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ; ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে অধ্যাপক অধ্যাপক এএসএম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অধ্যাপক এসএম এক্রাম উল্ল্যাহ।
এ সময় ‘তারা আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, আওয়ামী লীগ গেলি কই’ ‘আওয়ামী লীগের চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময় সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি আকিল বিন তালেব বলেন, অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আমাদের নিরাপত্তা গুরুতর সংকটে পড়েছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে; যা আমাদের গণঅভুত্থানের পক্ষের শক্তির জন্য হুমকি।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের এক বছর পরেও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা হয়েছে। সিনেট কার্যকর না হওয়ায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সিন্ডিকেটে ৬ জন আওয়ামীপন্থি ডিন রয়েছেন। তারা এখানে বসে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাই না, ক্যাম্পাসে আওয়ামীপন্থি কোনো শিক্ষক মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক। যারা এই আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন করতে চায় তাদেরও পদত্যাগ করতে হবে।
এদিকে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন- আজ মোটামুটি সব আওয়ামীপন্থি ডিনদের দপ্তরগুলো তালাবদ্ধ। আমিও এটাই চাই, বিচার না হওয়া পর্যন্ত তালাবদ্ধ থাকুক। সঙ্গে একটা তালিকা করেছি, বিগত জুলাইয়ের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান করা শিক্ষকদের। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য সংগঠনের কাছে থাকা তালিকাও আহ্বান করছি। আমার তালিকায় অনেকে বাদ পড়তে পারে সেটা আপনাদের থেকে সংগ্রহ করব আগামী তিন দিনের মধ্যে।
পদত্যাগের বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম এক্রাম উল্লাহ বলেন, আমি এ পরিস্থিতিতে ডিন হিসেবে দায়িত্বে থাকতে চাচ্ছি না। উপাচার্যের কাছে আমি দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি। উপাচার্য যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা চাই না, কোনো শিক্ষক লাঞ্ছিত হোক।
কর্মসূচিতে রাকসুর সহ-সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২টি অনুষদের মধ্যে আওয়ামীপন্থি ‘হলুদ প্যানেল’ থেকে ছয়জন ডিন নির্বাচিত হন। তাদের মেয়াদ গত ১৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। কিন্তু উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব বহাল রাখার নির্দেশ দেন।
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা পেছাচ্ছে
২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দুই থেকে তিন মাস পেছাচ্ছে। আগামী বছরের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে বা মে মাসের শুরুর দিকে এ পরীক্ষা হতে পারে। এক সপ্তাহের মধ্যে রুটিনসহ সবকিছু চূড়ান্ত হতে পারে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষাও এ মাসে শুরু হয়। তবে নির্বাচনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কেন্দ্র থাকে। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। ফলে এসএসসি পরীক্ষা পেছাতে পারে। এর আগেও নানা কারণে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছানোর নজির রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়ে মার্চের মধ্যে শেষ করা হতো। তবে ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সে ধারায় ছেদ পড়ে। কোভিডের কারণে ওই বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
২০২৩ সালে পরীক্ষা শুরু হয় এপ্রিলের ৩০ তারিখ। এর আগে ২০২২ সালের পরীক্ষা শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। সর্বশেষ ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। এর মাধ্যমে স্বাভাবিক সময়ে ফেরে এ পাবলিক পরীক্ষা। তবে ২০২৬ সালের নির্বাচনের কারণে আগের বছরের তুলনায় এসএসসি পরীক্ষা আবারও অন্তত তিন মাস পেছাচ্ছে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহবায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে বা আগামি সপ্তাহে বোর্ড মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। মিটিংয়েই পরীক্ষার রুটিন, তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এপ্রিল মাসের শেষ দিকে বা মে মাসের শেষ দিকে এবারের পরীক্ষা শুরু হতে পারে।’
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
হাদিকে ‘জংলি’ আখ্যা দেওয়া শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি নারী শিক্ষার্থীদের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন কর্তৃক ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীকে ‘জংলি’ আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নারী শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এসময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারসহ ৫ দাবি জানান।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘হাদিকে যিনি জংলি বলেন, তিনি নিজেই জঞ্জাল’, ‘শিক্ষকদের কাছ থেকে জাতি আলোকিত দিকনির্দেশনা চায়, অশুভ ভবিষ্যদ্বাণী নয়’, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন শিক্ষক থাকা মানে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তির লাইসেন্স দেওয়া’, ‘আপনি জংলি কাকে বলেন? জুলাই যোদ্ধাকে?’, ‘পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আলতাফ রাসেলের স্থায়ী বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে’, ‘হাদি ভাইয়ের মতো আমরা সবাই জংলি, এই জঙ্গলে আমরা এমন শিক্ষক চাই না’ এবং ‘জান দেব, জুলাই দেব না’ ইত্যাদি লিখা সংবলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।
অন্য দাবিগুলো হলো- হাদির খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার করা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের সকল অপতৎপরতা বন্ধ করে রাঘব বোয়ালদের বিচার নিশ্চিত করা, ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এমন মনোভাব প্রকাশ করে, তাদের স্থায়ী বহিষ্কারসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা, ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী অন্যতম নায়ক শহিদ আবরার ফাহাদ এবং শহিদ ওসমান হাদির নামে হল বা স্থাপনার নামকরণ করা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় শহিদ ওসমান হাদিকে জংলি বলে কটূক্তি শুধু একজন শহিদের অবমাননা নয় বরং এটি দেশের জন্য আত্মত্যাগ এবং সমগ্র জাতির সম্মানের উপর সরাসরি আঘাত। জাতির বিবেক গঠনের দায়িত্বে অর্পিত শিক্ষকের মুখে এমন অমানবিক ও ফ্যাসিস্ট মানসিকতার প্রকাশ কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ধমনিতে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী রক্ত প্রবাহিত, সেখানে শিক্ষক হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাস বিকৃত করে শিক্ষাঙ্গণ কলুষিত করা কোনোভাবে কাম্য নয়। যদি এখন এসব শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়া না হয়, তবে কাল আবারও শহিদদের অবমাননা করা হবে এবং নতুনভাবে ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দেবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে হাদিকে কটূক্তি করে এক ফেসবুক পোস্ট দেন ওই শিক্ষক। নিজস্ব ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের সময় বললেন ১৫ বছরের শাসনের ক্ষোভ। ৩২ ভাঙচুরে ও অগ্নিসংযোগের সময়ও তাই বললেন। আজ প্রথম আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে, এখন কি বলবেন? ওসমান হাদির মতো একটা জংলি পুলার জন্য এতো আবেগ তুললে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখনো যারা আক্রান্ত হয় নাই, ভাবছেন বেঁচে গেছেন? না, ধীরে ধীরে সবাই আক্রান্ত হবেন। প্রথম আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এই পত্রিকার অনেক কিছুর সঙ্গে দ্বিমত করলেও সংবাদ মাধ্যমে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম। এই গণমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে।’
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম




