রাজনীতি
রাজধানীর হোস্টেলে মিলল এনসিপির নেত্রী রুমীর মরদেহ
রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমী (৩০) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে তিনি কোনো পদে রয়েছেন কি না, তা এখনো নিশ্চত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার রোড এলাকায় অবস্থিত জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জান্নাতারা রুমী নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার নাজিরপুর থানাধীন মো. জাকির হোসেনের মেয়ে। তার মায়ের নাম নুরজাহান বেগম।
হাজারীবাগ থানা পুলিশ বলছে, মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এমকে
রাজনীতি
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মহাসচিবের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিনিধি হিসেবে তার পরিবারের একজন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
ঠাকুরগাঁও-১ আসন দীর্ঘদিন ধরে মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের খবর প্রকাশের পর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনা ও আলোচনা শুরু হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে আজ আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। তিনি আমাদের দলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে তার রাজনৈতিক প্রভাব অটুট। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি ভোটাররা তার প্রতি আস্থা দেখাবেন ও আমাদের দলের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।
এরআগে গত ৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব নিজেই। সেখানে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে তার নিজের নাম ঘোষণা করা হয়।
রাজনীতি
মাহফিলে ইসির বিধি-নিষেধ ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ: ইসলামী আন্দোলন
ওয়াজ-মাহফিলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে নির্বাচন কমিশন ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেছেন, ওয়াজ-মাহফিল বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। শীতে দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ওয়াজের আয়োজন করা হয়। অনেক আয়োজনের ধারাবাহিক ঐতিহ্য আছে।
নির্বাচনের কারণে ধর্মীয় এসব আয়োজনের ওপরে বিধি-নিষেধ আরোপ করলে স্পষ্টত তা মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপরে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে যা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করবে। কারণ বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে মানুষ মনখুলে ধর্মচর্চা করতে পারে নাই। ফ্যাসিবাদের পতনের পরেও ধর্ম প্রচারে বিধি-নিষেধ আরোপ জনমন প্রত্যাশা করে না।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরো বলেন, অধিকাংশ ওয়ায়েজ অরাজনৈতিক চরিত্রের। তাদের ওয়াজের শতভাগ রাজনীতিমুক্ত ধর্মীয় আলোচনা। যেসকল সন্মানিত বক্তা রাজনৈতিক পরিচয় ধারণ করেন তারাও দাওয়াতি মেজাজের কারণে ওয়াজের মধ্যে রাজনৈতিক আলাপ আনেন না। তারপরেও নির্বাচনকে সামনে রেখে ওয়াজের ওপরে বিধি-নিষেধ আরোপ করা কোন যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না।
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, তবে দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ, নিপিড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বক্তাগণ মানুষকে সচেতন করেন। এগুলোকেও যদি রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে ধরা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের বিবেক-বিবেচনা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে। তাই আমরা আশা করবো, নির্বাচন কমিশন এই বিধি-নিষেধ তুলে নেবেন।
রাজনীতি
খালেদা জিয়াকে নিয়ে আশার কথা শোনালেন ডা. জাহিদ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। একইসঙ্গে চিকিৎসকরা তার সুস্থতার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ারের সামনে সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য জানান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন। চিকিৎসকরাসহ সবাই অত্যন্ত আশাবাদী যে বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে যাবেন। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা আছেন। প্রতিদিন তারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও জানান, ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তার (বেগম জিয়ার) ছোট ভাই, বোন সবাই খোঁজ নিচ্ছেন। যেহেতু সিসিইউতে আছেন, তাই তার পাশে থাকা যাচ্ছে না। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
চলতি বছরের ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেদিন স্বেচ্ছায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বেগম জিয়াকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। কিন্তু, একদিন পরেই শ্বাসকষ্টের জটিলতা প্রকট হওয়ায় ঘটে স্বাস্থ্যের অবনতি। ২৩ নভেম্বর ভর্তি হন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে হার্ট এবং ফুসফুসে। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে স্থানান্তর করা হয় সিসিইউতে। এখন পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
এমকে
রাজনীতি
২৫ তারিখ দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত থাকার পর ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিন বেলা পৌনে ১২টায় তিনি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে দলীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসছেন বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে দলের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত এই প্রতিনিধি দলটি বিমানবন্দরের প্রটোকল এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতা তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে এক ঐতিহাসিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর রাজধানীর ৩০০ ফিট (পূর্বাচল রোড) এলাকায় তাকে বিশাল গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচিকে সফল করতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
তারেক রহমানের ফেরার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের নেতাকে বরণ করে নিতে চাই।
তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখতে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রায় প্রস্তুত। কোনো কারণে সেটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে পাশেই তার মায়ের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’-তে উঠবেন তিনি।
দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে ৮৬ নম্বর রোডের ওই কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
রাজনীতি
হাসনাতকে মাথায় নয়, ঘাড়ে গুলি করার পরামর্শ দিলেন ভারতীয় সাবেক কর্ণেল
হাদির পরবর্তী টার্গেট হতে যাচ্ছে হাসনাত আব্দুল্লাহ এমনটাই টুইট করেছেন Col. Ajay K Raina, ভারতের সাবেক অভিজ্ঞ সেনা কর্মকর্তা, প্রায় ৩০ টি বইয়ের লেখক এবং সিকিউরিটি এনালিস্ট। ইভেন কোথায় গু লি করা দরকার তাও উল্লেখ করে বলেছেন, ”গুলি করতে হবে ঘাড়ে, মাথায় নয়।
প্রথমে তাকে নিশ্চুপ করাতে হবে। এবং ছোট্ট ছোট্ট ভুলগুলোও শুধরে নেয়া হবে।” এই যে এমন ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্মে ওপেন ডেথ থ্রেট দেয়া হলো, হচ্ছে এর দায় কী ভারতীয় কূটনীতিক বিশ্লেষকরা এড়াতে পারেন?
ইতিমধ্যে কর্ণেল (অব:) অজয় কে রায়নার পোস্ট সামাজিক মাধ্যম এক্সএ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এটা সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী মিডিয়া হ্যান্ডালার এটাকে বাংলাদেশী রাজনৈতিক মুখগুলোর বিপরীতে সরাসরি হত্যার হুমকির উল্ল্যেখ করার পাশাপাশি, ইনকিলাব মঞ্চের হাদির ওপর হামলা হওয়ার পেছনের এদের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
যদিও এই পোস্টের বিষয়ে কর্ণেল (অব:) অজয় কে রায়নার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
বরং বিষয়টিকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে উল্লেখ করে অপর একটি গণমাধ্যমকে তিনি জানান, সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট ঘিরে এতোটা সংবেদনশীল হবার কোন প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের উচিত ভারতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে কোনরূপ বাড়াবাড়ি না করতে। নচেত উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে বৈকী কমবে না।




