কর্পোরেট সংবাদ
কক্সবাজারে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা
পর্যটননগরী কক্সবাজারে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শাখায় আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. মো. তৌহিদুল আলম খান।
সভায় চট্টগ্রাম জোনের প্রধান সৈয়দ মাহবুবুল হক, কক্সবাজার এরিয়া প্রধান রফিকুল হায়দারসহ সকল শাখা প্রধান, এরিয়া ইনচার্জ, উপশাখা ইনচার্জ এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কক্সবাজারে ব্যাংকের চলমান কার্যক্রম, ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা, কর্পোরেট সুশাসন, কমপ্লায়েন্স, গ্রাহকসেবা, প্রযুক্তি নির্ভর সেবার সম্প্রসারণ, প্রান্তিক জনগণের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, আমরা গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে চায়। এ অঞ্চলে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমাদের শাখা, উপশাখাগুলোর মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতকে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাই। গ্রাহকদের লেনদেন সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ক্যাশলেস উদ্যোগ’ বাস্তবায়ন করছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ বাস্তবায়নে অনলাইন এবং প্লানেট অ্যাপের মাধ্যমে সবধরনের ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান ও লেনদেন নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন. ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসনই হবে ব্যাংকের আগামীদিনের পথ চলার মূলভিত্তি। ঋণ আদায়ে তদারকি বাড়াতে হবে। গ্রাহক বাছাই, ঋণ আবেদন যাচাই-বাছাই এবং ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়মনীতিগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
রেমিট্যান্স সংগ্রহে রূপালী ব্যাংকের অভাবনীয় সাফল্য
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংক পিএলসি রেমিট্যান্স সংগ্রহে সমগ্র ব্যাংকিং খাতে অষ্টম স্থান অর্জন করেছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও প্রবাসী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে রূপালী ব্যাংককে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামের হাতে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
ব্যাংকের এই অর্জন কার্যকর গভর্ন্যান্স, আধুনিক ও সহজলভ্য রেমিট্যান্স সেবা এবং প্রবাসী গ্রাহকদের প্রতি ব্যাংকের ধারাবাহিক আস্থার প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন যমজ বোন
কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে যজম দুই বোন মেডিকেল চান্স পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ফাবিহা জামান মিহা ৮১.৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৮৭৩তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং লামিসা জামান লিহা ৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৪৬৭৫তম হয়ে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।
একসঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে তারা চমক সৃষ্টি করেছেন সদ্য প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে তাদের এই কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
মেধাবী এই দুই বোন বর্তমানে বাউন্ডারি রোড ময়মনসিংহে বসবাস করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ভাটি সাভার গ্রামে। তাদের বাবা ডা. এম, কামরুজ্জামান মানিক, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিক সার্জারি, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মা তসলিমা বেগম লাভলী, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রসায়ন বিভাগ, নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহে কর্মরত।
মিহা ও লিহা ময়মনসিংহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এসএসসি-২০২৩ পরীক্ষায় মিহা ১২৪৭ নম্বর এবং লিহা ১২৪১ নম্বর, এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় মিহা ১১৯২ এবং লিহা ১১৮৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তারা দুই পরীক্ষাতেই মেধাবৃত্তি পেয়েছিলেন।
তাদের বাবা ডা. এম কামরুজ্জামান মানিক জানান, এই সাফল্য শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো নান্দাইলবাসীর। তাদের এই অর্জন আশপাশের শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমরা আশা করি, তারা ভবিষ্যতে মানবিক চিকিৎসক হয়ে দেশ ও দশের সেবা করবে।
তিনি আরও বলেন, নিজ পেশায় ব্যস্ত থাকতে হয়। মেয়েদের সাফল্যের পেছনে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও তাদের শিক্ষক মায়ের দিকনির্দেশনা অনেক কাজে লেগেছে। তাদের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমিও সার্বিক খোঁজ নিয়েছি।
মিহা ও লিহার মা তসলিমা বেগম লাভলী মা বলেন, মেয়েদের পরিশ্রমের সার্থকতা এসেছে, আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করি, তারা যেন তাদের মানবিক গুণগুলো আজীবন ধারণ করতে পারে। কারণ ডাক্তারি পেশায় মানবতা খুব প্রয়োজনীয়।
মিহা তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। মানবিক ডাক্তার হয়ে পরিবার, দেশ ও মানুষের সেবা করতে চাই’।
লিহা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবা করতে চাই।
মিহা ও লিহার এই অসাধারণ অর্জনে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোমেনশাহীর অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবু হায়াত মো. রীশাদ মোরশেদ বলেন, মিহা ও লিহা দুজনই একই পরিবারের যমজ বোন হয়েও এই বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জন করেছে। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনন্য গৌরবের মুহূর্ত। অধ্যক্ষ হিসেবে আমি গভীর আনন্দ ও গর্ব অনুভব করছি। তাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও সঠিক দিক নির্দেশনা থাকলে অসাধ্য কিছুই নয়। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
কর্পোরেট সংবাদ
আবারও বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন
সফলতার সাথে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসেবে যুক্ত থেকে সাধারণ গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহিত করতে ভূমিকা রেখেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তরুণ প্রজন্মের মাঝে ডিজিটাল লেনদেনকে সম্প্রসারিত করার এই উদ্যোগে আবারও বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি।
সম্প্রতি, বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলীর উপস্থিতিতে এই চুক্তি নবায়ন হয়। এসময় বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকাশের সাথে এই দীর্ঘ পথচলা এবং পুনরায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মেহজাবীন বলেন, আমি সব সময়ই এমন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করতে চেয়েছি যারা সাধারণ মানুষের কথা ভাবে এবং তাদের জীবন সহজ করতে কাজ করে। বিকাশের মতো এমন একটি ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। আমি আশা করি, সামনে বিকাশ এমন আরও অনেক কাজ করবে যা মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
উল্লেখ্য, আগের মতোই মেহজাবীন যুক্ত থাকবেন বিকাশের বিভিন্ন পণ্য ও সেবাকে জনপ্রিয় করে তোলার উদ্যোগগুলোতে।
কর্পোরেট সংবাদ
এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভা
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসির ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম। এসময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ, কোম্পানি সচিব আলাউদ্দিন শিবলি এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়াহোল্ডার সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় শেয়াহোল্ডারগণ গত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন দেন। একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদ ১০ টাকা মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
এজিএমে কোম্পানির টেকসই প্রবৃদ্ধি, সামগ্রিক কর্মদক্ষতা, এবং শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রতি প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে কর্পোরেট সুশাসন ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
নগদে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ এখন ঘরে বসেই
মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জের জন্য এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে হবে না বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এখন মেট্রোরেল যাত্রীরা ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তেই তাদের মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ওয়েবসাইটে থাকা লিংকে গিয়ে কার্ড রিচার্জ করা যাবে। বর্তমানে মেট্রোরেলে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস-এই দুই ধরনের কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে। নগদের মাধ্যমে যাত্রীরা এই দুই ধরনের কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
মেট্রোরেলে কার্ড রিচার্জ করতে যাত্রীদের প্রথমে র্যাপিড পাস-এর ওয়েবসাইট (www.rapidpass.com.bd) বা অ্যাপে যেতে হবে। র্যাপিড পাস ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা না থাকলে কার্ড রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। এরপর গ্রাহকের কার্ডটির তথ্য দিয়ে কার্ডটি নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
নিবন্ধনের পর সাইন ইন করতে হবে। সাইন ইন সম্পন্ন হলে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় কার্ড নির্বাচন করে রিচার্জের অঙ্ক নির্বাচন করবেন। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং অফশনে ক্লিক করে নগদ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে আবারো রিচার্জের জন্য নগদ গ্রাহকেরা নগদ ওয়ালেট নম্বরটি সেভ করে রাখতে পারবেন। ফলে বারবার আর নম্বর দিতে হবে না। অপশন নির্বাচনের পর নগদ নম্বর প্রদান করতে হবে এবং মেসেজে পাওয়া ওটিপি প্রদান করে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড প্রদান করলে কার্ড রিচার্জ সম্পন্ন হবে।
অনলাইন রিচার্জের পর স্টেশনে থাকা অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম)-এ কার্ডটি ট্যাপ করে রিচার্জকৃত ব্যালেন্স যুক্ত করতে হবে। রিচার্জ সফল হলে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস চলে যাবে। একটি কার্ডে একবারে ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
এমকে




