অর্থনীতি
১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২২হাজার ২৭৭ কোটি টাকা
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর বৃদ্ধির ধারা বিজয়ের মাসেও অব্যাহত রয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১৮২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয়। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে ২২ হাজার ২৭৭ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলছে, ডিসেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের ওই সময়ে এসেছিল ১৬০ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার বেশি। তখন এসেছিল এক হাজার ২৭৪ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
গত বছর শুধু রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করেই এক মাসে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রেরণে বিভিন্ন প্রণোদনা, বৈধ পথে টাকা পাঠানোর ওপর উৎসাহ বাড়ানো এবং এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সক্রিয় ভূমিকা উল্লেখ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয় ছিল- জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার ও নভেম্বরে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতি
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে ৪-৫ বছর লাগে: গভর্নর
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনতে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এর কম সময়ে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব নয় বলে দাবি তার।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
পাচার হওয়া টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক।
মামলা থেকে অর্থ ফেরত আসার বিষয়ে কোনো আশাবাদ পাওয়া যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, আমাদের বাস্তবতা বলতে হবে। বিদেশ থেকে অর্থ আনতে ৪ থেকে ৫ বছর লাগে। এর নিচে হয় না।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান হব, যদি লন্ডন থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মামলার সমাধান হয়ে যায়। কারণ, মামলাটি তারা লড়েইনি। ফলে এমনিতেই তারা মামলাটি হেরে গেছে। বাকি মামলাগুলো আবেদনের ওপর নির্ভর করছে। এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।
এস আলম গ্রুপের বিষয়ে কী হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে এস আলম আরবিট্রেশন ফাইল মিউটেশন করেছে। চোরের মার বড় গলা। আমরা মামলাটা লড়ব।
এমকে
অর্থনীতি
৩৬ জেলায় টিসিবির পরিবেশক নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে
দেশের ৩৬টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পরিবেশক নিয়োগ দেবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আজ ১৬ ডিসেম্বর থেকে সে জন্য অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, টিসিবির কেনা ভোগ্যপণ্য নির্ধারিত উপকারভোগী পরিবার ও সাধারণ জনগণের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে এই পরিবেশকদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
যেসব জেলায় পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হবে সেগুলো হলো সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শেরপুর ও নেত্রকোনা।
টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ৩৬ জেলার যেসব সিটি করপোরেশন, ওয়ার্ড, পৌরসভা অথবা ইউনিয়নের যেখানে বর্তমানে পরিবেশক নেই, সেখানে এসব পরিবেশক নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে সারা দেশে ৮ হাজার ২৭৫ জন পরিবেশক আছেন।
পরিবেশক হওয়ার জন্য শুধু অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। টিসিবি কার্যালয়ে সরাসরি, ডাকযোগে বা কুরিয়ারে আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
আবেদনের মাশুল হিসেবে ৫ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) এক-পের (অ্যাপ ও ওয়েবভিত্তিক অর্থ পরিশোধ সেবা) মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। পরিবেশক নিয়োগ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য টিসিবির ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
কেন পরিবেশক নিয়োগ
সারা দেশে নিম্নআয়ের মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে টিসিবি। এর মধ্যে সংস্থাটির নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে বর্তমানে ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে তিন ধরনের পণ্য বিক্রি করা হয়। কার্ডধারী একজন ক্রেতা ভর্তুকি মূল্যে দুই লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারেন। মাঝেমধ্যে এর সঙ্গে দু-একটি পণ্য বাড়ানো হয়।
এর বাইরে সারা দেশে ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রির আলাদা কার্যক্রম আছে টিসিবির। তবে এটি টিসিবির নিয়মিত কার্যক্রম নয়। যাঁদের কাছে পরিবার কার্ড নেই, তাঁরা ট্রাক থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য কিনতে পারেন। এই উভয় ধরনের কার্যক্রমই পরিবেশকের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে টিসিবি।
টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য সরকার নতুন নীতিমালা করেছে। পরিবেশক নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা–২০২৫ শীর্ষক এ নীতিমালা জারি করা হয় গত মার্চ মাসে। এর আগে ২০২১ সালের নীতিমালা অনুসরণ করা হতো।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডের জন্য একজন এবং অন্যান্য অঞ্চলের প্রতি ইউনিয়নের জন্য একজন করে পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হবে (খালি থাকা সাপেক্ষে)। তবে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি হলে এক ইউনিয়নে একাধিক পরিবেশক নিয়োগ করার সুযোগও আছে।
পরিবেশক হওয়ার জন্য আবেদন করার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ শেষ করবে টিসিবি। পরে সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে মতামতের জন্য জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে পাঠানো হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে মতামত আসতে হবে।
নিয়োগ পাওয়ার পর পরিবেশকেরা টাকা জমার রসিদ দেখিয়ে নির্ধারিত গুদাম থেকে পণ্যসামগ্রী গ্রহণ করে নিজ দায়িত্বে নিজেদের দোকান বা বিক্রয়কেন্দ্রে সংরক্ষণ করবেন। পরে নির্ধারিত স্থানে পরিবার কার্ডধারী উপকারভোগীদের কার্ড দেখে বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ রেখে ভর্তুকি মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করবেন।
অর্থনীতি
দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি বিপণন ডিপো বিপিসির উদ্বোধন কাল
কুমিল্লায় দেশে প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি বিপণন ডিপোর কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্র্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বরুড়ায় স্থাপিত ডিপোটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।
জানা যায়, ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডিপোর অপারেশন কার্যক্রমে কোনো হাতের স্পর্শ থাকবে না। জ্বালানি তেল গ্রহণ থেকে বিতরণ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই থাকবে প্রযুক্তির ব্যবহার। যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক পিএলসি সিস্টেম প্রযুক্তি। যা দেশের পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সেক্টরে নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এতে দেশে পেট্রোলিয়াম জ্বালানি বিপণন নেটওয়ার্কে বিপিসির ডিপোর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮-এ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বিপিসির তিন বিপণন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল পিএলসি নতুন এ ডিপোতে আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের ডিলার ডিস্ট্রিবিউটরদের মধ্যে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন সরবরাহ করবে। পুরো ডিপোটি তত্ত্বাবধান করবে পদ্মা অয়েল পিএলসি। চট্টগ্রামের প্রধান স্থাপনা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল নেবে এ ডিপো। এ ডিপো থেকে কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালীসহ চার জেলায় পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সরবরাহ করা হবে। এতে স্থানীয় জ্বালানি সরবরাহে সময়ের পাশাপাশি সাশ্রয় হবে অর্থের। এছাড়া তেল চুরির মতো দীর্ঘদিনের দুর্নাম থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসবে জ্বালানি সেক্টর।
নতুন এ ডিপোটিতে অগ্নিনিরাপত্তার জন্য রয়েছে ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম, ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম, ফায়ার ওয়াটার সিস্টেম ও ফোম সাপ্রেশন সিস্টেম। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য ৩০টি উচ্চ ক্ষমতার সিসিটিভি সংযোজন করা হয়েছে। কুমিল্লা অটোমেটেড পেট্রোলিয়াম ডিপোতে একটি প্রশাসনিক ভবন আছে। যেখান থেকে তিন বিপণন কোম্পানির দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ডিপোতে রয়েছে একটি কন্ট্রোল বিল্ডিং, গার্ড রুম, একটি ৫০০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, ৪০ কিলোওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৫০০ কেডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জেনারেটর। রয়েছে লুব গোডাউন, মেনটেন্যান্স রুম, পাম্প হাউজ, যেখানে রয়েছে ২১টি পাম্প, একসঙ্গে ৪০টি ট্যাংকলরি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পার্কিং এলাকা এবং তেল সরবরাহে রয়েছে ১২টি আধুনিক লোডিং-বে সম্পন্ন ফিলিং পয়েন্ট।
পদ্মা অয়েল পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইন প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা ডিপোটি নির্মাণ করা হয়। এটি দেশের প্রথম অটোমেটেড পেট্রোলিয়াম ডিপো। হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ডিপোর অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ ডিপোর কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বিপিসির ইতিহাসে একটি মাইলফলক তৈরি হবে। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে সারাদেশে পেট্রোলিয়াম অপারেশন অটোমেশনের আওতায় আনা হবে।
গত ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকল্পের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে পাঠানো ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারিত ছিল দুই হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। একাধিকবার সংশোধন হয়ে সবশেষ তিন হাজার ৬৯৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয় প্রকল্পটিতে।
অর্থনীতি
সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ১ হাজার ৪৭০ টাকা
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৩০১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৪১৪ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানোর পাশাপাশি রুপার দামও বাড়ানো রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩২৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩১৫ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১৯৮ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৪২০ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ টাকা ৬০ পয়সা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এনএনজি আমদানির অনুমোন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০২৫ এর বিধি-১০৫(৩) (ক)-অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (৯-১০ জানুয়ারি ২০২৬ সময়ের জন্য ২য়) এলএনজি কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ টাকা ৬০ পয়সা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র মূল্য ধরা হয়েছে ৯.৯৯ মার্কিন ডলার।




