রাজনীতি
মির্জা আব্বাসের কাছে চাঁদা দাবি, ঢাকার আদালতে মামলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মির্জা আব্বাসের কাছে চাঁদা দাবি এবং মানহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভূইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় দৈনিক আজকের কণ্ঠ পত্রিকার এডমিনসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩৮৫, ৫০০ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করা এবং সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে আসামিরা জেনে-বুঝে মিথ্যা তথ্য জনসমক্ষে প্রচার করছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার সুযোগ নিয়ে মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী ফলাফল ক্ষুণ্ন করা এবং তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ অনলাইন পোর্টালে ‘মির্জা আব্বাসের ক্যাডারদের গুলিতে বিদ্ধ ওসমান হাদি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত ও সম্ভাবনাময় প্রার্থী হওয়ায় তার ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
রাজনীতি
দুর্ঘটনায় আহত হান্নান মাসউদ
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে এমপি প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে একটি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
হাতিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকায় জনসংযোগ চালানোর সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি বাঁ পায়ে আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অটোরিকশাটি দ্রুত গতিতে ছিল এবং অল্প বয়সী চালকের অসাবধানতায় মাসউদের পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। যদিও তিনি আঘাত পেয়েছেন, তবে কোনো হাড় ভাঙার (ফ্র্যাকচার) ঘটনা ঘটেনি, তবে পা কিছুটা ফুলে গেছে।
প্রাথমিক অসুস্থতা উপেক্ষা করে হান্নান মাসউদ প্রচারণা চালিয়ে গেছেন, তবে বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বিশ্রামে রয়েছেন। তিনি বলেন, অসাবধানতাবশত অল্প বয়সী চালকের দ্বারা ঘটনাটি ঘটেছে এবং এতে কারো কোনো দোষ নেই।
এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, দুই-একদিন বিশ্রামে থাকার পর পরবর্তীতে পুনরায় কাজ শুরু করবেন।
এমকে
রাজনীতি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা সাদিক কায়েমের
ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারর দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু থেকে জমায়েত হয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সাদিক কায়েম। পোস্টে তিনি লেখেন, ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং নিষিদ্ধলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারর দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
তিনি আরও জানান, কর্মসূচির জমায়েতের স্থান হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু চত্বর এবং সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সোমবার দুপুর ১২টা। এ কর্মসূচিতে ছাত্রজনতাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে দেওয়া আরেক ফেসবুক পোস্টে সাদিক কায়েম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই রাজধানীতে একজন প্রার্থীকে গুলি করার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও অশনিসংকেত। তার দাবি, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা আসন্ন নির্বাচন প্রতিহত করতে নানা কর্মসূচি ও হুমকি দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীর ওপর এ ধরনের হামলা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
এ প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত গুলিবর্ষণকারীকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং ঘটনার পেছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য উদ্ঘাটন করে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।
একই সঙ্গে দলমত নির্বিশেষে মাঠে থাকা সকল প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
এমকে
রাজনীতি
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের ডাক
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসী’ কার্যকলাপ রুখতে আজ সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
তিনি বলেন, সোমবার ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলকে নিয়ে শহীদ মিনারে একটি সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ভারতপন্থি কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, শহীদ মিনার থেকে ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আমরা দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দলকে সেই সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
হাদির শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন আসেনি। ইনকিলাব মঞ্চ ও তার পরিবার হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিকিৎসকদের সম্মতি পেলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে। এ জন্য অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যেই একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নিজেরা ঘটনার তথ্য সংগ্রহ না করে আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছেন। অথচ তাদের করণীয় ছিল হামলাকারীদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনুসরণ করে তাদের গ্রেপ্তার করা।
এমকে
রাজনীতি
বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল ভারতীয় সেনার ষড়যন্ত্র: জামায়াত সেক্রেটারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেট এ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মিয়া গোলাম পরোয়ার।
তিনি বলেন, ‘বামপন্থী ও কলকাতাকেন্দ্রিক কিছু বুদ্ধিজীবী এবং ভারতপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়িয়ে আসছেন। তবে ইতিহাসের নানা তথ্য ও সত্য সামনে আসায় প্রমাণ হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। কারণ, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘৮ ডিসেম্বরের আগেই ভারতের সেনাবাহিনী ঢাকায় অবতরণ করেছিল এর রেকর্ড রয়েছে। সে সময় রাজধানী ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তান কার্যত ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনা ও তথাকথিত রাজাকার-আলবদররা আত্মসমর্পণ কিংবা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়ায় ব্যস্ত ছিল। সে অবস্থায় তাদের পক্ষে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা করার প্রশ্নই ওঠে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাও ফরমান আলীসহ বিভিন্ন লেখকের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল। তবে ভারতীয় সেনাপ্রধানের ইচ্ছায় তা পিছিয়ে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।’
এমকে
রাজনীতি
সন্ত্রাসী-মাফিয়া ও খুনিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভারত: হাসনাত
ভারত সন্ত্রাসী, ভোট জালিয়াত, মাফিয়া ও খুনিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় জড়িত দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে হাদিকে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত সেই দুই সন্দেহভাজনের অবস্থান নিয়ে বার্তা দিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করার ঘটনার সাথে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরবাইক চালক আলমগীর হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় (১২ ডিসেম্বর) সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্ত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
এর আগেও জুলাই গণআন্দোলনে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনাসহ অন্যরাও ভারতে আশ্রয় নেয় বলে জানা যায়। জানা যায়, নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র করছে।




