রাজনীতি
যেকোনো প্রকার মব ভায়োলেন্স অগ্রহণযোগ্য: মির্জা ফখরুল
যেকোনো প্রকার মব ভায়োলেন্স অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, গতকাল ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়া একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘটনার পরের দিনেই এই ঘটনা জাতিকে অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ করেছে।
তিনি আরও লিখেছেন, আমরা আশা করছি সরকার অতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করবে এবং সর্বাগ্রে হাদির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে আমি সব দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করছি ধৈর্য এবং প্রজ্ঞার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে।
বিএনপি মহাসচিব লিখেছেন, যেকোনো প্রকার মব ভায়োলেন্স অগ্রহণযোগ্য। কোনও হঠকারিতাই কাম্য নয়।
তিনি লিখেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি আগামী দুই মাস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নির্বাচনের প্রার্থী শুরু করে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমাল রক্ষা সরকারের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব। দরকার পড়লে অন্তবর্তী বিশেষ নিরাপত্তা সেল তৈরি করুন।
সবশেষে এই বিএনপি নেতা লিখেছেন, আমরা গতকাল একটি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছি যে আমাদের এক্টিং চেয়ারপারসন তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরছেন আগামী ২৫ ডিসেম্বর। বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া, তার পরিবার এবং জাতির জন্য এটি একটি বিশেষ দিন। আমরা আশা করছি তার এই দেশে প্রত্যাবর্তন যেন নিরাপদ হয়। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের সামনে সুন্দর সময়।
এমকে
রাজনীতি
এই তিনজনকে যেকোনো মূল্যে ধরিয়ে দিন: জুমা
যারা ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়েছে তারা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তার প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের একজন সদস্য।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মোহাম্মদ ওসামা জানান, একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুজনের মধ্যে থেকে একজন ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায়। তার দাবি, ‘এই দুজন প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওসমান হাদির প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিল। মাঝখানে কিছুদিন তাদের দেখা যায়নি। কয়েকদিন আগে তারা আবার এসে প্রচারণার কাজে যোগ দেয়।’
এদিকে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা নিজের ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। সেই ছবিতে ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে আরো কয়েকজন রয়েছে।
জুমা তিনজনকে ছবিতে চিহ্নিত করে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জুমা বলেন, ‘এই তিনজনকে যেকোনো মূল্যে ধরিয়ে দিন। বাংলাদেশের জনতা আপনারাই ইনকিলাব কর্মী, আপনারাই এই ভার হাতে নিন। প্রশাসন কোথায় আমাদের আপডেট দিবে, তা না করে উলটো আমাদের কাছেই আপডেট চাইতেছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে একটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে নেওয়া হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে।
এমকে
রাজনীতি
আমি শান্ত ছিলাম, নির্দেশনা পেলে তোমাদের তুলোধুনো করে দিত: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ওসমান হাদীর ওপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সে আমার সন্তানসমতুল্য। হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। হাসপাতালে স্লোগান ও হট্টগোলের বিষয়ে তিনি বলেন,আমি শান্ত ছিলাম। আমার নির্দেশনা পেলে তোমাদের তুলোধুনো করে দিত।
শনিবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত ইনকিলাব মঞ্চে ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, দুপুর দুইটায় হাদী গুলিবিদ্ধ হন, তার আধাঘণ্টা পরই একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া শুরু করে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম, সবই পরিকল্পিত। আমি ঢাকার ছেলে। দীর্ঘ ৫০ বছর ঢাকায় রাজনীতি করি।
আমি শান্ত ছিলাম। আমার নির্দেশনা পেলে তোমাদের তুলোধুনো করে দিত। হাসপাতালে যারা এসব করেছে, তারা হাদীর সমর্থক নয়, তারা অন্য একটি দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদীর চিকিৎসা ব্যাহত হতো। তারা চেয়েছিল হাদীর চিকিৎসা যেন ব্যাহত হয় এবং সে মারা যায়।
তিনি বলেন, একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ’৭১, ’৮৬ সহ বহুবার দেখেছি। এদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। এরা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সবসময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।
তিনি আরও বলেন, একটি লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে- সে যেই হোক, তার মৃত্যু আমি কামনা করি না। হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক–দেড়শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উসকানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তারা সবাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের।
’৭৭ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি, কারও সঙ্গে মারামারি হয়নি। একসঙ্গে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই, হাদীর ওপর হামলাকারীরা গ্রেপ্তার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উন্মোচিত হোক।
তিনি বলেন, হাদী আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী। সে রাজপথের সাহসী সৈনিক। তাকে আমি নির্বাচনী মাঠে আবারও সক্রিয় দেখতে পাব—এই প্রত্যাশা করি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, শেখ রবিউল আলম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর ফকিরাপুল মোড় ঘুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। .
এমকে
রাজনীতি
যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে যারা নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচাল করতে চায়, তারাই ওসমান হাদির ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত। ওসমান হাদির ওপর চালানো হামলা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর নয়, বরং এটি বাংলাদেশের ওপরই আঘাত।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১০ তারিখ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর ওপর প্রাণনাশের চেষ্টা চালানো হয়েছে। হামলার ধরন দেখে স্পষ্ট, এটি একটি পরিকল্পিত ও পেশাদার অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ওসমান হাদি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তিনি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যেন হাদিকে সুস্থ করে তোলা হয় এবং তাকে জীবন দান করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা জানান, এ পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক থাকবে, তবে সে ধরনের কোনো অবস্থানে যাওয়া হবে না, যাতে জাতীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই ২০২৪-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের চেতনা, প্রত্যাশা ও জনআকাঙ্ক্ষাই তাদের রাজনৈতিক অবস্থানের ভিত্তি। এই চেতনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তারা ঐক্য ধরে রাখবেন, এ বিষয়ে কোনো আপস হবে না।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ হিসেবে দেখতে চায় না, যারা শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তারাই মূলত গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি। এ ধরনের শক্তি দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় জায়গাতেই সক্রিয় রয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে এ ধরনের সহিংসতা চালিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না।
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখা হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যেকোনো মূল্যে অর্থবহ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমকে
রাজনীতি
জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান
বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
সাক্ষাৎকালে আমীরে জামায়াতের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলের অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন।
তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।
এ সময় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান তাকে আন্তরিকভাবে আলিঙ্গন করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতার পর তিনি রাজনীতি ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিবেদিত রাখেন।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ও ন্যায্য স্বীকৃতি আদায়ে আজও সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এমকে
রাজনীতি
হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটি ঘোষণা করেছে, দাবি আদায়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
তিনি বলেন, যদি ওসমান হাদির কিছু হয় তাহলে ইন্টেরিম সরকারকে অবশ্যই দায়ভার নিতে হবে।
জাবের আরও বলেন, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দরকার হলে দ্রুত পাঠানো হোক। জীবন-মৃত্যুর এই মুহূর্তে কোনো দেরি করার সুযোগ নেই।
সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা সংস্থা বারবার ফোন করছে সিসিটিভি ফুটেজের জন্য। তাদেরকে ফুটেজ খুঁজে দেওয়া কি ইনকিলাব মঞ্চের কাজ? যারা গুলি চালিয়েছে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।
আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, আমরা শুনতে চাই না তারা অন্য কোনোভাবে মারা গেছে। আগামীকাল (শনিবার) সকাল ১০টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে সরকারের এই সুন্দর সুন্দর কথা বলার কোনো অধিকার নেই।
কর্মসূচি ঘোষণা করে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব বলেন, শনিবার দুপুর ১২টায় শাহবাগে গণপ্রতিরোধ সমাবেশ হবে। দেশবাসীর কাছে দোয়া অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাই।
এমকে




