জাতীয়
ডিএমপির সব থানার ওসি রদবদল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীর সই করা এক আদেশে এ রদবদল করা হয়।
আদেশ বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকায় কর্মরত নিম্নবর্ণিত নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক-গণকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত স্থানে বদলী/ পদায়ন করা হলো।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
একইদিন ডিএমপি কমিশনারের আরও দুটি আদেশে ১৪ জন উপ-পুলিশ কমিশনারের রদবদল করা হয়েছে।
জাতীয়
নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে এবং এই নির্বাচন ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। এটি সাধারণ নির্বাচন নয়, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। শহীদদের আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার এই নির্বাচনে পুলিশকে সেভাবেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন এমন নির্বাচন হবে, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা স্মরণ রাখবে। তারা এটা দৃষ্টান্ত হিসেবে নিয়ে বারবার বলবে—এ নির্বাচনের মতো নির্বাচন আমরা আর কখনো দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। যে স্বপ্ন নিয়ে শহীদরা আত্মত্যাগ করেছিল, তাদের সেই স্বপ্নটার বাস্তবায়ন আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে করে যাব।
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ঐতিহাসিক নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দৈবচয়নের মাধ্যমে ৬৪ জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব যেন না হয়। নিজের ওপর ছেড়ে দিলে অনেক সময় শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পক্ষপাতিত্ব ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে, তাই ধাত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হবে পুলিশকে।
জাতীয়
১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ইসির
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিজেরা সভায় বসবে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক নির্বাচন কমিশনার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। এর দুয়েকদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, কমিশন সভায় তফসিলের সময়সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, রোববারের (৭ ডিসেম্বর) বৈঠকের পর সেই সপ্তাহের যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে (৮ ডিসেম্বর, ৯ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বর কিংবা ১১ ডিসেম্বর) সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর ভোটগ্রহণ হবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে (৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যে যেকোনো একদিন)।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার জন্য সারাদেশে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান সরকারের
সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় আগামী শুক্রবার বাদ জুমা দেশের সকল মসজিদে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
পাশাপাশি মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ে সংশ্লিষ্ট ধর্মের রীতি ও আচার অনুযায়ী প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এমকে
জাতীয়
ফের ভূমিকম্প, কাঁপল ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার যার উৎপত্তিস্থল নরসিংদী। মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে ৪.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। উৎপত্তিস্থল উপকূল থেকে দূরে হওয়ায় তা টের পাননি বাসিন্দারা।
ভারতের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের বরাতে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ২০.৫৬ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.৩১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, যার গভীরতা ৩৫ কিলোমিটার।
কাফি
জাতীয়
তফসিলের আগে আরপিওতে ফের সংশোধনী আসছে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং নির্বাচন আচরণবিধিতে আবারও সংশোধনী আনতে হচ্ছে। মূলত পোস্টাল ভোটিং যুক্ত হওয়ার পর গণভোট অধ্যাদেশের সঙ্গে আরপিও-তে সমন্বয় সাধনের জন্যই এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে ভোটের শেষ ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল ৩ নভেম্বর, এরপর ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি হয় ১০ নভেম্বর এবং সবশেষ গত ২৫ নভেম্বর জারি হয় গণভোটের অধ্যাদেশ। এই পরিবর্তনের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সুপারিশ, বিশেষ করে পোস্টার নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিলবোর্ড ব্যবহার সীমিত করা নিয়ে সমালোচনা এবং আচরণবিধিতে করণিক ত্রুটি থাকার কারণে ইসি পুনরায় আরপিও সংশোধন করতে যাচ্ছে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, গণভোটের কারণে আরপিওতে আবার সংশোধনী আনতে হচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠবে। আচরণবিধিতেও কিছু ভাষাগত সংশোধন আনা হচ্ছে। আরপিও সংশোধন ও আচরণবিধির অস্পষ্টতা দূর করতে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনা গত সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
যেসব বিষয়ে সংশোধন আনা হচ্ছে: গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর অনুচ্ছেদ ২৭-এ প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, পোস্টাল ব্যালটে প্রতীকের বিপরীতে ক্রস বা টিক চিহ্ন না দিলে তা গণনা করা হবে না। এছাড়া আদালতের রায়ে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন এলে ওই আসনের জমা হওয়া পোস্টাল ব্যালটও গণনায় আসবে না। ঘোষণাপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর না থাকলে পোস্টাল ব্যালট গণনায় নেবে না ইসি।
তবে জোট করলেও স্ব স্ব দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার যে বিদ্যমান বিধান রয়েছে, তাতে নির্বাচন কমিশন কোনো সংশোধন আনছে না।
অন্যদিকে, আচরণ বিধিমালার করণিক ভুল ও নতুন প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে—দফা ৪-এর উপ-বিধি (৩), বিধি ৬ এর উপ-বিধি (ক), (খ), (গ), (ঘ), বিধি ৯-এর উপ-বিধি (গ) এবং বিধি ২৬-এর উপ-বিধি (৩) এর মতো বিভিন্ন স্থানে ভাষাগত ও করণিক ভুল (যেমন: ‘করিবে’ শব্দের স্থলে ‘করিতে পারে’) সংশোধন করা হচ্ছে। বিধিমালার ১৪(খ) তে নতুন সংশোধনী প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যেখানে সংসদীয় আসনের প্রতি ইউনিয়ন বা পৌরসভা বা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রতি একটি অথবা নির্বাচনি এলাকায় ২০টি (যা বেশি হয়)-এর অধিক বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। এর ফলে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বিলবোর্ডে প্রচারের সুযোগ তৈরি হবে। বিধি ১৭-এর উপবিধি (১) সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারে মাইক ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ানোরও প্রস্তাব রাখা হচ্ছে।



