ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএস: কারিগরি ত্রুটিতে বাদ পড়া ৮ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা
কারিগরি ত্রুটির কারণে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলে বাদ পড়ে যাওয়া ৮ জন পরীক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
কমিশন জানায়, গত ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের উত্তীর্ণদের তালিকা প্রস্তুতের সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে এই আটটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ফল প্রকাশের পর বিষয়টি কমিশনের নজরে এলে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের উত্তীর্ণ হিসেবে নিশ্চিত করা হয়। বাদ পড়া পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর হলো– ১১০৪৭৩৭৫, ১১০৫৭৫৩০, ১১১৬০২৯২, ১৪০২৪৭৫৬, ১৫০০৩৭৬৫, ১৮০০৩৫৮৪, ১৮০০৭৩৯১ ও ১৮০১০২৮২। এদেরকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রকাশিত ফলে যুক্তিসংগত কারণে সংশোধনের প্রয়োজন হলে কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৪ হাজার ৪২ জন প্রার্থী। এখন আরও ৮ জন নতুন করে যুক্ত হওয়ার মোট উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫০ জনে।
পিএসসি জানিয়েছে, চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হতে পারে। মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জকসু নির্বাচন: শিবিরের প্যানেলের ভিপি-জিএস প্রার্থীকে শোকজ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র শিবির–সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম ও জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও ভুল তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার অভিযোগে তাদের এ নোটিশ প্রদান করা হয়
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৭ নভেম্বর ক্যাম্পাসে প্যানেলটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার এবং জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর’ বক্তব্য প্রদান করেছেন। যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা ২০২৫ এবং জকসু নির্বাচনী আচরণবিধি ২০২৫–এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এ ধরনের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশে বলা হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি অধ্যাপকের স্পর্শকাতর মন্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ ও চারুকলা বিভাগ নিয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য করার অভিযোগে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মৌন অবস্থান ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন পাবলিক মঞ্চে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগকে নাস্তিকতা বা ইসলাম পরিপন্থী স্পর্শকাতর বিষয়ে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য প্রচারের ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ধরনের বক্তব্য কেবল বিভাগের মর্যাদাকেই ক্ষুন্ন করছে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশকেও নষ্ট করছে।
এই প্রেক্ষিতে সুস্পষ্ট দাবিসমূহ- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে কোনো পাবলিক মঞ্চে (সামাজিক মাধ্যমসহ) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগকে স্পর্শকাতর বিষয়ের (যেমন: নাস্তিকতার সাবজেক্ট, ইসলাম পরিপন্থী সাবজেক্ট) সাথে যুক্ত করে কোনো ধরনের মন্তব্য বা অভিব্যক্তি প্রচার করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, এ বিষয়ে সকল দায়-দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও বিধি-নিষেধ আরোপ করবে। সর্বশেষ, ভবিষ্যতে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ বা বিভাগের কোনো সদস্য এ ধরনের আক্রমণ, অপপ্রচার বা হয়রানির শিকার হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এসময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফোকলোর স্টাডিজ ও চারুকলা বিভাগ নিয়ে একজন সিনিয়র অধ্যাপকের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এর আগে আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের নাম পরিবর্তনের জন্য গেলে তিনি আমাদের বিভাগের প্রশংসা করেন। কিন্তু একজন সিনিয়র অধ্যাপক কেন এটিকে ইসলাম বিদ্বেষী বিভাগ বললো তা আমাদের অজানা। যদি আমাদের বিভাগে ইসলাম বিদ্বেষের মত কোনো পড়াশুনা হয়ে থাকে তাহলে তিনি সেটি পরিবর্তন করে দিক।
এদিকে মৌন অবস্থান শেষে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জানান, নির্দিষ্ট দুইটি বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রবীণ অধ্যাপকের এমন নেতিবাচক মন্তব্যে আমরা খুবই ব্যাথিত হয়েছি। তার কাছ থেকেম এমন বক্তব্য আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা এই বক্তব্যের প্রতিবাদে নিরব প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি এইসকল ক্ষেত্রে নীরব প্রতিবাদ সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিবাদ।
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও এস এম সুইট বলেন, “গতকাল স্যারের এ বক্তব্য প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন কিন্তু তারা তখন কোনো প্রতিবাদ করেননি। এমনকি তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রেস রিলিজ দিয়ে প্রতিবাদ করে কিন্তু তারা এ পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ জানায়নি।”
তিনি আরও বলেন, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ একাই একশ। পরবর্তীতে কেউ এ বিভাগ নিয়ে কিছু বললে আপনারা তার টুটি চেপে ধরবেন। উপাচার্য স্যার যদি সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের সন্তান মনে করেন তবে ফোকলোর স্টাডিজ ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সৎ সন্তান মনে করেন কিনা আমাদের জানার বিষয়।
ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গতকালের অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতারা থাকার পরেও কোনো প্রতিবাদ করেননি এবং এখন পর্যন্ত কোনো সংহতি জানায়নি। কথায় কথায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস রিলিজ জানান কিন্তু এখন আপনারা চুপ কেন? আপনারা নির্যাতিত বিভাগের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের পক্ষে কথা বলার মতো সাহস আপনাদের নেই।
এদিকে মন্তব্য প্রদানকারী অধ্যাপক ড. আশ্রাফী ব্যাখ্যা করে বলেন, সত্যিকার অর্থে আমি কাউকে আঘাত করার জন্য বা দুই সাবজেক্টের ছেলেমেয়েদেরকে আঘাত করার জন্য বক্তব্য দেই নাই। বিগত ১৬ বছর অথবা এর আগেও (শুধু এখানে কালটাকে সুনির্দিষ্ট করছি না) এখানে অনেক ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়রা আসছেন, তারা কিন্তু এই উদ্যোগটা কেউ গ্রহণ করেন নাই। আমি বুঝাতে চেয়েছি যে ওইসময় ইসলামিক সাবজেক্টগুলোকে মাইনোরিটি হিসেবে ধরে নিয়ে অন্যান্য সাবজেক্টগুলো করা হয়েছে। এই সাবজেক্টগুলো এখন যাতে করে ইসলাম ব্রান্ডিং নিয়ে করতে হবে। ওই ধরনের সাবজেক্টগুলো খুলে ইসলামী মূল্যবোধটাকে এবং ইসলামটাকে সারা পৃথিবীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তুলে ধরতে হবে। আমি আমার বক্তব্যে এ কথাটা বলেছি। কিন্তু এই বক্তব্যটা কিন্তু আসে নাই। আসলেই সত্যিকার অর্থে আমি একজন এলামনাই হিসেবে কাউকে আঘাত করে এই জাতীয় বক্তব্য দেওয়া আমার কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না।
প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আয়োজন করা আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী ফোকলোর স্টাডিজ ও চারুকলা বিভাগ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১২ পেজ-আইডির বিরুদ্ধে ডিবিতে ভিপি সাদিক কায়েমের মামলা
সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়ানো এই অপপ্রচারকারী এক ডজন ফেসবুকে পেজ ও আইডির বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়ে মামলা করেছেন তিনি।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলার পর ডিবি কার্যালয়ের গেটে ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় ডাকসুর অন্যান্য নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
ডিবিতে মামলায় যে ১২টি ফেসবুকের পেজ ও আইডি দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ডাকসু কন্ঠস্বর, BongoGraph, আমার ডাকসু, The Nationalist Data, কাঁঠেরকেল্লা, রৌমারি, DU Insiders (বিভিন্ন সময় নাম পরিবর্তন), ইয়ার্কি ও বটজিপিটি নামে ৯টি পেজ। এছাড়া রয়েছে এনামুল হক শান্ত, আশিকুর রহমান ও সাইফ আল মাহমুদ নামে তিনটি আইডিও।
এসময় সাদিক কায়েম বলেন, এখানে যতগুলো পেজের কথা বলেছি প্রতিটাতেই একটি রাজনৈতিক দলের সাথে কানেক্টেড। সেটা হচ্ছে ছাত্রদল এবং বিএনপির বিভিন্ন একটিভিস্টরা, তারা এই পেজগুলো চালায়। আমরা এই পেজের লিংকগুলো দিয়েছি ডিবিতে, এখানে যারা সাইবার এক্সপার্ট আছে তারা ইতিমধ্যে এটা নিয়ে কাজ করছে। তারা বিআরটিসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছে। খুব দ্রুতই এসব এডমিন, যারা হ্যারাসমেন্টের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে ডিবি আশ্বস্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে যারা স্লাট শেমিং, সাইবার বুলিং করছে, হ্যারাসমেন্ট করছে, মিথ্যা প্রপাগান্ডা করছে তারা হলো কালপ্রিট। সে যেই রাজনৈতিক দলের হোক না কেন।
‘গতকালকেও আমার বিরুদ্ধে BongoGraph নামে একটি পেজ থেকে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। আজকে যে অভিযোগ দিয়েছে ডিবিতে সেখানে সব পেজগুলো ছিল। এরকম যারা প্রোপাগান্ডা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এখন আমরা শাহবাগ থানায় গিয়ে আমাদের মামলার কপিটা জমা দেব। আশা করছি, যারা কালপ্রিট আছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক বিচার আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে এই ধরনের সাইবার বুলিং ও হ্যারেসমেন্ট বন্ধ হবে।’
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা, হবে না বার্ষিক পরীক্ষাও
চার দফা দাবিতে আগামীকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তাদের প্রবেশ পদ সহকারী শিক্ষক পদটি বিসিএস ক্যাডারভুক্ত করাসহ চার দাবিতে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে তারা চলমান বার্ষিক পরীক্ষাও বন্ধ রাখবেন। ২৪ নভেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে তারা এ ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষকদের চার দাবি হলো—সহকারী শিক্ষক পদকে নবম গ্রেডের বিসিএস (মাধ্যমিক) পদসোপানে অন্তর্ভুক্ত করে স্বতন্ত্র ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ গঠনের গেজেট প্রকাশ; ২০০১-২০১২ ব্যাচের সব শিক্ষকের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ প্রদান; সিনিয়র শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদের শূন্যপদে পদোন্নতি ও পদায়ন; বিএড-এমএড পেশাগত ডিগ্রি অর্জনের জন্য ২-৩টি অগ্রিম বর্ধিত বেতন মঞ্জুরির আদেশ প্রদান।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, বহু কম গ্রেডের পদও নবম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে, কিন্তু ন্যায্যতা থাকা সত্ত্বেও সহকারী শিক্ষক পদটির গ্রেড পরিবর্তনে কোনো অগ্রগতি নেই। দীর্ঘদিন ধরে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) শিক্ষকরা জানান, গ্রেড উন্নীতকরণের দাবি পূরণ না হলে ১ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে তারা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এ যাবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১১ ডিসেম্বর স্কুলে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারি
দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ আবেদন করা যাবে। এরপর ১১ ডিসেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হবে। লটারিতে নির্বাচিতরাই ভর্তির সুযোগ পাবে।
মাউশির তথ্যমতে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে চার হাজার ৪৮টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবার সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৬৮৮টি এবং বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা তিন হাজার ৩৬০টি।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে শূন্য আসন এক লাখ ২১ হাজার ৩০টি এবং বেসরকারি স্কুলে আসন ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি।
গত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি স্কুলের এক লাখ ২১ হাজার ৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল দুই লাখ ৬০ হাজার ২৪৪ জন। তারা পছন্দক্রম দিয়েছিল তিন লাখ ৭৫ হাজার ৭২৮টি।
অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ৯৮ হাজার ৭৬২ শিক্ষার্থী। তারা পছন্দক্রম দিয়েছিল এক লাখ ৮০ হাজার ৮৬২টি। এরপর আর আবেদন জমা পড়ার নতুন তথ্য জানায়নি মাউশি।



