জাতীয়
১০ ফেব্রুয়ারি ভোটের ইঙ্গিত ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তিনি এ বিষয়টি জানিয়ে ভোটের সম্ভাব্য একটি তারিখ নিয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ রোববার এবং ১২ তারিখ বৃহস্পতিবার। সে হিসেবে মঙ্গলবারের (১০ ফেব্রুয়ারি) দিকে সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে—এ প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল বলেন, ফেব্রুয়ারির সেকেন্ড উইক। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হলেও অসুবিধা নেই। এক্ষেত্রে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক-দুদিন পরে কিংবা ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এক-দুদিন আগেও হতে পারে। অর্থাৎ মাঝামাঝি কোনো সময় হতে পারে।
এদিকে, তফসিল ঘোষণা ও ভোটের তারিখ নিয়ে আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই সব তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে দু-তিন দিন সময় রেখে বা বৃহস্পতিবারের (১১ ডিসেম্বর) দিকে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
ভোটগ্রহণের সময়ও বাড়ানোর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যেহেতু সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একদিনে হবে, তাই গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আবার ভোটের সময়ও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে ৯ ঘণ্টা করা হতে পারে। এজন্য সকাল-বিকেলে দুদিকেই সময় বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, সেটা এগিয়ে সাড়ে ৭টা হতে পারে। আবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে, সেটা বাড়িয়ে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।
জাতীয়
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক সুরঞ্জিত বরখাস্ত
পলায়ন ও অসদাচরণের অভিযোগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৌলভীবাজার জেলা সঞ্চয় অফিসের সহকারী পরিচালক সুরঞ্জিত দাশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান সই করা আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, মৌলভীবাজার জেলা সঞ্চয় অফিস/ব্যুরোর সহকারী পরিচালক সুরঞ্জিত দাশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পলায়ন ও অসদাচরণের অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(গ) ও ৩(খ) বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিধিমালা ২০১৮-এর ১২(১) অনুযায়ী তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন। সে প্রেক্ষিতেই ওই বিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয়
তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাস চাননি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার জন্য এখনো ট্রাভেল পাস চাননি জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাস চাননি। তিনি চাইলে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান তিনি।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, দল বা পরিবার সিদ্ধান্ত নিলে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।
তারেক রহমানের দেশের ফেরার বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাস চাননি। তিনি চাইলে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে। তার ঢাকায় ফেরার বিষয়ে সরকারকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি।
এদিকে এদিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়ে ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, দেশবাসীর কাছে ওনার সুস্থতার জন্য দোয়া চাই। সবার দোয়ার কারণে এ যাত্রায় তিনি হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসার তদারকি করছেন। প্রধান উপদেষ্টা, সরকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সবাই যথাসাধ্য সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। তবুও বিদেশে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আছে কি না মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া বিদেশে নেওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, সংকটময় মুহূর্তে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। দোয়ার কারণেই হয়তো বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি। তিনি দেশবাসীকে কোনো ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তিতে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। ২৩ নভেম্বর জরুরি ভিত্তিতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সঙ্গে আরও কিছু জটিলতা রয়েছে।
গত কয়েক দিনে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ-সমমানের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়। পরে রোববার ভোরে সেখান থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেওয়া শুরু করেছে এসএসএফ
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া শুরু করেছেন এসএসএফ সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে এসএসএফ সদস্যরা ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেওয়া শুরু করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে তার নিরাপত্তায় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী-এসএসএফ নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সরকার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১ এর ধারা ২ (ক) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
জাতীয়
ভোটারদের কেন্দ্রে আনাটাই চ্যালেঞ্জ: ইইউ রাষ্ট্রদূত
যারা আগের নির্বাচনগুলোতে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যায়নি তাদের কেন্দ্রে আনাটাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সময়মতো, সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা করে। এবং আমরা এই ধরনের নির্বাচনে বাংলাদেশের তার নিজস্ব গণতান্ত্রিক পথের আখ্যানকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার এক বিশাল সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত, যা কেবল জনগণের ভোটই নয়, জুলাই চার্টার সম্পর্কিত গণভোটকেও অন্তর্ভুক্ত করবে। আমি নির্বাচন কমিশনের উন্নত প্রস্তুতি এবং একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের যে লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সে সম্পর্কে তাদের উন্নত বিবেচনা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমি যোগ করতে চাই যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অঙ্গীকার এবং পেশাদারিত্ব, সেইসাথে সুসংগঠিত নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বিশাল নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা বাংলাদেশে এসে বিশ্বের ২০২৬ সালের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে। এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর আমাদের আস্থা এবং এই দারুণ বৈচিত্র্যময় দেশে নির্বাচনের প্রতি আমাদের সমর্থনের একটি নিদর্শন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি যে এই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি ভালোভাবে চলছে; চ্যালেঞ্জ অনিবার্যভাবে থাকবেই। আপনাদের একটি বিশাল দেশ, বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে এবং অনেক কারণে এটি আপনাদের অনেক নাগরিকের জন্য প্রথমবারের মতো ভোটকেন্দ্রে যাওয়া। সুতরাং, এখন নাগরিক ভোটার শিক্ষার একটি কাজ রয়েছে যা সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য জনবিতর্কের প্রয়োজন হবে। এর জন্য সরকার, নির্বাচন কমিশনকে গিয়ে সাধারণ ভোটারদের বোঝাতে হবে যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বলতে কী বোঝায় এবং গণভোটের মানে কী, এর তাৎপর্য কী। কিন্তু আমরা দেখছি যে এই প্রস্তুতিগুলো ভালোভাবে চলছে। এবং আমরা দেখছি যে লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলো, সেইসাথে সম্ভাব্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলোকেও খুব গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, চ্যালেঞ্জ হবে যে আপনাদের এমন একটি প্রজন্ম রয়েছে, যারা আগের নির্বাচনে অংশ নেয়নি, হয় তারা নিজেরাই সেই নির্বাচনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল। কারণ তারা জানত যে সেগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না, অথবা তারা ভয় পেয়েছিল যে ভোট দেওয়ার কাজটি সহিংসতার সঙ্গে হবে। সুতরাং, আপনাদের কাছে এমন এক প্রজন্ম এবং হয়তো আরও বেশি সংখ্যক ব্যক্তি রয়েছে যারা কখনও ভোট দেননি। এটি একটি চ্যালেঞ্জ হবে, কারণ মানুষকে জানতে হবে নির্বাচনের দিন, গণভোটের দিন তারা লজিস্টিকভাবে কী করছেন। সময়মতো ভোট দিতে পারার জন্য ভোট দেওয়ার আগে কী করতে হবে তা মানুষকে বুঝতে হবে। আমি এইমাত্র জানতে পারলাম যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ভোটদানের সময় বাড়ানো হবে, যা আমি মনে করি খুবই বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ আপনাদের দেশের এই রাজনৈতিক ইতিহাসের কারণে বিলম্ব হবে। ইসির প্রস্তুতিতে আমরা সন্তুষ্ট। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা খুব আশাবাদী।
সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এই দেশের সকল অংশীদারদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর খুব মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমি যে বার্তাটি দিতে চাই তা হলো, গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণের প্রবণতাকে দেশকে উল্টে দিতে। এটি এমন একটি সময় যখন দেশটি অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে তার সুনাম পুনরায় স্থাপন করতে পারে।
এমকে
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে যেসব সিদ্ধান্ত
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার আশু রোগমুক্তি কামনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এই বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ সভায় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয় এবং জাতির কাছে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তার নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, তার নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ আছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার এবং দল অবগত রয়েছে বলে উল্লেখ আছে বিবৃতিতে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা নিয়ে করা ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই। মানুষের দোয়া ও সারা পৃথিবীর অনেক মানুষের ভালোবাসায় এবং দোয়ার কারণে উনি (খালেদা জিয়া) এ যাত্রায় সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। তবুও বিদেশে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আছে কি না মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া বিদেশে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং গুজব ছড়ানোর ও গুজবে কান না দেওয়ার জন্য জিয়া পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করেছেন ডা. জাহিদ।
এমকে



