রাজনীতি
জাতীয় পার্টি নিয়ে কুসুম কুসুম প্রেম চলবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় পার্টির ব্যাপারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যে অবস্থান, জামায়াত ও বিএনপিকেও একই অবস্থান নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) আরব আমিরাতে কারারুদ্ধ প্রবাসীদের মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত শুকরানা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে ‘ইসলাম এবং এন্টি ইসলাম’ গেম হচ্ছে। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে মুসলিমদের অনুভূতিতে কেউ আঘাত করতে পারবে না এবং আঘাত হানলে তা রুখে দেয়া হবে। একইসঙ্গে এনসিপি হিন্দুত্ববাদী বা ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি চায় না বলেও তিনি জানান।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, অনেকে বলছেন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নেই। স্বাধীন বাংলাদেশে নিরাপত্তার অন্তরায় কারা, এটা জনগণের সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন।
তিনি খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টিকে দায়ী করে বলেন, শেখ হাসিনার বিষয়ে আমাদের যে অবস্থান, জামায়াত ও বিএনপিকেও জাতীয় পার্টির বিষয়ে একই অবস্থান নিতে হবে। কুসুম কুসুম প্রেম চলবে না।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নাসীরুদ্দীন বলেন, গণতন্ত্রকে কীভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, বেগম জিয়া সেটি দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই জিয়াউর রহমান এবং বেগম জিয়ার যে আদর্শ আপনারা বাংলাদেশে উজ্জীবিত রাখতে চান, তাহলে তাদের দেখানো পথেই আপনাদের হাঁটতে হবে। ভারতের কোনো প্রেসক্রিপশন বা বহির্বিশ্বের কোনো প্রেসক্রিপশন বা জাতীয় পার্টির প্রেসক্রিপশন চলবে না।
দলীয় সাংগঠনিক অবস্থান তুলে ধরে এনসিপির এ মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, কিন্তু তাদের একটা সমস্যা হচ্ছে তারা এখনও সংস্কারের পক্ষে আসে নাই। জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক দল না, তারা রেভল্যুশনারি দল, কিন্তু তাদের অনেক ভালো কাজ হয়েছে।
তিনি জানান, এনসিপির রাজনীতি হলো তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে চায় এবং একইসঙ্গে ভালো কাজ করতে চায়। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, তাদের নমিনেশন প্রক্রিয়া চলছে এবং যারা দুর্নীতি-চাঁদাবাজি করেছে, এমন একজন লোকও এনসিপি থেকে মনোনয়ন পাবে না।
আরব আমিরাতে কারারুদ্ধ প্রবাসীদের দেশে ফেরার উদ্যোগ নেয়ায় তিনি আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের প্রশংসা করে বলেন, আসিফ নজরুল স্যারের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা করেছি, কিন্তু প্রবাসীদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়ায় সব সমালোচনা তুলে নিলাম।
তিনি বলেন, বন্দিদের দেশে ফেরার বিষয়টি যেন পুরো বাংলাদেশে একটি ‘উদ্যাপন’ হয়, সেই উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে এবং প্রবাসে কারাবন্দিদের পরিবারের দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে।
এই অনুষ্ঠানে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন জানান, আমিরাত থেকে দেশে ফেরা কারাবন্দি জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেবে এনসিপি।
তিনি অভিযোগ করেন, কারাবন্দি জুলাই যোদ্ধাদের পরিবারের সঙ্গে সরকার অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছে এবং সরকারকে আরও জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানান।
রাজনীতি
এনসিপি ছাড়লেন রাঙামাটির প্রধান সমন্বয়ক
রাঙামাটিতে এবার পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বিপিন জ্যোতি চাকমা। সোমবার ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিজেই।
এছাড়াও রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক ভেরিফাইড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে দল ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে ১৪ নভেম্বর একই কারণে দলটির জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী উজ্জ্বল চাকমা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেন। উজ্জ্বল এদিন তার নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানান পদত্যাগী সদস্য জেলা প্রধান সমন্বয়কারী বিপিন জ্যোতি।
দল থেকে নিজের পদত্যাগের ব্যাপারে সোমবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিপিন জ্যোতি বলেন, এ নিয়ে আমার ওপর কোনো রকম চাপ বা কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না। কেবল ব্যক্তিগত, পারিবারিক কারণে ও দীর্ঘদিনের মানসিক চাপে দলীয় সব কার্যক্রম থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট আমার স্বাক্ষরিত অব্যাহতিপত্র পাঠাব।
এছাড়াও রোববার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে দলীয় সব কার্যক্রম থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রশক্তির জেলা নেতা সর্বজিৎ চাকমা।
এদিকে পদত্যাগ নিয়ে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করা হলেও এনসিপির রাঙামাটি জেলা কমিটির অন্যতম যুগ্ম সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, গত কয়েক দিন ধরে জেলা কমিটিকে ঘিরে কিছু মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তাই হয়তো অভিমান থেকেই বিপিন জ্যোতি চাকমা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হয়েছে।
রাজনীতি
প্রয়োজনে আরেকটা ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে: জামায়াত আমির
দিশেহারা হয়ে হতাশ, ক্ষুব্ধ হয়ে চোরাবালিতে কেউ যদি হাঁটার চিন্তা করেন, তাহলে প্রয়োজনে আরেকটা ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, কোনো দেশপ্রেমিক দল চাঁদাবাজ হয়ে ৫ তারিখের পর আবির্ভূত হয়নি। যারা আবির্ভূত হয়েছিলেন, দায় ও দরদ নিয়ে তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। এটি শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, এটা বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ করা না হয়, বিপ্লবী জনগণ, তরুণ জনতা, কোলে বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা ওই মায়েরা আমাদেরকে ক্ষমা করবেন না। বন্ধ করা হয়নি, চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন।
আজ সোমবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা নগরের ঐতিহাসিক শিববাড়ী মোড়ে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন, গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে করাসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে আট দল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান সমাবেশে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে-কৌশলে কেউ কেউ আমরা শুনতে পাই, বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন—জনগণ ভোট দিক বা না দিক ক্ষমতায় তাঁদের যেতে হবে। বেলা শেষ, দিনও শেষ। সূর্যও ডুবে গেছে। বাংলাদেশে এটা হবে না, এটা আমরা হতে দেব না, ইনশা আল্লাহ।’
আগের চেয়ে চাঁদার রেট বেড়ে গেছে মন্তব্য করে জামায়াতের আমির বলেন, একটা দেশকে সভ্য দেশ হতে হলে সেই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হয়। কিছু দল ও ব্যক্তি বাংলাদেশকে দফায় দফায় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে বিশ্ব দরবারে অপমানিত করেছে। এদের সকলের অতীত রেকর্ড বাংলাদেশের জনগণের হাতে আছে। দুঃখের বিষয়, সকল ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি, বৈষম্য, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বিপ্লবের পরের দিন থেকে একটা গোষ্ঠী নিজেদের কপাল-কিসমত গড়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজ চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে সমাজজীবন অতিষ্ঠ-তটস্থ। ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বিনিয়োগকারী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী—কেউ শান্তিতে নেই। আগের চেয়ে চাঁদার রেট বেড়ে গেছে বলে তারা সকলে বিষাক্ত নিশ্বাস ফেলে। তারা বলে, আগেও ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ। কিন্তু কোনো ইসলামী দলের নামে চাঁদাবাজের তকমা জুড়ে দেওয়া যায়নি।
দেশের বিচারব্যবস্থার প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিবাহিত হয়েছে, এই সময়ের স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের লালিত স্বপ্ন অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়নি। দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন সাধন হয়েছে, আমরা তা অস্বীকার করি না। তবে এই উন্নয়ন একটি জাতির আসল উন্নয়ন নয়; একটি জাতির আসল উন্নয়ন হচ্ছে—এই দেশ ও জাতির মধ্যে ন্যায়বিচার এবং সামাজিক সুবিচার আছে কি নেই। বাংলাদেশের গ্রাম আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত আজকে যার প্রভাব-প্রতিপত্তি নেই, অ্যাকাউন্টভর্তি যার টাকা নেই, বাংলাদেশে তার জন্য কোনো বিচার নেই।
জামায়াতের আমির বলেন, দিশেহারা হয়ে হতাশ, ক্ষুব্ধ হয়ে চোরাবালিতে কেউ যদি হাঁটার চিন্তা করেন, তাহলে প্রয়োজনে আরেকটা ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এখন থেকে ঐক্য আমাদের গড়ে তুলতে হবে। ঐক্য আগামী দিনে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে যাবে বিজয়ীর বেশে। এই বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগামীর ভোট ঐক্যের পক্ষে, বিভক্তির বিপক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, কোরআনের পক্ষে, জনগণের পক্ষে। আমরা এই আট দলের বিজয় চাই না। আমরা ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। আমরা কোনো দলবিশেষের বিজয় চাই না। আমরা মজলুম জনগণের বিজয় চাই। আমরা আল্লাহর কোরআনের বিজয় চাই। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত—এক ভাগ ’৭২ সালের বাকশালপন্থী, আর এক ভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থী শক্তি। রক্তের সাগর পেরিয়ে চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের পর যেই ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করা হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটিতে আসবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি কার্যকরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে এই মাহাত্ম্যকে নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সমাবেশে খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ৮ দল ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজ থাকবে না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না, ইনশা আল্লাহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা—এই তিনটা স্লোগানের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু গত ৫৩ বছর যাদের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে, তারা তিনটা উদ্দেশ্যের একটাও কিঞ্চিৎ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারা বারবার ধোঁকা দিয়ে চোরের দিক থেকে দুর্নীতির দিক থেকে বারবার ফার্স্ট বানিয়েছে। আমাদের সন্তানগুলো মায়ের কোলহারা করেছে, লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে তাদের সংসারকে বিরান করেছে, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আমাদের দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে; বেগমপাড়া তৈরি করেছে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ব্যাপারে আপনারা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে দেখেছেন, আপনাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। এখন নির্বাচনকে পিছিয়ে নেওয়ার জন্য আপনারা ষড়যন্ত্র করছেন। ভালো করে জেনে রাখেন, জনগণ আপনাদের পক্ষে মতামত, রায় দেওয়ার মতো পরিবেশ নেই। এখন আপনারা গুন্ডামি, সেন্টার দখল, বিভিন্ন সন্ত্রাসীর মাধ্যমে আপনারা ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন—সেদিন ভুলে যান। এখন দেশের মানুষ সজাগ রয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল ও মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায়
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তা দিতে পাঁচ সদস্যের একটি বিদেশি মেডিকেল টিম এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছে। এ টিমের অধিকাংশ চিকিৎসক চীনের নাগরিক বলে জানা গেছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান ভবনে প্রবেশ করে বিদেশি মেডিকেল টিম। তারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মেডিকেল বোর্ডের মতে, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় অতিরিক্ত বিশেষজ্ঞ মতামত প্রয়োজন।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
রাজনীতি
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জানাযা হবে বেগম খালেদার: মনজুর এলাহী
নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনজুর এলাহী বলেছেন, বিএনপি বা দলের নেতাকর্মীরা এ মুহূর্তে কোনোভাবেই বেগম জিয়ার অনুপস্থিতি কামনা করে না, তবে বাস্তবতা হচ্ছে- এই দেশের জনগণ তার প্রতি যে ভালোবাসা রাখে, প্রয়োজনে সেই (খালেদা জিয়ার) জানাজা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জমায়েত।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দ্রুত আরোগ্য কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মনজুর এলাহী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসমাগম হয়েছিলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জানাজায়। তবে বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের হৃদয়ে যে জায়গা দখল করে আছেন, তার জানাজা সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘একসময় শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বলা হলে তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া দেশের এই মাটিতেই থেকেছেন, জনগণের সাথে থেকেছেন।’ বক্তৃতার একপর্যায়ে তিনি মন্তব্য করেন, ‘খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মা, আর হাসিনা ফ্যাসিস্টের মা।’
দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমকে
রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ গড়বে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির বাংলাদেশ গড়তে পারবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন,বিএনপি চেয়ারপারসন অত্যন্ত অসুস্থ৷ হাসপাতালে আছেন তিনি। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানাবেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন, দ্রুত যেন তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।
রেজা কিবরিয়ার বিএনপিতে যোগদানকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত স্বৈরাচারের আমলে অনেক আত্মত্যাগ, চড়াই-উতরাই পার করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার কমিশন গঠন হয়, যে কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় সনদে স্বাক্ষর করে বিএনপি।
নির্বাচনের প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব বলেন, নতুন বাংলাদেশে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে একটি নির্বাচনের। বর্তমান সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে, তাতে আশাবাদী বিএনপি। যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণ তার মতামত দিয়ে তাদের সংসদ নির্বাচন করবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ সমর্থন করলে গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে বিএনপি। কারণ বিএনপির সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। সুযোগ পেলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে’, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
রেজা কিবরিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, রেজা কিবরিয়া শুধু তার এলাকা নয়, সারা বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করবে। তার মেধা দক্ষতা দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সহায়তা করবেন।
এমকে



