অর্থনীতি
একনেকে ১৬ হাজার কোটি টাকার ১৮ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত ১৮টি প্রকল্পের মধ্যে ১৩টি নতুন এবং ৫টি সংশোধিত প্রকল্প।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সমাজকল্যাণ ও নারী-শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ-সড়ক-রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ-বন-পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এবং মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত সংস্করণ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় তিনটি অনুসন্ধান কূপ খনন এবং সোনাগাজীতে ২২০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আজকের সভায় অনুমোদন পায়। এর মধ্যে রয়েছে মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বা কর্মক্ষমতা হারানো জুলাইযোদ্ধা পরিবারের জন্য ১৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং শহীদ পরিবারের জন্য ‘৩৬ জুলাই’ আবাসিক ফ্ল্যাট প্রকল্প।
এছাড়া বাংলাদেশ সচিবালয় ও সংশ্লিষ্ট আবাসিক এলাকাগুলোর জন্য অগ্নিনিরাপত্তা আধুনিকায়ন এবং সচিবালয়ে নতুন ২১তলা অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে।
সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা এমআরটি লাইন-৬ এর তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প এবং সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ (চান্দাইকোনা) সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় অনুমোদিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ গ্রিন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অটিজম ও এনডিডি সেবাদান কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাপান হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ অনুমোদিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম সংশোধনও অনুমোদিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প ক্লাইমেট রেসপন্স রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিস ইম্প্রুভমেন্ট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের অত্যাবশ্যক কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রকল্প সভায় অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া সভায় পূর্বে অনুমোদিত মোট ১৫টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেককে অবহিত করা হয়। এসবের মধ্যে ছিল- বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র আধুনিকায়ন, বিভিন্ন জেলা স্টেডিয়াম উন্নয়ন, অটিজম একাডেমি, বিভিন্ন কলেজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সবুজায়ন, নদী-খাল পুনর্খনন এবং দিনাজপুর পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নসহ আরও বেশ কিছু চলমান প্রকল্প।
অর্থনীতি
রফতানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে চলেছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রফতানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকদের আইডিয়া শেয়ার, অর্থপূর্ণ আলোচনা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের দ্বার উন্মুক্ত করবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে চলেছে। এই মাইলফলক আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরেছে, কিন্তু এটি নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। আমরা বর্তমানে যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা এবং ছাড় সুবিধা ভোগ করছি তা ধীরে ধীরে হারাবো।
তিনি আরো বলেন, এই রূপান্তর সফলভাবে মোকাবেলার জন্য, আমাদের পণ্য এবং রফতানি বাজার বৈচিত্র্যকরণ, প্রতিযোগিতামূলকতা উন্নত করা এবং দূরদর্শী বাণিজ্য নীতি গ্রহণে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো আয়োজন কেবল সময়োপযোগীই নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুতফে সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রফতানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো’। আজ থেকে শুরু হয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এবারের সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রফতানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা বেচা ও চুক্তি করতে পারবে। সোর্সিং এক্সপোতে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং ও ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজন থাকছে।
এমকে
অর্থনীতি
সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো
দেশে স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয় পদ্ধতির আওতায় ডিসেম্বর ২০২৫ মাসের জন্য সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা করে বাড়িয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশ্ববাজারে মূল্যের ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধিত প্রাইসিং ফর্মুলা অনুযায়ী আজ রবিবার এ দাম সমন্বয় করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ডিজেলের দাম ১০২ টাকা থেকে বেড়ে ১০৪ টাকা, অকটেন ১২২ টাকা থেকে বেড়ে ১২৪ টাকা, পেট্রল ১১৮ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে বেড়ে ১১৬ টাকা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ সাদেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্থনীতি
সুগন্ধি সাবানসহ নতুন তিন পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
সীমিত পরিসরে নতুন তিনটি পণ্য বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এগুলো হলো গায়ে মাখার সুগন্ধি সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার এবং কাপড় কাচার সাবান। তবে এই পণ্যগুলো প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে বিক্রি হবে।
ক্রেতা চাহিদা থাকলে পরবর্তীতে নিয়মিতভাবে পণ্যগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। এসব পণ্যের বরাদ্দ শুরু হবে আগামীকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে। বিক্রি চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) টিসিবির উপ-পরিচালক ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
টিসিবি বলছে, নতুন এই পণ্যগুলো নভেম্বর মাস থেকেই বিক্রয় কার্যক্রমে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে তা সীমিত পরিসরে। প্রথম অবস্থায় পাঁচটি জেলা (ফেনী, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা ও নীলফামারি) এবং পাঁচটি সিটি করপোরেশনভুক্ত (ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ) এলাকায় এসব পণ্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টিসিবির উপ-পরিচালক শাহাদত হোসেন বলেন, পরীক্ষামূলক বিক্রয় কার্যক্রম থেকে সাধারণ মানুষের আগ্রহ পাওয়া গেলে পরবর্তীতে এর আওতা বাড়ানো হবে। প্রথম অবস্থায় পাঁচটি সিটি করপোরেশন ও পাঁচ জেলায় এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। মোট পাঁচ লাখ উপকারভোগী পরিবারের কাছে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
বর্ণিত পণ্যসমূহ ভর্তুকি মূল্যে নয়, তবে বাজার মূল্যের কমে বিক্রি করা হবে। পাইলটিংয়ের জন্য গোসলের সাবান (লাক্স) ১০০ গ্রাম প্যাক প্রতিটি ৪৫ টাকা, ডিটারজেন্ট পাউডার (হুইল) ৫০০ গ্রাম প্যাক প্রতিটি ৬০ টাকা এবং লন্ড্রি সোপ (জার্মনিল) ১২৫ গ্রাম প্যাক প্রতিটি ২৩ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।
জানা গেছে, টিসিবি বর্তমানে সারাদেশে গ্রাহক প্রতি ২ লিটার ভোজ্য তেল, এক কেজি চিনি এবং ২ কেজি করে মসুর ডাল বিক্রি করছে। এসব পণ্যের সঙ্গেই দুই পদের সাবান ও ডিটারজেন্ট যুক্ত করা হলো। এর আগে অবশ্য টিসিবি এসবের সঙ্গে চা পাতা ও লবণ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল। যদিও এ দুটি পণ্য এখনো যুক্ত করতে পারেনি।
অর্থনীতি
২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ হাজার কোটি টাকা
চলতি নভেম্বরের মাসের প্রথম ২৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৬৮ কোটি ১১ লাখ (২.৬৮ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য বলছে, গত বছরের পুরো নভেম্বরে এসেছিল ২২০ কোটি ডলার, অর্থাৎ চলতি বছরের একই মাসে এখনও একদিন বাকি থাকতেই রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের মোট পরিমাণের চেয়ে ৪৮ কোটি ডলারের বেশি এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো প্রবাসী আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির কারণেই রেমিট্যান্সে এই ইতিবাচক ধারায় আছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সব শেষ অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের একই সময়ে (অক্টোবর, ২০২৪) রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে- জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ১০১ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলারের (১০ দশমিক ১৫ বিলিয়ন) সমপরিমাণ বৈদেশিক অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার ৩২২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৫০ পয়সা হিসেবে)।
রেমিট্যান্স আহরণের এ পরিমাণ আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম চার মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ৮৯৩ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
আরও ৫ বছর বাড়লো সরকারি সুকুকের মেয়াদ
‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পের বিপরীতে ইস্যুকৃত ৮ হাজার কোটি টাকার প্রথম বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে। ৫ বছর মেয়াদি এই সুকুকটির বর্তমান মেয়াদ পূর্তি নির্ধারিত আছে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুকুকটির পরবর্তী মেয়াদ পূর্তির তারিখ হবে ২৯ ডিসেম্বর ২০৩০।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অধীনে গঠিত শরীয়াহ্ এডভাইজরি কমিটির সুপারিশ ও সরকারের ক্যাশ অ্যান্ড ডেট ম্যানেজমেন্ট কমিটি (সিডিএমসি) অনুমোদনের ভিত্তিতে সুকুকধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং শরীয়াহ নীতিমালা অনুসরণ করে মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শরীয়াহ্ এডভাইজরি কমিটির সভায় প্রয়োজনীয় সকল আনুষঙ্গিক দলিল অনুমোদন করা হয়।
বর্ধিত মেয়াদে ভাড়া পরিশোধ
মেয়াদ বৃদ্ধির পর ইজারাকৃত সুকুক সম্পদ ব্যবহারের বিপরীতে সরকার বা অরিজিনেটর মোট ৩,৮০৪ কোটি টাকা ভাড়া হিসেবে প্রদান করবে। হিসাবায়নের ভিত্তিতে বার্ষিক ভাড়ার হার ৯.৫১ শতাংশ নির্ধারিত থাকলেও বর্তমান কার্যকর হার ৪.৬৯ শতাংশ। বিনিয়োগকারীরা ষান্মাসিক ভিত্তিতে সমানুপাতিক হারে এই ভাড়া পাবেন।
বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা বা নগদায়নের সুযোগ
বর্ধিত মেয়াদে বিনিয়োগকারীরা আগের মতোই সুকুক ধরে রাখতে পারবেন। তবে কোনও বিনিয়োগকারী যদি বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে না চান, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্পেশাল পারপাস ভেহিকল—ইসলামিক সিকিউরিটিজ সেকশন (ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট)—এর কাছে আবেদন করে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে সুকুক নগদায়ন করতে পারবেন।
সুকুক নগদায়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে।



