অর্থনীতি
গভর্নরের পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্যের ঘোষণা চূড়ান্ত নয়: অর্থ উপদেষ্টা
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিষয়টি সরকার দেখবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ব্যাংকগুলো হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারগুলোর মূল্য শূন্য হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
অর্থ উপদেষ্টাকে আজ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে এটা আমরা দেখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যেটা বলেছেন, সেটাই চূড়ান্ত কথা নয়।’
গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশের অধীনে ওই পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি আপাতত বিবেচনার সুযোগ নেই। তবে, ক্ষুদ্র শেয়ারধারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
অর্থনীতি
৯২৫ কোটি টাকায় সার কিনবে সরকার
শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মরক্কো ও কাফকো থেকে এক লাখ ৭০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯২৫ কোটি ০৯ লাখ ১৯ হাজার ৮২০ টাকা। এরমধ্যে এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার এবং ৬০ হাজার টন টিএসপি সার রয়েছে।
রোববার (০৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে দ্বিতীয় লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই সার আনতে ব্যয় হবে ১৯৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯৯.১৭ মার্কিন ডলার।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানির কাছ থেকে ৭ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সৌদি আরব থেকে এই সার আনতে ব্যয় হবে ১৯০ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯০.০০ মার্কিন ডলার।
আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ-এর কাছ থেকে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
কাফকো থেকে ১৩৯ কোটি ৬৯ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৭৯.৫০ মার্কিন ডলার।
এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১১তম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মরক্কো থেকে এই সার আনতে ব্যয় হবে ১৯৯ কোটু ৫১ লাখ ০২ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৪২.০০ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১২তম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মরক্কো থেকে এই সার আমদানিতে ১৯৯ কোটি ৫১ লাখ ০২ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৪২.০০ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
আট দিনে রেমিট্যান্স এলো ৯ হাজার ১৮২ কোটি টাকা
চলতি নভেম্বর মাসে প্রবাসী আয় ইতিবাচক ধারাতে রয়েছে। নভেম্বরের ৮দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৭৫ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রার যা ৯ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। রোববার (৯ নভেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নভেম্বরের ৮দিনে আগের বছরের নভেম্বরের আট ৮দিনের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের নভেম্বর মাসের ৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬২কোটি ৮০লাখ ডলার। আগের মাসে অক্টোবরের ৮দিনে প্রবাসী আয় এসেছিল ৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার।
তথ্যে দেখা যায়, নভেম্বরের আট দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮কোটি ৬১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার। আর বাংলাদেশে ব্যবসারত বিদেশে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
এমকে
অর্থনীতি
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার নেবে: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের সঙ্গে আমার চূড়ান্ত কথা হবে ১৫ তারিখে। আইএমএফের সঙ্গে আমার জুমে কথা হয়েছে। ওরা বলেছে তোমাদের সার্বিক অর্থনৈতিক দিকটা আমরা অত্যন্ত হ্যাপি। ঠিক আছে যা যা করার তোমরা চেষ্টা করছো, করেছো।
তিনি বলেন, ওদের কিছু কিছু রিকমেন্ডেশন আছে। যেমন রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। সেটা আমি স্বীকার করেছি, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও লো। সেটার অনেক কারণ আছে। আমাদের লোকজন ট্যাক্স দিতে চায় না। আবার এনবিআর বন্ধ ছিল দুই মাস। সেটার জন্য আমাদের বিরাট একটা… হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি। দ্বিতীয় ওদের (আইএমএফ) আরেকটা ফাইন্ডিং আছে সামাজিক সুরক্ষার জন্য আরও বেশি ব্যয় করা, বিশেষ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা সামাজিক নিরাপত্তা এবং খাদ্যটা। খাদ্যটা আমরা মোটামুটি ভালো করছি।
আপনি কি আশাবাদী? নির্বাচনের তিন মাস বাকি, আপনি পাবেন কি না? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আগে আমরা যেটা করবো যতটুক কাজ করেছি সেটা কনসোলিডেট করবো। সংস্কার শেষ করে ফেলব সেটা তো নয়, সংস্থা তো শেষ করা যাবে না। সংস্কার তো একটা কন্টিনিউ প্রসেস। আমরা এটাকে একটা ভালো করে প্যাকেজিং যেটা বলে আর কি, প্যাকেজিং করে আমরা দেবো, আগামী সরকারের কাছে, যেসব মেজর সরকার সংস্কার।
তিনি বলেন, ইভেন আমি একটা কমিটি করেছি ট্যাক্সের ব্যাপারে আপনারা জানেন কিছু ইকোনমিস্টদের নিয়ে, তারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তারা কিছু রিকমেন্ডেশন দেবে।
তিনি আরও বলেন, একটা পে-কমিশনের ব্যাপার আছে সেটা আমরা এখন কিছু বলতে পারি না, কারণ ওটা দেখা যাক কতদূর যায়। সেটা আগামী সরকারের..। আগামী সরকার হয়তো সেটা এসে করতে পারে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ব্যাংক সেক্টর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংক সেক্টরটা মোটামুটি যেটা শুরু হয়েছে, আর বাকিগুলো ধীরে ধীরে করবে। এই জিনিসগুলো আমরা আগামী সরকারের জন্য…।
আইএমএফের ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পাওয়া যাবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা রাজি হয়েছি আগেই, এখন কোনো প্রয়োজন নাই। ওরা রিভিউটা কমপ্লিট করে, কারণ ওরা বলছে তোমরা তো করে যাচ্ছ যে জিনিসগুলো, আমাদের একটু দেখতে হবে একটা রাজনৈতিক সরকার এসে কতটুকু ধারণ করে। ওটা তো একটা ইম্পর্টেন্ট জিনিস। আমরা ফেব্রুয়ারির দিকে ইলেকশনের সাথে সাথে ওরা আবার রিভিউতে আসবে, তারপর ওরা ডিসাইড করবে।
অর্থনীতি
চলতি সপ্তাহে আকুর বিল পরিশোধ, কমতে পারে রিজার্ভ
চলতি সপ্তাহেই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) ১.৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চলতি সপ্তাহেই ১.৬ বিলিয়ন আকুর পেমেন্টের পর রিজার্ভ ২৬ বিলিয়নের নিচে নামতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ অক্টোবর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৭.৩৭ বিলিয়ন ডলার। এরপর থেকে রিজার্ভের হালনাগাদ তথ্য আর প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে, সর্বশেষ ২০২২ সালের জুলাই মাসে মে-জুন সময়ের আমদানি ব্যয় হিসেবে বাংলাদেশ ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার আকুর বিল পরিশোধ করেছিল। এরপর থেকে আকুর বিল পরিশোধের পরিমাণ নিম্নমুখী ছিল। ২০২৩ সালজুড়ে দ্বি-মাসিক বিলের পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।
তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্ব থেকে আকুর বিল পরিশোধের পরিমাণ আবারও বাড়তে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মে-জুনে আকুর পেমেন্ট প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর আকু প্রতিষ্ঠিত হয়। আকুর সদর দপ্তর ইরানের তেহরানে অবস্থিত। ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা; এই নয়টি দেশের মধ্যে আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি করে এই সংস্থা।
অর্থনীতি
ব্যাংক খাতে এআই নীতিমালা হচ্ছে
ব্যাংক খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর লক্ষ্য হলো- ব্যাংক খাতে এআই প্রযুক্তির নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা, যেন জালিয়াতি প্রতিরোধ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক পূর্বাভাস, অভ্যন্তরীণ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গ্রাহকসেবা উন্নত করা যায়।
এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সাত সদস্যের একটি বিশেষ দল। তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে নীতিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করার কথা। পুরো প্রক্রিয়ার সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ জাকির হাসান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নীতিমালার মূল লক্ষ্য হলো দেশের ব্যাংক খাতকে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তোলা। এজন্য, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) তৈরি করে এআই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে দেশের তথ্য বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে না, ফলে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
এআই ব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল অর্থনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের আরও নির্ভুল পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ঋণ, বাজার ও তারল্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায়ও এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফিনটেক ও ডিজিটাল ব্যাংক খাতে উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করতেও এই প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তায় এআই ব্যবহারের কোনো নীতিমালা নেই, আর মাত্র ৪০ শতাংশ ব্যাংক এই বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।



