জাতীয়
জলবায়ু তহবিল খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির নতুন সুযোগ: টিআইবি
জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। এ খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির ধরণ ও মাত্রা নির্দেশ করে যে, এটি একটি দুর্নীতির নতুন সুযোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু অর্থায়নে জাতীয় তহবিলের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশে দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ৮৯১টি প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতির প্রাক্কলিত পরিমাণ ২৪৮.৪ মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ২ হাজার ১১০.৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক টিআইবির গবেষণার সার্বিক পর্যবেক্ষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত মোট ১২টি তহবিলের আওতায় ৯৪২টি প্রকল্পের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয় গবেষণাটিতে। ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. মাহফুজুল হক ও রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মো. সহিদুল ইসলাম। এসময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থের চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থ বরাদ্দ হয়নি। জাতীয় তহবিল বা বিসিসিটির অর্থ বরাদ্দে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই, আবার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টে নানা সংকট রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ বরাদ্দে অধিক বিপদাপন্ন এলাকা কম গুরুত্ব পেয়েছে। জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে ২০১৫ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ৮৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর প্রয়োজনের ০ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। তহবিল সময়ের অনিয়ম দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়, অভিযোজনের সঙ্গে সম্পর্কহীন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অর্থে সাফারি পার্ক, ইকো পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ সম্পাদন করা হয়েছে এবং অর্থ জালিয়াতি করা হয়েছে, এমনকি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
জাতীয় তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও ব্যর্থতার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির (৬১.৬%) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গড়ে প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বেড়ে ১,৫১৫ দিনে পৌঁছেছে—অর্থাৎ ১৩৩.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৪ বছর মেয়াদের প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লেগেছে ১৪ বছর।
সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জলবায়ু অর্থায়ন এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য বাজেট বরাদ্দ, চাহিদা, ভৌগোলিক বাস্তবতা ও পরিকল্পনা নীতির সঙ্গে সংগতিহীন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
গবেষণাটির সুপারিশে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন ২০১০ সংশোধন করতে হবে, তহবিলের তদারকি ও নিরীক্ষার জন্য পৃথক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশের ১০-১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা পেয়েছি মাত্র ১.২ বিলিয়ন ডলার, যা অত্যন্ত নগণ্য।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দুর্নীতির কারণে জাতীয় তহবিলের ৫৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লুটপাট হয়েছে। এ তহবিলের সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও তা দুর্নীতির কারণে পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ ও প্রভাবশালীরা এ অর্থ লুটপাট করেছে। জবাবদিহিতার ঘাটতি, সুশাসনের ঘাটতি, রাজনৈতিক প্রভাব, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণে এ দুর্নীতি হয়েছে। আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাই।
জাতীয়
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে ইসি: সানাউল্লাহ
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে। কারণ দেশের ভোটারদের একটি বড় অংশ প্রবাসে বাস করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে হলে তাদেরকে ভোটদান কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের সাত থেকে আট শতাংশ মানুষ প্রবাসে বাস করেন। তাদেরকে বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কীভাবে হয়? এটা প্রবাসীদের অধিকার। ইসি তার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই তারা ভোটাধিকার পাবেন।’
আজ পোস্টাল ভোটিং, আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) পদ্ধতি বিষয়ে এশিয়া ও ওসেনিয়া অঞ্চলের প্রবাসী ভোটারদের সঙ্গে অনলাইন এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (ইসি) সিনিয়র সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং প্রবাসীরা জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে কথা বলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইন থাকার পরও বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কখনোই প্রবাসীরা ভোট দিতে পারেননি। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর প্রবাসী ভাই-বোনদের কাছে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছিলেন, এবার আমরা প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। এবার শুধু আশ্বাস নয়, আমরা এটা বাস্তবায়ন করতে চাই। এরপর ইসি কাজ শুরু করে। ডিসেম্বর মাস থেকে কাজ শুরু করে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে আমরা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। আগামী ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ এ্যাপ উদ্বোধন করা হবে।’
তিনি জানান, অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট প্রদান করতে পারবেন। ১৮ নভেম্বর পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের জন্য অ্যাপ চালু হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ১৮ নভেম্বর আমরা একটা এ্যাপ উদ্বোধন করবো। প্রবাস থেকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রথম এবং পূর্ব শর্ত হচ্ছে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
পোস্টাল ব্যালটের ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৮ নভেম্বর প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন এ্যাপ উদ্বোধন হওয়ার পরে যারা এই এ্যাপে নিবন্ধন করবেন তাদের কাছে ডাকযোগে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে একটি ব্যালট পৌঁছে যাবে। সূত্র : বাসস।
জাতীয়
ঢাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
ঢাকা মহানগরে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম সফলভাবে প্রতিরোধ করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব কথা বলা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে— ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালনের সময়ে মোবাইল ব্রাউজ করার ফলে তাদের সতর্ক নজরদারি ও কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পুলিশ দৃশ্যমান থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হচ্ছে না।
আদেশে আরও বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম সফলভাবে প্রতিরোধ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশে দায়িত্ব পালনরত সদস্যদের মধ্যে ইনচার্জ ছাড়া অন্যদের মোবাইল ব্যবহার না করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কোনো পুলিশ সদস্য এ নির্দেশ অমান্য করলে তা শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ বলে বিবেচিত হবে। তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
জাতীয়
ডিএমপির পাঁচ এডিসিকে বদলি
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাঁচ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে (এডিসি) বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়।
কর্মকর্তাদের মধ্যে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস বিভাগের মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদকে লালবাগ বিভাগে, মোহাম্মদ আবু তাহেরকে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগে, এস্টেট বিভাগের মো. শওকত আলীকে রমনা বিভাগে, ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের মো. জাহিদ হোসেনকে মতিঝিল বিভাগে এবং প্রটেকশন বিভাগের কে এইচ এম এরশাদকে উত্তরা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৭৯
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৭৯ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১৫ জনে এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৭৯ হাজার ৭২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫১ জন, ঢাকা বিভাগে ২৩৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৫৭ জন, খুলনা বিভাগে ৭০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০৯ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন ও সিলেট বিভাগে আটজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় দুজনেরই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে এক হাজার ১১৬ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৯ জন।
২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
জাতীয়
একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ৮টি, সংশোধিত প্রকল্প ২টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির প্রকল্প ২টি।
অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আছে দুটি প্রকল্প— ‘মানিকগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সাতক্ষীরা জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আছে দুটি প্রকল্প— ‘গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ এবং ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত)’; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আছে তিনটি প্রকল্প— ‘সমাপ্ত ৪র্থ সেক্টর কর্মসূচির অত্যাবশ্যকীয় পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার অসমাপ্ত কার্যাবলী বাস্তবায়ন’, ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, নিপোর্ট এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উন্নয়ন’ এবং ‘PFD, HEF, IFM, HRD এবং SWPMM এর অত্যাবশ্যকীয় অসমাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ প্রকল্প।
এছাড়া, আরও আছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প— ‘কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার হাওর এলাকার ক্ষুদ্রসেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন (৩য় সংশোধন)’; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প— ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়) (১ম সংশোধিত)’; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প— ‘ঢাকা সেনানিবাসে নির্ঝর আবাসিক এলাকায় বি-টাইপ অফিসার্স বাসস্থান নির্মাণ’; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প— ‘নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামক স্থানে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণের (২য় সংশোধিত) ৪র্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প’ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প— ‘বিসিক শিল্প পার্ক, টাঙ্গাইল (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টার অনুমোদিত আরও ৯ প্রকল্প সম্পর্কেও অবহিত করা হয়। এই প্রকল্পগুলো হলো— বহুস্তরীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণের জন্য সমন্বিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প; নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন (১ম সংশোধন) প্রকল্প; শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থলে সংরক্ষণ ও উন্নয়ন (১ম পর্যায়) (১ম সংশোধিত); যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প; তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুবদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প; প্রযুক্তি-ভিত্তিক বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির প্রকল্প; মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকা শহরের আশেপাশের এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প (ডিসিএনইউপি) (২য় সংশোধিত) প্রকল্প এবং র্যাবের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
সভায় প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি আরও অংশগ্রহণ করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা।
এমকে



