সারাদেশ
সখিপুরে কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
অধীর প্রতীক্ষার পর আজ শরীয়তপুরে সখিপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫। সকাল ১০টায় একযোগে জেলার ৬টি উপজেলায় ১০টি কেন্দ্রে শুরু হয় এ পরীক্ষা, এতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী।
সখিপুর থানার পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয় হাজী শরীয়তউল্লাহ ডিগ্রি কলেজে। সকাল থেকেই কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও শিক্ষামুখর।
সখিপুর থানার আওতায় মোট ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৫২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এ পরীক্ষায়।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফয়েজ আহমেদ, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, অফিসার, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এবং হাজী শরীয়তউল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অশোক চন্দ্র টিকাদার।
পরিদর্শনকালে অতিথিরা পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশ পর্যালোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও আগ্রহে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, অধ্যবসায় ও দেশপ্রেম জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উল্লেখ্য, কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবছর আয়োজন করা হয়, যার মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মের মেধা বিকাশ, সৃজনশীল চিন্তা ও নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা বাড়ানো।
সারাদেশ
শিক্ষার আলো ছাত্র কল্যাণের পুরস্কার বিতরণ
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার আলো ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের ৮ম তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন আসামী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার আলো ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের উদ্যোক্তা ফয়সাল মাহমুদ, আবুল কালাম আজাদ, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আক্তার সরকার।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শিক্ষার আলো ছাত্র কল্যান সংগঠনের সভাপতি জামাল খান। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাহের আলী। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে সাটিফিকেট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এসময় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় এবং অতিথিবৃন্দ তাদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে যেমন আলোকিত করে, তেমনি সমাজ ও দেশকেও এগিয়ে নিতে পারে। তারা শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা ও মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে আদর্শ নাগরিক হয়ে সমাজে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
সারাদেশ
মেরিনা ভেটেরিনারি কেয়ারের উদ্বোধন
প্রাণি চিকিৎসা সেবায় আধুনিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে উদ্বোধন হলো মেরিনা ভেটেরিনারি কেয়ার। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শরীয়তপুরের সখিপুর উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন রোডে তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা সংলগ্ন চেম্বারে এ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে।
উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে প্রাণিসম্পদ খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই পশুদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের সুস্থ রাখা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুর রাজ্জাক। যিনি বলেন, ডা. সাইফুল ইসলাম প্রাণি সেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে তাঁর মতো তরুণরা এগিয়ে এলে দেশের পশুচিকিৎসা সেবা আরও সমৃদ্ধ হবে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডা. মহাদেব চন্দ্র শীল, ডা. সবুজ খান, ডা. আল আমিন ইসলাম, ডা. সাইফুল ইসলাম, ও সমাজসেবক মনির খানসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. সাইফুল ইসলামের পিতা বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার ছেলে যখন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে মন খারাপ করেছিল, তখন আমি বলেছিলাম বাবা, মানুষ চিকিৎসা না পারলে কী হয়েছে? বোবা প্রাণীদের চিকিৎসা করো, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের সেবা করো তাতেই অনেক সওয়াব আছে।
ডা. সাইফুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছেন। আজ আমি, আমার ভাই তরুকুল ইসলাম (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়), বোন নাদিরা (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ও আরেক বোন হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজে পড়াশোনা করছি, এটা আমাদের পরিবারের গর্ব। অর্থের অভাব থাকলেও বাবা আমাদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
উল্লেখ্য, মেরিনা ভেটেরিনারি কেয়ারের দ্বিতীয় শাখা (চেম্বার-০২) আগামীতে উদ্বোধন হবে উত্তর তারাবুনিয়া মোল্লা বাজার (মাঝেরচর) এলাকায়। ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা ধীরে ধীরে এই সেবাকে গ্রামের আরও গভীরে পৌঁছে দিতে চাই, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই তাদের গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষক, প্রাণিপ্রেমী ও এলাকাবাসী উপস্থিত থেকে প্রাণি চিকিৎসা সেবায় এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
সারাদেশ
প্রাণি চিকিৎসায় আধুনিকতার হাতছানি নিয়ে মেরিনা ভেটেরিনারি কেয়ারের উদ্বোধন
প্রাণি চিকিৎসা সেবায় আধুনিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে উদ্বোধন হলো মেরিনা ভেটেরিনারি কেয়ার।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শরীয়তপুরের সখিপুর উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন রোডে তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা সংলগ্ন চেম্বারে এ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইমরান হোসেন। তিনি বলেন বর্তমান সময়ে প্রাণিসম্পদ খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই পশুদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের সুস্থ রাখা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, যিনি বলেন ডা. সাইফুল ইসলাম প্রাণিসেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে তাঁর মতো তরুণরা এগিয়ে এলে দেশের পশুচিকিৎসা সেবা আরও সমৃদ্ধ হবে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডা. মহাদেব চন্দ্র শীল, ডা. সবুজ খান, ডা. আল আমিন ইসলাম, ডা. সাইফুল ইসলাম, ও সমাজসেবক মনির খানসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. সাইফুল ইসলামের পিতা বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার ছেলে যখন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে মন খারাপ করেছিল, তখন আমি বলেছিলাম — বাবা, মানুষ চিকিৎসা না পারলে কী হয়েছে? বোবা প্রাণীদের চিকিৎসা করো, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের সেবা করো— তাতেই অনেক সওয়াব আছে।
ডা. সাইফুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছেন। আজ আমি, আমার ভাই তরুকুল ইসলাম (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়), বোন নাদিরা (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ও আরেক বোন হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজে পড়াশোনা করছি— এটা আমাদের পরিবারের গর্ব। অর্থের অভাব থাকলেও বাবা আমাদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
উল্লেখ্য, মেরিনা ভেটেরিনারি কেয়ার-এর দ্বিতীয় শাখা (চেম্বার-০২) আগামীতে উদ্বোধন হবে উত্তর তারাবুনিয়া মোল্লা বাজার (মাঝেরচর) এলাকায়।
ডা. সাইফুল ইসলাম জানান আমরা ধীরে ধীরে এই সেবাকে গ্রামের আরও গভীরে পৌঁছে দিতে চাই, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই তাদের গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষক, প্রাণিপ্রেমী ও এলাকাবাসী উপস্থিত থেকে প্রাণি চিকিৎসা সেবায় এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
সারাদেশ
সখিপুরে সাজেদা-জাব্বার হাসপাতালের উদ্বোধন
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শরীয়তপুর জেলার সখিপুর বাজারে আধুনিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র সাজেদা-জাব্বার হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিক এ হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শাহজাহান মুন্সির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সখিপুরে আধুনিক চিকিৎসা সেবার এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও অসংখ্য স্থানীয় মানুষ।
হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয় শাহজাহান মুন্সি বলেন, সখিপুর ও আশপাশের মানুষ যেন উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই লক্ষ্যেই সাজেদা-জাব্বার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে মানবতার সেবাই হবে মুখ্য বিষয়। আমি চাই- এই হাসপাতাল সবার জন্য উন্মুক্ত থাকুক এবং সখিপুর থেকেই একদিন নার্সিং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হোক।
তিনি আরও বলেন, ২৫ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সকল রোগীর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শফিকুর রহমান কিরন। তিনি বলেন, শাহজাহান মুন্সি ভাইয়ের এই উদ্যোগ সখিপুরের মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এই হাসপাতাল শুধু চিকিৎসা নয়, মানবতার সেবায়ও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বকাউল বলেন, সাজেদা-জাব্বার হাসপাতাল মানসম্মত চিকিৎসার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখানকার সাধারণ মানুষ এখন স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন।
সাবেক এডিশনাল আইজিপি মো. মনির হোসেন বকাউল বলেন, প্রিয় শাহজাহান মুন্সি ভাইয়ের এই মহৎ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর জন্য আন্তরিক দোয়া ও শুভ কামনা রইল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বাচ্চু সরকার, সখিপুর বিএনপির সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম সরদার, থানা যুবদলের সভাপতি মাসুম বালা, যুবনেতা সারোয়ার আহমেদ দিপু, সখিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মানিক সরদার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজীব সরদার, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি তোফায়েল আহমেদ সরদার, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক ফাইজুল ইসলাম সরদার, ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ মাহমুদ সরদারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাজেদা-জাব্বার হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মুন্সি, পরিচালক জায়ান মুন্সি, সায়ান মুন্সি, মো. আজাদ মুন্সি, মো. খোকন মুন্সি, মানিক মুন্সি ও নাসির উদ্দিন।
উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং এর আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সেবার মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কাফি
সারাদেশ
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামতে প্রস্তুত জেলেরা
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলার প্রায় তিন লাখ জেলে। এরইমধ্যে মাছ শিকারের জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুত ও মেরামতের কাজ শুরু করেছেন তারা। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে কাঙিক্ষত পরিমাণ ইলিশ শিকার করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জেলেদের।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ভোলার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলেপল্লির জেলেরা নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুরোদমে। মাছ শিকারের জাল, নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুত করছেন তারা। কেউ নতুন করে জাল কিনে প্রস্তুত করছেন মাছ শিকারের জন্য। আবার কেউ কেউ নতুন ট্রলার ও নৌকা বানিয়ে শেষ সময়ের মতো প্রস্তুত করে নিচ্ছেন। কেউবা পুরোনো জাল, নৌকা ও ট্রলার মেরামত করছেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৫ অক্টোবর দিনগত রাত ১২টার পরে নদীতে নামবেন জেলেরা।
ওই এলাকার জেলে সুমন মাঝি ও সোহেল মাঝি জানান, সরকারি ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে তারা নদীতে ইলিশ শিকারের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে নতুন করে জাল কেনা ও পুরোনো ট্রলার মেরামতের কাজ করেছেন। নদীতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পেয়ে এসব ধারদেনা পরিশোধ করবেন।
একই এলাকার জেলে খলিল মাঝি ও জাকির মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল পেয়েছি। আর সব কিছুই কিনতে হয়েছে। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় এনজিওর কিস্তিও পরিশোধ করতে পারিনি। আমরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আবুল কালাম মাঝি ও নুর উদ্দিন মাঝি জানান, গতবছর নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে ২-৩ দিন ভালোই ইলিশ পেয়েছেন। তবে এরপর নদীতে ইলিশের দেখা মিলেনি। যে কারণে গতবছর অনেক কষ্টে কাটাতে হয়েছে। ওই বছরের ধারদেনা এখনো পরিশোধ করতে পারেননি। এবারও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ না পেলে কষ্টের শেষ থাকবে না।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে আশানুরূপ ইলিশ শিকার করতে পারবেন বলে আশা করি। বিগত দিনের দারদেনা পরিশোধ করে তারা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন।
তিনি আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে ভোলার সাত উপজেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে দুই শতাধিক জেলেকে আটক এবং বিপুল পরিমাণ ইলিশ ও জাল জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে একশোর বেশি জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ভোলার সাত উপজেলায় বেসরকারি হিসেবে প্রায় তিন লাখ জেলে রয়েছে। এরমধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধত জেলের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার।




