কর্পোরেট সংবাদ
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার
উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানব উন্নয়ন সূচক, মাথাপিছু জিডিপি এবং উচ্চ আয়ের দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল বিশ্বের শীর্ষ হাসপাতালগুলোর একটি। দেশটির জেনারেল হাসপাতালও রয়েছে খ্যাতনামা হাসপাতালের তালিকায়।
বুধবার (২২ অক্টোবর) কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানব উন্নয়ন সূচক, মাথাপিছু জিডিপি এবং উচ্চ আয়ের দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল বিশ্বের শীর্ষ হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি। দেশটির জেনারেল হাসপাতালও রয়েছে খ্যাতনামা হাসপাতালের তালিকায়। বিশ্বখ্যাত মাউন্ট এলিজাবেথ এবং জেনারেল হাসপাতালের প্রসেস কুলিং এ ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান এয়ার কন্ডিশনার ব্র্যান্ড ওয়ালটন-এর এয়ার কুলড স্মার্ট ইনভার্টার চিলার। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সক্ষমতা প্রকাশের ক্ষেত্রে এক বিরাট মাইলফলক অর্জিত হয়েছে বলে মনে করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের সূত্রমতে, স্থানীয় বাজারের মতো বৈশ্বিক বাজারেও বাড়ছে ওয়ালটন এসির গ্রাহকপ্রিয়তা ও চাহিদা। ওয়ালটন এসির টেকসই গুণগতমান, এআই ও আইওটি বেজড উদ্ভাবনী, পরিবেশবান্ধব ও এনার্জি ইফিশিয়েন্ট স্মার্ট সব প্রযুক্তি এবং ফিচার বৈশ্বিক ক্রেতাদের মন জয় করে নিচ্ছে দ্রুত। ফলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশগুলোর বাজারে সম্প্রসারণ হচ্ছে ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড বিজনেস। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের এয়ার কন্ডিশনিং খাতের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই প্রাইভেট লিমিটেড এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশটিতে ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের প্রসেস কুলিং এ ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার স্থাপন করেছে। তাদের তত্ত্বাবধানে বিশ্বখ্যাত মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালেও স্থাপন করা হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার।
চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান জানান, এক সময় সিঙ্গাপুর থেকে এসির বেসিক কাঁচামাল আমদানি করা হতো। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এখন বাংলাদেশ থেকে ভিআরএফ, চিলারের মতো সর্বাধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন কমার্শিয়াল এসি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশটির খ্যাতনামা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য সুউচ্চ ভবনগুলোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে ইন্সটল করা হচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের চিলার ও ভিআরএফ সিস্টেম। এটা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়; বাংলাদেশের জন্যও অত্যন্ত সম্মানের ও গর্বের বিষয়।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন শুধু দেশের একমাত্র ভিআরএফ ও স্মার্ট ইনভার্টার চিলার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানই নয়; ভিআরএফ উৎপাদনকারী বিশ্বের ৯ম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম তালিকাভুক্ত করেছে। রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল এসি উৎপাদন শিল্পে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। এছাড়া রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন খাতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন এসিতে এআই, আইওটি বেজড উদ্ভাবনী, পরিবেশবান্ধব ও ব্যাপক এনার্জি ইফিশিয়েন্ট স্মার্ট সব প্রযুক্তি ও ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
ওয়ালটন ভিআরএফ সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে বিপিএইচই (Brazed Plate Heat Exchanger) প্রযুক্তি, যা কুলিং দক্ষতা বাড়ায়। এতে রেফ্রিজারেন্ট পিসিবি কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা সিস্টেমের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। সিস্টেমটি সর্বোচ্চ ১৩০% কম্বিনেশন রেশিও ও ১০০ মিটার পর্যন্ত পাইপিং লেন্থ সমর্থন করে, যা বড় ভবন বা জটিল প্রকল্পের জন্য আদর্শ। অটো ডাস্ট রিমুভাল এবং লোড শেয়ারিং প্রযুক্তি পণ্যের স্থায়ীত্ব ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও টেন স্টেজ অয়েল কন্ট্রোল কম্প্রেসর দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
ওয়ালটন চিলারের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ইনভার্টার কম্প্রেসর, স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেম (পিএলসি ও টাচ স্ক্রিন), কম শব্দে অপারেশন এবং স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা। এর সহজ রক্ষণাবেক্ষণ আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা। উচ্চ গুণগতমান এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় ওয়ালটন এসি অর্জন করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সার্টিফিকেট। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ISO 14001, ROHS, ISO 45001, CE, এবং BSTI। এছাড়াও ওয়ালটন এসি নাসদাত-ইউটিএস (NUSDAT-UTS) অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়, যা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও গুণগতমান নিশ্চিত করে।
স্থানীয়ভাবে উন্নতমানের ভিআরএফ ও স্মার্ট ইনভার্টার চিলার উৎপাদনের মাধ্যমে ওয়ালটন শুধু দেশের এয়ার কন্ডিশনার শিল্পকেই শক্তিশালী করে তুলছে না; বিশ্ববাজারে কমার্শিয়াল এসি রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগও সৃষ্টি করছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ওয়ালটনের লক্ষ্য হলো- বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব হাই-টেক পণ্য উৎপাদন হাবে পরিণত করা। সেই লক্ষ্য পূরণে বিশ্বের ১’শটিরও বেশি দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে বৈশ্বিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশেরই এই টেক জায়ান্ট। ইতোমধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ’র কন্টাক্টলেস এনএফসি পেমেন্টে কেনাকাটা হবে আরও দ্রুত-নিরাপদ
এখন থেকে এনএফসি (নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) এনাবেল্ড কিউআর-এ ট্যাপ করেই পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশ-এ। গ্রাহকের ডিজিটাল পেমেন্ট অভিজ্ঞতাকে আরও ঝামেলাহীন, নিরাপদ ও কন্টাক্টলেস করতেই এই সেবা চালু করেছে বিকাশ। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহকরা এখন কোনো পিন নম্বর ছাড়াই মাত্র এক ট্যাপে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন, যা তাদের ক্যাশলেস পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং দেশের ডিজিটাল পেমেন্টের ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।
এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুবিধা গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনকে বিশেষ করে ছোট-বড় দোকান, সুপারশপ, ক্যাফে ও অন্যান্য খুচরা বিক্রেতার কাছে পেমেন্ট আরও দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত করে তুলছে। বিকাশ-এর মাধ্যমে এনএফসি পেমেন্ট করতে হলে গ্রাহককে এনএফসি চিহ্নিত কিউআর কোডে মোবাইল ট্যাপ করতে হবে। এরপর লগইন করলে সরাসরি পেমেন্ট স্ক্রিনে নিয়ে যাবে। এখানে টাকার পরিমাণ বসিয়ে নিশ্চিত করলেই পেমেন্টটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ফলে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা যেমন থাকলো না, তেমনি বাড়লো বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও। উল্লেখ্য, ১ হাজার টাকা পর্যন্ত পিন ছাড়াই এনএফসি পেমেন্ট করা যাচ্ছে।
প্রযুক্তির অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিনের লেনদেনকে আরও সহজ, নিরাপদ ও ঝামেলাহীন করতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা নিয়ে আসছে বিকাশ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার এনএফসি পেমেন্ট সুবিধা চালু করলো প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকরা এখন ক্যাশলেস, কন্টাক্টলেস ও নিরাপদ লেনদেনের অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। ধারাবাহিকভাবে বিকাশ-এর এই এনএফসি পেমেন্ট সেবাটি সারাদেশের মার্চেন্ট পয়েন্টগুলোতে বিস্তৃত করা হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশে আসা রেমিট্যান্সে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন প্রবাসীর স্বজনদের
জাপান প্রবাসী জাহানারা সুমী দৈনন্দিন কাজ শেষে বিশ্রাম নিতে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করছিলেন। হঠাৎ একটি অনলাইন পেইজে তাঁর চোখে পড়ল বিশাল আকৃতির একটি নদীর বোয়াল মাছ বিক্রির ভিডিও। সেটি দেখেই তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে উঠলেন- মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় বাবার আনা বড় বড় মাছের কথা, যা দেখে পুরো বাড়িতে হৈচৈ লেগে যেত। তাই আর দেরি না করে বাবার প্রিয় বোয়াল মাছ অর্ডার করে তাঁকে সারপ্রাইজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুমী।
তিনি বলেন, ঢাকায় থাকা আমার ভাইকে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসেজ দিয়ে বোয়াল মাছ বুক করার জন্য বলি। সচরাচর এতো বড় মাছ তো আর পাওয়া যায় না! আমি জাপান থেকেই তাৎক্ষণিক ভাইয়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেই। এমন জরুরি মুহূর্তে বিকাশ-এর রেমিট্যান্স সেবা সত্যিই খুব স্বস্তির জায়গা। ক্যারিয়ারের তাগিদে বাবা-মা-পরিবার ছেড়ে দূর প্রবাসে থাকলেও এই ধরনের আর্থিক সেবার কল্যাণে সেই দূরত্ব অনেকটাই ঘুচে যায়।
এদিকে, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে রেখে সংসারের প্রয়োজনে বাহরাইন-এ পাড়ি জমিয়েছিলেন চাঁদপুরের বাসিন্দা রসুল মিয়া। প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখেন অনাগত সন্তান আর স্ত্রী আকলিমার। এমনই এক ঝড়ের রাতে প্রসব বেদনা উঠে আকলিমার, সেই রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়স্বজন। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান ও মাকে বাঁচাতে মাঝ রাতেই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তাররা। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্ত্রীর পাশে না থাকার মনোবেদনা ছিল পাহাড়সম। তবুও অপারেশনের জন্য তাৎক্ষণিক বিকাশ-এর রেমিটেন্স সেবা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে পারায় খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় কেটে যায়, স্ত্রী-সন্তান দুইজনই সুস্থ হয়ে ফেরে বাড়ি।
হোক সংকট কিংবা আনন্দ – প্রিয়জনদের বিশেষ মুহুর্তগুলোয় পাশে থাকার চেষ্টায় প্রবাসীদের বড় বাধা সময়মতো কষ্টার্জিত রেমিটেন্স পাঠাতে না পারা। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন কোটি প্রবাসী তার প্রিয়জনদের বিশেষ মুহুর্তগুলোকে আরও অর্থবহ করে তুলছেন সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠিয়ে। মাত্র কয়েক ট্যাপে বিকাশ-এ রেমিটেন্স পাঠানোর সুবিধা প্রবাসীর সাথে তার পরিবারের বন্ধন আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়িয়ে সমৃদ্ধ করছে দেশের অর্থনীতিকেও।
বিদেশ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠানো এবং তা তোলার জন্য নিকটবর্তী বাজারে বা উপজেলা শহরে যাওয়া প্রবাসী এবং তার স্বজন উভয়ের জন্যই অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। এই কারণে যখন প্রয়োজন তখনই রেমিটেন্স পাঠাতে বা পেতে বিকাশ-এর রেমিটেন্স সেবায় আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসী এবং তার প্রিয়জনদের।
দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত প্রবাসীদের কষ্টার্জিত এই রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহকে গতিশীল করে রিজার্ভকে শক্তিশালী করছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সে লক্ষ্যে, প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স পাঠানোর একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে বিকাশ। বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী ১৭৬টিরও বেশি দেশ থেকে শতাধিক আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও)-এর মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা, যা দেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিষ্পত্তির (স্যাটেলমেন্ট) মাধ্যমে নিমেষেই পৌঁছে যাচ্ছে প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। সাথে রেমিটেন্সের সাথে যোগ হয়ে যাচ্ছে সরকার প্রদত্ত প্রণোদনার অর্থও।
বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ‘লাস্ট মাইল সল্যুশন প্রোভাইডার’ হিসেবে বিকাশ-এ পাঠানো রেমিটেন্স হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাওয়ায় প্রবাসীর পরিবার-প্রিয়জনদের জীবনমান বাড়ছে। সহজে এই রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ হুন্ডিসহ অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোকে নিরুৎসাহিত করছে, পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছে। এদিকে, বিকাশ-এ আসা রেমিটেন্সের টাকা দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই মোবাইল রিচার্জ, সেভিংস, কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, এনজিওর কিস্তি দেওয়া, স্কুল-কলেজের ফি পরিশোধসহ অসংখ্য কাজে ব্যবহার করতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনরা।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপে যোগ হলো সম্পূর্ণ ভয়েস-চালিত সেবা
ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপে চালু হলো দেশের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলফিন ইকো। এটি একটি সম্পূর্ণ ভয়েস-ভিত্তিক উন্নত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ভয়েস কমান্ড দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। ব্যবহারকারী ইংরেজিতে ভয়েস কমান্ড দিলেই সেলফিন ইকো গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করে বাকি কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদন করে। এতে প্রয়োজন হয় না হাতের কোনো স্পর্শ।
উদাহরণস্বরূপ গ্রাহক যদি বলেন “শো মি সেলফিন/এমক্যাশ ব্যালেন্স” সেলফিন ইকো সঙ্গে সঙ্গে ব্যালেন্স প্রদর্শন করবে। অথবা তার অ্যাকাউন্ট নম্বরটি বললে সেই অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স তাৎক্ষণিকভাবে দেখাবে। একইভাবে ব্যবহারকারী যদি বলেন “সেন্ড টেন থাউজ্যান্ড টাকা টু মামুনস অ্যাকাউন্ট”, সেলফিন ইকো ফেভারিট অপশনে মামুন নামে সংরক্ষিত অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফারের প্রিভিউ দেখাবে। এরপর গ্রাহক পিন ও ওটিপি দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করবেন।
ব্যবহারকারী শুধু ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করেই পরিশোধ করতে পারবেন খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড বিল। “চেক মাই খিদমাহ বিল অ্যান্ড পে” বললেই সেলফিন ইকো স্বয়ংক্রিয়ভাবে খিদমাহ’র বকেয়া বিল পরিদর্শন করবে এবং অ্যাকাউন্ট থেকে বিল পরিশোধ করার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্পর্শ ছাড়াই সম্পন্ন হবে। গ্রাহক শুধু পিন আর ওটিপি দিয়ে কাজ শেষ করবেন।
সেলফিন ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন হবে আরও সহজ ও দ্রুত। ব্যবহারকারী শুধু ভয়েস কমান্ডে “জেনারেট টোকেন টু উইথড্রো টাকা টোয়েন্টি থাউজ্যান্ড ফ্রম অ্যাকাউন্ট নাম্বার” বলে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বারটি বললেই সেলফিন ইকো স্বয়ংক্রিয়ভাবে উল্লেখিত অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে ২০ হাজার টাকার জন্য একটি টোকেন তৈরি করে দেবে, এটিএম বুথে এই টোকেন ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
মোবাইল রিচার্জ করা যাবে হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই। রিচার্জ মাই মোবাইল উইথ টোয়েন্টি টাকা বললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর মোবাইলে ২০ টাকা রিচার্জ হয়ে যাবে। এছাড়া রিচার্জ গ্রহীতার মোবাইল নম্বর আর খুঁজতে কিংবা লিখতে হবে না। শুধু সেভ করা নাম কিংবা মোবাইল নম্বরটি বললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিচার্জ হয়ে যাবে।
সেলফিন ইকোর কার্যকারিতা লেনদেনের বাইরেও বিস্তৃত। ভয়েস কমান্ডেই দেখা যায় অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, সেলফিন ও কার্ড লিমিট, চার্জ ও ফি সংক্রান্ত তথ্য। এছাড়া ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ের স্টেটমেন্টও দেখা যায়। প্রয়োজন হলে স্টেটমেন্ট নিজের ইচ্ছেমত ফিল্টার করে নেওয়া যায়। কাজ শেষে ভয়েস দিয়ে লগ-আউট করা যায় হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই। এ যেন সায়েন্স ফিকশনের বাস্তব রূপ।
ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপ বহুদিন ধরেই স্মার্ট ব্যাংকিংয়ের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। বিল পেমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার, রেমিট্যান্স সংগ্রহসহ বিভিন্ন সেবার কারণে অ্যাপটি ইতোমধ্যেই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে প্রায় ৫৭ লাখ গ্রাহক সেলফিন ব্যবহার করছেন।
বর্তমানে সেলফিন ইকো ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বর আরও নিখুঁতভাবে শনাক্ত করার জন্য শেখার ধাপে রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে পিন ও ওটিপি ম্যানুয়ালি প্রদান করতে হবে, ভবিষ্যতে এই ধাপগুলোও স্বয়ংক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
পূবালী ব্যাংক হয়ে বিকাশে ৫০ লাখ বারেরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা
দশ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পূবালী ব্যাংক হয়ে প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ বারেরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। দেশের দুটি শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঝামেলাহীনভাবে ও নিরাপদে রেমিট্যান্স পাঠানোর এই সুবিধা প্রবাসী এবং তাঁর প্রিয়জনদের আস্থা অর্জন করেছে এবং বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উধুব্ধ করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকেও শক্তিশালী করছে।
সম্প্রতি বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে এই অর্জনকে উদযাপন করতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা এই যৌথ সেবার সাফল্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং গ্রাহকদের জন্য রেমিটেন্স সেবাকে আরও সহজ ও নিরাপদ করার অঙ্গীকার করেন।
দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহকে গতিশীল ও রিজার্ভকে শক্তিশালী করে জাতীয় অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করছে। সে লক্ষ্যেই, আরও সহজে ও নিরাপদে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে পূবালী ব্যাংক ও বিকাশ। বিশ্বের ৩৩টি দেশ থেকে ১১টি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরের মাধ্যমে পূবালী ব্যাংকে সেটেলমেন্ট হয়ে তাৎক্ষণিক প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে প্রবাসীর পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স। সাথে হাজারে ২৫ টাকা সরকারি প্রণোদনাও গ্রহণ করছেন রেমিট্যান্স গ্রহীতারা। বিকাশ-এ গ্রহণ করা সেই অর্থ খুব সহজেই নিকটস্থ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন স্বজনরা।
এছাড়া, ক্যাশ আউট না করেও প্রবাসীর প্রিয়জনরা বিকাশের মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবার পেমেন্ট, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, অনুদান প্রদান, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম, মাইক্রোফাইন্যান্স পেমেন্ট সহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।
এদিকে, রেমিটেন্সের টাকা এখন আরও কম খরচে ক্যাশ আউটের সুযোগ নিতে পারছেন দেশে থাকা প্রবাসীর স্বজনেরা। দেশজুড়ে শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রায় ২,৫০০ এটিএম বুথ থেকে হাজারে মাত্র ৭ টাকা চার্জে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বা *২৪৭# ডায়াল করে গ্রাহকরা রেমিট্যান্সের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারছেন।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের নতুন ডিএমডি মিজানুর রশীদ
সিটি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের চিফ বিজনেস অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে মিজানুর রশীদ। সম্প্রতি তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মিজানুর রশীদ ফিনটেক এবং কনজিউমার প্যাকেজড গুডস খাতে ৩০ বছরেরও বেশি বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ব্যবসায়ের আকার বৃদ্ধি ও স্থায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জনে তাঁর প্রমাণিত সাফল্য রয়েছে।
এর আগে তিনি বিকাশ লিমিটেডে চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যেখানে তিনি বিকাশ লিমিটেড ও এর গ্রাহকদের জন্য একটি শক্তিশালী ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার আগে তিনি ইউনিলিভারের বাংলাদেশ, ভারত ও উপসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকা-তেও বিভিন্ন পদে কাজ করেন।
সিটি ব্যাংক বিশ্বাস করে, মিজানুর রশীদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কৌশলগত দক্ষতা ব্যাংকের ডিজিটাল রূপান্তরের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। মিজানুর রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন।
এমকে



