অন্যান্য
দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬১ শতাংশ
বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তা, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত এবং বিনিয়োগে ধীরগতির প্রবণতার মধ্যেও বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে নিট এফডিআই প্রবাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির মতে, এ প্রবৃদ্ধি প্রমাণ করে যে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে ক্রমেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং দেশের বাজারে তাদের আস্থা বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে কার্যরত মুনাফাবান বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের আয়ের একটি বড় অংশ পুনরায় বিনিয়োগ করছে। পুনঃবিনিয়োগের পরিমাণও গত বছরের তুলনায় ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু মুনাফা নিচ্ছে না, বরং ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখে নতুন করে বিনিয়োগ করছে।
বিশ্বজুড়ে নতুন মূলধনের (গ্রিনফিল্ড এফডিআই) বিনিয়োগ কমলেও বাংলাদেশে এ খাতে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি মূল কোম্পানিগুলো তাদের বাংলাদেশভিত্তিক স্থানীয় ইউনিটগুলোকে আরও বেশি অর্থায়ন করছে। এর ফলে ইন্টার-কম্পানি ঋণের হার এক বছরে বেড়েছে ২২৯ শতাংশ।
শুধু ছয় মাস নয়, পুরো অর্থবছরের চিত্রও আশাব্যঞ্জক। জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ অর্থবছরে নিট এফডিআই প্রবাহ আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ১৯ শতাংশেরও বেশি।
এদিকে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেশের পাঁচটি বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা—বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) ও বিসিক—এর মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোম্পানির মোট ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রস্তাবিত বিনিয়োগ। এর মধ্যে ৬৫ কোটি ডলারের বেশি এসেছে সরাসরি বিদেশি কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। আর ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
অন্যান্য
পে স্কেল নিয়ে ৭০ সচিবের মতামত সংগ্রহ, রূপরেখা শিগগরই
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। রবিবার (৩০ নভেম্বর) পে কমিশনের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য কর্মচারীদের দেওয়া আল্টিমেটামের শেষ দিন। এদিকে নবম পে স্কেল প্রণয়নে দ্রুত অগ্রগতি করছে পে কমিশন। সরকারের সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে চার দফায় মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় মতামত সংগ্রহ করেছে কমিশন। ৭০-এর বেশি সচিবের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এসব সভায় পে স্কেল নিয়ে নানা প্রস্তাব ও সুপারিশ উঠে এসেছে। শিগগরই এর রূপরেখা উপস্থাপন করবে কমিশন।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) পে কমিশনের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, অনলাইনে মতামত গ্রহণের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা সুপারিশ প্রণয়নে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ৭০-এর বেশি সচিবের মতামত নেওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব নয়—এটি মাথায় রেখেই চার ধাপে সভা করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপে ১৭ বা তার বেশি সচিব অংশ নেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। এগুলো বর্তমানে পর্যালোচনা চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশন সুপারিশ জমা দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, ২৪ ও ২৬ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হলেও কয়েকজন সচিব অনুপস্থিত থাকায় আবারও বৈঠক হবে। সুপারিশ কবে জমা দেওয়া সম্ভব এ বিষয়ে তিনি জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে পারব বলে আশা করছি।
অন্যান্য
নির্বাচিত হলে জেলেরা হয়রানি ছাড়া নদীতে মাছ ধরতে পারবে: শাহজাহান মিয়া
স্বাধীনতার ৫৪ বছরে অনেক সরকার দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারেনি মন্তব্য করে চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া বলেছেন, এবার ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ। সবগুলো দলের ভোট বাক্স একটি। আপনারা অবশ্যই কোরআনের পক্ষে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবেন।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সদর উপজেলার রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চিরাচরসহ ওই এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকায় গণসংযোগকালে ভোটার ও জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
এইদিন তিনি চরাঞ্চলের অধিকাংশ জেলে ও কষকদের সাথে কথা বলেন এবং সমস্যাগুলো খুবই গুরুত্ব দিয়ে শুনেন।

তিনি জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম মূল সমস্যা হচ্ছে জেলেদের কাছ চাঁদা দাবি ও হয়রানি। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে নির্বাচিত হলে হয়রানি ছাড়া নিরাপদে নদীতে মাছ ধরতে পারবেন।
এই নেতা উপস্থিত নারী-পুরুষসহ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, জামায়াত ইসলামী সরকার গঠনের দায়িত্ব পেলে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে। ঘুষ ছাড়া সরকারি সকল সেবা পাবেন। সেবার জন্য আমার কাছে যেতে হবেনা। ন্যায্য অধিকার ও সেবা নিয়ে আপনাদের কাছে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন । তখন আমার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি। এবারও আপনাদের মূল্যবান ভোট দিলে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন হবে। সেই রাষ্ট্রে সব শ্রেণি পেশার লোকজনের অধিকার নিশ্চিত হবে।
এইদিন গণসংযোগে সাধারণ মানুষ দাঁড়িপাল্লাকে সমর্থন জানিয়ে অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়াকে স্বাগত জানান এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতিকে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করেন।
এসময় সংসদ সদস্য প্রার্থীর সফরসঙ্গী ছিলেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আফছার উদ্দিন মিয়াজি, চাঁদপুর পৌর ১০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর গোলাম মাওলা, ১২নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের নেতা আমিন বেপারী, শিক্ষক নেতা হাসান আলী খান, ১০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত নেতা মারুফ পাটোয়ারি, সাইফুল ঢালী, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত নেতা আব্দুর রসিদ খান, মাসুদ, ১৩ নম্বর ও ১৪ নম্বর রাজরাজেস্বর ইউনিয়ন তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম, রাজরাজেস্বর ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রধানিয়া, সেক্রেটারি বাকী বিল্লাহ, অর্থ সম্পাদক আব্দুল করিম প্রধানীয়া, ইউনিয়নের জামায়াত নেতা আবু বকর সিদ্দিক, রুহুল আমিন, খোরশেদ আলম ঢালীসহ নেতাকর্মীরা।
এসএম
অন্যান্য
বাউল আবুল সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাইলো হেফাজতে ইসলাম
আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে বাউল আবুল সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে সংগঠনটির নেতারা এই দাবি জানান।
সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরী শাখার নেতা ফজলুর রহমান, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শফিউল ইসলাম এবং মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
নেতাদের অভিযোগ, দেশে বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ, রাসুল এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করা হলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না। তারা বলেন, যারা এসব ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে, তাদেরই সমালোচনা করা হয়। সংগঠনের নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হওয়ায় ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য সহ্য করা হবে না।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে নেতারা আবুল সরকারের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘ধর্মীয় সংবেদনশীলতা ক্ষুণ্ণকারী’ বলে উল্লেখ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা বুদ্ধিজীবী মহলের প্রতিক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
অন্যান্য
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হাবিব মিজির পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী শাহজাহান মিয়া
চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের তেতুলতলার পূর্বপাশে আগুনে পুড়ে যাওয়া হাবিব মিজির পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারিও চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী এডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ডেউটিন নিয়ে ছুটে যান জামায়াত নেতৃবৃন্দ। পুনর্বাসন পুরো প্রক্রিয়ায় আরো সহযোগিতার আশ্বাস দেন জামায়াতের এমপি প্রার্থী।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর সদর উপজেলা আমীর মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী। এছাড়াও আরও ছিলেন- তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি কামাল হোসেন সরদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলমগীর বন্দুকশী, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইমরান খান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী, স্থানীয় নেতা-কর্মী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গত রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে লাকরীর চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই মো. হাবিব মিজির একমাত্র বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক মানবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহস যোগানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেকোনো সহায়তায় পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন। স্থানীয়রা তাদের এ মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
অর্থসংবাদ/তাহের/এসএম
অন্যান্য
রাজধানীতে ভূমিকম্পে নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে জামায়াতে ইসলামী
রাজধানীতে ভূমিকম্পে নিহত ও আহদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে শনিবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর বংশালে যান। এসময় নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করার পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা করেন। নিহত ও আহতদের প্রতি সহমর্মিতা ও সমবেদনা জ্ঞাপন করে ক্ষতিগ্রস্তদের যেকোন প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বংশাল দক্ষিণ থানা আমীর মাহবুবুল আলম ভূঁইয়াসহ মহানগরী ও চকবাজার-বংশাল জোনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব নেতৃবৃন্দ।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কেবলমাত্র একটি গতানুগতিক রাজনৈতিক দল নয় বরং জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক ও মানবিক সংগঠন। জামায়াতে ইসলামী যেকোন দুর্যোগ-দুর্দিনে সবার আগে, সবখানে ছুঁটে যায়। মানুষের প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামীর সকল কর্মসূচি।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়ার পরও সরকার কোনো পদক্ষেপ বা প্রস্তুতি গ্রহন না করার কারণে সারাদেশে ৬ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জন হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের পদক্ষেপ না থাকার অন্যতম কারণ অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো সাময়িক সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছে। এই সরকারের সব বিষয়ে কাজ করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু অতীতে যখন যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দুর্যোগকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহনের কোনো ব্যবস্থা বা আয়োজন করেনি, রেখে যায়নি। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা সুযোগ পেলে জান ও মাল রক্ষায় আধুনিক ও উন্নত সকল প্রযুক্তিগত সুবিধার ব্যবস্থা করবে। আপদকালীন সময়ে প্রতিটি মানুষের পাশে রাষ্ট্র ছায়া হয়ে দাঁড়াবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ভূমিকম্পসহ আরও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
এদিকে ভূমিকম্পে নিহত-আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এক যৌথ বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ ও দোয়া কামনা করেন। নেতৃবৃন্দ নিহদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।



