অর্থনীতি
ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে সোনা। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনায় বাড়ানো হয়েছে চার হাজার ৬১৮ টাকা। ফলে এখন এক ভরি সোনা কিনতে গুনতে হবে দুই লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর সোনার দাম বাড়ানো হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় দুই লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে সেই রেকর্ড ভেঙে গেলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৪ হাজার ৬১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৪ হাজার ৪০৯ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৬৭৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৩ হাজার ২১৯ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৬ হাজার ৯০৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৬ হাজার ৫৯০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৪ টাকা।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৫ হাজার ৬৫৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৪ হাজার ৮২৯ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪২ হাজার ৩০১ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এ দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানোর পাশাপাশি রূপার দামও বাড়ানো রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার দাম ১ হাজার ২২৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৩ টাকা বাড়িয়ে ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম ৭৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থনীতি
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৩ টাকা। এ ছাড়া প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত আগস্টে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে সরকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ব্যবসায়ীরা ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের মাত্র এক টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। এতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হন এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তখন দাম জানায়নি তারা।
জানা গেছে, নতুন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিনের দাম ৩ টাকা বাড়িয়ে ১৭৭ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।
কাফি
অর্থনীতি
একীভূত পাঁচ ব্যাংকে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকবে: অর্থ মন্ত্রণালয়

পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১২ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত’ করার প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে মর্মে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করেনি। ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর গুজবের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
অর্থনীতি
সঞ্চয়পত্র থেকে সরে আসতে চায় সরকার

সঞ্চয়পত্র নিয়ে এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আগামী বছর আরও সুদহার কমানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বিনিয়োগকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট।
তারা বলছেন, ব্যাংকের অনিশ্চয়তা থাকলেও সঞ্চয়পত্র সরকারি হওয়ায় কিছুটা ভরসা ছিল। এখন সেটিও সংকুচিত হলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বহু মানুষ।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে যাপিত জীবনে অনেক পরিবারের ভরসা হলো সঞ্চয়পত্র। অপরদিকে, বাজেট ঘাটতি মিটিয়ে উন্নয়ন অর্থায়নে সরকারেরও আস্থা সঞ্চয়পত্রে। উচ্চসুদে বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার একদিকে যেমন সচল রাখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, তেমনি বড় এক জনগোষ্ঠীকে দেয় আর্থিক নিরাপত্তা।
তবে এই নিরাপদ এই মাধ্যমটি ধীরে ধীরে নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত জুন থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে সর্বোচ্চ ১১.৯৮ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৯.৭২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, মানুষ যেন ট্রেজারি বন্ড বা বিলে বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকে, সে দিকেই সরকার ভাবছে এবং সে অনুযায়ী কাজও করছে।
এদিকে উচ্চ সুদে নেওয়া সরকারের ঋণের চাপ কমাতে সুদহার কমানোর পক্ষে মত দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও।
অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, যেহেতু এখন মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কে নেমেছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানো উচিত। তা না হলে সরকার ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মন্দা বিনিয়োগের কারণে কর্মসংস্থান ও আয়সংক্রান্ত সুযোগ ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। এই বাস্তবতা সামনে রেখে নির্ভরযোগ্য অবসর জীবনে থাকা ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম তৈরি করা জরুরি।
গত অর্থবছরের হিসাব বলছে, সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি হয়েছে ঋণাত্মক—প্রায় ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সরকারের যতো টাকা বিক্রি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ হয়েছে পূর্ববর্তী সঞ্চয়পত্রের সুদ ও আসল পরিশোধে।
এবিষয়ে বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, যারা দীর্ঘদিন সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করতেন, তাদের বলা উচিত—বিকল্প বিনিয়োগ উৎসের কথাও ভাবতে হবে। কারণ সঞ্চয়পত্রে এককভাবে ভরসা করাটা এখন আর বাস্তবসম্মত নয়।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও অনেক প্রশ্ন তুলছে।
অর্থনীতি
অক্টোবরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৯৯ কোটি ডলার

চলতি মাসের প্রথম ১১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রবিবার (১২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরিফ হোসেন খান বলেন, অক্টোবরের প্রথম ১১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৯৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
এছাড়া গত ১১ অক্টোবর একদিনে প্রবাসীরা দেশে ১৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৮৫৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।
অর্থনীতি
জরুরি ভিত্তিতে ৪ লাখ টন চাল আমদানি করছে সরকার

নিরাপদ খাদ্য মজুত ধরে রাখা, খোলাবাজারে (ওএমএস) সরবরাহ সচল রাখা এবং চালের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার জরুরি ভিত্তিতে ৪ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ডিসেম্বরের আগে নতুন ধান ওঠার সম্ভাবনা না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান টিবিএসকে জানিয়েছেন, সরকারের লক্ষ্য হলো ১৩.৫০ লাখ টন চালের মজুতকে নিরাপদ হিসেবে ধরে রাখা। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত দেশে নতুন ধান ওঠার সুযোগ নেই। সার্বিক পরিস্থিতিতে যাতে দেশের মানুষ কষ্টের সম্মুখীন না হয়, সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে চাল আমদানি করা হচ্ছে।”
জরুরি আমদানির জন্য সরকার দরপত্র প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে নিয়ম শিথিল করেছে। সাধারণত আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দর দাখিলের জন্য ৪২ দিন সময় দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও, অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি সেই সময়সীমা কমিয়ে মাত্র ১৫ দিন নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
৪ লাখ টন আমদানির উদ্যোগের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির দরপত্র চূড়ান্ত হয়েছে। ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি টন চাল ৩৫৯.৭৭ ডলারে সরবরাহ করবে।
বাকি চাল নভেম্বরের মধ্যে আমদানি সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে।
চাল আমদানি করা হলেও, সরকার বর্তমানে নিরাপদ মজুত ধরে রাখতে ওএমএসে চালের বিতরণ প্রায় ৫০ হাজার টন কমিয়ে দিয়েছে। যদিও আটার বিতরণ বাড়ানো হয়েছে, তবুও দেশের মানুষ চাল বা ভাত বেশি পছন্দ করায় ওএমএস-এর দোকানে ভিড় বাড়ছে এবং অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফিরছেন।
খাদ্য সচিব জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নতুন করে ৫ লাখ পরিবার যুক্ত হওয়া, টিসিবির কার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ৪৯৫ উপজেলায় ওএমএস চালু হওয়ায় চালের সরবরাহ বাড়াতে হচ্ছে। এছাড়া জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে দাম বাড়ার প্রবণতা থাকায় বাজার স্থিতিশীল রাখাও একটি লক্ষ্য।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। মোটা চাল এখন ৫৫-৬০ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৬০-৭০ টাকা এবং সরু চাল ৭২-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।৮ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের খাদ্য মজুতের পরিমাণ: চাল ১৫,৬৬,২৮৩ টন। গম ৬০,২০৪ টন। ধান ৬,০৮৩ টন। মোট খাদ্য (চালে রূপান্তরিত) ১৬,৩০,৪৬৬ টন।
উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট মজুতের পরিমাণ ছিল ২২ লাখ ৪ হাজার ৪৭৮ টন। অর্থাৎ, মাত্র ৫০ দিনের ব্যবধানে সরকারের খাদ্য মজুত ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭ টন কমেছে। চলতি অর্থবছরে সরকার মোট ৯ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে।