রাজনীতি
জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে এক বছরেই দেশ ঘুরে দাঁড়াবে: ড. হেলাল উদ্দিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে এক বছরেই দেশ ঘুরে দাঁড়াবে। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ দমনের মাধ্যমে দেশেকে সমৃদ্ধশালী করে তোলা হবে। আমীরে জামায়াত ইতোমধ্যে জাতির সামনে ঘোষণা দিয়েছেন জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে সরকার গঠনের সুযোগ দিলে জামায়াতের দলীয় কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি নেবে না, কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী সরকারি প্লট বা ফ্ল্যাট নেবে না, কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী নিজ হাতে রাষ্ট্রীয় টাকা চালাচালি করবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যেই বরাদ্দ দেওয়া হবে কাজ শেষে বরাদ্দকৃত টাকার হিসাব জনগণের সামনে তুলে ধরবে। জনগণের হিসাব জনগণ বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী জবাবদিহি মূলক সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জবাবদিহি মূলক সরকার কখনো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে না। জামায়াতে ইসলামী বৈষ্যম্যহীন সুখি-সমৃদ্ধ একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার রমনা থানার আলেমেদ্বীন, মসজিদের খতিব ও ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকা থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত করে এই এলাকাকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয়দের ঐক্যবদ্ধ করতে আলেমসমাজের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। আলেমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলে আলেমগণ কুরআন ও হাদীসের কথা বলতে পারেনি। তাদের কন্ঠরোধ করা হয়েছে। জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার মাধ্যমে আল্লাহ ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে কথা বলার স্বাধীনতা ও পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। কিন্তু একটি দল সেই স্বাধীনতা ও পরিবেশ নষ্ট করছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী ঐ দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের ভূমিকা আর্বিভূত হয়েছে। তারা আলেমদের কন্ঠরোধ করতে চায়, আলেমদের মসজিদ থেকে বের করে দিতে চায়। এরা ক্ষমতায় বসলে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিত সৃষ্টি করবে।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই সনদ মানুষের মুক্তির সনদ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সনদ। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিকল্প নেই। পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি হচ্ছে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন করার উত্তম পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ভোট হলে লাখ-লাখ ভোট পঁচে চাওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিটি ভোটের যথাযথ হিসাব হবে। যেখানে চলমান পদ্ধতিতে একজন প্রার্থী ১ লাখ ভোট পেলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী যদি ১ লাখ ১ ভোট পায়। তাহলে মাত্র ১ ভোট বেশি পাওয়া প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অপর দিকে ১ লাখ ভোটারের মতামতের কোনো মূল্যায়ন হয় না। ঐ ১ লাখ ভোট বাতিল হয়ে যায়। এই ব্যবস্থায় কখনো জনগণের সরকার গঠিত হয়নি, হতে পারে না। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমেই জনগণের সরকার গঠিত হয়, হওয়া সম্ভব। তাই জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব রেখে গণভোটের আয়োজনের দাবি জানান ড. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, গণভোটে জনগণ যেই রায় দিবে জামায়াতে ইসলামী সেই রায় মেনে নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’, এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ করা না হলে আবারও ফ্যাসিবাদে উত্থান ঘটবে। জামায়াতে ইসলামীর উত্থাপিত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে বলে জাতি বিশ্বাস করে। ঐ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইনসাফ ও ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় সমর্থন দিতে তিনি ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রমনা থানা আমীর মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মতিঝিল মিসবাহুল উমুল কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ওলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক ও ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সাত্তার সুমন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরচুন মার্কেট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সোহায়ল জামিল, হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান, মুসলিম উদ্দিন মাদরাসার পরিচালক মুফতি আবু সুফিয়ান সিরাজী, সবজি বাগান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
রাজনীতি
নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি
নতুন একটি রাজনৈতিক জোট আসছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
দেশবাসী একটি নতুন অ্যালায়েন্স দেখতে পাবে জানিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই বিএনপি-জামায়াতের বাইরে গিয়ে নতুন আরেকটি জোট দেখবে দেশের মানুষ। যারা কাজ করবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ, চাঁদাবাজবিরোধী এই জোট প্রার্থী দেবে ৩০০ আসনে।
তিনি বলেন, যারা সংস্কারের পক্ষে, নারীদের পক্ষে, আলেম-ওলামাদের পক্ষে, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে।
এ সময় দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টিকে ব্যবহার করে ভারত ও আওয়ামী লীগ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ ও দেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ভারত এবং আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক যে শক্তিগুলো ছিল, তারা জাতীয় পার্টির মাধ্যমেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে।
এমকে
রাজনীতি
‘খোদাদ্রোহীদের বয়কট করুন’-এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত ইফতির মন্তব্য
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নীতি ও রাজনৈতিক আদর্শবিরোধী অবস্থান নেয়ার অভিযোগে ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স দক্ষিণ কোরিয়ার প্রচার সচিব ফাইয়াজ ইফতিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ইফতি। তিনি বলেছেন, ‘যাদের কাছে বাউলের সম্মান বেশি, এমন খোদাদ্রোহীদের বয়কট করুন।’
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, আমি ফাইয়াজ ইফতি ফেসবুকে কি পোস্ট দেই না দেই সেটা কোনো ফ্যাক্ট না সেটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। যারা ভালো কাজ করে আমি সবাইকে নিয়ে পোস্ট দেই।যেমন জামায়াত ভালো কাজ করলে তাদের নিয়েও পোস্ট দেই,খারাপ কাজ করলে তাদের নিয়ে সমালোচনাও করি।
সো আমাকে জামায়াত শিবির ট্যাগিং করার কোনো দরকার নেই।বিএনপির ক্ষেত্ররেও সেইম, বিএনপি ভালো কাজ করলে সেটাও তুলে ধরি। প্রয়োজন হলে আমার প্রোফাইলটা ঘুরে দেখতে পারেন..
তিনি লেখেন, আমি একটা নতুন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেই দল থেকে আমাকে রাতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কেননা সেই দল আমার আল্লাহ তায়ালা কে নিয়ে কটূক্তি করা ব্যক্তির পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে এবং আমি সেটার প্রতিবাদ জানিয়েছি এই অপরাধে। এখন আবার অনেকে বলছে আমি জামায়াত নিয়ে পোষ্ট করায় আমাকে বহিষ্কার করেছে। আমি এই জামায়াতসহ অন্যান্য দল নিয়ে পোস্ট দেই অনেক আগে থেকেই কই তখন বহিষ্কার কই ছিলো? এখন কেনো বহিষ্কার করার খায়েশ জাগলো..
তিনি আরও লেখেন, কানে আসা কিছু তথ্য মোতাবেক জানা যাচ্ছে গতকাল সন্ধ্যায় জায়মা রহমানকে ইন্ডিকেট করে নারী নেতৃত্ব আর চাই না একটা মন্তব্য করা হয়েছিল আমার আইডি থেকে এটা বলার কারণে যদি অব্যাহতি হয়, তাহলে নাসির পাটোয়ারী তো খোদ তারেক রহমানকে নিয়ে কত বাজে কথা বলে সেটা নিয়ে তো কোনো সমস্যা হয় না। তাছাড়া হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই নিজেই বলছেন, ‘মত প্রকাশের সাথে দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে।’ যাই হোক, বাউল নিয়ে পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর নোটিশ দিলে মানুষ দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাবেই।
বহিষ্কার আদেশ পেয়ে আনন্দিত জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, সর্বশেষ আমার কাছে সবার আগে আমার ধর্ম ইসলাম,আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসূল। আমি আমার আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসূল এর জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে রাজি। এই দল এই পদ আমার প্রয়োজন নাই।আমি এই বহিষ্কার পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই বহিষ্কার আদেশ পাওয়ার সাথে সাথেই ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়েছি। আমার আল্লাহ এবং তার রাসূল কে নিয়ে কেউ কটূক্তি করবে এবং সেটার পক্ষে কেউ বিবৃতি দেবে এটা আমি ফাইয়াজ ইফতি মেনে নেব না। আল্লাহ তাআলা কে নিয়ে কটূক্তি করা ব্যক্তির পক্ষে যেইদল বিবৃতি দেয়। আমি তাদের সাথে নেই। গুড বাই।
পোস্টের শেষাংশে তিনি লেখেন, সেই নতুন দলকে কোনোকিছুর বিনিময়ে নয় জাস্ট ভালোবেসে অনেক প্রমোট করেছি আর নয়। আল্লাহ তায়ালা কে নিয়ে কটূক্তি করা ব্যক্তির পক্ষে যারা বিবৃতি দেয় এদের ধ্বংস অনিবার্য। আমার আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসূল এর প্রশ্নে নো কম্প্রোমাইজ, নো মার্সি। যাদের কাছে আল্লাহ তায়ালার সম্মানের চেয়ে আল্লাহ তা”লা কে নিয়ে কটূক্তি করা বাউলের সম্মান বেশি এমন খোদাদ্রোহীদের বয়কট করুন।
এমকে
রাজনীতি
সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে, ঝামেলা ছাড়াই নির্বাচন হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাচ্ছে, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে, কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় জেলার বিভিন্ন স্তরের আইনজীবীরা অংশ নেন। তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-আদালতের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মো. মকদুম সাব্বির মৃদুল সহ সিনিয়র আইনজীবীরা।
রাজনীতি
এনসিপির নেতৃত্বে আসছে নতুন রাজনৈতিক জোট
শিগগিরই একটি নতুন রাজনৈতিক জোট আসছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী জানান, শিগগিরই একটি নতুন রাজনৈতিক জোট আসছে। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ, চাঁদাবাজবিরোধী এই জোট প্রার্থী দিবে ৩০০ আসনে।
তিনি জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই বিএনপি-জামায়াতের বাইরে গিয়ে নতুন আরেকটি জোট দেখবে দেশের মানুষ। যারা কাজ করবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে।
তিনি আরও বলেন, একটি নতুন অ্যালায়েন্স দেখতে পাবে দেশবাসী। যারা সংস্কারের পক্ষে, নারীদের পক্ষে, আলেম-ওলামাদের পক্ষে, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে।
এ সময় দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টিকে ব্যবহার করে ভারত ও আওয়ামীলীগ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ ও দেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে।
তিনি বলেন, ভারত এবং আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক যে শক্তিগুলো ছিল তারা জাতীয় পার্টির মাধ্যমেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ ও দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রশাসনকে ভাগ বাটোয়ারার চিন্তা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানান এনসিপি নেতারা।
এর আগে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে দুদিনব্যাপী মতবিনিময় করা হয়। এরপর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রাজনীতি
খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় কৃষ্ণ নন্দী
খুলনায় রাজনীতির মাঠে এখন আলোচিত নাম কৃষ্ণ নন্দী। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর তিনি আলোচনার তুঙ্গে। জামায়াতের বিভিন্ন সভা সমাবেশে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে ভোট চেয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে এলাকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চলছে। তবে এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কোনো নেতা বার্তা না দিলেও প্রার্থিতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কৃষ্ণ নন্দী।
খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার নির্বাচন করছেন। হিন্দু অধ্যুষিত এ আসনটি থেকে তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। আগামী সংসদ নির্বাচনেও তিনি এ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। অতীতের মতো এবারেও বিপুলসংখ্যক হিন্দু নারী-পুরুষ গোলাম পরওয়ারের নির্বাচনি সভা সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। ডুমুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীও এসব সভা সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করছেন। তবে গত কয়েক দিন ধরেই খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের পক্ষ থেকে তাকে প্রার্থী করা হচ্ছে-এমন কথা শোনা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।
তাকে সত্যিই এ আসন থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে জামায়াতের স্থানীয় কোনো নেতাই কিছু বলতে পারেননি। তবে কৃষ্ণ নন্দী জানিয়েছেন, তিনি খুলনা-১ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলের গ্রিন সিগন্যাল তিনি পেয়েছেন। তাকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের হাইকমান্ড। খুলনা জামায়াতের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেন জানা যায়, খুলনা-১ হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় আসনটিতে হিন্দু প্রার্থী দেওয়ার প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা চলছে। এছাড়াও খুলনা-১ আসনে বিএনপি এখনো পর্যন্ত কোনো প্রার্থী দেয়নি।
স্থানীয় মানুষের ধারণা বিএনপি আসনটিকে সম্ভাব্য জোটের প্রার্থীদের জন্য ছাড় দেবে। ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ আসনে জামায়াতে ইসলামী হিন্দু প্রার্থী দিলে আসনটিতে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখানে হিন্দু কোনো যোগ্য প্রার্থী জামায়াত ঘেঁষা না হওয়ায় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে তাকে দাকোপ-বটিয়াঘাটায় নির্বাচন করানো হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুলনার ৬টি আসনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা-১ আসনে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ। নতুন করে কোনো আসনে কাউকে প্রার্থী করা হচ্ছে-এমনটি আমার জানা নেই। কেন্দ্র থেকে এ ধরনের কোনো বার্তাও আমাদের কাছে আসেনি। ফলে নতুন করে কাউকে প্রার্থী করা হচ্ছে সেটি বলতে পারছি না।
কৃষ্ণ নন্দী একজন ব্যবসায়ী। ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাণিজ্যিক এলাকায় তার বাড়ি। এখানে তারা একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। একই সঙ্গে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে নির্বাচনি কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সম্প্রতি এক সভায় কৃষ্ণ নন্দী বলেছেন, ‘আমি ২০০৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গেল আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম।’



