রাজনীতি
দুই দিনের কর্মসূচি নিয়ে নতুন বার্তা দিলো জামায়াত

পাঁচ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে আগামী শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গণমিছিল এবং রোববার (১২ অক্টোবর) সব জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেবে দলটি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, আমরা বরাবরই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার যদি জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ৫ দফা গণদাবি উপেক্ষা করে এবং তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে- তাহলে জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও জোরদার করতে বাধ্য হবে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, দ্বিতীয় দফায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১০ অক্টোবর রাজধানী ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর সকল জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হবে। দুই কর্মসূচি ব্যাপকভাবে সফল করে জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫-দফা গণদাবি বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রবাস
বিএনপি চীন শাখার বনভোজন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বৃহত্তর চীন শাখার উদ্যেগে সংগঠনটির সাংগঠনিক বন্ধন সুদৃঢ় এবং কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এক সফল ও আনন্দময় বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী বনভোজনটি চীনের হুইঝু শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আয়োজিত হয়। এই দুই দিনের অনুষ্ঠান ঐক্য ও উদ্যমের মধ্য দিয়ে চায়নায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করলো।
এই মনোরম সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চায়না বিএনপির নেতা সাখাওয়াত হোসেন কানন, শেখ মাহবুবুর রশীদ, ওয়ালী উল্লাহ, এস এম আল-আমিন, হাসমত আলী মৃধা জেমস, সালাউদ্দিন রিক্তা, মনোয়ার বায়েজীদ, মো. রোমান, জসিম উদ্দিন, খোরশেদ আলম অপু, রাসেল আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও, চায়না বিএনপির নেতা আসিফ হক রুপু ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হন।
প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যবর্তী এই দুই দিন ছিল সম্প্রীতি, আলোচনা ও পরিকল্পনায় পরিপূর্ণ। নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে দলীয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার পথ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতেও এমন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা প্রবাসে দলীয় কাঠামো ও কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করতে বদ্ধপরিকর।
এই অনুষ্ঠানে দেশটিতে বসবাসরত শতাধিকেরও বেশি বাংলাদেশি এবং বিএনপি ও এর অংঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
রাজনীতি
জুলাই সনদের ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারিতে হবে জাতীয় নির্বাচন: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পল্টন থানার উদ্যোগে ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ অভিযান পূর্বক বক্স কালভার্ট রোডে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোটের আয়োজনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ জুলাই সনদের পক্ষে ভোট দিলে সনদ বাস্তবায়ন হবে, বিপক্ষে ভোট দিলে জামায়াতে ইসলামীর কোনো আপত্তি থাকবে না। কারণ জামায়াতে ইসলামীর সকল আন্দোলন সংগ্রাম জনগণের জন্য, জনগণের যেকোনো মতামত জামায়াতে ইসলামী মেনে নেয় এবং নিবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’, এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ করার ৫ দফা দাবি জামায়াতে ইসলামীর একক দাবি নয়, পুরো জাতি ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন চায়। ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া সম্ভব। জাতি এমন একটি নির্বাচনের জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইনসাফ ও ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় সমর্থন দিতে তিনি ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও কয়েকশ জনশক্তি উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নেতৃবৃন্দ ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান মালিক-কর্মচারী এবং পথচারীদের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর লিফলেট বিতরণ করেন।
এর আগে শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যা দিবস উপলক্ষে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোগে “ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, পানির আগ্রাসন ও সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে” – জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আবরার ফাহাদের হত্যাকারীরা চতুষ্পদ প্রাণীর চেয়েও নিকৃষ্ট।
হত্যাকারীরা যখন আবরার ফাহাদের পুরো শরীর পিটিয়ে পিটিয়ে থেঁতলে দেয় তখন পিপাসায় কাতর আবরার ফাহাদ মৃত্যুর আগে একটু পানি খেতে চাইলে মানুষরূপী ঐ চতুষ্পদ প্রাণীরা তাকে পানির পরিবর্তে প্রস্রাব খেতে দিয়েছিল! আবরার ফাহাদের অপরাধ কী ছিল প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা লালিত নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের দৃষ্টিতে আবরার ফাহাদের অপরাধ ছিল সে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদেরকে নামাজের দিকে আহ্বান করতো।
একারণে হত্যাকারী ছাত্রলীগের নেতারা আবরার ফাহাদকে শিবির উপাধি দিয়ে হত্যা করে। শুধু আবরার ফাহাদকেই নয় বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারাদেশে অসংখ্যা মায়ের বুক খালি করেছে। অসংখ্যা বোনকে বিধবা বানিয়েছে। যারাই তাদের মতের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদেরকেই খুন, গুমের শিকার হতে হয়েছে। পুরো বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ জাহান্নামে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মতদ ছিল আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি হতাশ হয়েছে আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী। খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করেছে। খুনি হাসিনা সেখানে বসে ভারতীয় সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশে আওয়ামী দোসরদের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তিনি দেশবাসীকে আধিপত্যবাদের সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জানান।
আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ঐক্য জোটের প্রধান সমন্বয়কারী আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হুসাইন মোল্লা এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, মুভমেন্ট ফর প্যালস্টাইন বাংলাদেশ’র চিফ কো-অর্ডিনেটর হারুনুর রশিদ খান, বাংলাদেশ নেজামে পার্টির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল হক, জুলাই যোদ্ধা নজরুল ইসলাম মজুমদার ও আল আমিন রাসেল। এছাড়াও মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
রাজনীতি
দল হিসেবে আ.লীগের বিচারে তদন্ত শুরু, কর্মকর্তা নিয়োগ

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ‘রাজনৈতিক দল’ হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এরই অংশ হিসেবে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি। এটি পুরোদমে শুরু হলে বিষয়টি কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, তা তখনই বলা সম্ভব হবে।
এর আগে, গত বছরের ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ জমা দেন এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে দায়ী।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘রাজনৈতিক দল’ হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেন চিফ প্রসিকিউটর।
রাজনীতি
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জবাবদিহিতার রাজনীতি গড়তে চাই: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভবিষ্যতের বিএনপি হবে গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো একটি জবাবদিহিতামূলক রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য—জনগণ, দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব। অতীতের ভালো কাজগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বুনিয়াদ গড়তে চাই।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমরা গর্ব করি যে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা—এই দুটো ক্ষেত্রই বিএনপির শাসনামলেই শুরু হয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। এমনকি সেই সময় বাংলাদেশ বিদেশে খাদ্য রপ্তানিও করেছিল।
তিনি বলেন, যখন দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব দল নিষিদ্ধ ছিল, তখন বিএনপির হাত ধরেই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরেছিল। সেই ইতিহাস আমাদের অনুপ্রেরণা।
রাজনীতিতে জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, অভিযোগ থাকতেই পারে। অভিযোগকে আমরা বিবেচনায় রাখব। তবে সুযোগ পেলে প্রমাণ করব, জবাবদিহিতা কেমন হওয়া উচিত। এটা একদিনে সম্ভব নয়, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ গঠনের কাজে শুধু রাজনীতিক নয়, নাগরিকরাও অংশীদার। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে।
প্রবাসজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৭ বছর আমি বিদেশে আছি। পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া এই দূরত্ব থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব হতো না। আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তাদের সহায়তা না থাকলে এই কঠিন কাজ আরও কঠিন হতো।
তারেক রহমান আরও বলেন, নানা বাধা-বিপত্তি, দমন-পীড়নের মধ্যেও যারা দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন, রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন, জনগণের দাবির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন—আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। যুক্তরাজ্যে থেকে ভালো যা কিছু দেখেছি বা শিখেছি, সুযোগ পেলে সেই অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে চাই।
রাজনীতি
সময় চলে এসেছে, দ্রুতই দেশে ফিরে আসবো: তারেক রহমান

দীর্ঘ দুই দশক পর গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সাক্ষাৎকারে তিনি দেশে ফেরাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও বিবিসি বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান দ্রতই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
কেন আপনি এখনো দেশে ফেরেননি- সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু সংগত কারণে হয়ত ফেরাটা হয়ে উঠেনি এখনো। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়। ইনশআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।’
সেটা কবে জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দ্রুতই মনে হয়। দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।’
নির্বাচনের আগে আপনি দেশে আসবেন এমন সম্ভাবনা বলা যায়? জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে জনগণের সাথে জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ।’
দেশে আসার বিষয়ে নিরাপত্তার শঙ্কার কথা বলছেন কেউ কেউ। আপনি কি কোনো ধরনের শঙ্কা বোধ করেছেন এর মধ্যে– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রকম শঙ্কার কথা তো আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তো শুনেছি। সরকারেরও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকেও তো অনেক সময় অনেক শঙ্কার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে, বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।’
সাক্ষাৎকারের শুরুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সময় তো স্বাভাবিকভাবে ব্যস্তই যাচ্ছে। ফিজিক্যালি হয়ত আমি এই দেশে আছি, বাট মন-মানসিকতা সবকিছু মিলিয়ে তো আমি গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই রয়ে গিয়েছি।’
গণমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা না বলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘ব্যাপারটা বোধ হয় এরকম না, ব্যাপারটা বোধ হয় একটু ভিন্ন। আসলে আমি কথা ঠিকই বলেছি। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর এখানে আছি এই দেশে, প্রবাস জীবনে, তবে আমার উপরে যখন দলের দায়িত্ব এসে পড়েছে তারপর থেকে আমি গ্রামে-গঞ্জে আমার নেতাকর্মীসহ তাদের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষ যখন যেভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আমি সকলের সাথে কথা বলেছি।’
‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কোর্ট থেকে রীতিমতো একটা আদেশ দিয়ে আমার কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যদি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইতাম, হয়ত গণমাধ্যমের ইচ্ছা ছিল ছাপানোর, গণমাধ্যম সেটি ছাপাতে পারত না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি একবার প্রেস ক্লাবে কথা বলেছিলাম। পরের দিন দেখলাম যে তখনকার প্রেস ক্লাবের যারা সদস্য ছিলেন বা কমিটি ছিল, তারা একটি মিটিং ডেকে একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা তখন আমাকে আইনের দৃষ্টিতে ফেরারি বলা হয়েছিল যে, সেরকম কোনো ব্যক্তিকে তারা প্রেস ক্লাবে কথা বলতে দেবে না। এভাবে তারা চেষ্টা করেছিল আমার কথা বন্ধ করে রাখতে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলেছি, সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায় আমি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, আমি ইনশাআল্লাহ পৌঁছেছি মানুষের কাছে। কাজেই গণমাধ্যমে যে কথা বলিনি তা না। আমি কথা বলেছি হয়ত আপনারা তখন কথা নিতে পারেননি অথবা শুনতে পারেননি। ইচ্ছা থাকলেও ছাপাতে পারেননি, হয়ত প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু আমি বলেছি, আমি থেমে থাকিনি।’