স্বাস্থ্য
দেশে ডেঙ্গুতে সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়ালো
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাজনিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২১৫ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮২ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে ৫০ হাজার ৬৮৯ জন। এদের মধ্যে ৪৮ হাজার ১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারি মাসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ ছিল মৃত্যুহীন। এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩ জনের মৃত্যু হলেও বাড়তে থাকে জুন মাস থেকে। জুনে ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়। জুলাইয়ে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪১ জনে আর আগস্টে মৃত্যু ছিল ৩৯ জনের। আর চলতি অক্টোরে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য
প্যানিক অ্যাটাকের সময় যা করবেন
যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে প্যানিক অ্যাটাক। সদ্য টিনএজে পা রাখা কিশোর–কিশোরী থেকে বৃদ্ধ, যে কেউ হতে পারে এর শিকার। প্যানিক অ্যাটাক বিরল কোনো অবস্থা নয়। কিন্তু নিয়মিত এই ঘটনাই হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী।
কেউ আবার প্যানিক অ্যাটাককে ‘পাগল’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন প্যানিক অ্যাটাক হওয়া মানে পাগল হয়ে যাওয়া বা মানসিক কোনো সমস্যা নয়। এটি মনের ভেতরের নির্দিষ্ট কোনো আবেগজনিত সমস্যার জন্য হতেই পারে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে শরীরের সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম অত্যধিক সক্রিয় হয়ে যায়। সাধারণত প্যানিক অ্যাটাকের স্থায়িত্ব হয় ১০ মিনিট। এরপর শারীরিক প্রতিক্রিয়া কমতে থাকে।
চিকিৎসকরা জানান, প্যানিক অ্যাটাককে ভয়াবহ মনে হলেও শরীরের ক্ষতি হয় না। তবে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হলে খুব দ্রুত তা থামানোর চেষ্টা করতে হবে। হঠাৎ প্যানিক অ্যাটাক হলে তা থামানার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এগুলো-
* প্রথমেই নিজেকে শান্ত করতে জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন। এতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
* যে মুহূর্তে এ ধরনের ভয় ধাওয়া করবে তখনই নিজের যে কাজটা সবচেয়ে ভালো লাগে সেটাই করা উচিত। হতে পারে সেটা গান গাওয়া বা স্রেফ টিভি দেখা ইত্যাদি।
* দিনে কিছু সময় নিয়মিত মেডিটেশন করুন। এতে উপকার পাবেন। সেই সঙ্গে মানসিক প্রশান্তির জন্য নিয়মিত যোগাসন করার অভ্যাস করতে পারেন।
* দুঃখজনক হলেও সত্যি দিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময় আমরা অকার্যকরী চিন্তা করে কাটাই। যা আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। তাই যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
* শরীর ও মনকে ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের শরীরচর্চা মানসিক স্ট্রেস অনেকটাই কমিয়ে আনে।
* যার সঙ্গে কথা বলে আরাম পান তার সঙ্গেই কথা বলুন। চারপাশে এমন কিছু মানুষ থাকেই যাদের কথা বলার কোনো মাপকাঠি থাকে না। ভালো না লাগলে তাদের এড়িয়ে চলুন।
* প্যানিক অ্যাটাক ঠেকাতে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। পায়ের পাতা মাটিতে চেপে রাখুন। এভাবে পাঁচ মিনিট বসে দীর্ঘ নিশ্বাস নিন। এ ছাড়া নিজেকে ভালো করে হাইড্রেটেড রেখেও অনেক সময় এই অবস্থার মোকাবিলা করা যায়।
স্বাস্থ্য
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে পালিত হলো বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস,২০২৫ উপলক্ষ্যে হেলথ টকস ও পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করেছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, সঠিক সময়ে শনাক্তকরণ, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোই ছিল আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং রোগীরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ডায়াবেটোলজি বিভাগের অ্যাটেন্ডিং কনসালটেন্ট ডা. এমরান উর রশিদ চৌধুরী, এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ডায়াবেটোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শায়লা কবির, এবং ডায়েটেটিকস অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের চিফ ডায়েটিশিয়ান আহাসফি মোহাম্মদ।
স্বাগত বক্তব্যে ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের ক্রমবর্ধমান হার নিঃসন্দেহে উদ্বেগের, তবে তার চেয়েও বেশি উদ্বেগের জনমনে প্রাথমিক সচেতনতার অভাব। ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হয় সঠিক শিক্ষা থেকে। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা মানুষকে সেই শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করতে চাই।
ডা. শায়লা কবির বলেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উন্নত চিকিৎসা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং আধুনিক থেরাপির ভূমিকা ব্যাপক। একইসাথে মানসিক ও শারীরিকভাবে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে পারলে রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে পারবেন।
ডা. এমরান উর রশীদ চৌধুরী বলেন, ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ, ঝুঁকি ও শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবাইকে জানতে হবে। ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার মূল ভিত্তি হল দ্রুত শনাক্তকরণ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ। রোগী সচেতন হলে এবং সময়মতো সঠিক সহায়তা পেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কিছুই নয়।
অনুষ্ঠানে পুষ্টিবিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন আহাসফি মোহাম্মদ। সেসময় তিনি বলেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পুষ্টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রোগীরা যখন তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতন হন, তখন তারা স্বাস্থ্যের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে পারেন। তাই শারীরিক পরিশ্রম, দুশ্চিন্তামুক্তির পাশাপাশি কি খাবেন আর কি খাওয়া যাবে না, সেসব বিষয়ে বাড়তি নজর দিতে হবে।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের এই আয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি, রোগীদের সম্পৃক্ততা ও দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস চিকিৎসায় হাসপাতালের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করেছে।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আজও প্রাণ গেলো ৬ জনের
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৭৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৩০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৬ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৪ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৭৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫৭০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮৭ হাজার ৭১২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে, বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সব জায়গায় প্রচার চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৩৯ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৬ জনে এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৮৪ হাজার ৯৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৮১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪১ জন, ঢাকা বিভাগে ২৪৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৮ জন, খুলনা বিভাগে ১১৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৬, রংপুর বিভাগে ৮ জন ও সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় যে পাঁচজনের মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজনের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজনের এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুজজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই সময়ে এক হাজার ১৯৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮১ হাজার ৪৪২ জন।
২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ গেলো ১০ জনের
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শত শত ডেঙ্গুরোগী। সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৬৯ জন ডেঙ্গুরোগী।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০২ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৭৪ হাজার ৯৯২ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ জন, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩ জন এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে একজন করে ২ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৫১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৫২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭১ হাজার ৪৮৭ জন।
২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।



