আন্তর্জাতিক
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে এশিয়ায়
এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে বেড়েছে। অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়ার পেছনে মূল প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান এলএসইজি। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে এলএসইজি জানায়, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ দৈনিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। গত বছরের একই সময় থেকে দৈনিক আমদানির এই পরিমাণ ৩ লাখ ব্যরেল বেশি।
তবে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়লেও গত এপ্রিলে আগের মাসের তুলনায় অঞ্চলটিতে জ্বালানি তেল আমদানি কমেছে। এ অঞ্চলের শীর্ষ আমদানিকারক দেশ চীনে আমদানির পরিমাণ বাড়লেও অন্যান্য দেশে কমেছে।
এলএসইজির অয়েল রিসার্চের সংকলিত তথ্য অনুসারে, গত মার্চে এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২ কোটি ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। এপ্রিলে তা কমে দিনপ্রতি ২ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল হয়েছে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানির পরিমাণ ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল ছিল বলেও জানিয়েছিল তারা।
এদিকে পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক জ্বালানি তেলের বাজারবিষয়ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা আগের বছর থেকে চলতি বছর দিনপ্রতি ২২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল বৃদ্ধি পাবে। আর এ চাহিদার ১২ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলই আসবে অর্থনৈতিক সহায়তা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) বহির্ভূত দেশগুলো থেকে।
প্রতিবেদনে ওপেক আরো জানায়, চলতি বছর বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানিকারক দেশ চীনে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে দিনপ্রতি ৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অফিশিয়াল কাস্টমস ডেটা এবং এলএসইজির অনুমান অনুয়ায়ী, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মোট ১ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে চীন, যা গত বছরের একই সময় থেকে ২ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল বেশি।
চীন ছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য দেশেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছিল ওপেক। তবে এপ্রিলে চীন ছাড়া অন্যান্য দেশে আমদানি কমানোয় এ সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে ওপেকসহ অন্য বিশ্লেষকরা পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এশিয়ার উত্তর অংশে গ্রীষ্মের মাসগুলোয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়তে পারে এবং চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে তা আরো প্রসারিত হতে পারে। চীনের অর্থনীতি বৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধারসহ মুদ্রাস্ফীতি থেকে বিভিন্ন দেশের উত্তরণের কারণে চাহিদা বৃদ্ধির এমন পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাগুলো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১২ সেকেন্ডের মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা চুরি
মাত্র ১২ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে দুই মার্কিন ভাই ইথেরিয়াম থেকে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছেন, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
অভিযুক্ত আন্তন পেরেয়ার-বুয়েনো (২৪) এবং জেমস পেরেয়ার-বুয়েনো (২৮)—দুই ভাই ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তারা ২০২৩ সালের এপ্রিলে অপারেশনটি করেছিলেন বলে জানা গেছে।
মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে, কথিত এই ক্রিপ্টো ডাকাতির ঘটনাটি এ ধরণের প্রথম ঘটনা। দুই ভাইদের বিরুদ্ধে ইলেক্ট্রনিক জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন, এই দুই ভাই লেনদেনের বৈধতার জন্য ইথেরিয়ামের প্রক্রিয়াকে কাজে লাগাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখা অত্যন্ত পরিশীলিত দক্ষতা ব্যবহার করেছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকোর মতে, অভিযুক্তরা কয়েক মাস ধরে একটি পরিশীলিত ও অত্যাধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে পরিকল্পনাটি তৈরি করেন। তারা ইথেরিয়ামের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চুরি করতে ‘দ্য এক্সপ্লয়েট’ নামের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
পাশাপাশি প্রতারণামূলকভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাওয়ার জন্য অমীমাংসিত ব্যক্তিগত লেনদেনে প্রবেশ করেন। প্রোগ্রামটি কার্যকর করতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় নেয়।
কর্মকর্তারা জানান, যখন ইথেরিয়ামের একজন প্রতিনিধি অভিযুক্তদের মুখোমুখি হন, তখন তারা চুরি হওয়া তহবিল ফেরত দিতে অস্বীকার করেন এবং পরিবর্তে সেটি পাচার ও লুকানোর পদক্ষেপ নেন।
এই মামলার প্রসিকিউটররা বলেছেন, এই প্রথমবারের মতো এমন প্রতারণার জন্য ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের প্রত্যেককে ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তিন দশকে গড় আয়ু বাড়বে পাঁচ বছর
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তিন দশকের মধ্যে মানুষের গড় আয়ু বাড়বে। তবে পাশাপাশি মোটা হওয়া, প্রেসারের মতো রোগও বাড়বে। গবেষণায় একদিকে যেমন গড় আয়ু বাড়ার বিষয়ে ভালো খবর দেয়া হয়েছে, তেমনই কয়েকটি রোগ বাড়বে এবং মানুষকে ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই রোগের মধ্যে অন্যতম হলো মোটা হওয়া বা মেদবহুল হওয়ার প্রবণতা এবং রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।
দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমান জীবনধারার সঙ্গে ভবিষ্যতের জীবনযাপনের অনেকটাই পরিবর্তন হবে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড অ্যাডিকশনের প্রধান গবেষক ও বৈজ্ঞানিক লিয়ানে ওং জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে আসক্তি ও মোটা হওয়ার প্রবণতা দুইই বাড়বে।
গবেষক দলের মতে, বিশ্বজুড়েই মানুষের আয়ু বাড়বে। পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ দশমিক এক থেকে ৭৬ দশমিক দুই হবে এবং মেয়েদের গড় আয়ু ৭৬ দশমিক দুই থেকে ৮০ দশমিক পাঁচ হবে। এখন যেসব দেশে মানুষের গড় আয়ু কম, সেখানে আয়ু সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
গবেষক সংস্থার ডিরেক্টর ক্রিস মারে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি আয়ের দেশ ও কম আয়ের দেশের মধ্যে বৈষম্য থাকবে, তবে ব্যবধান কমবে। সাব সাহারান-আফ্রিকায় মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি বাড়বে। গবেষকরা বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যে সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তার ফলেই আয়ু বাড়বে। কোভিড ১৯, সংক্রামক রোগ, মাতৃত্বকালীন রোগ, বাচ্চাদের রোগ, অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটানোর জন্য নেয়া উদ্য়োগের ফলে আগামী তিন দশকে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাবে।
গবেষকরা এটাও দেখেছেন, দুই হাজার সাল থেকে উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, মোটা হওয়ার প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বায়ুদূষণ, ধূমপান, বাচ্চার ওজন কম হওয়ার মতো বিষয়গুলোর প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে। মারে বলেছেন, এসব প্রবণতা ঠেকানোর একটা বড় সুযোগ আমাদের সামনে আসছে। বিশেষ করে ব্যবহারিক ও জীবনযাপন সংক্রান্ত সমস্যা শুধরে নেয়া যায়। তাহলে এসব রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতীয় দুই কোম্পানির মসলা নিষিদ্ধ করল নেপাল
ভারতের এমডিএইচ ও এভারেস্টের মসলা আমদানি, বিক্রি, ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নেপাল। নেপালের খাদ্যপ্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এমডিএইচ ও এভারেস্টের মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিনাল অক্সাইডের উপস্থিতি শনাক্তের খবর সামনে আসার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নিল নেপাল। খবর এনডিটিভির
নেপালের খাদ্যপ্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহার্জন বলেন, তার দেশে এমডিএইচ ও এভারেস্ট ব্র্যান্ডের মসলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই দুই ব্র্যান্ডের মসলায় ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়ার খবরের পর তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারা এক সপ্তাহ আগেই এই মসলা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বাজারে এই মসলা বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছেন।
মোহন কৃষ্ণ আরও বলেন, এই দুটি ব্র্যান্ডের মসলায় রাসায়নিকের উপস্থিতির বিষয়ে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এর আগে হংকং ও সিঙ্গাপুর এই মসলা নিষিদ্ধ করেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বৈশ্বিক বাজারে ফের বাড়লো সোনার দাম
বৈশ্বিক বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। মার্কিন ডলারের দুর্বল বিনিময় হার ও ট্রেজারি ইল্ড কমে যাওয়ায় ধাতুটির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এদিকে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র ভোক্তা মূল্যস্ফীতির ডাটা প্রকাশ করবে। স্বর্ণের বাজারে বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে ফেডারেল রিজার্ভের এ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। খবর রয়টার্স।
স্পট মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আউন্সপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬৮ ডলার ৬২ সেন্টে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৭৪ ডলার ৪ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগে মঙ্গলবারও স্বর্ণের দাম আগের তুলনায় ১ শতাংশ বেড়েছিল।
রয়টার্সের এক জরিপ অনুযায়ী, এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। আগের মাসে এ পরিমাণ ছিল দশমিক ৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে এ মূল্যস্ফীতি চলতি বছর অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার আরো বাড়াতে পারে এমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
থাইল্যান্ডকে হটিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ির বাজার মালয়েশিয়া
থাইল্যান্ডকে পেছনে ফেলে ইন্দোনেশিয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ির বাজারে পরিণত হয়েছে মালয়েশিয়া। এটি এশিয়ার অটোমেকারদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
মালয়েশিয়ার বিক্রয় পরিসংখ্যান অনুসারে, মালয়েশিয়া চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকসহ টানা তিন প্রান্তিকে থাইল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে। নিক্কেই এশিয়ার থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের অটোমোটিভ শিল্প গ্রুপের প্রকাশিত গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যান নিয়ে এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মালয়েশিয়ান অটোমোটিভ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মালয়েশিয়ায় গাড়ি বিক্রি ৫ শতাংশ বেড়ে ২ লাখ ২ হাজার ২৪৫টি ইউনিটে পৌঁছেছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১১ শতাংশ বেড়ে ৭ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩১টি গাড়ির ইউনিট বিক্রি হয়েছিল।
সরকারি অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজের অংশ হিসেবে স্থানীয়ভাবে নির্মিত গাড়ির জন্য বিক্রয় করছাড় দেশীয় গাড়ির ব্র্যান্ড পেরোদুয়া ও প্রোটনকে বাজার সম্প্রসারণে সাহায্য করেছে। এ দুটি ব্র্যান্ড মালয়েশিয়ায় প্রায় ৬০ শতাংশ বাজার হিস্যা ধরে রেখেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, মালয়েশিয়ায় স্থানীয়ভাবে নির্মিত গাড়ির বিক্রয় করছাড় ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সেটা বন্ধ হয়ে গেলেও ২০২৩ সালে করমুক্ত গাড়ি বুকিংয়ের সুবিধা অব্যাহত ছিল। মালয়েশিয়ান অটোমোটিভ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিদ্যুচ্চালিত গাড়িসহ অন্য অনেক নতুন মডেলের গাড়ি এ সময়ে উন্মোচন হয়েছে। এছাড়া প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করেছে।
এমআই