পুঁজিবাজার
বিআইপিডির আমানতের কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছে না ফারইস্ট ফাইন্যান্স
দেশের আর্থিক খাতের শিক্ষক-ছাত্রদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টের (বিআইপিডি) ৬টি অ্যাকাউন্টে আমানত রাখা এক কোটি ৮ লাখ টাকা ফেরত দিচ্ছে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। শনিবার (২০ এপ্রিল) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ তুলে ধরেছে বিআইপিডি।
এ সময় বিআইপিডির চেয়ারম্যান মো. এহসান খসরু, পরিচালক কাজী মো. মোরতুজা আলী, জেনারেল সেক্রেটারি এ কে এম এহসানুল হকসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফারইস্ট ফাইন্যান্সের অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে বিআইপিডির চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিআইপিডি ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে সর্বমোট ১ কোটি ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ছয়টি ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট একাউন্ট বা এফডিআর খুলেছিল। সবকটি এফডিআরের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড বিআইপিডির কোনো অর্থ পরিশোধ করেনি। এমনকি আমানতের লভ্যাংশও প্রদান করছে না।
তিনি জানান, কোম্পানিটিকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬টি চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমন কি ২০২০ সালের পরে কোনো পত্রের জবাবও দেয়নি।
এহসান খসরু বলেন, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বিষয়টি নিয়ে বিআইপিডি ২০১৯ সালের ১১ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর প্রথম চিঠি দিয়েছিলো। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল চিঠি পাঠানো হয়। এ যাবত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর এবং ফিন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস বিভাগ বরাবর ৩৬টি পত্র ও ইমেইল পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। জবাব না দেওয়ার কোনো কারণ আছে কি না আমরা তাও জানতে পারিনি।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের ২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড কর্তৃক বিআইপিডির অর্থ পরিশোধ না করার বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে পত্র দেওয়া হয়। এই পত্র দেওয়ার পরে ৮ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বা আমাদেরকে অবহিত করেনি।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সরাসরি সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিএফআইএম’র ডিরেক্টর মো. আমির উদ্দিন উল্লেখ করেন যে, কোম্পানি ম্যাটার নং-২৪৩/২০২০ এর প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালতের ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারির আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে রক্ষিত বিআইপিডির আমানত অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
বিআইপিডির অভিযোগ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং পিএফআই প্রোপারটিজ লিমিটেডের মধ্যে চলমান মামলায় এমন আদেশ দেয় মহামান্য আদালত। এর সাথে বিআইপিডি কোনোভাবে জড়িত নয় এবং আদালতের আদেশে বিআইপিডির হিসাব স্থগিত করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পরিষ্কার করে বলা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এদিকে আমানতের অর্থ না পেয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) চিঠি দেয় বিআইপিডি। ২০২২ সালের ২৩ মার্চ বিএসইসি এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করে। যেখানে ফারইস্ট ফাইন্যান্সকে অভিযোগকৃত বিষয়টি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিএসইসির আদেশ অমান্য করে ফারইস্ট ফাইন্যান্স এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন সমাধানে পৌঁছায়নি।
এদিকে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৯০ শতাংশ ঋণ খেলাপি থাকা স্বত্ত্বেও কেন সেখানে আমানত রাখা হয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিআইপিডির পরিচালক কাজী মো. মোরতুজা আলী বলেন, ফারইস্ট ফাইন্যান্সে ২০১৬ সালে আমানত রাখা শুরু করে বিআইপিডি। তখন কোম্পানিটিতে সুদের হার বেশি ছিলো, আবার বিআইপিডির কিছু পরিচালকদের সেখানে স্টেক ছিলো। ফলে সবার সম্মতিক্রমে সেখানে ছয় হিসাবের মাধ্যমে কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হয়।
বিআইপিডির পরিচালকদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের প্রশ্নে বিআইপিডির পরিচালক বলেন, কোন ব্যক্তির নাম বা কারো সংশ্লিষ্টতার কারণে বিআইপিডির আমানত হিসাব স্থগিত করা হয়নি। ফারইস্ট ফাইন্যান্স বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এমন কোন নির্দেশনাও আসেনি। ব্যক্তিগত হিসাব স্থগিত করা হলেও সেখানে বিআইপিডির কথা উল্লেখ ছিলো না। তবে আইনি জটিলতা এবং ভয়ভীতির কারণে এসব ব্যক্তির নাম সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেনি বিআইপিডি।
এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও বেসরকারি কোম্পানিতে আমানত রাখার বিষয়টি ভুল অভিহিত করে মোরতুজা আলী জানান, ফারইস্ট ফাইন্যান্সে আমানতের অর্থ আটকে যাওয়ার পর বিআইপিডি সেখানে আর কোন টাকা জমা রাখেনি। এমনকি কোন লিজিং কোম্পানিতেও টাকা রাখবে না বলে কোম্পানিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ আমানত রাখছে।
পুঁজিবাজারে বর্তমানে দুর্বল ক্যাটাগরির কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ঋণের বোঝা বেড়েই চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের মার্চ শেষে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ রয়েছে ৮৮৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, মোট ঋণের ৯৪ শতাংশই খেলাপি।
এছাড়া, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির মোট নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা, যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। এ সময় কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারের বিপরীতে দায় দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে গ্রামীণফোনের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নীতিমালা মেনে ও শেয়ার হোল্ডারদের নির্বিঘ্ন ও অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়; যা কোম্পানির সামগ্রিক অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
এজিএমে গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান হাকন ব্রুয়াসেট কেজোয়েল; গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানসহ অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান হাকন ব্রুয়াসেট কেজোয়েল বলেন, ২০২৩ সালে গ্রামীণফোন গ্রাহক-কেন্দ্রিক ডিজিটালাইজেশন এবং মানুষের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল জীবনের চাহিদা পূরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছে। ভবিষ্যতের উপযোগী একটি টেলকো-টেক কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২৩ সালে ইবিআইটিডিএ ও রাজস্ব উভয় ক্ষেত্রে ভালো প্রবৃদ্ধি এবং ইতিবাচক টপ-লাইন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কোম্পানিটি। প্রতিনিয়ত আধুনিকীকরণে এবং ভবিষ্যতের উপযোগী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে বিনিয়োগের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানো, প্রোডাক্ট পোর্টফোলিওর সহজীকরণ এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোন একটি টেলকো-টেক কোম্পানি হয়ে ওঠার জন্য প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে; যা ডিজিটালভাবে সংযুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল অ্যাক্সেসের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল্যবোধকে ধারণ করে বাংলাদেশে সবার জন্য একটি অগ্রসরমান, ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ কোম্পানিটি।
গ্রামীণফোন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের জন্য ২০২৩ সাল ছিল রূপান্তরের বছর, এ বছর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যা কোম্পানিটিকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে আরো অগ্রসর করেছে। গ্রাহকরা সবসময়ের মতো আমাদের অগ্রাধিকারের শীর্ষে রয়েছে। গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাগুলো পূরণ এবং সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, আধুনিকীকরণ এবং ক্রমাগত বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক সংঘাত সত্ত্বেও সকল কর্মী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে কোম্পানিটি।
একটি স্মার্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে গ্রামীণফোন গ্রাহক ও খুচরা বিক্রেতা উভয়ের জন্য ডিজিটালাইজড সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক পণ্য এবং আইওটি সল্যুশন চালু করেছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমাবদ্ধ নয়। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ কমানো, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো, জেন্ডার বৈষম্য কমানো এবং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে কাজ করছি আমরা।
টেকসই উন্নয়নের প্রতি গ্রামীণফোনের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্লুমবার্গ। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যৎ তৈরিতে আমাদের ভূমিকাও উঠে এসেছে। বর্তমানে যখন আমরা স্মার্ট ডিভাইস, কানেক্টিভিটি ও এআই কে সাদরে গ্রহণ করছি; একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবনধারার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময় ।”
এজিএম-এ গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১২৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ১২ টাকা ৫০ পয়সা) চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে, যা ২০২৩ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ৫১ দশমিক ০৩ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী ই-ইঞ্জিনিয়ারিং
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করতে চায় কোম্পানিটি। সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে অটোক্লেভ প্যানেলস, কনক্রিট ব্লক, ইট ও টাইলস উৎপাদনের একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে কোম্পানিটি।
উল্লেখ, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক পরিবারের একটি কোম্পানি। পুঁজিবাজারে এলে এটি হবে এই গ্রুপের দ্বিতীয় কোম্পানি। গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটি মূলত সমুদ্রবন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ-দুবাই রুটে জাহাজ পরিচালনার ব্যবসায়ও যুক্ত হয়েছে কোম্পানিটি।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি মূলত একটি ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং , প্রকিউরমেন্ট এবং কনস্ট্রাকশন) কোম্পানি। এই কোম্পানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুসারে, তাদের জন্য অবকাঠামোর ডিজাইন, পণ্য ক্রয়, অবকাঠামো তৈরি ও সংস্থাপন করে থাকে। এর পাশাপাশি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি নিরাপত্তা ও আইটি সংশ্লিষ্ট ইক্যুইপমেন্ট, ড্রেজার, ক্রেন,ভারি মেশিনারিজ সরবরাহ ও সংস্থাপন সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। কোম্পানিটির ব্যবসার পরিধির মধ্যে আরও রয়েছে নদী খনন, ভূমি উন্নয়ন, বহুতল ভবন নির্মাণ; সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার ইত্যাদি নির্মাণ।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানির সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির পণ্য ও সেবার পরিবেশক তারা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের এস্ট্রোফিজিকস, স্ক্যানস্ক্যান, আমেরিকান সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, তুরস্কের রিডোম্যাক টার্কি, সিঙ্গাপুরের এমটি কমিউনিকেশন, নেদারল্যান্ডসের ইউভি স্ক্যান।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির ১২ কোটি শেয়ার রয়েছে। তারা নতুন করে আর ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করার পরিকল্পনা করছে।
শিগগিরই কোম্পানিটি আইপিওর প্রক্রিয়া শুরু করবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনসাপেক্ষে আইপিওর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪- মার্চ’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৬৭ পয়সায়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে।
রোববার (২ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৮১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির আয় বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫৮ পয়সায়।
আগামী ১২ জুন কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ মে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৭০ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে ৪৩টি কোম্পানির মোট ৭০ কোটি ০১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০২ মে) ব্লকে সবচেয়ে বেশি উত্তরা ব্যাংকের ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থানে থাকা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।