খেলাধুলা
আইপিএলে সবার সেরা মুস্তাফিজ
চলতি আইপিএলে বল হাতে অপ্রতিরোধ্য মুস্তাফিজুর রহমান। এবারের আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৪ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশি এই পেসার। সবশেষ গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন টাইগার পেসার।
আর এই দুই উইকেট পাওয়ার মধ্যে দিয়ে মুস্তাফিজ আবারও পুনরুদ্ধার করেছেন পার্পল ক্যাপ। প্রতি ম্যাচেই রান আটকানোর পাশাপাশি দলকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দিচ্ছেন ফিজ। বিশেষ করে ডেথ ওভারে বল হাতে আলাদা করে জাত চেনাচ্ছেন এই পেসার। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মুস্তাফিজ ইমপ্যাক্ট রাখছেন প্রতিটি ম্যাচেই।
গতকালও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ডেথ ওভারে দুই ওভার বোলিং করেন টাইগার এই পেসার। ১৮তম ওভারে আন্দ্রে রাসেলকে বেশ ভোগান্তিতে ফেলার পর ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন তিনি।
চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত মুস্তাফিজের চেয়ে ডেথ ওভারে বেশি ডট বল করতে পারেনি আর কোনো বোলার। সবমিলিয়ে মুস্তাফিজ ২৩টি ডট বল করেছেন। তার ধারেকাছেও নেই কেউ। তালিকার দুইয়ে রয়েছেন আফগানিস্তানের পেসার নাভিন উল হক, তিনি করেছেন ১৪ ডট বল। তিনে থাকা মোহিত শর্মা, তুষার দেশপান্ডে ও মোহাম্মদ সিরাজ করেছেন ১২টি করে ডট বল।
আইপিএলের চলতি আসরে ডেথ ওভারে (১৬ – ২০) ত্রাস ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। শেষের চার ওভারে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বাংলাদেশের এই পেসার। পেয়েছেন চার উইকেট। সমান উইকেট পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েটজি ও মোহিত শর্মা। তবে এদের দুজনের তুলনায় ইকোনমিতে অনেকটাই এগিয়ে ফিজ।
আসরে কমপক্ষে ৫ ওভার করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে ইকোনমি রেটে মুস্তাফিজ দ্বিতীয়। শেষের চার ওভারে বল করেছেন মোটে ৮ ইকোনমিতে। তারচেয়ে ভাল ইকোনমি কেবল আভেশ খানের। ৭.৩৩ ইকোনমিতে বল করেছেন আভেশ।
সবমিলিয়ে ডেথ ওভারে ফিজ এবারের আসরে ৪৮ বল করে রান দিয়েছেন মোটে ৬৪। পেয়েছেন ৪ উইকেট। ইকোনমি রেট ৮ আর প্রতি ১৬ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সর্বোচ্চ রানের ম্যাচেও হারলো বাংলাদেশ
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারত। নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দল ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে হেরেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান করে ভারত।
এদিন সিরিজের শেষ ম্যাচে দুই দল মিলে সর্বোচ্চ ২৯১ রান করে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৮ সালে দুই দল মিলে করেছিল ২৮৩ রান।
ভারতের দেওয়া টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন রিতু মনি। ২১ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন শরিফা খাতুন। ১১ বলে ১৪ রান করেন রাবেয়া খান। ২০ রান করেন রাবেয়া হায়দার। এদিন ২১ রানে জয় পায় ভারত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৫৭ রান
সিরিজ জুড়েই ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ে ছন্নছাড়া হলেও বোলিংয়ে অন্তত কিছুটা লড়াই করতে পেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। তবে আজ সেই বোলিংটাও আপ টু দ্য মার্ক হয়নি টাইগ্রেসদের। ভারত নারী দলের হয়ে যেই উইকেটে এসেছেন, সেই রান পেয়েছেন। স্মৃতি মান্ধানা-হেমলতাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছে ভারত। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে টাইগ্রেস ব্যাটারদের।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ৩৭ রান করেছেন হেমলতা।
দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মার ব্যাটে দারুণ শুরু পায় ভারত। তবে শেফালি এদিন উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৪ রান করে শেফালি সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
শেফালি ফিরলেও তার প্রভাব রান রেটে পড়তে দেননি হেমলতা। উইকেটে এসেই শট খেলেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। স্মৃতির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭ রান যোপগ করেন হেমলতা। ২৫ বলে ৩৩ রানে থামেন স্মৃতি। আর হেমলতার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান।
রানের দেখা পেয়েছেন হারমানপ্রীত কৌরও। ২৪ বলে ৩০ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। শেষদিকে উইকেটে এসে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন রিকা ঘোষ। ১৭ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন রাবেয়া খান ও নাহিদা আক্তার। তাছাড়া একটি উইকেট পেয়েছেন সুলতানা খাতুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
আবার স্কুলে ভর্তি হলেন সাকিব আল হাসান?
শিক্ষাজীবনে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটটা খেলে যাচ্ছেন দাপটে, সঙ্গে মন দিয়েছেন রাজনীতিতেও। মাগুরা-১ আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তিনি। ক্রিকেট ও ব্যক্তিজীবনে সাকিব আল হাসান যেন একজন পাক্কা অলরাউন্ডার।
কিন্তু হঠাৎ স্কুলের পোশাক পরা সাকিবকে দেখে অবাক হওয়ার উপক্রম। হাতে স্কুল ব্যাগ, স্কুল ড্রেস পরা সাকিবের নেমপ্লেটে লেখা ফয়সাল। সেটা অবশ্য তারই ডাকনাম। যে নামে তাকে তার স্কুল-কলেজের বন্ধুরা এবং মাগুরার সবাই চেনে। এমনই একটি ১০ সেকেন্ডের ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সাকিব।
ভিডিওটিতে সাকিব আল হাসান বলেন, আবার শিক্ষা জীবনে ফিরতে বাধ্য হলাম। ভিডিওর শেষে লেখা, বিস্তারিত আসছে।
ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই নেটমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এটা সাকিব আল হাসানের নতুন কোনো প্রডাক্ট প্রমোশনাল স্ট্যান্ট। আবার রীতিমতো স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে হাজির হওয়ায় অনেকেই বিশ্বাস করছেন, সত্যিই বোধহয় তিনি নতুন করে স্কুলে ভর্তি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কিছু জানাননি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয়-ব্যাপারটা প্রত্যাশিতই ছিল। সেই সঙ্গে ব্যাটে-বলের দাপটও দেখতে চেয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু, সেই অর্থে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ছাপ রাখতে না পারলেও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের লড়াই ছাপিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয় ৯ রানে। এই জয়ে ৩-০ ব্যবধানে জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ গড়াবে ঢাকায়।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ (৭ মে) আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে পাঁচ উউকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলনসই পুঁজি
ফের ব্যর্থ হলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। এরপর জাকের আলি ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। শেষটাও ভালো করেন রিশাদ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করেছে স্বাগতিকরা।
প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। এদিন টস জেতেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিনি বেছে নেন আগে বল করার। তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের জুটিতে প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান আসে বাংলাদেশের।
কিন্তু চতুর্থ ওভারে গিয়ে লিটন দাস রীতিমতো পাগলামি শুরু করেন। ব্লেসিং মুজারাবানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়েও সেটি ঠিকঠাক করতে পারেননি। টানা তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। ১৫ বল খেলে ২ চারে কেবল ১২ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়ে যান। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় ও রাজার করা প্রথম বলে রিভার্স সুইপ করে চার হাঁকান শান্ত। দুই বল পর স্ট্রাইকে ফিরে হয়ে যান বোল্ড। রাজার আর্ম বলের লাইন মিস করেন ৪ বলে ৬ রান করা শান্ত।
এরপর উইকেটে এসে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪২ রান। দুজনের ২৬ বলে ৩১ রানের জুটিতে আশা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যায় ফারাজ আকরামের বলে।
তার বলে এগিয়ে এসে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি তানজিদ। মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ২১ রান করে। এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর হৃদয়ের সঙ্গী হয়ে দলকে টেনে নেন জাকের আলি অনিক। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও আস্তে আস্তে হাত খোলেন জাকের ও হৃদয়।
৩৪ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান তাওহীদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্কুপ করে চার হাঁকান হৃদয়। কিন্তু পরের বলেই তার ইয়র্কারে হয়ে যান বোল্ড। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়। জাকেরের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৮ বলে ৮৭ রানের।
হৃদয়ের এক বল পর মুজারাবানির আরেক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান জাকের আলি অনিকও। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ১৬ রান নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন। রিয়াদ ৯ ও রিশাদ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মুজারাবানি। একটি করে উইকেট পান ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
এমআই