লাইফস্টাইল
দ্রুত খাবার খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে
তাড়াহুড়ার কারণে অনেকেই দ্রুত খাবার খান। কারও আবার সবসময়ই দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, অন্যরা খেতে বসার আগেই দেখা যায় তার খাওয়া শেষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের এ ধরনের অভ্যাস আছে তারা অজান্তেই শরীরের বড় ক্ষতি করে ফেলছেন। কারণ খাবার ঠিক মতো চিবিয়ে না খেলে তার সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ শরীর গ্রহণ করতে পারে না। এর ফলে হজমজনিত নানা সমস্যা দেখা দেয়।
দ্রুত খাবার খেলে কী কী ধরনের সমস্যা হয় তা জানানো হয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’এর এক প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় পুষ্টিবিদ কারিশমা শাহ সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, দ্রুত খাবার খাওয়া আপনার শরীরকে কষ্ট দিতে পারে, হজমে ব্যাঘাত ঘটিয়ে ফোলাভাব, গ্যাস এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে। দ্রুত খেলে শরীরে চাপ ফেলে। এর ফলে আপনার পরিপাকতন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আমরা যখন দ্রুত খাবার খাই তখন আমাদের শরীর ‘ফাইট অর ফ্লাইট’ মোডে চলে যায়, যার ফলে খাবার সঠিকভাবে হজম করার ক্ষমতা ব্যাহত হয়। এর ফলে ফোলাভাব, গ্যাস এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো অস্বস্তিকর লক্ষণগুলি দেখা দেয়।
ধীরে ধীরে খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। খাওয়ার গতি কমিয়ে দিলে আপনার শরীরকে ‘বিশ্রাম এবং হজমে’ সাহায্য করতে পারে। আপনি মন দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস অনুসরণ করতে পারেন, তাহলে আপনার খাওয়ার গতি কমিয়ে দিতে সহায়তা করবে। যারা অ্যাসিডিটি, গ্যাস এবং ফোলাভাবের মতো হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের ধীর গতিতে খাওয়া উচিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা
মজার সব খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় কিশমিশ। এটি হলো শুকনো ফল। আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিশমিশ। শুধু যে মজার ডেজার্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু নয়। বরং কিশমিশ খাওয়া হয় আরও অনেকভাবেই। শুকনো এই ফলের আছে অসংখ্য উপকারিতা।
আঙুরে থাকা পটাশিয়াম হার্টকে ভালো রাখে, শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টরল দূর করে। যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তারা নিয়মিত কিশমিশ খেলে উপকার পাবেন কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রণ। কিশমিশে থাকা কার্বোহাইট্রেট শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীদের রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তাই চিকিৎসকরা নারীদের কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
গুণে অনন্য এই কিশমিশ শুধু খেলেই হবে না। জানতে হবে এর সঠিক পদ্ধতিও। উপকার পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২ কাপ পানিতে কিছু কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। কিশমিশের রং যেন গাঢ় হয় সেদিকে নজর রাখবেন। পরদিন সকালে সেই কিশমিশ ভেজানো পানিটুকু ছেঁকে নিন। এবার ছেঁকে নেওয়া পানি হালকা গরম করুন। এই পানি খেতে হবে খালি পেটে। এবার জেনে নিন খালি পেটে কিশমিশ খেলে কী উপকার পাবেন-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে তা ডেকে আনে আরও অনেক অসুখ। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। সেজন্য খেতে হবে এমন সব খাবার যেগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো কিশমিশ। নিয়মিত কিশমিশ খেলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে আছে পটাশিয়াম, যা সহজেই রক্তচাপ বশে রাখে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
কিশমিশে আছে আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে কিংবা এ ধরনের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত খেতে হবে কিশমিশ ভেজানো পানি। এতে আরও আছে তামা যা আমাদের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। বুঝতেই পারছেন কিশমিশ আমাদের জন্য কতটা উপকারী!
হজমের সমস্যা দূর করে
হজমশক্তি ভালো থাকলে অনেক অসুখই আপনার থেকে দূরে থাকবে। কারণ সুস্থ থাকার জন্য হজমশক্তি ভালো থাকা জরুরি। এই কাজে সাহায্য করতে পারে কিশমিশ। রাতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ সকালে ছেঁকে নিয়ে পানিটুকু হালকা গরম করে খেয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিন খেলে দ্রুতই হজমের সমস্যা দূর হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিচ্ছেন সবাই। তারই অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি খান। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে এবং বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
টক্সিন দূর করে
শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে চাইলে নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো পানি খেতে হবে। আমাদের চারপাশের বিভিন্ন দূষণের কারণে শরীরে সহজেই বিষাক্ত পদার্থ জমে যায়। শরীর বিষমুক্ত করতে কিশমিশ ভেজানো পানি বেশ উপকারী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ফেস সিরাম ব্যবহারের আগে যা জানা জরুরি
ত্বক ভালো রাখতে, উজ্জ্বলতা বাড়াতে কে না চায়। আর এই সৌন্দর্যের মূল বিষয় লুকিয়ে আছে সুস্থতা এবং নিয়মমাফিক জীবনযাপনে। ত্বক ভালো রাখতে নিয়মমাফিক চর্চার বিকল্প কিছু নেই। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে নিয়ম করে ত্বকের একটু যত্ন নিলেই ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, মসৃণ। আর এই ত্বকের যত্নে নারীদের প্রসাধনীর তালিকার প্রথম পছন্দে রয়েছে ফেস সিরাম। আর তাই তো বিউটি ওয়ার্লডেও এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কিন্তু অনেকে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে না জেনেই মুখে মাখান, যা হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই তো এখন প্রশ্ন হলো, ঠিকঠাক উপকার পেতে সপ্তাহে কতদিন কিভাবে ফেস সিরাম মাখানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ফেস সিরামের সঠিক ব্যবহার এবং উপকারিতার কথাও জেনে নেওয়া উচিত।
ফেস সিরাম:
এটি একটি টপিকাল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট। অর্থাৎ এটি ত্বকের ওপরে ব্যবহার করতে হয়। আর তাতেই সঠিক উপকার পাওয়া যায়। লাইট ওয়েট অয়েল বেসড এই প্রোডাক্টে নানারকম সক্রিয় উপকরণ থাকে, যেগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকর। যেমন ধরুন ভিটামিন সি, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং গ্লাইসোলিক অ্যাসিড তো ফেস সিরামে পাওয়া যায়।
ফেস সিরামের উপকারিতা কী কী:
এক একটি ফেস সিরামে এক এক ধরনের উপকরণ থাকে, যা ত্বকের নানা সমস্যাকে সমাধান করতে পারে। যেমন কোনও ফেস সিরাম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে তো অন্যটি আবার ত্বকের বলিরেখা উধাও করে। এছাড়া ত্বকের কালচে ছোপ কমানো, অ্যাকনের সমস্যার সমাধান এবং কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দিতেও কোনও কোনও সিরামের জুড়ি মেলা ভার।
ফেস সিরামের খুঁটিনাটি-
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, গ্রীষ্মকালে ফেস সিরাম দিনের বেলায় না ব্যবহার করাই উচিত। তাতে নাকি ত্বকের হিতে বিপরীত হতে পারে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ এই মতের বিপক্ষে। তাই তারা দিনে দুবার ফেস সিরাম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তবে এই কথাও ঠিক যে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কোনও প্রোডাক্ট মেখে রোদে না বেরনোই ভালো। তাতে কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হলেও হতে পারে।
সঠিকভাবে ব্যবহারের নিয়ম-
- প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- এরপরে কটন প্যাডে পরিমাণ মতো টোনার নিয়ে ত্বকে লাগান।
- কয়েক ফোঁটা সিরাম ড্রপারের সাহায্যে মুখে লাগান।
- তারপরে হাতের সাহায্যে ড্যাব করুন।
- শেষে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
ফেস সিরাম ব্যবহার করে সঠিক উপকার পাওয়ার জন্যে নিয়মিত তা মুখে লাগানো জরুরি। প্রতিদিন দিনে একবার বা দুবার করে ফেস সিরাম লাগাতেই হবে আপনাকে। তাই সঠিক উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন (যদি প্রতিদিন না ব্যবহার করতে পারেন) এই ফেস সিরাম মুখে লাগাতেই হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেভাবে দূর করবেন পেট ফাঁপা
পেট ফাঁপা পরিচিত পরিচিত একটি সমস্যা। খাবারে একটু এদিক-ওদিক হলেই পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলে কিংবা হজমে সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে পেট ফেঁপে থাকে। শুরুতেই ওষুধ না খেয়ে পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন।
পেট ফাঁপার কারণ
কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার কিংবা পেটে কৃমি থাকলে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি পান করলে হজম ঠিকভাবে হয় না। তাই এই অভ্যাস বাদ দেয়া উচিত।
পেট ফাঁপার লক্ষণ
* পেট ফুলে ওঠা বা পেটের আকার বৃদ্ধি পাওয়া
* পেটে ভরা ও শক্ত ভাব অনুভব করা
* পেটে ব্যথা
* পেটে গরগর শব্দ ইত্যাদি।
পেট ফাঁপার প্রতিকার
পেট ফাঁপার প্রতিকার হতে পারে ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেটের নানা সমস্যা, পেট ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সহজেই। হজম ভালো হয় বলে মলত্যাগও সহজ হয়। মানসিক চাপ কমে অনেকটাই। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করা জরুরি।
পেট ফাঁপা দূর করতে প্রতিদিনের খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। পেটের সমস্যা ডেকে আনতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কিছু খাবার আছে যেগুলো পেটের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। বাদাম, তৈলাক্ত খাবার, পনির, শিম ইত্যাদি সহ্য হয় না অনেকের। তাদের এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কমলা, কফি, চা, টমেটো এসব খেলে যদি পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয় তবে তা বাদ দিন।
মদ্যপান কিংবা ধূমপান সব সময়ই শরীরের জন্য খারাপ। তাই এই অভ্যাস কখনো গড়ে তোলা উচিত নয়। এরপরও যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে তবে বাদ দিন।
অনেকে তাড়াহুড়ো করে খাবার খান। এটি ঠিক নয়। ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খাবার খান। এতে পেটে বাতাস ঢুকে পেট ফাঁপার সমস্যা হবে না। কখনোই গোগ্রাসে খাবার গিলবেন না।
অতিরিক্ত লবণ দেয়া খাবার, ভাজাভুজি, চিপস, আচার যতটা কম খাবেন; পেট ফাঁপার সমস্যার জন্য ততটাই ভালো। চেষ্টা করুন সব সময় লবণ কম খেতে।
অনেকের পেটেই দুধ সহ্য হয় না। দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার হজম হতে চায় না অনেকের। এজাতীয় খাবার খেলে যদি পেটে গ্যাস জমে তবে তা এড়িয়ে চলুন। দুধের বদলে দই বা সয়া মিল্ক খেতে পারেন।
অনেকে একটুতেই ওষুধ খেয়ে নেন। যেকোনো অসুখের ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাই পেট ফাঁপার সমস্যায়ও নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাবেন না। বরং ওষুধ যদি খেতেই হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খান।
পেট ফাঁপার সমস্যায় যা এড়িয়ে চলবেন
খাবার দ্রুত খাবেন না। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবেন। দ্রুত খাবার খেলে তা সহজে পরিপাক হতে চায় না। সেখান থেকেই হজমের সমস্যা ও পেট ফাঁপা দেখা দিতে পারে।
অনেকে খাবার খেতে বসে একসঙ্গে অনেকগুলো খাবার খেয়ে ফেলেন। খাবার যতই সুস্বাদু হোক, একসঙ্গে বেশি খাবেন না। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেলে তা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে।
ঢেকুর তোলা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে ঢেকুর যদি দুর্গন্ধযুক্ত হয় তবে খাবারের তালিকা থেকে মাংস, ডিম এবং ডাল জাতীয় খাবার কমাতে হবে।
সবজি আমাদের শরীরের জন্য ভালো। তবে কিছু সবজি আছে যা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। তাই বরবটি, সজনে, বাধাকপি, শিম খুব বেশি খাবেন না।
তেলে ভাজা নানা রকম মুখরোচক খাবার, জাঙ্ক ফুড ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের তালিকা থেকে অতিরিক্ত মিষ্টি, আচার, চাটনি ইত্যাদি খাবার কমিয়ে দিন।
রাতের খাবার দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস? আজ থেকে সেই অভ্যাস বাদ দিন। বরং সাতটা কিংবা আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিন। তা-ও যদি সম্ভব না হয় তবে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। খাওয়ার পরপরই শুয়ে কিংবা বসে থাকবেন না। অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব ভিটামিন হাড় ভালো রাখে
মজবুত হাড় বজায় রাখা সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। বেশ কিছু ভিটামিন হাড়ের গঠন, ঘনত্ব এবং শক্তিতে সহায়তা করে হাড়ের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাড় সবসময় পরিবর্তন হয়। নতুন হাড় পুরানো হাড় ভেঙে যাওয়ার সময় গঠিত হয়। অল্প বয়সে আমাদের শরীর পুরানো হাড়কে ক্ষয় করার চেয়ে দ্রুত নতুন হাড় তৈরি করে, তাই হাড়ের ভর বৃদ্ধি পায়। বেশীরভাগ মানুষ ত্রিশ বছর বয়সের কাছাকাছি এসে হাড়ের ভর অর্জন করে। এরপরে, হাড়ের পুনর্নির্মাণ অব্যাহত থাকে, তবে আপনি অর্জনের চেয়ে সামান্য বেশি হাড়ের ভর হারাবেন। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ভিটামিন ডি
NHS অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন। ভিটামিন ডি অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য অপরিহার্য, যা শক্তিশালী হাড় গঠন ও বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। এটি রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে, যা হাড়ের খনিজকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর প্রাথমিক উৎস হলো সূর্যের আলো, কারণ সূর্যের আলোর সংস্পর্শে ত্বক ভিটামিন ডি সংশ্লেষণ করে। ভিটামিন ডি খাদ্যতালিকাগত উৎস থেকে পাওয়া যেতে পারে যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল, শক্তিশালী খাবার (দুধ, কমলার রস, সিরিয়াল) এবং পরিপূরক।
২. ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম হাড়ের প্রধান খনিজ উপাদান এবং হাড়ের গঠন ও শক্তির জন্য অপরিহার্য। এটি পেশী সংকোচন, স্নায়ু ফাংশন এবং রক্ত জমাট বাঁধতে ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়ামের ভারো খাদ্যতালিকাগত উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে দুগ্ধজাত দ্রব্য (দুধ, পনির, দই), সবুজ শাক-সবজি (কেল, ব্রোকলি), টফু, বাদাম ইত্যাদি। ক্যালসিয়াম সম্পূরকও পাওয়া যায়, তবে যতটা সম্ভব খাদ্য উৎস থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৩. ভিটামিন কে
ভিটামিন কে হাড়ের খনিজকরণে জড়িত এবং হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতেও ভূমিকা রাখে এবং হাড়ের টিস্যুতে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব থাকতে পারে। ভিটামিন কে-১ পাওয়া যায় সবুজ শাক-সবজিতে (পালংশাক, কালে, কলার্ড গ্রিনস), আর ভিটামিন কে-২ পাওয়া যায় গাঁজানো খাবার যেমন নাট্টো এবং পনির এবং প্রাণীজ পণ্যে। ভিটামিন কে উভয় প্রকারের পরিপূরক থেকেও পাওয়া যায়।
৪. ভিটামিন সি
ভিটামিন সি কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় যা হাড়, তরুণাস্থি এবং সংযোগকারী টিস্যুর গঠন এবং শক্তি প্রদান করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা হাড়ের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে ফল (সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, কিউই) এবং সবজি (বেলপেপার, ব্রকলি, টমেটো) ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। সর্বোত্তম স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য সম্পূরকের পরিবর্তে খাবার থেকে ভিটামিন সি গ্রহণ করা ভালো।
৫. ভিটামিন এ
ভিটামিন এ অস্টিওব্লাস্টের কার্যকলাপে সহায়তা করে হাড়ের পুনর্নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে ভূমিকা পালন করে, যা কোষ যা হাড় তৈরি করে এবং হাড় গঠনে জড়িত জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন এ প্রাণীজ পণ্যে (লিভার, ডিম, দুগ্ধজাত) প্রিফর্মড ভিটামিন এ (রেটিনল) হিসাবে এবং রঙিন ফল ও সবজিতে প্রোভিটামিন এ ক্যারোটিনয়েড (বিটা-ক্যারোটিন) হিসাবে পাওয়া যায়। পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন এ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অতিরিক্ত গ্রহণের বিরূপ প্রভাব হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঘুম ৮ ঘণ্টার কম হলে বিষন্নতার ঝুঁকি
ঘুম ৮ ঘণ্টার কম হলে বিষন্নতা ও উদ্বেগ বেড়ে যায় সেইসঙ্গে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঘুরপাক করতে থাকে বলে নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন গবেষকেরা ঘুমের সময়কাল নিয়ে অধ্যয়ন করে দেখতে পান, ঘুমের পরিমাণ কম হলে নেতিবাচক চিন্তা বার বার মানুষের মনে দাগ কাটতে থাকে। ফলে বিষণ্নতা ও উদ্বেগ তৈরি হয়।
মাথায় ঘুরপাক করা চিন্তা-ভাবনা ভালো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। কিন্তু এই গবেষণার মাধ্যমে জানা গেল, ভালো ঘুমের অভাব হলে দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক চিন্তা আরো প্রখরভাবে বেড়ে যায়।
গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের মানসিক প্রতিক্রিয়ার দিকে লক্ষ্য রেখে ভিন্ন ভিন্ন ছবি দেখান। তাদের চোখের নড়াচড়ার দিকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, যারা কম ঘুমায় এবং দেরিতে ঘুমায়, তাদের চোখ নেতিবাচক ছবিগুলোর দিকে বেশি আকর্ষিত হয়।
গবেষণার লেখক মেরিডিথ কোলস বলেন, সাধারণেরা নেতিবাচক তথ্য দেখে অন্য ছবির দিকে সহজেই চলে যায়। কিন্তু কম ঘুমানো ব্যক্তিরা নেতিবাচক ছবি থেকে চোখ সরায় না। গবেষণার ফল থেকে বোঝা যায়, ঘুমে বিঘ্ন ঘটলে নেতিবাচক চিন্তা থেকে সরে আসার মতো জ্ঞান কমে যায়।
উদাসীনতা ও নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঘুরপাক করতে থাকলে একটা সময় পর বিষণ্নতা ও উদ্বেগের মতো মানসিক রোগ হতে পারে। সম্প্রতি জার্নাল অব বিহেভিয়র থেরাপি এবং এক্সপেরিমেন্টাল সাইকিয়াট্রি-তে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
কাফি