শিল্প-বাণিজ্য
ঈদের ছুটিতেও চলবে চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমসের কার্যক্রম
ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম চালু থাকবে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সাপ্লাই চেইন চালু রাখতে বেসরকারি ডিপোসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানগুলো এ সময়ে খোলা রাখা হবে।
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ঈদুল ফিতরের ছুটি। এ সময়ে বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দেশনা জারি করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন বিভাগে নিয়োজিত করা হয়েছে জনবল।
চট্টগ্রাম বন্দরের এক নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, ছুটির সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর, পানগাঁও আইসিটি (ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল) ও ঢাকা কমলাপুর আইসিডিসহ (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) সব ধরনের কাজ চালু থাকবে।
এই লক্ষ্যে বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা জনতা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংকসহ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত অন্যান্য ব্যাংকের বুথে জনবল নিয়োজিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা এবং সকল প্রাইভেট ডিপোসমূহকে কার্যক্রম চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, এবারের ঈদেও বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সব স্টেকহোল্ডারদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন ডেলিভারি কার্যক্রম কিছু সময় বন্ধ থাকলেও বিকেল থেকেই পুনরায় চালু হবে। কেউ চাইলে ঈদের দিন বিকেলে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারবেন। এছাড়া জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানোও চলবে।
এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমসও কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে। ঈদের ছুটিতে ডেপুটি কমিশনার, রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, শাখা সহকারীদের কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু রাখার শিডিউল নির্ধারণ করেছে কাস্টমস।
চট্টগ্রাম ইপিজেডে রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখতেও কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
তবে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকলেও যদি আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারি না নেন, তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখলেও এর সুফল পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম জুয়েল বলেন, বন্দর চালুর সুফল পেতে হলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালুর রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোটস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) সেক্রেটারি জেনারেল রুহুল আমিন শিকদার বলেন, গত এক দশক ধরে ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরের মতো বেসরেকারি কন্টেইনার ডিপোগুলো চালু থাকে। কিন্তু ঈদের আগে এবং ৪-৫ দিন পরে কন্টেইনার ডেলিভারি অনেকটাই কমে যায়। এ কারণে বন্দর এবং ডিপোগুলোতে জট তৈরি হয়। এটি প্রতি বছরের ঘটনা।
তিনি বলেন, ঈদের আগের এবং পরের তিন দিন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এ কারণে আমদানি পণ্য ডেলিভারি নিতে সমস্যায় পড়েন আমদানিকারকরা। সড়ক পথে হয়রানি, বাড়তি ভাড়াসহ নানা সমস্যার কারণে আমদানিকারকরা ঈদের ছুটিতে পণ্য ডেলিভারি নিতে চান না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ৮০ সৌদি কম্পানি
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশকে জ্বালানি সহযোগিতা দিতে আগ্রহের কথাও জানিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দেশটির মন্ত্রী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগদান শেষে তিনি এ সব বৈঠক করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (১ মে) জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম এবং সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ ও পরিচালনা পর্ষদের মহাসচিব সাদ আল কোরডের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বৈঠকগুলোতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে পিআইএফ মহাসচিব সাদ আল কোরডে পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালে (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কম্পানির তালিকা প্রকাশ করেন এবং পিআইএফ তাদের কম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে সৌদি সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
তারা এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানিয়ে আল ইব্রাহিম বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। বৈঠকে জেভি ডিএপটি সার কারখানা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
১০ মাসে রপ্তানি আয় ৪৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৭১ বিলিয়ন ডলার। যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাত শতাংশ কম।
তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানির গতি কিছুটা ধীর হওয়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মাসিক রপ্তানি চিত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশের বেশি জুড়ে রয়েছে তৈরি পোশাক। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে মোট রপ্তানির মধ্যে ৪০ দশমিক ৪৯৪ বিলিয়ন ডলারই তৈরি পোশাক। চলতি বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির গতি কিছুটা কমে গেলে মোট রপ্তানি কমে যায়।
চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। একই সময়ে মোট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
করোনা মহামারিতে তৈরি পোশাক রিপ্তানি কিছুটা ভাটার টান তৈরি হলেও দ্রুত ঠিক হয়েছে। মহামারির প্রকোপ কমার সাথে সাথে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা পরবর্তী প্রায় দুই বছর রপ্তানির গতি অব্যাহত থাকে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আবার ধাক্কা লাগে। তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতির আঘাত লাগে; কমে যায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। এর ফলে আবারও রপ্তানিতে ভাটার টান তৈরি হয়। পরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার জের ধরে লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা শুরু হলে রপ্তানিতে আবারও নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, লোহিত সাগরে সমুদ্রগামী জাহাজে হামলা শুরু হলে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক কাছের বাজার খুঁজতে থাকে। লোহিত সাগরের এ সমস্যা দূর না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নতুন করে বাড়তি সমস্যা যোগ হবে, যাতে রপ্তানি ব্যাহত হতে পারে; কমবে প্রবৃদ্ধি।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, তুলনামূলক অন্যান্য কম রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি হয়েছে ৩২১ মিলিয়ন ডলার; পণ্যটি আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি কমেছে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অন্যতম সম্ভাবনাময় চামড়া ও চামড়া পণ্য রপ্তানি কমেছে ১৩ দমমিক ৩২ শতাংশ; রপ্তানি হয়েছে ৮৭২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলারের। এক সময়ের প্রধান রপ্তানি পণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ৭ শতাংশ; ১০ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের।
আরেক সম্ভাবনাময় হোম টেক্সটাইল ১০ মাসে রপ্তানি সংকুচিত হয়েছে ২৫ শতাংশ; ১০ মাসে পণ্যটির রপ্তানি হয়েছে ৭০২ দমকি ৫৬ মিলিয়ন ডলার।
১০ মাসে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭৭৪ মিলিয়ন ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দমিক ১২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০১ মিলিয়ন ডলারের; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। বিশেষ টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
সামিট করপোরেশনের নতুন এমডি ফয়সাল খান
সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফয়সাল খান। তিনি ২০০৭ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, বন্দর ও রিয়েল এস্টেট খাতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপে যোগ দেন। তিনি সামিট গ্রুপের সব কোম্পানির বোর্ড সদস্য এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফয়সাল খানের নিয়োগ প্রসঙ্গে সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘ফয়সাল খান সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। আমাদের সন্তানরা এমন ভালো মানুষ, সৎ মানুষ এবং ভালো একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে বেড়ে উঠেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
‘ফয়সাল ১৭ বছর ধরে পেশাগতভাবে আমার সঙ্গে আছেন এবং ২০১৭ সাল থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তিনি এই পদের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ জানেন। আমি নিশ্চিত, তার হাতেই সামিট আরও এগিয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।
নিয়োগ পেয়ে ফয়সাল খান বলেন, ‘সামিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিজ খানের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। তার দিকনির্দেশনা, প্রজ্ঞা এবং অবিচল সমর্থন কেবল আমার পেশাদার যাত্রা নয়, আমার ব্যক্তিগত জীবন গঠনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জটিলতা নিরসনে আমি পরিচালনা পর্ষদ, বিনিয়োগকারী, সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সহকর্মীদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রত্যাশায় আছি।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পণ্যবৈচিত্র্য না হলে রপ্তানি কমবে: এডিবি
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য কম। দেশের রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে গেলে রপ্তানি পণ্যে যে শুল্ক আরোপিত হবে, তার জেরে দেশের রপ্তানি ৫.৫ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এই বাস্তবতায় দেশের রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলেই মনে করে সংস্থাটি।
এডিবির ‘এক্সপান্ডিং অ্যান্ড ডাইভারসিফাইং এক্সপোর্টস ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্যের বৈচিত্র্য না থাকায় এলডিসি গ্রুপের বাইরের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ তুলানমূলক সবচেয়ে কম। বাংলাদেশের চেয়ে কম জনসংখ্যার দেশগুলোর রপ্তানি অনেক বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি যেখানে ৫৫ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ভিয়েতনামের রপ্তানির পরিমাণ ৩৬০ বিলিয়নের বেশি, ইন্দোনেশিয়ার ২৪০ এবং থাইল্যান্ডের রপ্তানি প্রায় ৩২৩ বিলিয়ন ডলার।
এমনকি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে গড়পড়তা শুল্কের হার বেড়ে যেতে পারে। এতে কানাডায় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ, ভারতে ৮.৬, জাপানে ৮.৭ ও চীনে রপ্তানির ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপিত হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা
তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে কৃষি, চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। অথচ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে এখনো নানান সমস্যার ভুগছে এ খাত। সরাসরি রপ্তানির সুযোগ না থাকায় নানান চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই শিল্প। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও শেনজেন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ওমর ফারুক। প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সভায় মো. আমিন হেলালী বলেন, পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য আগে শতভাগ উপকরণ আমদানি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যের উপকরণগুলোর দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি কোভিডের সময় আমদানি বাধাগ্রস্ত হলেও আমাদের রপ্তানি বন্ধ ছিল না।
বিশ্বে প্যাকেজিং খাতের বিরাট বাজারে ধরার আহ্বান জানিয়ে মো. আমিন হেলালী বলেন, আমাদের উদ্যোক্তা আছে, দক্ষ কারিগরও আছে। তারপরও যেসব কারণে আমরা প্যাকেজিং খাতের এত বড় বাজার ধরতে পারছি না সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলো সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআই পরিচালক তপন কুমার মজুমদার বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পেছনে বিরাট ভূমিকা রেখেছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজসহ দেশীয় শিল্পকে বিকশিত করার কোনো বিকল্প নেই।
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি ড. যশোধা জীবন দেবনাথ বলেন, ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এখন বাংলাদেশের। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির যাত্রায় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করার বিকল্প নেই।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব ও বন্দর কর্মকর্তাদের হয়রানি, মাত্রাতিরিক্ত লাইসেন্স ও নবায়নের বিধান ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে অন্যতম বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসময় তৈরি পোশাকশিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আমির হোসেন নূরানি, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান, সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এসএম