Connect with us

শিল্প-বাণিজ্য

করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে চার লাখ টাকা করার দাবি এফবিসিসিআইয়ের

Published

on

গ্রামীণফোন

বর্তমান মূল্যস্ফীতি এবং নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় এই দাবি জানানো হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশগুলো তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা লাখ টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের জন্য ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়। বর্তমান মূল্যস্ফীতি এবং নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এফবিসিসিআই বলছে, বর্তমানে প্রায় এক কোটি টিআইএনধারী রয়েছে। এর মধ্যে আনুমানিক ৩৫ লাখ আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। যাদের আয় করমুক্ত সীমার উপরে আছে তাদেরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আওতায় আনা দরকার।

লিখিত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতি একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ালেও করোনা পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব এবং চলমান রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকটের মধ্যেও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের গতিধারাকে এগিয়ে নিতে হচ্ছে। এ জন্য দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় ও জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ অর্থনীতি সঠিক গতিতে চললেই সরকার তার কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণ করতে পারবে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার মনিটরিং, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ/বহুমুখীকরণ/নতুন বাজার সংযোজন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সুদের হার এবং আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কার্যক্রম জোরদার করা, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধি, রাজস্ব নীতির সংস্কার এবং মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সমন্বয়, সর্বস্তরে সুশাসন এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাই জাতীয় অর্থনীতিতে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় করতে ব্যবসায়িক খরচ (কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস) কমিয়ে আনা, বিনিয়োগ সুরক্ষা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুষম বিনিয়োগ সহায়ক মূদ্রা ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, শিপিং খরচসহ সব ধরনের পরিবহন খরচ হ্রাসের আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্থায়ী পরিকাঠামো উন্নয়নে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর আদায়ের ক্ষেত্রে হয়রানি ও জটিলতা দূর করার মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব কর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আগামী বাজেটে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যাংকিং ও ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার বিষয়ে সরকার এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে সুদের হার স্থিতিশীল রাখতেন হবে। বিনিয়োগের স্বার্থেই সুদের হার কমিয়ে আনতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ও অনুৎপাদনশীল প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থ পাচার/মানি লন্ডারিং রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিদেশে দক্ষ জনসম্পদ পাঠাতে পারলে ভালো এবং টেকসই রেমিট্যান্স মিলবে। দক্ষ জনবলের পাঠানো রেমিট্যান্স অধিকতর মূল্য সংযোজন করতে সক্ষম। সম্ভাবনাময় এবং নতুন জনশক্তি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি তথা বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনগুলোকে দেশের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

মাহবুবুল আলম বলেন, রাজস্ব বাড়াতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ জোরদার করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সহায়ক পলিসি সাপোর্ট, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে করের আওতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নগদ সহায়তার বিকল্প সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিকল্প সহায়তা হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও পরিবহন খাতে প্রণোদনা বা বিশেষ সুবিধা দিতে হবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই। এর মধ্যে রয়েছে-
>>> কর্মসংস্থানের স্বার্থে বিনিয়োগ, দেশীয় শিল্প ও সেবা এবং সিএমএসএমই-কে শুল্ক করের যৌত্তিক প্রতিরক্ষা।
>>> ক্ষেত্রবিশেষে অব্যাহতি যা বন্ড সুবিধা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তিতে রপ্তানি বৈচিত্রকরণের প্রয়াস অব্যাহত রাখা।
>>> ভোগ্যপণ্যসহ নিত্য ব্যবহার্য্য পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা।
>>> করণীতি, কর পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, অটোমেশন ও ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে নেট বা করজাল সম্প্রসারণ।
>>> স্বোচ্ছায় কর প্রতিপালন হার বৃদ্ধি করে রাজস্ব আদায় তথা কর জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি করা।
>>> আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও যথাযথ করনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করা।
>> সমন্বিত শুল্ক-করা এবং মুদ্রা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

এফবিসিসিআই যেসব দাবি জানিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
>>> করহার কমিয়ে আয়কর এবং মূসকের আওতা সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ বাড়ানো। ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করতে আয়করের আওতা বাড়ানো। সক্ষম করাদাতাদের আয়করের আওতায় আনা। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমন্বিত ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জরুরি সংস্কারক আবশ্যক।

>>> আমদানি পণ্যের যথাযথ শুল্কায়ন, পণ্য খালাস এবং সব ধরনের শুল্ক ও কর পরিশোধ ত্বরান্বিত করতে বিদ্যমান এসাইকুডা সিস্টেমের সার্বিক উন্নয়নসহ বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

>>> অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব পলিসি কার্যক্রম পৃথক করা এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বিভাগ নামে একটি বিভাগ গঠন করা।

>>> ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস প্রশাসনকে সমন্বয় করা ও অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা। রাজস্ব বোর্ড দ্বারা জাতীয় রাজস্ব পরিচালিত হলেও ট্যাক্স, ভ্যাট এবং কাস্টমস এই তিনটি শাখার মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় না থাকায় এই তিন শাখার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অভাব পরিলক্ষিত হয়। এ জন্য অটোমেটেড ও ইন্টিগ্রেটেড রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।

>>> আমদানি করা কাঁচামাল, মধ্যবর্তী কাঁচামালসহ যাবতীয় শিল্প উপকরণের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং ভ্যাট আইনের আওতায় আগাম কর (এটি) প্রত্যাহার করা।

>>> ঢাকায় একটি পৃথক বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) এবং চট্টগ্রামে একটি বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) স্থাপনসহ দেশের সব উপজেলায় আয়কর অফিস চালু করে সক্ষম করদাতাদেরকে আয়করের আওতায় নিয়ে আসা।

>>> ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি বাস্তবায়নের দায়িত্ব (স্থানীয় শিল্পের স্বার্থে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে দেওয়া।

>>> বর্তমান মূল্যস্ফীতি এবং নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা এক লাখ টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের ৫ লাখ টাক নির্ধারণ করা।

>>> সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করতে সব উপজেলা পর্যায়ে আয়কর দপ্তর স্থাপন করা।

>>> শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোর জন্য আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা।
>>> মিনিমাম ট্যাক্স ও উইথহোল্ডিং ট্যাক্স-কে যৌক্তিকীকরণ করা।

>>> রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকদের ইআরকিউ ফান্ড থেকে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা।

>>> সব কৃষিজাত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখা।

>>> রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শুন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা। পাশাপাশি নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা।

>>> স্বেচ্ছা ক্ষমতা পদ্ধতি পরিহার করে কেবল সুনিদিষ্ট দালিলিক তথ্য বা প্রমাণের ভিত্তিতে এবং সেই সম্পর্কে করদাতার শুনানি এবং ব্যাখ্যা গ্রহণ করে আয়কর নির্ধারণ করা।

>>> বর্তমান আয়কর আইনে খুচরা বিক্রেতা ও ছোট পেশাজীবীদের আয় বা কর নির্ধারণের কোনো সুনির্দিষ্ট বা সহজ বিধান নেই। তাদেরকে কর নেটের আওতায় আনার জন্য একটি পৃথক ধারা সংযোজন করা।

>>> আয়কর আইন-২০২৩ এর ধারা ২৬১ প্রভিডেন্ট এবং গ্র্যাচুইটি তহবিলের জন্য রিটার্ন জমা দেওয়া এবং ১৫ শতাংশ কর কর্তন সংক্রান্ত বিধান প্রত্যাহার করা।

>>> স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের পাশাপাশি সাধারণ পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পুনরায় প্রবর্তন করা।

>>> কর দিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে প্রদত্ত অগ্রিম কর, উৎসে করসহ অন্যান্য প্রদত্ত করের ওপর জরিমানা সংক্রান্ত ধারা ১৭৪ বাতিল করা।

>>> ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরে সক্ষম সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মার্কেট সমিতির সহায়তায় বাধ্যতামূলক মূসক নিবন্ধনের আওতায় আনা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ৮০ সৌদি কম্পানি

Published

on

গ্রামীণফোন

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশকে জ্বালানি সহযোগিতা দিতে আগ্রহের কথাও জানিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দেশটির মন্ত্রী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগদান শেষে তিনি এ সব বৈঠক করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (১ মে) জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম এবং সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ ও পরিচালনা পর্ষদের মহাসচিব সাদ আল কোরডের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বৈঠকগুলোতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে পিআইএফ মহাসচিব সাদ আল কোরডে পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালে (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কম্পানির তালিকা প্রকাশ করেন এবং পিআইএফ তাদের কম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে সৌদি সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

তারা এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানিয়ে আল ইব্রাহিম বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। বৈঠকে জেভি ডিএপটি সার কারখানা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

১০ মাসে রপ্তানি আয় ৪৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার

Published

on

গ্রামীণফোন

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৭১ বিলিয়ন ডলার। যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাত শতাংশ কম।

তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানির গতি কিছুটা ধীর হওয়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মাসিক রপ্তানি চিত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশের বেশি জুড়ে রয়েছে তৈরি পোশাক। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে মোট রপ্তানির মধ্যে ৪০ দশমিক ৪৯৪ বিলিয়ন ডলারই তৈরি পোশাক। চলতি বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির গতি কিছুটা কমে গেলে মোট রপ্তানি কমে যায়।

চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। একই সময়ে মোট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

করোনা মহামারিতে তৈরি পোশাক রিপ্তানি কিছুটা ভাটার টান তৈরি হলেও দ্রুত ঠিক হয়েছে। মহামারির প্রকোপ কমার সাথে সাথে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা পরবর্তী প্রায় দুই বছর রপ্তানির গতি অব্যাহত থাকে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আবার ধাক্কা লাগে। তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতির আঘাত লাগে; কমে যায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। এর ফলে আবারও রপ্তানিতে ভাটার টান তৈরি হয়। পরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার জের ধরে লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা শুরু হলে রপ্তানিতে আবারও নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।

তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, লোহিত সাগরে সমুদ্রগামী জাহাজে হামলা শুরু হলে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক কাছের বাজার খুঁজতে থাকে। লোহিত সাগরের এ সমস্যা দূর না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নতুন করে বাড়তি সমস্যা যোগ হবে, যাতে রপ্তানি ব্যাহত হতে পারে; কমবে প্রবৃদ্ধি।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, তুলনামূলক অন্যান্য কম রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি হয়েছে ৩২১ মিলিয়ন ডলার; পণ্যটি আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি কমেছে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অন্যতম সম্ভাবনাময় চামড়া ও চামড়া পণ্য রপ্তানি কমেছে ১৩ দমমিক ৩২ শতাংশ; রপ্তানি হয়েছে ৮৭২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলারের। এক সময়ের প্রধান রপ্তানি পণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ৭ শতাংশ; ১০ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের।

আরেক সম্ভাবনাময় হোম টেক্সটাইল ১০ মাসে রপ্তানি সংকুচিত হয়েছে ২৫ শতাংশ; ১০ মাসে পণ্যটির রপ্তানি হয়েছে ৭০২ দমকি ৫৬ মিলিয়ন ডলার।

১০ মাসে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭৭৪ মিলিয়ন ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দমিক ১২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০১ মিলিয়ন ডলারের; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। বিশেষ টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

সামিট করপোরেশনের নতুন এমডি ফয়সাল খান

Published

on

গ্রামীণফোন

সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফয়সাল খান। তিনি ২০০৭ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, বন্দর ও রিয়েল এস্টেট খাতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপে যোগ দেন। তিনি সামিট গ্রুপের সব কোম্পানির বোর্ড সদস্য এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফয়সাল খানের নিয়োগ প্রসঙ্গে সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘ফয়সাল খান সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। আমাদের সন্তানরা এমন ভালো মানুষ, সৎ মানুষ এবং ভালো একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে বেড়ে উঠেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’

‘ফয়সাল ১৭ বছর ধরে পেশাগতভাবে আমার সঙ্গে আছেন এবং ২০১৭ সাল থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তিনি এই পদের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ জানেন। আমি নিশ্চিত, তার হাতেই সামিট আরও এগিয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।

নিয়োগ পেয়ে ফয়সাল খান বলেন, ‘সামিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিজ খানের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। তার দিকনির্দেশনা, প্রজ্ঞা এবং অবিচল সমর্থন কেবল আমার পেশাদার যাত্রা নয়, আমার ব্যক্তিগত জীবন গঠনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জটিলতা নিরসনে আমি পরিচালনা পর্ষদ, বিনিয়োগকারী, সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সহকর্মীদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রত্যাশায় আছি।’

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

পণ্যবৈচিত্র্য না হলে রপ্তানি কমবে: এডিবি

Published

on

গ্রামীণফোন

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য কম। দেশের রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে গেলে রপ্তানি পণ্যে যে শুল্ক আরোপিত হবে, তার জেরে দেশের রপ্তানি ৫.৫ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এই বাস্তবতায় দেশের রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলেই মনে করে সংস্থাটি।

এডিবির ‘এক্সপান্ডিং অ্যান্ড ডাইভারসিফাইং এক্সপোর্টস ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্যের বৈচিত্র্য না থাকায় এলডিসি গ্রুপের বাইরের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ তুলানমূলক সবচেয়ে কম। বাংলাদেশের চেয়ে কম জনসংখ্যার দেশগুলোর রপ্তানি অনেক বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি যেখানে ৫৫ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ভিয়েতনামের রপ্তানির পরিমাণ ৩৬০ বিলিয়নের বেশি, ইন্দোনেশিয়ার ২৪০ এবং থাইল্যান্ডের রপ্তানি প্রায় ৩২৩ বিলিয়ন ডলার।

এমনকি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে গড়পড়তা শুল্কের হার বেড়ে যেতে পারে। এতে কানাডায় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ, ভারতে ৮.৬, জাপানে ৮.৭ ও চীনে রপ্তানির ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপিত হতে পারে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা

Published

on

গ্রামীণফোন

তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে কৃষি, চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। অথচ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে এখনো নানান সমস্যার ভুগছে এ খাত। সরাসরি রপ্তানির সুযোগ না থাকায় নানান চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই শিল্প। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও শেনজেন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ওমর ফারুক। প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।

সভায় মো. আমিন হেলালী বলেন, পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য আগে শতভাগ উপকরণ আমদানি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যের উপকরণগুলোর দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি কোভিডের সময় আমদানি বাধাগ্রস্ত হলেও আমাদের রপ্তানি বন্ধ ছিল না।

বিশ্বে প্যাকেজিং খাতের বিরাট বাজারে ধরার আহ্বান জানিয়ে মো. আমিন হেলালী বলেন, আমাদের উদ্যোক্তা আছে, দক্ষ কারিগরও আছে। তারপরও যেসব কারণে আমরা প্যাকেজিং খাতের এত বড় বাজার ধরতে পারছি না সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলো সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআই পরিচালক তপন কুমার মজুমদার বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পেছনে বিরাট ভূমিকা রেখেছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজসহ দেশীয় শিল্পকে বিকশিত করার কোনো বিকল্প নেই।

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি ড. যশোধা জীবন দেবনাথ বলেন, ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এখন বাংলাদেশের। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির যাত্রায় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করার বিকল্প নেই।

বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব ও বন্দর কর্মকর্তাদের হয়রানি, মাত্রাতিরিক্ত লাইসেন্স ও নবায়নের বিধান ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে অন্যতম বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসময় তৈরি পোশাকশিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আমির হোসেন নূরানি, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান, সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
গ্রামীণফোন
অর্থনীতি17 mins ago

এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি

গ্রামীণফোন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার43 mins ago

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

গ্রামীণফোন
খেলাধুলা1 hour ago

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, তানজিদের অভিষেক

গ্রামীণফোন
জাতীয়1 hour ago

হজযাত্রীদের সেবায় কমিটি গঠন করলো ডিএনসিসি

গ্রামীণফোন
লাইফস্টাইল2 hours ago

গরমে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে

গ্রামীণফোন
সারাদেশ2 hours ago

গাজীপুরের ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই তদন্ত কমিটি

গ্রামীণফোন
আন্তর্জাতিক3 hours ago

তিন মাসের সর্বনিম্নে ভারতীয় চালের দাম

গ্রামীণফোন
পুঁজিবাজার3 hours ago

গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

গ্রামীণফোন
অর্থনীতি3 hours ago

সবজিতে অস্বস্তি, কমেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম

গ্রামীণফোন
খেলাধুলা3 hours ago

দুই কোটি রুপিই পাবেন মুস্তাফিজ

গ্রামীণফোন
ধর্ম ও জীবন4 hours ago

জুমার দিনে যে পাঁচ ভুল কাম্য নয়

গ্রামীণফোন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার4 hours ago

শনিবার ঢাকাসহ ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ

গ্রামীণফোন
সারাদেশ4 hours ago

দুই ঘণ্টা পর গাজীপুরে ট্রেন চলাচল শুরু

গ্রামীণফোন
জাতীয়4 hours ago

চট্টগ্রাম থেকে হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে

গ্রামীণফোন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার5 hours ago

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

গ্রামীণফোন
জাতীয়5 hours ago

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী

গ্রামীণফোন
সারাদেশ7 hours ago

গাজীপুরে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

গ্রামীণফোন
ধর্ম ও জীবন7 hours ago

দুই কাজে নষ্ট হয় জুমার সওয়াব

গ্রামীণফোন
আন্তর্জাতিক7 hours ago

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০

গ্রামীণফোন
অর্থনীতি7 hours ago

সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি বেড়েছে ৮ কোটি টাকা

গ্রামীণফোন
শিল্প-বাণিজ্য8 hours ago

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ৮০ সৌদি কম্পানি

গ্রামীণফোন
আন্তর্জাতিক8 hours ago

চীনে মহাসড়ক ধসে ৪৮ জনের মৃত্যু

গ্রামীণফোন
জাতীয়8 hours ago

বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন দুজন

গ্রামীণফোন
খেলাধুলা9 hours ago

সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

গ্রামীণফোন
আবহাওয়া9 hours ago

কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের খবর দিলো আবহাওয়া অফিস

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১