কর্পোরেট সংবাদ
১১ হাজার মানুষকে অর্থ সহায়তা দিল এনআরবিসি ব্যাংক
‘স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনার দুয়ারে’ এই স্লোগানে অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বিশেষ এই দিনে ইফতার সামগ্রী ক্রয় ও ঈদ উৎসবের আনন্দ বাড়াতে সারা দেশের ১১ হাজার এতিম, দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এনআরবিসি ব্যাংক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৩ সালের ২ এপ্রিল ৫৩ জন প্রবাসী উদ্যোক্তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এনআরবিসি ব্যাংক। পথচলায় ১১ বছর পার করে ১২ বছরে পদার্পণ করেছে ব্যাংকটি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক সূচকে শীর্ষে উঠে এসে নতুন নতুন মাইলফলক স্থাপন করছে এনআরবিসি ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্যাংকটির নতুন পথচলায় আর্থিক ভিত্তিগুলো অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৭ সালে আমানত ছিল ৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে তা প্রায় ৪গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণ বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। ২০১৭ সালে ঋণ ছিল ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, আর ২০২৩ সাল শেষে হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকের কর্মীর সংখ্যা ৬১৭ জন থেকে ৬ গুণ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৮৩২ জন। ২০১৭ সালে শাখার সংখ্যা ছিল মাত্র ৬১টি। ২০২৩ সাল শেষে শাখা-উপশাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০০টি।
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংকটি গ্রামের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উপশাখা স্থাপনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরকে বিনা জামানতে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার মানুষ এনআরবিসি ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন। এসব জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডের জন্য সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর তুলনায় সবার শীর্ষে। নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে শাখা-উপশাখার সবার শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক। কোন কোন ক্ষেত্রে আগের প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, ‘আমরা ১১ বছর অতিক্রম করে ১২ বছরে পদার্পন করছি। আমাদের সবসময় চিন্তুা ছিল সর্বোত্তাম ও নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা। আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার মাপকাঠিতে আগামীতে আমরা সবার শীর্ষে থাকতে চাই। এ ছাড়া গ্রামের মানুষ যেন শহরমুখী না হয় তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। গ্রামেই ঘরে বসে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।’
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু বলেন, ‘প্রবাসী হিসেবে আমাদের যে অভিজ্ঞতা, আমরা দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার এটাই ছিল উদ্দেশ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা আমাদের দায়িত্বেও মধ্যে পড়ে।’
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম আউলিয়া বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম-বাংলার গণমানুষের ব্যাংক। যেখানে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব আমরা সেখানে বিনিয়োগ করছি। ব্যাংকিং সেবাকে মানুষের দৌঁড়গোড়ায় পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আমরা রিয়েলটাইম ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ফিনটেকের উপর জোর দিয়েছি। সাধারণ মানুষ খুব দ্রুত ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছেন। সেই জায়গা থেকে আমরা ন্যানো ক্রেডিটের দিকে যাচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিবছর ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম , ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক ওলিউর রহমান, এ এম সাইদুর রহমান, লকিয়ত উল্লাহ, মোহাম্মদ নাজিম, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এয়ার চিফ মার্শাল (অব:) আবু এসরার, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ড. রাদ মজিব লালনসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মধ্যে সমঝোতা
‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ডায়াবেটিস ও এর জটিলতা হ্রাস বিষয়ক নাগরিক সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ’ এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি।
এ উপলক্ষে রবিবার (০৫ মে) ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের শহীদ মেজর সালেক চৌধুরী বীর উত্তম সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাক্ষর করেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি যৌথভাবে ‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ নামের প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে। প্রকল্পটির মুখ্য উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে আছে- মোবাইল ডায়াবেটিস সেন্টার সেবা, দেশের দশটি (১০) জেলায় ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে ১০-১৫ লক্ষ মানুষের ঝুঁকি নির্ণয়, গ্লুকোমিটারের মাধ্যমে এক লক্ষ মানুষের ডায়াবেটিস সনাক্ত করা, চার হাজার ডায়াবেটিক রোগীকে বিনামূল্যে শারীরিক চেকআপ, ল্যাব টেস্ট ও চিকিৎসা প্রদান করা এবং প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেশে প্রথম ডায়াবেটিস ম্যাপিং তৈরী করা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন এবং প্রকল্পটির পরিচালক ডা. বিশ্বজিত ভৌমিক।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ক্র্যাব থেকে দেশের সেরা ক্রেডিট রেটিং অর্জন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে তিন বছর দেশের সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘এএএ’ অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এমন অর্জন ব্যাংকটির শক্তিশালী আর্থিক অবস্থা এবং টেকসইতার পরিচায়ক।
ক্র্যাব ব্র্যাক ব্যাংককে দীর্ঘমেয়াদে ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘স্থিতিশীল’ আউটলুকসহ ‘এসটি-১’ রেটিং দিয়েছে। ‘এএএ’ হচ্ছে বাংলাদেশে ক্র্যাব কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং। এই ক্রেডিট রেটিং ৩০ জুন,২০২৫ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এই ক্রেডিট রেটিং প্রমাণ করে যে, ব্র্যাক ব্যাংক স্থিতিশীল এবং সময়মতো এর আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সক্ষম। ‘এএএ’ হলো ন্যূনতম ঋণ ঝুঁকিসহ সর্বোচ্চ মানের স্বীকৃতি।
ক্র্যাবের রেটিংয়ে ব্যাংকটির শক্তিশালী মালিকানা কাঠামো, মজবুত টিয়ার-১ ক্যাপিটাল বেজের সাথে ভালো মূলধন ব্যবস্থা, স্বল্প খরচে দৃঢ় ও স্থিতিশীল ডিপোজিট বেজ, অনবদ্য ফান্ডিং-প্রোফাইল থেকে সৃষ্ট শক্তিশালী তারল্য অবস্থা, বড় ঋণে তুলনামূলক কম অর্থায়ন, শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং অল্টারনেট ডেলিভারি চ্যানেলসহ বিভিন্ন দৃঢ় মৌলিক বিষয় উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং অর্জনের বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলি আর. এফ. হোসেন বলেন, ক্র্যাব থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘এএএ’ ক্রেডিট রেটিং অর্জন আমাদের জন্য সত্যিই অনেক সম্মানের। ইন্ডাস্ট্রি এভারেজের চেয়ে ভালো ক্যাপিটাল বেজ, উন্নত অ্যাসেট কোয়ালিটি, ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে অনুকরণীয় কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এবং উচ্চতর তারল্য অবস্থান বজায় রাখার পাশাপাশি এই বিষয়গুলো আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাংকের চলমান প্রচেষ্টার ফলেই এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারবৃন্দ এই ক্রেডিট রেটিং অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁদের অবিচল আস্থার কারণেই আমাদের এই শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তাদের সাথে এই অর্জন শেয়ার করতে পেরে আমরা গর্বিত।
মুডি’স ইনভেস্টরস সার্ভিস কর্তৃক স্বীকৃত এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিংয়ের সমতুল্য ক্রেডিট রেটিং রয়েছে, এমন একমাত্র ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক দেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্ববিখ্যাত ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি ‘এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিং’ থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং অর্জন করেছে।
বাংলাদেশে কর্পোরেট গভর্নেন্স, কমপ্লায়েন্স, স্বচ্ছতা এবং মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের রোল মডেল হিসেবে সকল স্টেকহোল্ডার ব্র্যাক ব্যাংককে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে ইন্ডাস্ট্রির সেরা ক্রেডিট রেটিং অর্জন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ প্রাপ্তি, সর্বোচ্চ মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন এবং সাফা, আইসিএবি এবং আইসিএমএবি কর্তৃক স্বীকৃতি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাংকটির সুশাসন ও শক্তিশালী আর্থিক অবস্থার পরিচয় বহন করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে ‘হ্যাপি মার্ট’র ২৭তম শোরুম উদ্বোধন
বেঙ্গল গ্রুপের রিটেইল চেইনশপ ‘হ্যাপি মার্ট’ এর ২৭তম শোরুম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) চট্টগ্রামের চকবাজারে কাপাসগোলা রোডে নতুন এ শোরুম উদ্বোধন করা হয়।
শোরুমটি উদ্বোধন করেন বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল রিটেইলস লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো: আতিকুর রহমান, সিনিয়র ইভেন্ট এক্সিকিউটিভ মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও প্রমুখ।
শোরুমটিতে গুণগত মানসম্পন্ন প্লাস্টিক ফার্নিচারসহ হাউজওয়্যার, মেলামাইন, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এই শোরুম থেকে গ্রাহকেরা সহজেই গ্লাসওয়্যার, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, ননস্টিক কুক ওয়্যার, ওয়াটার পিউরিফায়ার, গ্যাস স্টোভ ও বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল ধরণের পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
নতুন এই শোরুমের উদ্বোধন উপলক্ষে হ্যাপি মার্টের নির্দিষ্ট পণ্যের উপর পাওয়া যাচ্ছে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ মূল্য ছাড় দিচ্ছে কোম্পানিটি। অফারটি আগামী ৮ই মে পর্যন্ত চলবে। অফারটি উপভোগ করতে চকবাজারের হ্যাপি মার্ট শোরুম থেকে গ্রাহকদের কেনাকাটা করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স গ্রহণে গাড়ী জিতল কাপাসিয়ার মুঞ্জিল
ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ত্রিশ লাখ টাকার ১৫০০ সিসির প্রাইভেট কার জিতেছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-এর মাধ্যমে সৌদি আরব প্রাবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার অর্জন করেন।
এ সময় ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মোঃ আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মোঃ রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেইন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদ সহ-প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক- ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র এর মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে ব্রাঞ্চ পরিচালনা করলো ব্র্যাক ব্যাংক
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে তিনটি ব্রাঞ্চ পরিচালনা করে ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে ব্রাঞ্চ পরিচালনাবিষয়ক এই পাইলট উদ্যোগটি হলো ব্যাংকে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের এক যুগান্তকারী প্রচেষ্টা। ব্র্যাক ব্যাংকের এই প্রচেষ্টায় গ্রাহক সেবা থেকে শুরু করে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট পর্যন্ত ব্রাঞ্চের সকল কাজ নারী কর্মকর্তারা পরিচালনা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, ব্রাঞ্চের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সকল কর্মীও ছিলেন নারী, যা জেন্ডার-ইকুয়ালিটির বিষয়ে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সপ্তাহব্যাপী চালিত এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগটি ছিল ব্যাংকের জন্য এক দুর্দান্ত সাফল্য। সাতমসজিদ রোড ব্রাঞ্চ, মগবাজার ব্রাঞ্চ এবং নিকুঞ্জ সাব-ব্রাঞ্চ শাখা পুরোপুরিভাবে নারী কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, যা গ্রাহকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়ার পাশাপাশি ব্যাপক প্রশংসাও অর্জন করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি ব্যাংকটির অবিচল প্রতিশ্রুতিকে সকলের সামনে আরও একবার তুলে ধরেছে।
ব্যাংকটির মূল প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। একটি মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়তা এবং তাঁদের নেতৃত্বস্থানীয় পদে পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে থাকে।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন যে, ব্র্যাক ব্যাংক সমাজের প্রত্যেক নারীর সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে। আমাদের এই উদ্যোগটি নারীদের এগিয়ে চলার পথে পুরো ব্যাংকিং খাতে ব্র্যাক ব্যাংককে অগ্রণী ভূমিকায় রাখবে।
সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, নারী সহকর্মীদের সম্ভাবনায় বিশ্বাসী ব্র্যাক ব্যাংক কর্মক্ষেত্রে নারীদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে অনুকূল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে। এখানে প্রত্যেক নারী স্ব-স্ব পদে নিজেদের পুর্ণাঙ্গ সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছেন। নারী কর্মীদের মাধ্যমে পুরো ব্রাঞ্চ পরিচালনা নিয়ে আমাদের এই উদ্যোগটি নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আমাদের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরই প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা নারীদের ক্যারিয়ার অগ্রযাত্রায় এবং পূর্ণাঙ্গ সম্ভাবনার বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে থাকি। তাঁদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনে উন্নতির লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করে থাকে। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের এই ‘শুধু নারী কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত ব্রাঞ্চ’ মডেলটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করব।
ব্যাংকিং খাতের শীর্ষস্থানীয় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকে মোট জনবলের ১৫শতাংশই নারী। ব্যাংকটি এই হার ৩০শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।