Connect with us

অর্থনীতি

বাজার স্থিতিশীল রাখতে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সক্রিয় থাকার আহ্বান

Published

on

বাজার মূলধন

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে নিত্যপণ্য নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. বশির উদ্দিন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশ হিসেবে ছোট হলেও আমাদের বাজার অনেক বড়। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ ও অঞ্চলের সাথে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। প্রায় ২০০ বিলিয়ন মানুষের বাজার বাংলাদেশ। সুতরাং, ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে।

এবারের রমজানে পিঁয়াজ, আলু ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম অনেকটা সহনীয় রয়েছে উল্লেখ করে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত নিত্যপণ্যের ওপর ডিউটি কমানোসহ কাস্টমসের সহযোগিতা চান এফবিসিসিআই সভাপতি। সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখতে সঠিক ডাটাবেজ তৈরি অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, প্রতিবছর ২২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয় দেশে, যার বেশিরভাগই বেসরকারি খাতের মাধ্যমে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বেসরকারি খাত। নিয়ম মেনে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা এবং নৈতিকভাবে ব্যবসা কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি) বলেন, ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করেন ব্যবসা করার জন্য, চুরি করার জন্য না। ছোট ব্যবসায়ীরা অনেক সময় নীতিমালা বোঝেন না। কিন্তু ঢালাওভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তাদের বোঝাতে হবে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। সবাইকে সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আইনের দ্বারা পরিচালিত হয়। ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। ব্যবসার যাবতীয় তথ্য ও কাগজপত্র সংরক্ষণ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ক্যাশ মেমো ব্যবস্থা চালু করা গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশেই কমে আসবে। ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি

Published

on

বাজার মূলধন

মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫ ভাগ দখল করে নিয়ে আছে তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক রপ্তানি কমলে মোট রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে ধাক্কা লাগে।

গত এপ্রিল মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হওয়ায় পুরো রপ্তানির চিত্র বদলে গেছে। এ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরে একই সময়ে যা হয়েছিল ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ফলে এপ্রিলে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এ মাসে তৈরি পোশাকের এই সংকোচন পুরো রপ্তানির গতিকে থামিয়ে দিয়েছে।

আগের মাস মার্চ শেষে জুলাই-মার্চ ৯ মাসে তৈরি পোশাকে রপ্তানির প্রবদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এপ্রিল শেষে জুলাই-মার্চ ১০ মাসে সেই প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দেশের মোট রপ্তানিও ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এপ্রিল মাসে ঈদের ছুটি ছিল। এ কারণে ওয়ার্কিং ডে কম ছিল। এটি এপ্রিলে রপ্তানি কমের একটি কারণ।

তিনি আরও বলেন, আগামী মাসগুলোতে লক্ষ্যপূরণে বড় কোনো অর্জন হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ হলো আগামীতে আর দুইটি মাস আছে। যদি মাসে তিন বিলিয়ন করেও ধরি, তবে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি হবে। বড় ধরনের অর্জন হবে বলে মনে হয় না। অনেক দিন ধরেই বিশ্ব অর্থনীতি ভালো না। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে আবার লোহিত সাগরে অস্থিরতা যোগ হয়েছে। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা চলছেই।

তিনি আরও বলেন, মানুষ আগে যে পর্যায়ে ছিল, এখনও সেখানেই আছে। এ জন্য মানুষ বাড়তি কেনাকাটা করছেন না বা করতে পারছেন না। তাই বাজার থেকে নেতিবাচক প্রভাব যাচ্ছে না। আর আমরাও এর প্রভাব থেকে বাইরে যেতে পারছি না। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না যে শীঘ্রই রপ্তানি বাড়বে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সবজিতে অস্বস্তি, কমেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম

Published

on

বাজার মূলধন

গরমে অস্বস্তিতে থাকা নগরবাসীকে বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও বাজারে এসে আবারও অস্বস্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রোদ হোক বা বৃষ্টি ব্যবসায়ীদের সারাবছর অজুহাত লেগেই থাকে। সরবরাহের ঘাটতি না থাকলেও গরমের অজুহাতে দাম বেড়েছে প্রায় সব নিত্য পণ্যের বাজারে। তবে সুখের সংবাদ এই যে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে যে মুরগি বিক্রি হচ্ছিলো ২২০/২৩০ টাকা কেজি তা আজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০/২০০ টাকা কেজি।

শুক্রবার (৩ মে ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার আনাগোনা কম থাকলেও গরুর মাংসের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০/৮০০ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা। আর ছাগল বা ভেড়ার মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি। এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে। বেলজিয়াম জাতের হাস ৫০০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক ৩৭০ টাকা কেজি তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৯০/ ২০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত রাতের সামান্য বৃষ্টিতে সরবরাহ কম হবার অজুহাত দেখিয়ে গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে শাক সবজির দাম।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সুমন জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গরমের কারণে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এছাড়া গত কাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ায় রাতে পাইকারি সবজি ব্যাপারিরাও মাল নিয়ে তেমন আসতে পারেন নি। তাই চাহিদার তুলনায় কম সবজি থাকায় একটু দাম বেশি। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহ পরে মালের যোগান বৃদ্ধি পেলে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা তার।

এদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া কেটে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৬০ টাকা। এছাড়া লাউ প্রতি পিছ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, দেশি পটল ১২০ টাকা আর হাইব্রিড পটল ৬০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ টাকা আর লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, লেবুর হালি ৪০ টাকা তবে বরাবরের মতো মুলার দাম ছিলো একটু কম ৪০ টাকা কেজি।

এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় খুব একটা বাড়েনি মাছের দাম। বাজারে ঘুরে দেখা গেছে ছোট আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৭০০-৮০০ টাকা কেজি, এছাড়া বড় বাইম ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি।

তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এবং চাহিদার শীর্ষ থাকা মাছের দাম ছিলো অপরিবর্তিত। বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ আকারভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৫৫০ টাকা, একটু ছোট জাতের রুই মাছ ৩০০ টাকা আর বড় সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকা কেজি, সিলভার কার্প ২৪০ এবং মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি বেড়েছে ৮ কোটি টাকা

Published

on

বাজার মূলধন

আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমলেও চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ভর্তুকি কমছে না। সংশোধিত বাজেটে বরং কৃষি খাতের ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মূল বাজেটে এ খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা বাবদ ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার মানের অবমূল্যায়ন, জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়া এবং এলএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরেও ব্যাপক ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এ খাতে ভর্তুকি কত রাখা হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তবে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশ করা বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের প্রতিবেদনের (পিংক শিট) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেশ কম ছিল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন ইউরিয়া সারের দাম ছিল ৩৫১.৩০ ডলার। এছাড়া প্রতি টন ডিএপির দাম ৫৮৩.৮০ ডলার, প্রতি টন টিএসপির দাম ৪৫৪.৪০ ডলার এবং প্রতি টন এমওপির দাম ছিল ২৮৯.৪০ ডলার।

২০২৩-এর এপ্রিলে সরকার ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়ায়। কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপি সারের দাম ২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা, ডিএপির দাম ১৬ টাকার পরিবর্তে ২১ টাকা ও এমওপি সারের দাম ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

ওই সময় কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় সারের আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং সারের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পণ্যটির দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশে ২৭ লাখ টন ইউরিয়া সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া টিএসপি ৭.৫ লাখ টন, ডিএপি ১৬ লাখ টন ও এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে ৯ লাখ টন।

এর মধ্যে ১০ লাখ টন ইউরিয়া, ১ লাখ টন টিএসপি ও ১ লাখ টন ডিএপি দেশেই উৎপাদন করে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।

চলতি অর্থবছরে গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত ইউরিয়া ১৫.৮৫ লাখ টন, টিএসপি ৬.৭২ লাখ টন, ডিএপি ১৩.০৫ লাখ টন ও এমওপি ১০.৩৪ লাখ টন আমদানি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটবিষয়ক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি বছরই মূল বাজেটে কৃষি ভর্তুকি বাবদ যে বরাদ্দ রাখা হয়, সংশোধিত বাজেটে তা বাড়ানো হয়।

তবে এই বৃদ্ধি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই অর্থবছরের মূল বাজেটে ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা; কিন্তু অর্থবছর শেষে ব্যয় হয়েছিল ২৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল বাজেটে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়; অর্থবছর শেষে খরচ হয় ১২ হাজার কোটি টাকা। একইভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মূল বাজেটে কৃষি খাতের ভর্তুকি বাবদ ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও বছর শেষে এ খাতে ব্যয় হয় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার কোটি টাকা, অর্থবছর শেষে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।

কৃষকদের কম দামে সার সরবরাহ করতে গিয়েই মূলত সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি ব্যয় হয়। এছাড়া কৃষি খাতে পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যে সেচ দেওয়া হয়, তার বিলের ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়। এর বাইরে আখ চাষে সামান্য ভর্তুকি রয়েছে।

কৃষি পুনর্বাসন ৬০০ কোটি টাকা সহায়তা
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা বাবদ ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে। এরমধ্যে ৫৩০ কোটি টাকা সার, বীজ ও চারা বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হবে।

কৃষকদের নতুন জাতের বীজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা, এক ধরনের ফসল থেকে অন্য ধরনের ফসল চাষে আগ্রহী করতে এ সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। আর ৭০ কোটি টাকা দেওয়া হবে অনুদান। খরা, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই অনুদান দেওয়া হয়।

২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে সরকার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিল ব্র্যাক ব্যাংক

Published

on

বাজার মূলধন

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ব্র্যাক ব্যাংকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের অভিযান’ শিরোনামে বেশ কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই খবরগুলোতে পুরো বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল ১৫-এর কর্মকর্তারা ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহক প্রতিষ্ঠান উলকা গেমস লিমিটেডের অ্যাকাউন্ট থেকে করের তহবিল সংগ্রহের জন্য গুলশান শাখায় যান। প্রথমত, এটি কোনো অভিযান ছিল না। কর্মকর্তারা ব্র্যাক ব্যাংকের কাছ থেকে করের অর্থ সংগ্রহের জন্যও যাননি। বরং ব্যাংকের গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের করের টাকা সংগ্রহই ছিল তাদের লক্ষ্য। বিভিন্ন মিডিয়াতে ব্যাংকের কর ফাঁকির উল্লেখ সম্পূর্ণ অসত্য। পুরো ঘটনাটি নিয়ে মিডিয়ার প্রতিবেদনগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্র্যাক ব্যাংক এনবিআর কর্মকর্তাদের উক্ত কোম্পানির করের অর্থ প্রদান করতে পারেনি। এই অনিচ্ছাকৃত অপরাগতার কথা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার লিখিতভাবে এনবিআর কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। এখানে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে অসহযোগিতারও অবকাশ ছিল না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে ও আদালতের অবমাননা এড়াতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ১ মে একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ ৫ মে তারিখের নির্ধারিত শুনানি পর্যন্ত উলকা গেমসের তহবিল স্থানান্তরের বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেন। শুনানি পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্র্যাক ব্যাংক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। করের টাকা আদায়ে এনবিআরকে পূর্ণ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

এপ্রিলে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ

Published

on

বাজার মূলধন

গত একমাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।

এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তবে ওই মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
বাজার মূলধন
স্বাস্থ্য4 seconds ago

ডেঙ্গুতে আরও তিন জনের মৃত্যু

বাজার মূলধন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার29 mins ago

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে এপেক্স

বাজার মূলধন
জাতীয়1 hour ago

শনিবার থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া

বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার1 hour ago

লেনদেনের সঙ্গে বাজার মূলধন বাড়লো ৬ হাজার কোটি টাকা

বাজার মূলধন
খেলাধুলা2 hours ago

বাংলাদেশকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে

বাজার মূলধন
স্বাস্থ্য2 hours ago

আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত

বাজার মূলধন
আন্তর্জাতিক2 hours ago

যেসব স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আজ

বাজার মূলধন
জাতীয়2 hours ago

ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে কাজ করবে ডিএনসিসি

বাজার মূলধন
অর্থনীতি3 hours ago

এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি

বাজার মূলধন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

বাজার মূলধন
খেলাধুলা4 hours ago

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, তানজিদের অভিষেক

বাজার মূলধন
জাতীয়4 hours ago

হজযাত্রীদের সেবায় কমিটি গঠন করলো ডিএনসিসি

বাজার মূলধন
লাইফস্টাইল5 hours ago

গরমে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে

বাজার মূলধন
সারাদেশ5 hours ago

গাজীপুরের ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই তদন্ত কমিটি

বাজার মূলধন
আন্তর্জাতিক5 hours ago

তিন মাসের সর্বনিম্নে ভারতীয় চালের দাম

বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার5 hours ago

গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

বাজার মূলধন
অর্থনীতি6 hours ago

সবজিতে অস্বস্তি, কমেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম

বাজার মূলধন
খেলাধুলা6 hours ago

দুই কোটি রুপিই পাবেন মুস্তাফিজ

বাজার মূলধন
ধর্ম ও জীবন6 hours ago

জুমার দিনে যে পাঁচ ভুল কাম্য নয়

বাজার মূলধন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার6 hours ago

শনিবার ঢাকাসহ ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ

বাজার মূলধন
সারাদেশ7 hours ago

দুই ঘণ্টা পর গাজীপুরে ট্রেন চলাচল শুরু

বাজার মূলধন
জাতীয়7 hours ago

চট্টগ্রাম থেকে হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে

বাজার মূলধন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার7 hours ago

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

বাজার মূলধন
জাতীয়7 hours ago

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী

বাজার মূলধন
সারাদেশ9 hours ago

গাজীপুরে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১