জাতীয়
গণহত্যার ইতিহাস সম্পর্কে জানা আমাদের কর্তব্য: দীপু মনি
গণহত্যার ইতিহাস সম্পর্কে জানা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৫ মার্চের পর পুরো সময় জুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও যুদ্ধাপরাধ এবং যে গণহত্যা করা হয়েছে, এই গণহত্যার ইতিহাস সম্পর্কে জানা, এটি লিপিবদ্ধ করা, বদ্ধভূমিগুলোকে চিহ্নিত করা, স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা, শহীদদের সম্মান করা এটি আমাদের জাতীয় কর্তব্য এবং দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে এবং এটা আমরা যতদিন মনে রাখব, যতদিন শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখব, ততদিন এ দেশটি তার সঠিক পথে থাকবে। তারা দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ সরাকরি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে কোনো সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না বিদেশি সংস্থা, সংসদে বিল
জাতীয় সংসদে ‘বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০২৪’ নামে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলের বিধান অনুযায়ী, সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, দান, বিনিময় বা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না। এ বিধান লঙ্ঘন করে কোনো বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করলে তা সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ১৯৮৩ সালের ফরেন ভলান্টারি অর্গানাইজেশনস (অ্যাকুইজিশন অব ইমমুভেবল প্রপার্টি) রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স রদ করে নতুন এ আইন করা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অর্থ এমন কোনো সংগঠন, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, যা বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোনো দেশে গঠিত বা প্রতিষ্ঠিত (নিয়মিত হোক বা না হোক)। যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো ব্যক্তি, সংগঠন বা কর্তৃপক্ষকে সেবা প্রদান অথবা স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা।
বিলটি উত্থাপনকালে ভূমিমন্ত্রী সংসদকে জানান, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য সহায়ক হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বে রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম
২০২২ সালের রেমিট্যান্স প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম। এদিকে ১১১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির মাইলফলক অর্জন করেছে ভারত।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে ভারত, মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন্স ও ফ্রান্স।
দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ- ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় রয়েছে। ২০২২ সালে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও অষ্টম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এ বছর পাকিস্তান প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাওয়ার দিক থেকে ভারত ছাড়াও শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইনস ও ফ্রান্স। ২০২২ সালে মেক্সিকোর রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ছিল ৬১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। তা ছাড়া চীনের ৫১ বিলিয়ন ডলার, ফিলিপাইন্সের ৩৮ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার এবং ফ্রান্সের ৩০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ছিল।
আইওএমের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ২০১০ বাংলাদেশ ১০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৫ সালে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল। সেই হিসাবে ১২ বছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ১০ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর দেশটি ৭৯ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে বিভিন্ন দেশে। রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সৌদি আরব (৩৯ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় অবস্থানে সুইজারল্যান্ড (৩১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার), চতুর্থ অবস্থানে জার্মানি (২৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার) ও পঞ্চম অবস্থানে আছে চীন (১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার)।
রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে অষ্টম অবস্থানে থাকলেও অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে ভারত, মেক্সিকো, রাশিয়া, চীন ও সিরিয়া।
আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রেমিট্যান্স বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বহু মানুষের লাইফলাইন হলেও এসব দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী কর্মীরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেন, আর্থিক শোষণের শিকার হন, অভিবাসন খরচের কারণে অতিরিক্ত আর্থিক দেনায় ডুবে যান। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে নিপীড়নের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তারা ‘জেনোফোবিয়া’রও (বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) শিকার হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাজেট ঘোষণা ৬ জুন
আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়েছে।
অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সব ধরনের তার মাটির নিচ দিয়ে টানা হবে: পলক
সব ধরনের কানেকটিভিটি সংযোগগুলোর তার মাটির নিচ দিয়ে টানা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের সব কিছুই হবে স্মার্টভাবে। সব ধরনের কানেকটিভিটির তার থাকবে ভূগর্ভস্থ। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আমরা এ কার্যক্রম শুরুও করেছি। ঢাকার নানান স্থানসহ বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের তার ভূগর্ভে স্থাপন করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে শতভাগ কানেকটিভিটি সংযোগের তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে। দেশে টিঅ্যান্ডটির লাইনসমূহ শুধুমাত্র গ্রাহক পর্যায়ে কারিগরি কারণে মাটির ওপর দিয়ে টানা হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে টিঅ্যান্ডটির তার ভূগর্ভস্থ করা হয়েছে। যেমন, এক্সচেঞ্জ থেকে কেবিনেট পর্যন্ত লাইনসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা হয়েছে। তবে ভবনে ফাইবার ক্যাবলের চ্যানেল ইন্টারনেটসহ সব সার্ভিস লাইনের জন্য একক ডাক্ট এর ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশেও উন্নত দেশের মতো টিঅ্যান্ডটিসহ সব ধরনের কানেকটিভিটি সংযোগসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা সম্ভব হবে। সব ধরনের তার ভূগর্ভস্থ রাখার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ভবিষ্যতে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডলারের দাম বাড়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, গত তিন বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের ডিভ্যালুয়েশন হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের ওপরে। তার মানে আমাদের রপ্তানিকারকদের আয় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যার কারণে আমাদের ডেভেলপিং দেশ হিসেবে ক্যাশ ইনসেনটিভগুলো দেওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) হোটেল রেডিসন ব্লুতে সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড)-২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্জন, বিশেষ করে ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অর্জন তা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। বাংলাদেশ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারবে তা অনেকে বিশ্বাস করতো না। ২০০৯ সালে যেখানে রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি, আজকে সেই রপ্তানি আয় প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ৬৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। যার জিডিপির আকার প্রায় ৪৬০ বিলিয়নের ওপরে। এই সবগুলো অর্জনই সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে লজিস্টিক যে সাপোর্ট দিয়েছেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটি অনস্বীকার্য। আজকে রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তিনি আরো বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা ১৪০ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য সিআইপি প্রদান করছি। সেই সঙ্গে এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ মোতাবেক ৪৪ জনকে সিআইপি ট্রেড হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দেশে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসের সঙ্গে লেদার, জুট, টি সেক্টরসহ ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ বছর প্রধানমন্ত্রী বর্ষপণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে ঘোষণা করেছেন। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ স্লোগানে তৃণমূলে কারিগরদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে হস্তশিল্পকে একটি বিকল্প রপ্তানি পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে চাই। এটি নিয়ে আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। বিশ্বের ৭৩টি দেশে আমাদের অ্যাম্বাসি আছে। ২৩টি দেশে আমাদের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আছে। তাদের মাধ্যমে আগামী ১ বৈশাখে অ্যাম্বাসিতে বৈশাখী মেলা করতে চাই। সেখানে আমরা আমাদের হস্তশিল্প পৌঁছে দিতে চাই। যাতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যে সেটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়। বাংলাদেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি। সেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করবো। এলডিসি গ্র্যাজুয়েটিং দেশ হিসেবে আমরা তিন বছর বিভিন্ন দেশে ঢোকার বিশেষ সুবিধা পাবো। কিন্তু ডেভেলপিং দেশ হলে সেই সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। তাই আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে, যেন আমরা বিভিন্ন দেশের বাজারে ঢুকতে পারি। আমাদের লক্ষ্য আমাদের রপ্তানিকে বহুমুখী করা।
তিনি আরো বলেন, গতকালই আমাদের টাকার প্রায় ৬ শতাংশ ডিভ্যালুয়েশন করা হয়েছে। রপ্তানিকারকদের সব সময় একটা চাপ ছিল, আমরা যেনো ডলার ডিভ্যালুয়েশন করে এমন একটি পর্যায়ে রাখি যাতে আমাদের রপ্তানি কস্পিটিটিভ হয়। এখন যখন ডিভ্যালুয়েশন হয়েছে, তখন কিন্তু আমাদের রপ্তানিকারকদের আয় বেড়েছে। যদিও আমাদের দেশ আমদানি নির্ভর। তারপরও আমাদের রপ্তানি কম্পিটিটিভনেসের জন্য আমাদের ডিভ্যালুয়েশ করতে হচ্ছে। আমরা আশা করি, এতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের কম্পিটিটিভনেস বাড়বে। এই সুযোগটা আমাদের রপ্তানিকারকদের কাজে লাগাতে হবে।