কর্পোরেট সংবাদ
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা নগদে, চিন্তামুক্ত অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা
মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫৪ লাখ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। বিতরণ করা হবে দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে। আগে থেকেই এর একটি বড় অংশ নগদের মাধ্যমেই এই সহায়তা পেয়ে আসছিল।
তবে এবার বিভিন্ন জায়গায় না রেখে সব শিক্ষার্থীরা আর্থিক সহায়তা এক জায়গায় করায় অসচ্ছল ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পের আওতায় এককালীন ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন। এই টাকা পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন করেছেন। খুব দ্রুতই এর বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই ভাতা বিতরণ করা হলেও ভেতরে ভেতরে নানান বিশৃঙ্খলা থেকেই গিয়েছিল। সহায়তা বিতরণ প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আনতে এবার শুধু মাত্র নগদের মাধ্যমে এটি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মান্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
এতোদিন নগদসহ আরো কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এবং ব্যাংকের মাধ্যমেও বিতরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এই সহায়তা। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করতে গিয়ে তারা বেশ কিছু সমস্যায় পড়েন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “সহায়তার অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষন এবং যাচাই বাছাই করাই আমাদের জন্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যে আমরা একটি প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছি। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক পর্যায়ের দেড় কোটির মতো শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি যেহেতু সফলবাবে নগদের মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে সে কারণে আমাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়েছে।”
একদিকে শিক্ষার্থীরাও নগদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। গোপালগঞ্জের ওহাব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরান জানায়, এর আগে প্রাথমিক পর্যায়ে নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তি পেয়েছে সে। ফেলে নগদের ওপরে তার এক রকম বাড়তি আস্থা তৈরী হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগে তারা দেখেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়ার বিভিন্ন রকম হওয়ায় তারা তাদের মতো করে বিভিন্ন পন্থায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তার এই অর্থ বিতরণ করে থাকেন। আর একেক প্রতিষ্ঠান একেক পদ্ধতিতে কাজটি করায় তাদের জন্যে এ এক বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যেই নগদের স্মরণাপন্ন হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
অন্যদিকে আবার গ্রাহক সংখ্যায় নগদ এখন দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে নয় কোটির ওপর নিবন্ধিত গ্রাহক আছে তাদের। সারা দেশে রয়েছে পৌনে তিন লাখ এজেন্ট পয়েন্ট। ফলে যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো সময় টাকা উত্তোলন করাও সম্ভব। এ কারণেই সরকার তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা বিতরণে পছন্দ করে থাকতে পারে বলে জানান নগদের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
“গত কয়েক বছরে সরকারের ভাতা ও সহায়তা বিতরণ পক্রিয়াকে আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে এনেছি। আমাদের ধারে কাছেও এখন আর কেউ নেই। এ কারণেই হয়তো সরকারি সংস্থাগুলো নগদের সেবাই বারবার নিতে চাইছে,” বলেন নগদের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল।
“প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহায়তা বিতরণ একটি স্পর্শকাতর প্রকল্প। সেটিও নগদকে বেছে নেওয়ার কারণ হতে পারে। আর নগদের খরচ তো সব সময়ই অনেক কম। এসবই নগদকে সব সময় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখে,” বলেন তিনি।
এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিকৃত ও অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হবে। ভর্তি–সহায়তা পেতে তখন শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে অবেদন করতে বলা হয়।
এই সহায়তা পাওয়ার জন্যে মা–বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে। তাছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর সন্তানেরাও আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।
ভর্তি–সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, স্বাক্ষর, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ থাকতে হবে।
এর আগে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। সেখান থেকেই প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চা মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মধ্যে সমঝোতা
‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ডায়াবেটিস ও এর জটিলতা হ্রাস বিষয়ক নাগরিক সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ’ এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি।
এ উপলক্ষে রবিবার (০৫ মে) ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের শহীদ মেজর সালেক চৌধুরী বীর উত্তম সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাক্ষর করেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি যৌথভাবে ‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ নামের প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে। প্রকল্পটির মুখ্য উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে আছে- মোবাইল ডায়াবেটিস সেন্টার সেবা, দেশের দশটি (১০) জেলায় ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে ১০-১৫ লক্ষ মানুষের ঝুঁকি নির্ণয়, গ্লুকোমিটারের মাধ্যমে এক লক্ষ মানুষের ডায়াবেটিস সনাক্ত করা, চার হাজার ডায়াবেটিক রোগীকে বিনামূল্যে শারীরিক চেকআপ, ল্যাব টেস্ট ও চিকিৎসা প্রদান করা এবং প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেশে প্রথম ডায়াবেটিস ম্যাপিং তৈরী করা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন এবং প্রকল্পটির পরিচালক ডা. বিশ্বজিত ভৌমিক।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ক্র্যাব থেকে দেশের সেরা ক্রেডিট রেটিং অর্জন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে তিন বছর দেশের সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘এএএ’ অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এমন অর্জন ব্যাংকটির শক্তিশালী আর্থিক অবস্থা এবং টেকসইতার পরিচায়ক।
ক্র্যাব ব্র্যাক ব্যাংককে দীর্ঘমেয়াদে ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘স্থিতিশীল’ আউটলুকসহ ‘এসটি-১’ রেটিং দিয়েছে। ‘এএএ’ হচ্ছে বাংলাদেশে ক্র্যাব কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং। এই ক্রেডিট রেটিং ৩০ জুন,২০২৫ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এই ক্রেডিট রেটিং প্রমাণ করে যে, ব্র্যাক ব্যাংক স্থিতিশীল এবং সময়মতো এর আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সক্ষম। ‘এএএ’ হলো ন্যূনতম ঋণ ঝুঁকিসহ সর্বোচ্চ মানের স্বীকৃতি।
ক্র্যাবের রেটিংয়ে ব্যাংকটির শক্তিশালী মালিকানা কাঠামো, মজবুত টিয়ার-১ ক্যাপিটাল বেজের সাথে ভালো মূলধন ব্যবস্থা, স্বল্প খরচে দৃঢ় ও স্থিতিশীল ডিপোজিট বেজ, অনবদ্য ফান্ডিং-প্রোফাইল থেকে সৃষ্ট শক্তিশালী তারল্য অবস্থা, বড় ঋণে তুলনামূলক কম অর্থায়ন, শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং অল্টারনেট ডেলিভারি চ্যানেলসহ বিভিন্ন দৃঢ় মৌলিক বিষয় উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং অর্জনের বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলি আর. এফ. হোসেন বলেন, ক্র্যাব থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘এএএ’ ক্রেডিট রেটিং অর্জন আমাদের জন্য সত্যিই অনেক সম্মানের। ইন্ডাস্ট্রি এভারেজের চেয়ে ভালো ক্যাপিটাল বেজ, উন্নত অ্যাসেট কোয়ালিটি, ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে অনুকরণীয় কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এবং উচ্চতর তারল্য অবস্থান বজায় রাখার পাশাপাশি এই বিষয়গুলো আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাংকের চলমান প্রচেষ্টার ফলেই এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারবৃন্দ এই ক্রেডিট রেটিং অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁদের অবিচল আস্থার কারণেই আমাদের এই শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তাদের সাথে এই অর্জন শেয়ার করতে পেরে আমরা গর্বিত।
মুডি’স ইনভেস্টরস সার্ভিস কর্তৃক স্বীকৃত এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিংয়ের সমতুল্য ক্রেডিট রেটিং রয়েছে, এমন একমাত্র ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক দেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্ববিখ্যাত ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি ‘এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিং’ থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং অর্জন করেছে।
বাংলাদেশে কর্পোরেট গভর্নেন্স, কমপ্লায়েন্স, স্বচ্ছতা এবং মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের রোল মডেল হিসেবে সকল স্টেকহোল্ডার ব্র্যাক ব্যাংককে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে ইন্ডাস্ট্রির সেরা ক্রেডিট রেটিং অর্জন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ প্রাপ্তি, সর্বোচ্চ মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন এবং সাফা, আইসিএবি এবং আইসিএমএবি কর্তৃক স্বীকৃতি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাংকটির সুশাসন ও শক্তিশালী আর্থিক অবস্থার পরিচয় বহন করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে ‘হ্যাপি মার্ট’র ২৭তম শোরুম উদ্বোধন
বেঙ্গল গ্রুপের রিটেইল চেইনশপ ‘হ্যাপি মার্ট’ এর ২৭তম শোরুম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) চট্টগ্রামের চকবাজারে কাপাসগোলা রোডে নতুন এ শোরুম উদ্বোধন করা হয়।
শোরুমটি উদ্বোধন করেন বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল রিটেইলস লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো: আতিকুর রহমান, সিনিয়র ইভেন্ট এক্সিকিউটিভ মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও প্রমুখ।
শোরুমটিতে গুণগত মানসম্পন্ন প্লাস্টিক ফার্নিচারসহ হাউজওয়্যার, মেলামাইন, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এই শোরুম থেকে গ্রাহকেরা সহজেই গ্লাসওয়্যার, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, ননস্টিক কুক ওয়্যার, ওয়াটার পিউরিফায়ার, গ্যাস স্টোভ ও বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল ধরণের পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
নতুন এই শোরুমের উদ্বোধন উপলক্ষে হ্যাপি মার্টের নির্দিষ্ট পণ্যের উপর পাওয়া যাচ্ছে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ মূল্য ছাড় দিচ্ছে কোম্পানিটি। অফারটি আগামী ৮ই মে পর্যন্ত চলবে। অফারটি উপভোগ করতে চকবাজারের হ্যাপি মার্ট শোরুম থেকে গ্রাহকদের কেনাকাটা করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স গ্রহণে গাড়ী জিতল কাপাসিয়ার মুঞ্জিল
ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ত্রিশ লাখ টাকার ১৫০০ সিসির প্রাইভেট কার জিতেছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-এর মাধ্যমে সৌদি আরব প্রাবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার অর্জন করেন।
এ সময় ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মোঃ আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মোঃ রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেইন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদ সহ-প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক- ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র এর মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে ব্রাঞ্চ পরিচালনা করলো ব্র্যাক ব্যাংক
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে তিনটি ব্রাঞ্চ পরিচালনা করে ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে ব্রাঞ্চ পরিচালনাবিষয়ক এই পাইলট উদ্যোগটি হলো ব্যাংকে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের এক যুগান্তকারী প্রচেষ্টা। ব্র্যাক ব্যাংকের এই প্রচেষ্টায় গ্রাহক সেবা থেকে শুরু করে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট পর্যন্ত ব্রাঞ্চের সকল কাজ নারী কর্মকর্তারা পরিচালনা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, ব্রাঞ্চের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সকল কর্মীও ছিলেন নারী, যা জেন্ডার-ইকুয়ালিটির বিষয়ে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সপ্তাহব্যাপী চালিত এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগটি ছিল ব্যাংকের জন্য এক দুর্দান্ত সাফল্য। সাতমসজিদ রোড ব্রাঞ্চ, মগবাজার ব্রাঞ্চ এবং নিকুঞ্জ সাব-ব্রাঞ্চ শাখা পুরোপুরিভাবে নারী কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, যা গ্রাহকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়ার পাশাপাশি ব্যাপক প্রশংসাও অর্জন করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি ব্যাংকটির অবিচল প্রতিশ্রুতিকে সকলের সামনে আরও একবার তুলে ধরেছে।
ব্যাংকটির মূল প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। একটি মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়তা এবং তাঁদের নেতৃত্বস্থানীয় পদে পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে থাকে।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন যে, ব্র্যাক ব্যাংক সমাজের প্রত্যেক নারীর সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে। আমাদের এই উদ্যোগটি নারীদের এগিয়ে চলার পথে পুরো ব্যাংকিং খাতে ব্র্যাক ব্যাংককে অগ্রণী ভূমিকায় রাখবে।
সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, নারী সহকর্মীদের সম্ভাবনায় বিশ্বাসী ব্র্যাক ব্যাংক কর্মক্ষেত্রে নারীদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে অনুকূল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে। এখানে প্রত্যেক নারী স্ব-স্ব পদে নিজেদের পুর্ণাঙ্গ সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছেন। নারী কর্মীদের মাধ্যমে পুরো ব্রাঞ্চ পরিচালনা নিয়ে আমাদের এই উদ্যোগটি নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আমাদের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরই প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা নারীদের ক্যারিয়ার অগ্রযাত্রায় এবং পূর্ণাঙ্গ সম্ভাবনার বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে থাকি। তাঁদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনে উন্নতির লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করে থাকে। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের এই ‘শুধু নারী কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত ব্রাঞ্চ’ মডেলটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করব।
ব্যাংকিং খাতের শীর্ষস্থানীয় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকে মোট জনবলের ১৫শতাংশই নারী। ব্যাংকটি এই হার ৩০শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।