জাতীয়
ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির বিপর্যয়, মহামন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থানে রয়েছে।
স্পিকার আজ রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে আয়োজিত ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ. এস. এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরই সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন যা গণতন্ত্রের জন্য আইনগত এবং পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমাজ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন রিজার্ভ ছিল না, তখন মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, গভীর সমুদ্রবন্দর ও আন্ত:মহাদেশীয় যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিজের অবস্থান উন্নত করেছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পকারখানায় নারী শ্রমিকের প্রাধান্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশের নানা পেশাজীবীর প্রেরিত রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির চাকা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য মডেল স্বরূপ । স্পিকার এ সময় প্রোগ্রামের শুভ উদ্বোধন করেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে ‘ফিফটি ইয়ার’স অব ন্যাশন বিল্ডিং’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, নেদ্যারল্যান্ড ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল স্টাডিজের রেক্টর ড. আর. আর. গ্যানজিভার্ট, তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. ঝ্যান ঝন জিয়াং, বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী উপ-উপাচার্য ড. জো ডিভাইন, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক খান বক্তব্য রাখেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্বর্ণের দাম বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা
দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।
শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম পড়বে ৮০ হাজার ১৩২ টাকা।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শিগগিরই মাগুরায় রেলপথ চালু হবে: রেলমন্ত্রী
মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেছেন, মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে মাগুরার অংশে আমরা জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছি। এ এলাকায় রেলপথ বাস্তবায়িত একটি স্বপ্নে দ্বার উন্মোচন হবে। মাগুরার মানুষ রেলপথে বিভিন্ন স্থানে সহজেই যেতে পারবেন। আমরা এ রেলপথকে সম্প্রসারিত করতে চাই।
শনিবার (১৮ মে) মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে মাগুরা রামনগর ঠাকুর বাড়ি এলাকায় নবনির্মিত মাগুরা রেলপথ স্টেশনে তিনি এ কথা বলেন।
জিল্লুল হাকিম বলেন, মাগুরা হয়ে এ রেলপথ যাবে ঝিনাইদহ অংশের কালিগঞ্জ সীমান্তে। ইতোমধ্যে মাগুরার অংশে রেলপথ ব্রিজের প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়ভাবে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা অল্প দিনের মধ্যে শেষ হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেলওয়েকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। আর এ লক্ষ্যেই উন্নত দেশের মতো পরিকল্পনা করে রেল খাতে উন্নয়নের চিন্তা করা হচ্ছে। রেললাইন শুধু মাগুরা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পর্যন্ত সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মধুখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালে। এরই মধ্যে ফরিদপুর অংশের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশা করা যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) প্রাণিসম্পদ খাতে দক্ষতা বাড়ানো, জলবায়ু সহিষ্ণুতার প্রচার এবং টেকসই উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশে নতুন ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রজেক্ট চালু করছে। ফুড ফর প্রোগ্রেস প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইউএসডিএ পাঁচ বছরে এ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
শনিবার (১৮ মে) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
টেকসই ফলাফল অর্জনের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে ইউএসডিএ। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং প্রভাবকে প্রশমিত করতে বাংলাদেশকে জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি পদ্ধতি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উদ্ভাবনী এ প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্যভাবে গবাদি পশুর উৎপাদন বাড়াবে, বাজারে সুযোগ বাড়াবে এবং নির্ধারিত ১৬টি জেলায় জলবায়ু-স্মার্ট পদ্ধতির বাস্তবায়ন করবে। এর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত দুই লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি গবাদি পশু চাষি উপকৃত হবেন। প্রকল্পটি বাংলাদেশের জাতীয় জলবায়ু লক্ষ্যের সঙ্গে মিল রেখে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির প্রবর্তন, প্রাণী স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করবে।
উৎপাদনকারীদের সর্বশেষ ক্রেতার সঙ্গে সংযোগ করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এবং বিনিয়োগের মূলধনে প্রবেশাধিকার বাড়িয়ে, প্রকল্পটির লক্ষ্য পাঁচ বছরে গবাদি পশুর বিক্রয় ৯৪০ মিলিয়ন ডলার বাড়ানো।
ইউএসডিএ’র অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে সারাহ গিলেস্কি বলেন, উদ্ভাবনী এ প্রকল্পটি চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রকল্পটি একই সঙ্গে ক্ষুদ্র পরিসরে যারা গবাদি পশু উৎপাদন করেন তাদের উৎপাদন বাড়ানো ও জীবিকা উন্নত করতে সহায়তা করবে, পাশাপাশি মিথেন নির্গমনও কমাবে। এটা আমাদের দেখাবে যে, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন এবং প্রশমন করার বিনিময়ে কৃষি উৎপাদন কমবে না।
ইউএসডিএ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এসিডিআই/ভিওসিএ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে: আইজিপি
পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত। আমরা আগামী দিনেও এদেশের মানুষকে কাঙ্খিত সেবা দিতে চাই।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে পুলিশ লাইন্স গেটে নতুন নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা মৃত্যুঞ্জয়ী এবং জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, এদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন প্রজন্ম এ টেরাকোটা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।
টেরাকোটায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, ৭ মার্চের ভাষণ, রাজারবাগে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ এবং মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলার বীর শহীদ সদস্যদের অবদান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিচ্ছবি স্থান পেয়েছে।
এরপর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিলেট রেঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান ও পুলিশ সুপার মনজুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রথমবার বিশ্বব্যাংক ভূমি সম্মেলনে অংশ নিলো বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তরে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মর্যাদাপূর্ণ ‘বিশ্ব ব্যাংক ভূমি সম্মেলনে’ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে স্মার্ট ভূমিসেবা কার্যক্রম তুলে ধরে বাংলাদেশ। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল, ভূমির দখলিস্বত্ব ও জলবায়ু কার্যক্রমে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ।
শনিবার (১৮ মে) ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ভূমি খাত সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও অংশীজন, ভূমি মালিকানা, ভূমি সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন, ভূমি প্রশাসন ও নাগরিক ভূমিসেবা নিয়ে আলোচনা করেন। সম্মেলনে তারা অভিজ্ঞতা, তথ্য ও জ্ঞান বিনিময় করেন।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজেশন, নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও পারফরমেন্স (ডিকেএমপি) অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মো. জাহিদ হোসেন পনিরকে সম্মেলনের ‘আঞ্চলিক পরিচালন কর্মশালা’ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মনোনীত করেন।
সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের জন্য পৃথক পৃথক পরিচালন কর্মশালায় কারিগরি সাফল্য, চ্যালেঞ্জ এবং নতুন উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ছিল। বিশ্বব্যাংক সদরদপ্তরের মেইন কমপ্লেক্স সি টু হলে সম্মেলনের শেষদিন ১৭ মে সকালে, ‘প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ: ভূমি অধিকার, দারিদ্র্য বিমোচন ও জলবায়ু সহনশীলতা’ শীর্ষক কর্মশালায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। এ কর্মশালায় পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করে।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, এই সম্মেলনে আমাদের উপস্থিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ’র মাধ্যমে ভূমি সংস্কারে আমাদের অবিচল অঙ্গীকারের প্রতিফলন। বাংলাদেশের নাগরিকদের কল্যাণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমি প্রশাসনে স্মার্ট উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে নাগরিক ভূমি সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করে যাবো।
জমি হাতবদলের পর নিবন্ধন, নামজারি, খতিয়ান ও ম্যাপ প্রস্তুতের সমন্বিত অটোমেশনের ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সম্মেলনে জানানো হয়।
এবার ভারত, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, লাওস, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভানুয়াতু, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা প্রমুখ দেশের প্রতিনিধিরা ভূমি সম্মেলনের অধিবেশনে অংশ নেন।