সারাদেশ
১৭০ টাকার খেজুরে লাভ ৫৭০ টাকা!
দেশের ৫ জেলায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ব্যবসায়ীদের জারিমাণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নাটোরে ১৭০ টাকায় খেজুর কিনে ৭০০ টাকায় বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বিক্রি করায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও যশোরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট আদালত। এতে ৫ জেলায় ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাটোর: ১৭০ টাকায় কেনা খেজুর বিক্রি হচ্ছিল ৭০০ টাকায়। সঙ্গে ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ জুস। কিছু দোকানে ছিল না মূল্য তালিকা। ওই সব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর জানান, শহরের নীচাবাজারে খেজুরের দোকানে অভিযান চালিয়ে এক কেজি খেজুরে ৩০০ থেকে ৫৭০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে দেখা গেছে।
এ সময় খান স্টোরকে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান না রাখার দায়ে আড়াই হাজার টাকা, মেসার্স মাধব সোহাগ ফল ভাণ্ডারকে আমদানিকারকের স্টিকারবিহীন পণ্য বিক্রির জন্য সংরক্ষণের অপরাধে ২ হাজার টাকা, রিফাত স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণের অপরাধে এবং ঘোষণা দেওয়া পণ্য সঠিকভাব বিক্রি বা সরবরাহ না করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
যশোর: শহরের মনিহার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি যাত্রীবাহী পরিবহন থেকে ৩৪০ কেজি অস্বাস্থ্যকর অপদ্রব্য পুশ করা চিংড়ি জব্দ করেছেন র্যাব-৬-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে জব্দ করা চিংড়ি ধ্বংস করে বাস মালিকদের ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় হিমেল সীমান্ত বাসের মালিক সঞ্জয় গুপ্ত লালকে ২৭ হাজার টাকা ও আসিফ স্পেশাল বাসের মালিক আব্দুল মান্নানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গত বুধবার রাতে ফ্রিজে পচা মাংস সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ ও মোড়কবিহীন পণ্য সাজিয়ে রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় উপজেলার শুকলাল হাট বাজারে হারুন স্টোরের মালিককে পাঁচ হাজার টাকা, মহসিন স্টোরকে ১০ হাজার টাকা ও সালাউদ্দিন স্টোরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, সবজি ও মাছের মূল্য সরেজমিনে দৃশ্যমান রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলাউদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব জরিমানা করেন।
চাঁদপুর: শিশু খাদ্যে কেমিক্যাল ও বিষাক্ত কাপড়ের রং ব্যবহারের দায়ে গতকাল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের স্বর্ণকার পট্টির হাজী আবু তাহের স্টোরের মালিক মো. আনাছকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জেলার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম এই রায় দেন। এর আগে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. সামছুল ইসলাম নিয়মিত অভিযানে গিয়ে তাহের স্টোরের বিরুদ্ধে শিশু খাদ্য আইনে চাঁদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি মামলা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেন আদালত।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো সিলেট বিভাগ। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে বিভাগের চার জেলা একসঙ্গে ব্ল্যাক আউট (পুরো গ্রিড অকার্যকর) হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে এ বিপর্যয়ের কারণে পিডিবির গ্রাহকরা ছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরাও অন্ধকারে রয়েছেন।
তবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতাল ও স্থাপনার বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে নয়টায় পাওয়া সর্বশেষ খবরে সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের গ্রাহকরা অন্ধকারে রয়েছেন। কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে জানা গেছে। আকষ্মিক এ বিপর্যয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির জানান, আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা সিলেট বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের একেবারে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৬-৭ ঘণ্টা লাগতে পারে। আবার কম সময়ের মধ্যেও সচল করা সম্ভব হতে পারে।
তিনি বলেন, এর আগে যখন সিলেটে এরকম বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে যত সময় লেগেছিল এবারও তত সময় লাগতে পারে। পাওয়ার স্টেশন চালু হতে একটু সময় লাগে। অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলে হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল ও স্থাপনা যেগুলো খুবই জরুরি। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে আশুগঞ্জ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হয়েছে। এটি দিয়ে আপাতত এ হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলা হয়-১৩২ কেভি গ্রিড লাইন ট্রিপ (বিপর্যয়) করায় দপ্তরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এতে গ্রাহকদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়।
বিউবো সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎসরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলায় বিউবো ও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা ভোগান্তিতে পড়েন। শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে বিভাগের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পানি সংকটে বন্ধের ঝুঁকিতে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র
দেশজুরে চলমান তাপদাহ ও খরায় পর্যাপ্ত পানির অভাবে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটিতেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। চালু রয়েছে শুধু একটি ইউনিট। আর সহসাই বৃষ্টি না হলে এটিও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে পুরো কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহ।
তিনি জানান, এ সময়ে কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ৮৫ মিটার এমএসএল (মিন সি লেভেল)। কিন্তু আজ শনিবার (৪ মে) সকাল ৮টায় পানি ছিল ৭৩.৬০ মিটার এমএসএল। সন্ধ্যা ৬টায় পানির লেভেল কমে হয়েছে ৭৩.৫৮ মিটার এমএসএল। প্রচণ্ড গরমে পানির লেভেল দ্রুত কমে যাচ্ছে। পানির লেভেল ৬৮ এমএসএল নেমে এলে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এখন যেভাবে পানি কমে যাচ্ছে, তাতে চালু থাকা ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের ২৪২ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। চালু থাকা ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট চালু থাকলেও তা থেকে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, বৃষ্টি হলেই কেবল বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে। এজন্য বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছি।
জানা যায়, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বনিম্ন ব্যয় হয় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ইউনিটপ্রতি গড় ব্যয় মাত্র ২৮-৩০ পয়সা। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিক থেকে কাপ্তাই লেকে পানি কমতে থাকে। মার্চে গিয়ে তা আরও কমে যায়। এখন একবারেই কমে যাচ্ছে। এভাবে কমতে থাকলে যেকোনো সময় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটেরই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পানির পাইপলাইনে ময়লা ও কচুরিপানা ঢোকার পর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা হয়।
আজ শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই দুটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়নি।
এপিএসসিএল সূত্রে জানা যায়, এপিএসসিএল-এর ছয়টি কেন্দ্র থেকে মোট এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের স্টিম টারবাইন চালু রাখতে মেঘনা নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হয়। শুক্রবার রাতে ঝড়ের সময় ওই পাইপ দিয়ে ময়লা ও কচুরিপানা ঢুকে পড়ে। এতে পাওয়ার প্লান্টের নর্থ ও সাউথ স্টিম টারবাইন অংশ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে সংশ্লিষ্টরা সেগুলো সরিয়ে উৎপাদন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।
এপিএসসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লা জানান, পানির পাইপে স্প্রিং নেট ভেঙে ময়লা ঢুকে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সৃষ্ট সমস্যায় দুটি ইউনিটে প্রায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সুন্দরবনের গহিনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে
বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন লেগেছে। আজ শনিবার (০৪ মে) বিকেলে সুন্দরবনের লতিফের ছিলা নামক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বনকর্মীরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভানো চেষ্টা করছেন। মোড়েলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম জানান, আগুন লাগার খবর পরে বনকর্মীরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। আমিও ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
তবে কী কারণে আগুন লেগেছে বা কি পরিমাণ জায়গা আগুনে পুড়ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পঞ্চম আন্তর্জাতিক ডেন্টাল সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত
ডেন্টাল সার্জনদের আন্তর্জাতিক মিলনমেলা হিসেবে খ্যাত ‘পঞ্চম আন্তর্জাতিক একাডেমিক বেইজড ক্লিনিক্যাল ডেন্টিস্ট্রি সিম্পোজিয়াম-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) টুথ ফেইরি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার ছিলেন ইতালির প্রখ্যাত ডেন্টাল সার্জন, ‘টুমোরো টুথ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. মার্কো মায়োলিনো। এ সময় বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের পাঁচ শতাধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডেন্টাল সার্জনরা সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।
কী-নোট স্পিকার মার্কো মায়োলিনো বলেন, ডেন্টাল সার্জনদের এ রকম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা সত্যিই খুব আনন্দের। বাংলাদেশ ডেন্টিস্ট্রিতে অনেক এগিয়ে গেছে। আমি অভিভূত সবার অংশগ্রহণ এবং রেস্পন্স দেখে। ডেন্টিস্ট্রি এখন অনেক মিথকে পাশ কাটিয়ে নির্ভুল চিকিৎসা প্রদানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও এরকম আয়োজনে সাথে থাকবো এবং টুথ ফেইরি ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ আমাকে নিমন্ত্রণ জানানোর জন্য এবং আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবার এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য ডেন্টাল সার্জনদের অভিজ্ঞতা শুনার সুযোগ দেবার জন্য।
টুথ ফেইরি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ডা. আলভী রহমান বলেন, আমাদের ক্লিনিক্যাল জ্ঞান এবং ডেন্টিস্ট্রির মান আরো উন্নততর করার লক্ষ্যে প্রতি বছর আমরা এই সম্মেলন করে থাকি। বিশ্বমানের ডেন্টাল কেয়ার যেন রোগীদের জন্য নিশ্চিত করতে পারি, সেটাই মূল উদ্দেশ্য। আমাদের ডেন্টাল সার্জনরা আধুনিক ডেন্টাল টেকনোলজির সাথে নিজেদের আপডেট করার জন্য বদ্ধ পরিকর এবং তাঁদের অনুপ্রেরণাতেই এ রকম মিলনমেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়। সিম্পোজিয়ামের পাশাপাশি ‘হ্যান্ডস-অন’ কোর্স ট্রেইনিং ও আয়োজন করে থাকে ‘টুথ ফেইরি ফাউন্ডেশন’।
দাঁতের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা ডেন্টাল পেশাজীবীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘টুথ ফেইরি ফাউন্ডেশন’ গত পাঁচ বছর ধরে একাডেমিক বেইজড ক্লিনিক্যাল সম্মেলনের আয়োজন করে যাচ্ছে। এবারের আয়োজনে প্রধান সহযোগী মেডিপ্লাস ছাড়াও ছিলো একমি, ইউনিহেলথ, রেনাটা, এলিয়েন ফার্মা, বায়ো ফার্মা, আনিসা ডেন্টাল সাপ্লাইসহ আরো অন্যান্য কোম্পানি।
প্রসঙ্গত, কয়েকজন ডেন্টাল সার্জনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘টুথ ফেইরি ফাউন্ডেশন’ ২০১২ সাল থেকে দাঁতের যত্ন সংক্রান্ত সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কাজ করছে।
এমআই