Connect with us

অর্থনীতি

আট দিনে রেমিট্যান্স এলো ৫১ কোটি ২৯ লাখ ডলার

Published

on

তালিকাভুক্ত

রোজা শুরুর আগে চলতি মাসের প্রথম ৮ দিনে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার। সে হিসাবে প্রতিদিন এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৭৫০ ডলার। আট দিনে আসা রেমিট্যান্স বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)।

আজ রবিবার এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসে ৫ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৭ লাখ ২০ হাজার ডলার। একই সময়ে দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৪৪ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ডলার। ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে গড়ে প্রতি দিন সাত কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৩ ডলার দেশে আসে। আগের বছরের মার্চ মাসে প্রতি দিন প্রবাসী আয় এসেছিল ছয় কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৬ ডলার। সে হিসাবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয়ের গতি কমেছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার

Published

on

তালিকাভুক্ত

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের রিজার্ভ ১৩৩ মিলিয়ন ডলার কমে ১৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৮ মে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৭ কোটি মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন এক হাজার ৯৮২ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন)।

গেল মাসের একই সময় অর্থাৎ গত ৮ এপ্রিল বিপিএম–৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। ওই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩৯ কোটি ডলার।

তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্যপ্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় কিছু নীতি সংস্কারসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় কিস্তিতে ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা আগামী মাসে। তার আগে পর্যালোচনা বৈঠক করতে ঢাকায় আসে আইএমএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার অন্যতম শর্ত তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ সংরক্ষণ করা। সেই অনুযায়ী গত মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা এক হাজার ৯২৬ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ওই সময় প্রকৃত রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের কম। এছাড়া আগামী জুন নাগাদ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া ছিল ২ হাজার ১০ কোটি ডলার। তবে লক্ষ্য পূরণে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিজার্ভ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে আইএমএফ।

বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আইএমএফ জানায়, জুনভিত্তিক রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী জুনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন রাখতে হবে। এছাড়া আগামী মাসে তৃতীয় কিস্তির ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা থাকলেও এ অঙ্ক বাড়িয়ে আইএমএফ বাংলাদেশকে দেবে এক হাজার ১৫ কোটি ২০ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে ক‌রোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে উঠে যায়। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

এপ্রিলে অর্থনীতির গতি কমেছে

Published

on

তালিকাভুক্ত

এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স বা পিএমআই কমেছে। এপ্রিল মাসে এই সূচক ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৬২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। মার্চ মাসে এই সূচকের মান ছিল ৬৪ দশমিক ৩। অর্থাৎ এপ্রিল মাসে দেশের অর্থনীতির গতি কমেছে।

শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই বা মেট্টো চেম্বার) ও গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে প্রথমবারের মতো পিএমআই সূচক প্রকাশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে এমসিসিআই কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই সূচক প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল। স্বাগত বক্তব্য দেন এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান।

মেট্টো চেম্বার মনে করছে, এ সূচক প্রকাশের ফলে দেশে তথ্য–উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার যুগ শুরু হবে। শুরুতে প্রান্তিক হিসাবে এবং পরে প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে এ সূচক নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্টো চেম্বার ও পলিসি এক্সচেঞ্জ। সেবা, নির্মাণ, কৃষি ও উৎপাদন—এই চার খাতের কর্মকাণ্ড নিয়ে এ সূচক প্রকাশ করা হবে। সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্ট এবং যুক্তরাজ্যের ইউকে ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এই সূচক প্রণয়নে সহায়তা করেছে।

প্রথমবারের মতো পিএমআই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলা হয়, সেবা ও নির্মাণ খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের গতি কমে যাওয়ায় এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি মন্থর হয়েছে। তবে কৃষি ও উৎপাদন খাতের দ্রুততর প্রবৃদ্ধির কারণে সেই ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া গেছে।

মার্চ মাসে সেবা খাতের পিএমআই ছিল ৬৩ দশমিক ৬, এপ্রিল মাসে তা কমে ৫৬ দশমিক ২-এ নেমে আসে। মার্চ মাসে নির্মাণ খাতের পিএমআই ছিল ৬৭ দশমিক ৭, এপ্রিলে যা নেমে আসে ৬৩ দশমিক ৮-এ। তার মানে এই দুই খাতের উৎপাদন কর্মকাণ্ড মার্চের চেয়ে এপ্রিলে খারাপ ছিল।

তবে কৃষি ও উৎপাদন খাতের সূচক বেড়েছে। মার্চে কৃষি খাতের পিএমআই ছিল ৫৫ দশমিক ৭, এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ৬০ দশমিক ৯; মার্চে উৎপাদন খাতের সূচকের মান ছিল ৬৮ দশমিক ৪, এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫—অর্থাৎ এ দুই খাতে মার্চের চেয়ে এপ্রিলে উৎপাদন বেশি ছিল।

পিএমআই প্রকাশ অনুষ্ঠানে কামরান টি রহমান বলেন, পিএমআই অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচক। এই সূচকের ভিত্তিতে সরকারি–বেসরকারি পর্যায়ে নীতি–সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ও মূল্যস্ফীতির মতো সূচকের সঙ্গে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ধীরে ধীরে এই সূচক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহলের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠবে। এর মধ্য দিয়ে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার যুগ শুরু হবে।

অনুষ্ঠানে পিএমআইয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্টের (এসআইপিএমএম) নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন পোহ ও পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কৃষি, নির্মাণ, উৎপাদন ও পরিষেবা—এই ৪ খাতের ৫০০টির বেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের মতামতের ভিত্তিতে পিএমআই প্রকাশ করা হবে। শুরুতে প্রতি প্রান্তিকে এই সূচক প্রকাশ করা হবে, পরে তা প্রতি মাসে প্রকাশিত হবে। সূচক তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্যের ক্রয়াদেশ, মজুত, উৎপাদন, সরবরাহ পরিস্থিতি ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে তথ্য নেওয়া হবে।

পিএমআই শূন্য থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে পরিমাপ করা হবে। আগের মাসের তুলনায় স্কোর ৫০-এর বেশি হলে অর্থনীতির সম্প্রসারণ আর তার নিচে হলে সংকোচন বোঝাবে। স্কোর ৫০ হলে ধরে নিতে হবে, ওই প্রান্তিকে কোনো পরিবর্তন, অর্থাৎ অর্থনীতির সংকোচন বা প্রসারণ হয়নি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বিশ্বে রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম

Published

on

তালিকাভুক্ত

২০২২ সালের রেমিট্যান্স প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম। এদিকে ১১১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির মাইলফলক অর্জন করেছে ভারত।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে ভারত, মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন্স ও ফ্রান্স।

দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ- ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় রয়েছে। ২০২২ সালে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও অষ্টম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এ বছর পাকিস্তান প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাওয়ার দিক থেকে ভারত ছাড়াও শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইনস ও ফ্রান্স। ২০২২ সালে মেক্সিকোর রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ছিল ৬১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। তা ছাড়া চীনের ৫১ বিলিয়ন ডলার, ফিলিপাইন্সের ৩৮ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার এবং ফ্রান্সের ৩০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ছিল।

আইওএমের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ২০১০ বাংলাদেশ ১০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৫ সালে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল। সেই হিসাবে ১২ বছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ১০ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর দেশটি ৭৯ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে বিভিন্ন দেশে। রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সৌদি আরব (৩৯ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় অবস্থানে সুইজারল্যান্ড (৩১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার), চতুর্থ অবস্থানে জার্মানি (২৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার) ও পঞ্চম অবস্থানে আছে চীন (১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার)।

রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে অষ্টম অবস্থানে থাকলেও অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে ভারত, মেক্সিকো, রাশিয়া, চীন ও সিরিয়া।

আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রেমিট্যান্স বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বহু মানুষের লাইফলাইন হলেও এসব দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী কর্মীরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেন, আর্থিক শোষণের শিকার হন, অভিবাসন খরচের কারণে অতিরিক্ত আর্থিক দেনায় ডুবে যান। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে নিপীড়নের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তারা ‘জেনোফোবিয়া’রও (বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) শিকার হন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

Published

on

তালিকাভুক্ত

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়েছে।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ডলারের দাম বাড়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Published

on

তালিকাভুক্ত

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, গত তিন বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের ডিভ্যালুয়েশন হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের ওপরে। তার মানে আমাদের রপ্তানিকারকদের আয় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যার কারণে আমাদের ডেভেলপিং দেশ হিসেবে ক্যাশ ইনসেনটিভগুলো দেওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) হোটেল রেডিসন ব্লুতে সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড)-২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্জন, বিশেষ করে ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অর্জন তা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। বাংলাদেশ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারবে তা অনেকে বিশ্বাস করতো না। ২০০৯ সালে যেখানে রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি, আজকে সেই রপ্তানি আয় প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ৬৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। যার জিডিপির আকার প্রায় ৪৬০ বিলিয়নের ওপরে। এই সবগুলো অর্জনই সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে লজিস্টিক যে সাপোর্ট দিয়েছেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটি অনস্বীকার্য। আজকে রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা।

তিনি আরো বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা ১৪০ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য সিআইপি প্রদান করছি। সেই সঙ্গে এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ মোতাবেক ৪৪ জনকে সিআইপি ট্রেড হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দেশে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসের সঙ্গে লেদার, জুট, টি সেক্টরসহ ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ বছর প্রধানমন্ত্রী বর্ষপণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে ঘোষণা করেছেন। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ স্লোগানে তৃণমূলে কারিগরদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে হস্তশিল্পকে একটি বিকল্প রপ্তানি পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে চাই। এটি নিয়ে আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। বিশ্বের ৭৩টি দেশে আমাদের অ্যাম্বাসি আছে। ২৩টি দেশে আমাদের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আছে। তাদের মাধ্যমে আগামী ১ বৈশাখে অ্যাম্বাসিতে বৈশাখী মেলা করতে চাই। সেখানে আমরা আমাদের হস্তশিল্প পৌঁছে দিতে চাই। যাতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যে সেটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়। বাংলাদেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি। সেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করবো। এলডিসি গ্র্যাজুয়েটিং দেশ হিসেবে আমরা তিন বছর বিভিন্ন দেশে ঢোকার বিশেষ সুবিধা পাবো। কিন্তু ডেভেলপিং দেশ হলে সেই সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। তাই আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে, যেন আমরা বিভিন্ন দেশের বাজারে ঢুকতে পারি। আমাদের লক্ষ্য আমাদের রপ্তানিকে বহুমুখী করা।

তিনি আরো বলেন, গতকালই আমাদের টাকার প্রায় ৬ শতাংশ ডিভ্যালুয়েশন করা হয়েছে। রপ্তানিকারকদের সব সময় একটা চাপ ছিল, আমরা যেনো ডলার ডিভ্যালুয়েশন করে এমন একটি পর্যায়ে রাখি যাতে আমাদের রপ্তানি কস্পিটিটিভ হয়। এখন যখন ডিভ্যালুয়েশন হয়েছে, তখন কিন্তু আমাদের রপ্তানিকারকদের আয় বেড়েছে। যদিও আমাদের দেশ আমদানি নির্ভর। তারপরও আমাদের রপ্তানি কম্পিটিটিভনেসের জন্য আমাদের ডিভ্যালুয়েশ করতে হচ্ছে। আমরা আশা করি, এতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের কম্পিটিটিভনেস বাড়বে। এই সুযোগটা আমাদের রপ্তানিকারকদের কাজে লাগাতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
তালিকাভুক্ত
জাতীয়57 mins ago

নিম্নমানের রেগুলেটর ক্রয়-বিক্রয়ে সতর্কবার্তা দিলো তিতাস

তালিকাভুক্ত
লাইফস্টাইল1 hour ago

কানের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি1 hour ago

রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার

তালিকাভুক্ত
জাতীয়1 hour ago

দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় এভিয়েশন শিল্প এগিয়ে যাবে: মন্ত্রী

তালিকাভুক্ত
জাতীয়2 hours ago

স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণে উন্নয়ন সহযোগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

তালিকাভুক্ত
শিল্প-বাণিজ্য2 hours ago

সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনতে হবে: সালমান এফ রহমান

তালিকাভুক্ত
জাতীয়2 hours ago

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত

তালিকাভুক্ত
জাতীয়2 hours ago

শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

তালিকাভুক্ত
ধর্ম ও জীবন2 hours ago

আগামীকাল থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি3 hours ago

এপ্রিলে অর্থনীতির গতি কমেছে

তালিকাভুক্ত
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ

তালিকাভুক্ত
জাতীয়3 hours ago

দেশে কোনো সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না বিদেশি সংস্থা, সংসদে বিল

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি3 hours ago

বিশ্বে রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম

তালিকাভুক্ত
খেলাধুলা3 hours ago

সর্বোচ্চ রানের ম্যাচেও হারলো বাংলাদেশ

তালিকাভুক্ত
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

এবার নগদে লেনদেনে ঢাকায় জমি জিতলেন হাবিবুর রহমান

তালিকাভুক্ত
আন্তর্জাতিক3 hours ago

সৌদির ভিসা নিয়ে সুসংবাদ পেলো আরও তিন দেশ

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি4 hours ago

বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

তালিকাভুক্ত
শিল্প-বাণিজ্য4 hours ago

পিএইচপি মোটরসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করলো পেরোডুয়া

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার4 hours ago

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সেক্রেটারিয়াল অডিট চায় আইসিএসবি

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার4 hours ago

আইসিবির প্রভিশন সংরক্ষণের সময় বাড়ছে

তালিকাভুক্ত
জাতীয়5 hours ago

সব ধরনের তার মাটির নিচ দিয়ে টানা হবে: পলক

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি5 hours ago

ডলারের দাম বাড়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার6 hours ago

আইপিডিসির প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার6 hours ago

এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১৭ শতাংশ

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার6 hours ago

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১