জাতীয়
সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবি পড়ার আহ্বান
পবিত্র রমজান মাসে সারাদেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবি নামাজ পড়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ আহ্বান জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।
এ পরিস্থিতি নিরসনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ফাউন্ডেশন
আগামী সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও মুসলমানরা রোজা রাখা শুরু করবেন। সেক্ষেত্রে সোমবার রাতেই এশার নামাজের পর ২০ রাকাত বিশিষ্ট তারাবিহ নামাজ পড়া শুরু হবে, রোজা রাখতে শেষ রাতে প্রথম সেহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
অন্যদিকে সোমবার চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, রমজান মাস গণনা শুরু হবে বুধবার (১৩ মার্চ)। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে ও শেষ রাতে খেতে হবে সেহরি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের রিজার্ভ ১৩৩ মিলিয়ন ডলার কমে ১৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৮ মে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৭ কোটি মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন এক হাজার ৯৮২ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন)।
গেল মাসের একই সময় অর্থাৎ গত ৮ এপ্রিল বিপিএম–৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। ওই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩৯ কোটি ডলার।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্যপ্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় কিছু নীতি সংস্কারসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় কিস্তিতে ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা আগামী মাসে। তার আগে পর্যালোচনা বৈঠক করতে ঢাকায় আসে আইএমএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার অন্যতম শর্ত তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ সংরক্ষণ করা। সেই অনুযায়ী গত মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা এক হাজার ৯২৬ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ওই সময় প্রকৃত রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের কম। এছাড়া আগামী জুন নাগাদ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া ছিল ২ হাজার ১০ কোটি ডলার। তবে লক্ষ্য পূরণে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিজার্ভ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে আইএমএফ।
বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আইএমএফ জানায়, জুনভিত্তিক রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী জুনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন রাখতে হবে। এছাড়া আগামী মাসে তৃতীয় কিস্তির ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা থাকলেও এ অঙ্ক বাড়িয়ে আইএমএফ বাংলাদেশকে দেবে এক হাজার ১৫ কোটি ২০ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে উঠে যায়। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় এভিয়েশন শিল্প এগিয়ে যাবে: মন্ত্রী
ব্যবসা বান্ধব নীতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে ব্যাপক অবকাঠামোগত ও কারিগরি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে নিয়োজিত কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইনসের ফ্লিট সম্প্রসারণকেও গুরুত্ব দিচ্ছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর সময়ে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশি কর্মীদের যে যত্ন নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ। একই সঙ্গে প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের সচেতনতা প্রশংসার দাবিদার। আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশিকর্মী সিঙ্গাপুরে কাজ করার সুযোগ পেলে তারা দক্ষতা ও নিষ্ঠা দিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করবে।
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ডেরেক লোহ বলেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের খুব ভালো বন্ধু। এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশিকর্মী সিঙ্গাপুরে বিভিন্নখাতে কাজে নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশি কর্মীরা খুব দক্ষ ও পরিশ্রমী। ভবিষতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সিঙ্গাপুর বিবেচনা করবে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশনখাত ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে কাজ শুরু হয়েছে তাতে সিঙ্গাপুর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য সিঙ্গাপুর এভিয়েশনখাতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে আগ্রহী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণে উন্নয়ন সহযোগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষিত করতে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, দক্ষ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী দেশের জনগণের স্বাস্থ্যের মান বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উন্নয়ন সহযোগী অংশীদাররা আমাদের দেশের নার্সদের, এমনকি স্বাস্থ্যসেবার বিশেষ দিকগুলো নিয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) মন্ত্রীর কার্যালয়ে সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও এফসিডিও’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ও জনস্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি ঘটাতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও এফসিডিও নিবিড়ভাবে কাজ করছে। মাতৃস্বাস্থ্য, টিকাদান, শিশু স্বাস্থ্য, নবজাতকের পরিচর্যা, কমিউনিটি হেলথসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতিতে এ সহযোগিতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এ সময় মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবিকা যে বহুমাত্রিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে তা উল্লেখ করে সহযোগী অংশীদারদের তা মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। এমনকি তিনি জনগণের জীবনমান উন্নয়নে স্বাস্থ্য খাতে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন তুলে ধরেন।
অ্যান্টিবায়োটিক ও তার যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি ঔষধ কেনাবেচার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উপর কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রাইডসম্যান, ইউএসএইড বাংলাদেশ মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান, ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেলসহ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত
অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন।
বৃহস্পতিবার (০৯ মে) রাত ৯টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সমাপ্তি টানেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ৩০ এপ্রিল ১৯৭২ সালে মে দিবসের ভাষণ শোনানো হয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার এ অধিবেশন ৬ কার্যদিবস চলে। গত ২ মে এ অধিবেশন শুরু হয়।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরদানের মধ্যে ৩৮টি প্রশ্ন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ১৫টির উত্তর তিনি দিয়েছেন। অন্যান্য মন্ত্রীদের জবাবদানের জন্য প্রশ্ন জমা পড়েছিল ৯০২টি। এর মধ্যে জবাব পাওয়া গেছে ৩৬৪টির।
৭১ বিধির আওতায় মোট নোটিশ জমা পড়ে ২৪২টি। এর মধ্যে গ্রহণ হয় ৬টি। আলোচনা হয় ৪টির ওপর। এছাড়া ৬৪টির ওপর দুই মিনিট করে এমপিদের আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়। অধিবেশনে ৪টি বিল উত্থাপিত হয়েছে। পাস হয়েছে একটি বিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শুক্রবার ব্যক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন। এদিন সকাল ৭টায় তাঁর ঢাকার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। নিজের পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতেও অংশ নেবেন তিনি।
পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিয়সভা করবেন। প্রধানমন্ত্রী এই সমিতির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। মতবিনিময় শেষে সদস্যদের হাতে ধানকাটার রিপার মেশিন তুলে দেবেন তিনি। এ ছাড়া পুষ্টিবাগানের জন্য ব্যবহূত কৃষি যন্ত্রপাতিও বিতরণ করবেন। এসব তিনি নিজ অর্থায়নে করবেন বলে জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এবং আজ শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। দলীয় নেতা আমরা যারা আছি, সবাই প্রধানমন্ত্রীকে টুঙ্গিপাড়ায় স্বাগত জানাব। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহ নিয়ে আছে।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়া সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিন বিকেলে তিনি সড়কপথে আবার ঢাকায় ফিরে যাবেন।