জাতীয়
দেশকে উন্নত করতে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
দেশকে উন্নত করতে হলে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে ট্যাক্সের আওতা বৃদ্ধি করতে হবে। আরও বেশী করদাতাকে আয়কর এবং ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য আয়কর বিভাগের উপর আস্থা রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে এক প্রাক-বাজেট আলাচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০২০ সালে রিটার্ন দাখিলকারী করদাতা ছিল ২১ লাখ। গত ৪ বছরে এনবিআর’র নিরলস প্রচেষ্টায় এখন রিটার্ন করদাতার সংখ্যা ৩৬ লাখ। আগামী জুনে এই সংখ্যা ৪০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এনবিআর। এই সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়াতে হবে। এনবিআর সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এনবিআর’র প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ অব্যাহত আছে।
রিটার্ন দাখিলকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেশী ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে করদাতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক ও একেএম বদিউল আলম এবং বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী।
এছাড়া বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও বরিশালের কর কমিশনার মো. সারওয়ার হোসেন চৌধুরীসহ বরিশাল ও খুলনার কর কর্মকর্তা এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৬টি জেলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্ন না দিয়ে তিন মাস পর ভ্যাট রিটার্ন প্রদান, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে করমুক্ত রাখা এবং ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের উপর বার্ষিক টার্নওভার ট্যাক্স বিলুপ্তির দাবি অন্যতম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পাবে আবাসন সুবিধা, ব্যয় ৬০৯৬ কোটি টাকা
ছয় হাজার ৯৬ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সারাদেশে ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ৪০ হাজার জন মুক্তিযোদ্ধা/উপকারভোগীকে ৩০০ টাকা হারে প্রথম ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার পরিমাণ বেশ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছর হতে মাসিক ২০ হাজার টাকা সম্মানি ভাতাসহ বাৎসরিক দুটি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছর হতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা বাবদ জনপ্রতি দুই হাজার টাকা হারে এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবস ভাতা বাবদ জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানুয়ারি, ২০১২ থেকে জুন, ২০১৮ মেয়াদে ২৭১ কোটি ১১ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে দুই হাজার ৯৬২টি বাসস্থান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদে ছয় হাজার ৯৬ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা/পরিবারকে আবাসন সুবিধা প্রদানের কার্যক্রম চলমান। এর আওতায় উপজেলাওয়ারী বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধাদের নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৭টি আবাসন নির্মাণ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ১০ হাজার ৮৮৯টি বীর নিবাসের নির্মাণকাজ চলমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাপানে আইটি খাতে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ
২০৩০ সালের মধ্যে জাপানে আইটি খাতে অনেক লোকের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশিদের জন্য অনেক বড় সুযোগ বলে জানিয়েছেন গ্লোবিজ বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিরুয়াসু হিরায়ামা।
রবিবার (৫ মে) রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে এসকট রেসিডেন্সে এশিয়া ফাউন্ডেশন, জাপান এবং গ্লোবিজ বিডি-এর যৌথ উদ্যোগে জাপানি ভাষার লেভেল টেস্ট টপ-জে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হিরুয়াসু হিরায়ামা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাপানে অনেক লোকের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ লোকজন সেসব পদ দখল করবে। এটি বাংলাদেশিদের জন্যও অনেক বড় সুযোগ।
তিনি বলেন, আইসিটি খাত ছাড়াও নার্সিং কেয়ার, ইঞ্জিনিয়ারিং, শিপ বিল্ডিংসহ নানা খাতে এসব লোক নেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে জাপানি ভাষা শেখার কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপের নির্বাহী পরিচালক হিসাকো কাওয়াগুচি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন ভিসি প্রফেসর ড. আবুল হাসান সাদেক এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) মো. আলমগীর হোসাইন প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি
রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ শিলা বৃষ্টি। আজ রবিবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।
শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির বিপর্যয়, মহামন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থানে রয়েছে।
স্পিকার আজ রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে আয়োজিত ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ. এস. এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরই সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন যা গণতন্ত্রের জন্য আইনগত এবং পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমাজ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন রিজার্ভ ছিল না, তখন মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, গভীর সমুদ্রবন্দর ও আন্ত:মহাদেশীয় যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিজের অবস্থান উন্নত করেছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পকারখানায় নারী শ্রমিকের প্রাধান্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশের নানা পেশাজীবীর প্রেরিত রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির চাকা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য মডেল স্বরূপ । স্পিকার এ সময় প্রোগ্রামের শুভ উদ্বোধন করেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে ‘ফিফটি ইয়ার’স অব ন্যাশন বিল্ডিং’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, নেদ্যারল্যান্ড ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল স্টাডিজের রেক্টর ড. আর. আর. গ্যানজিভার্ট, তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. ঝ্যান ঝন জিয়াং, বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী উপ-উপাচার্য ড. জো ডিভাইন, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক খান বক্তব্য রাখেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারাদেশে তিনদিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে বাইক চলাচল
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষ্যে তিনদিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। ইসির নির্দেশনা পেয়ে তিনদিন মোটরসাইকেল বন্ধ রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
রোববার (৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যেকোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
এছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন। যানবাহনসমূহ চলাচলের ওপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।