রাজনীতি
জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে তারেক রহমান
দেড় যুগ পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে পূর্বনির্ধারিত বাসে করে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় গণসংবর্ধনার সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তাকে একনজর দেখতে সড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিয়েছেন সমর্থক ও নেতাকর্মীরা। তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে পুরো রাজধানীজুড়ে মানুষের ঢল নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’র উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সামনে থেকে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানসংবলিত লাল রঙের বাসে উঠে যাত্রা শুরু করেন তারেক রহমান। বাসের সামনের অংশে দাঁড়িয়ে তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
বিমানবন্দরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দেওয়া সংবর্ধনা গ্রহণ শেষে দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে গাড়িবহর নিয়ে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এ সময় পুরো এলাকা নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়।
এর আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের পথে তার যাত্রাকালে রাস্তার দুই পাশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নেন। দীর্ঘদিন পর প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে ভিড় জমান সমর্থকেরা।
এর আগে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সংলগ্ন বাগানে কিছুক্ষণ খালি পায়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তারেক রহমান। এ সময় তিনি একমুঠো মাটি হাতে তুলে নেন, যা উপস্থিতদের আবেগাপ্লুত করে তোলে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন। এরপর গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করবেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ইমিগ্রেশন সম্পন্নের পর ভিআইপি লাউঞ্জে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এরপর স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (বিজি-২০২) ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে বিমানটি সিলেটে অবতরণ করে। সেখানে ঘণ্টাখানেক যাত্রাবিরতির পর সকাল ১১টা ৪ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি।
রাজনীতি
আগামী দিনে মহানবী (সা.)-এর দেখানো পথে দেশ পরিচালনা করব: তারেক রহমান
আগামী দিনে মহানবী (সা.)-এর দেখানো পথে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট সড়ক) সংলগ্ন বিশাল গণঅভ্যর্থনার মঞ্চে উপস্থিত বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনতার উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আল্লাহর দয়া ও মানুষ পাশে থাকলে প্রত্যাশিত দেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। আগামী দিনে মহানবী (সা.)-এর দেখানো পথে দেশ পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, আজ আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এখানে পাহাড়ে যেমন মানুষ রয়েছে, তেমনি সমতলে রয়েছে। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ সকল ধর্মের মানুষ রয়েছে। তরুণ নারী-পুরুষ-কৃষক প্রত্যাশা রয়েছে রাষ্ট্রের কাছে, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তাহলে সকলের আশা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের শহীদেরা যে রকম দেশ গড়ার জন্য চেয়েছিলেন। গত ১৫ বছর মা-বোনেরা, তরুণপ্রজন্ম নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। ওসমান হাদিসহ যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রত্যাশিত দেশ গড়া সম্ভব। ধৈর্য ধরতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে এসে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া, আপনাদের দোয়ায় প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি। ১৯৭১ সালে লাখো মানুষের জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপাত্যবাদ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়, ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র ফিরে আসে। আর ২০২৪ সালে ছাত্রজনতা, গৃহবধূ, মাদ্রাসা ছাত্রসহ সকলে মিলে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। মানুষের কথা বলার অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, ফিরে পেতে চাই।
এমকে
রাজনীতি
তারেক রহমানের পরিকল্পনার দিকে নজর থাকবে: জামায়াত আমির
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান । তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার একজন রাজনৈতিক সহকর্মী দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরাসরি রাজনীতির মাঠে ফিরছেন, এটিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঐক্যের ব্যাপারে তারেক রহমান কী ভূমিকা রাখেন, অথবা কী পরিকল্পনা আছে তার এবং বাস্তবায়ন কীভাবে করবেন- এসব বিষয়ে জামায়াত নজর রাখবে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও বিবিসিকে বলেছেন, তিনিও ইতিবাচক হিসেবে দেখেন তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘটনাটিকে।
এমকে
রাজনীতি
জামায়াতের কাছে ৩৪৮ আসন চায় শরিকরা
৮ দলের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হতে পারে দু-একদিনের মধ্যে। তবে শরিকদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কটি আসনে ছাড় দেবে তা এখনো নিশ্চিত করে কেউ না বললেও ২২০ আসনের দাবিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না দলটি। ৮ দলের সঙ্গে আসন সমঝোতায় আরও ২-৩টি দলের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারাও বেশকিছু আসন দাবি করছে। এসব মিলিয়ে ৩৪৮ আসন দাবি করছে জামায়াতের শরিকরা। জামায়াতের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সমমনা ৮টি ইসলামি দলের মধ্যে আসন সমঝোতা এখনো সম্পন্ন হয়নি। দলগুলোর নেতারা বলছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শাহাদতের কারণে অনেক কিছুই রুটিনমাফিক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের লন্ডন সফর এবং লিয়াজোঁ কমিটির অন্যতম শীর্ষ নেতা ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদের ওমরাহ পালন করতে যাওয়ায় আসন সমঝোতার বিষয়ে বৈঠকগুলো সময়মতো করা সম্ভব হয়নি। অন্যথায় গত সপ্তাহেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যেত বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
প্রায় এক বছর আগে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের মাঠে কাজ শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী। পরে ৫ দফার আন্দোলন কেন্দ্র করে সমমনা আরও সাতটি ইসলামি দল জামায়াতের সঙ্গে এক ছাতার এক মঞ্চে আসে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলো একক প্রার্থী দিতে একমতও হয়। তবে আসন সমঝোতার বিষয়ে দলগুলো মাঠ জরিপের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চায়। এজন্যই কোন আসনে কার কী জনপ্রিয়তা তার একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট তৈরি করতে প্রত্যেক দলকেই বলা হয়। ইতোমধ্যে মাঠ জরিপের রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাঠ জরিপের ভিত্তিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১২০টি আসন দাবি করে। অন্য ৬ শরিক দল খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি-বিডিপি মিলে দাবি করে আরও ১০০টি আসন। সব মিলিয়ে জামায়াতের শরিক ৭ দল ২২০ আসন দাবি করে। তবে এ বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমাদের আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনের উদ্যোগের সঙ্গে একমত হয়ে আরও ২-৩টি সমমনা ইসলামি দল আমাদের সঙ্গে আসতে চাচ্ছে। তাদেরও বেশকিছু আসনের দাবি আছে। তিনি বলেন, আগের ৭ দল আর নতুন তিন দল মিলিয়ে তাদের যে আসনের ডিমান্ড তার সংখ্যা সর্বসাকুল্যে ৩৪৮টি। অথচ পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যাই ৩০০। আবার আমাদেরও তো প্রার্থী আছে। সব মিলিয়ে শরিকরা যত আসন দাবি করেছেন তা তাদের মতো করে চাওয়ার জন্য চেয়েছেন। আসন সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত আছে। আমরা সবাই উদার মন নিয়ে কাজ করছি। আশা করি দু-একদিনের মধ্যেই আমরা সমঝোতায় পৌঁছতে সক্ষম হবো।
দলের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব যোবায়ের জানান, কে কত আসন চেয়েছে সেটা বড় কথা নয়। আমরা ৮ দলকে বিজয়ী করতে চাই। এজন্য যাকে যেখানে দিলে পাশ করার সম্ভাবনা তাকে সেখানে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ওসমান হাদির মৃত্যুসহ কয়েকটি কারণে আমাদের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। এজন্য আসন সমঝোতা দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারব। তবে আসন সংখ্যার বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি এই নেতা। তিনি বলেন, আমরা ৮ দল একত্র হয়ে কাজ করছি। যাকে যেখানে দিলে ভালো করবে তাকে সেখানে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমরা নীতিগতভাবে একমত।
তবে নির্ভরযোগ্য অপর একটি সূত্র বলছে, শরিকদের ২২০ আসনের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না জামায়াত। আবার নতুন শরিকদের ব্যাপারটাও একই। তবে সবাইকে একসঙ্গে রাখতে জামায়াত সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। যদিও সেই সর্বোচ্চ ছাড় কতটি আসন তা এখনো স্পষ্ট নয়। দলটির নেতাদের মতে, শুধু চাওয়ার জন্য বা চাওয়া-পাওয়া নিয়ে রাজনীতি হয় না। একত্রে থাকতে হলে উদার মন থাকতে হবে। জামায়াতের এক নেতা বলেন, সংখ্যার ভিত্তিতে সমঝোতার পরিবর্তে সমঝোতা হতে হবে সম্ভাবনার ভিত্তিতে। সেক্ষেত্রে ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের পাশ করিয়ে আনার বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিতে হবে। জামায়াত এ বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিতে চায়।
এমকে
রাজনীতি
তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লালসবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলে তার জন্য প্রস্তুত গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তিনি।
এরপরই তাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছি।
মির্জা ফখরুল এরপর আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জয়ী হবো।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে আনন্দের জোয়ার বইছে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। গণসংবর্ধনা মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে তাদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সবাই মিলে এক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ফুটে উঠেছে তার কণ্ঠে।
উদাত্ত কণ্ঠে জনতার উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনারা মার্টিন লুথার কিং-এর নাম শুনেছেন। তিনি বলেছিলেন, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আমি আপনাদের সকলের সামনে দাড়িয়ে আমি বলতে চাই- আই হ্যাভ এ প্লান। ফর দি পিপল অব মাই কান্ট্রি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি আমরা বাস্তবায়ন করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য আপনারা পাশে থাকবেন। সেটা হলেই কেবল আমরা সেই ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।
২০০৭ সালে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকেই বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিলেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট লেখেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’
এমকে
রাজনীতি
ওসমান হাদিকে স্মরণ করে যা বললেন তারেক রহমান
১৭ বছর পর দেশের মাটিতে দাড়িয়ে তারেক রহমানের প্রথম ভাষণে গুরুত্বের সঙ্গে উঠে এলেন ওসমান হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির অবদানের কথা স্মরণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কয়েকদিন আগে ওসমান শহীদ হয়েছেন। ওসমান হাদি চেয়েছিলেন, এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ৭১-এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪-এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
আজ দুপুর ১২টা ৩৫মিনিটে তিনি বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে একটি বিশেষ বাসে করে ৩০০ ফিটের উদ্দেশে রওনা দেন। দলীয় নেতাকর্মীরা রাস্তার দুধারে হাত নেড়ে তাকে স্বাগত জানান। ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মঞ্চে পৌঁছান বিএনপি নেতা তারেক রহমান।
এর আগে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর কিছুক্ষণ আগে তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে আবেগঘন বার্তায় লেখেন, দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!
এরও আগে, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ফ্লাইটটি। একই দিন বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৮টায় লন্ডনের নিজ বাসা ত্যাগ করেন তারেক রহমান। তিনি স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রাত সোয়া ১০টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান।




