অর্থনীতি
দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি বিপণন ডিপো বিপিসির উদ্বোধন কাল
কুমিল্লায় দেশে প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি বিপণন ডিপোর কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্র্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বরুড়ায় স্থাপিত ডিপোটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।
জানা যায়, ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডিপোর অপারেশন কার্যক্রমে কোনো হাতের স্পর্শ থাকবে না। জ্বালানি তেল গ্রহণ থেকে বিতরণ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই থাকবে প্রযুক্তির ব্যবহার। যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক পিএলসি সিস্টেম প্রযুক্তি। যা দেশের পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সেক্টরে নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এতে দেশে পেট্রোলিয়াম জ্বালানি বিপণন নেটওয়ার্কে বিপিসির ডিপোর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮-এ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বিপিসির তিন বিপণন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল পিএলসি নতুন এ ডিপোতে আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের ডিলার ডিস্ট্রিবিউটরদের মধ্যে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন সরবরাহ করবে। পুরো ডিপোটি তত্ত্বাবধান করবে পদ্মা অয়েল পিএলসি। চট্টগ্রামের প্রধান স্থাপনা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল নেবে এ ডিপো। এ ডিপো থেকে কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালীসহ চার জেলায় পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সরবরাহ করা হবে। এতে স্থানীয় জ্বালানি সরবরাহে সময়ের পাশাপাশি সাশ্রয় হবে অর্থের। এছাড়া তেল চুরির মতো দীর্ঘদিনের দুর্নাম থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসবে জ্বালানি সেক্টর।
নতুন এ ডিপোটিতে অগ্নিনিরাপত্তার জন্য রয়েছে ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম, ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম, ফায়ার ওয়াটার সিস্টেম ও ফোম সাপ্রেশন সিস্টেম। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য ৩০টি উচ্চ ক্ষমতার সিসিটিভি সংযোজন করা হয়েছে। কুমিল্লা অটোমেটেড পেট্রোলিয়াম ডিপোতে একটি প্রশাসনিক ভবন আছে। যেখান থেকে তিন বিপণন কোম্পানির দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ডিপোতে রয়েছে একটি কন্ট্রোল বিল্ডিং, গার্ড রুম, একটি ৫০০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, ৪০ কিলোওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৫০০ কেডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জেনারেটর। রয়েছে লুব গোডাউন, মেনটেন্যান্স রুম, পাম্প হাউজ, যেখানে রয়েছে ২১টি পাম্প, একসঙ্গে ৪০টি ট্যাংকলরি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পার্কিং এলাকা এবং তেল সরবরাহে রয়েছে ১২টি আধুনিক লোডিং-বে সম্পন্ন ফিলিং পয়েন্ট।
পদ্মা অয়েল পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইন প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা ডিপোটি নির্মাণ করা হয়। এটি দেশের প্রথম অটোমেটেড পেট্রোলিয়াম ডিপো। হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ডিপোর অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ ডিপোর কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বিপিসির ইতিহাসে একটি মাইলফলক তৈরি হবে। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে সারাদেশে পেট্রোলিয়াম অপারেশন অটোমেশনের আওতায় আনা হবে।
গত ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকল্পের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে পাঠানো ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারিত ছিল দুই হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। একাধিকবার সংশোধন হয়ে সবশেষ তিন হাজার ৬৯৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয় প্রকল্পটিতে।
অর্থনীতি
৩৬ জেলায় টিসিবির পরিবেশক নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে
দেশের ৩৬টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পরিবেশক নিয়োগ দেবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আজ ১৬ ডিসেম্বর থেকে সে জন্য অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, টিসিবির কেনা ভোগ্যপণ্য নির্ধারিত উপকারভোগী পরিবার ও সাধারণ জনগণের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে এই পরিবেশকদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
যেসব জেলায় পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হবে সেগুলো হলো সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শেরপুর ও নেত্রকোনা।
টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ৩৬ জেলার যেসব সিটি করপোরেশন, ওয়ার্ড, পৌরসভা অথবা ইউনিয়নের যেখানে বর্তমানে পরিবেশক নেই, সেখানে এসব পরিবেশক নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে সারা দেশে ৮ হাজার ২৭৫ জন পরিবেশক আছেন।
পরিবেশক হওয়ার জন্য শুধু অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। টিসিবি কার্যালয়ে সরাসরি, ডাকযোগে বা কুরিয়ারে আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
আবেদনের মাশুল হিসেবে ৫ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) এক-পের (অ্যাপ ও ওয়েবভিত্তিক অর্থ পরিশোধ সেবা) মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। পরিবেশক নিয়োগ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য টিসিবির ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
কেন পরিবেশক নিয়োগ
সারা দেশে নিম্নআয়ের মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে টিসিবি। এর মধ্যে সংস্থাটির নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে বর্তমানে ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে তিন ধরনের পণ্য বিক্রি করা হয়। কার্ডধারী একজন ক্রেতা ভর্তুকি মূল্যে দুই লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারেন। মাঝেমধ্যে এর সঙ্গে দু-একটি পণ্য বাড়ানো হয়।
এর বাইরে সারা দেশে ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রির আলাদা কার্যক্রম আছে টিসিবির। তবে এটি টিসিবির নিয়মিত কার্যক্রম নয়। যাঁদের কাছে পরিবার কার্ড নেই, তাঁরা ট্রাক থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য কিনতে পারেন। এই উভয় ধরনের কার্যক্রমই পরিবেশকের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে টিসিবি।
টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য সরকার নতুন নীতিমালা করেছে। পরিবেশক নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা–২০২৫ শীর্ষক এ নীতিমালা জারি করা হয় গত মার্চ মাসে। এর আগে ২০২১ সালের নীতিমালা অনুসরণ করা হতো।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডের জন্য একজন এবং অন্যান্য অঞ্চলের প্রতি ইউনিয়নের জন্য একজন করে পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হবে (খালি থাকা সাপেক্ষে)। তবে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি হলে এক ইউনিয়নে একাধিক পরিবেশক নিয়োগ করার সুযোগও আছে।
পরিবেশক হওয়ার জন্য আবেদন করার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ শেষ করবে টিসিবি। পরে সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে মতামতের জন্য জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে পাঠানো হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে মতামত আসতে হবে।
নিয়োগ পাওয়ার পর পরিবেশকেরা টাকা জমার রসিদ দেখিয়ে নির্ধারিত গুদাম থেকে পণ্যসামগ্রী গ্রহণ করে নিজ দায়িত্বে নিজেদের দোকান বা বিক্রয়কেন্দ্রে সংরক্ষণ করবেন। পরে নির্ধারিত স্থানে পরিবার কার্ডধারী উপকারভোগীদের কার্ড দেখে বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ রেখে ভর্তুকি মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করবেন।
অর্থনীতি
সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ১ হাজার ৪৭০ টাকা
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৩০১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৪১৪ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানোর পাশাপাশি রুপার দামও বাড়ানো রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩২৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩১৫ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১৯৮ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৪২০ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ টাকা ৬০ পয়সা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এনএনজি আমদানির অনুমোন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০২৫ এর বিধি-১০৫(৩) (ক)-অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (৯-১০ জানুয়ারি ২০২৬ সময়ের জন্য ২য়) এলএনজি কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ টাকা ৬০ পয়সা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র মূল্য ধরা হয়েছে ৯.৯৯ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
বাজুসের প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান, সভাপতি দোলন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংগঠনটির সদ্যবিদায়ী সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর।
পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের মতো বাজুসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের কর্ণধার এনামুল হক খান দোলন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস কার্যালয়ে সংগঠনের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সভায় সবার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সায়েম সোবহান আনভীরকে প্রধান উপদেষ্টা ও সংগঠনের সব সাবেক সভাপতিকে উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন বাজুসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রনজিত ঘোষ, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, আজাদ আহমেদ ও অভি রায়।
অর্থনীতি
১৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবনাবাদ নদীর ওপর হবে সেতু
পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের অধীনে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ ‘রাবনাবাদ সেতু’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৫৮ টাকা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সেতু নির্মাণের পূর্ত কাজের ব্যয় অনুমোন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘লেবুখালী-বাউফল-গলাচিপা-আমড়াগাছিয়া জেলা মহাসড়কের রাবনাবাদ নদীর উপর ৮৮২.৮১ মিটার দীর্ঘ ‘রাবনাবাদ সেতু’ নির্মাণের’ পূর্ত কাজ কেনার জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দর প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, এম/এস জন্মভূমি নির্মাতা এবং ওহিদুজ্জামান চৌধুরীর কাছ থেকে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৫৮ টাকায় প্রকল্পের বর্ণিত প্যাকেজের পূর্ত কাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রকল্পটি একনেক থেকে অনুমোদিত হয় ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্যাকেজের আওতায় রয়েছে- রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২.৮১ মিটার দীর্ঘ রাবনাবাদ সেতু নির্মাণ (১৮×৪২.৬৮ মিটার পিসি গার্ডার + ১×১০০ মিটার স্টিল BUG ট্রাস), ১.৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, আন্ডারপাস, প্রতিরক্ষামূলক কাজ, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জা।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এফডিএমএন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের জন্য ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পের একটি প্যাকেজের (এইচইএলপি/ইউএন-১) পূর্ত কাজ সম্পাদনের জন্য ইউএন এজেন্সি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) দরপ্রস্তাব দাখিলের জন্য আহ্বান করা হলে প্রস্তাব দাখিল করে।
প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হওয়ায় নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত প্যাকেজের সম্পাদনযোগ্য ইউএন এজেন্সি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মাধ্যমে ৩৬৩ কোটি টাকায় সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০২ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ১২৯ টাকা।
জানা গেছে, এ প্যাকেজের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ৪টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এমএএইচ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং রহমান ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫৬ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ১২৯ টাকায় পূর্ত কাজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পৃথক একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কুমিল্লা সড়ক বিভাগাধীন ৪টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-০৩ এর পূর্ত কাজের ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৯ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ৯০২ টাকা।
জানা গেছে, ডব্লিউডি-০৩ প্যাকেজের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শামিম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড কনসোর্টিয়াম থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।




