রাজনীতি
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিলো জামায়াত
গাজীপুরের কাপাসিযয়ায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলাধীন ঈদগাহ উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ফরহাদ হোসেন মোল্লা। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আইউবী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা সেফাউল হক।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মো. মাইন উদ্দিন, মো. শামসুদ্দিন, আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ। পরে অনুষ্ঠানিকভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আইউবী।
রাজনীতি
আ.লীগ ৫০ প্রার্থীকে হত্যার মিশন নিয়েছে: রাশেদ খান
আওয়ামী লীগ একটি মিশন নিয়েছে—প্রায় ৫০ জন প্রার্থীকে হত্যা করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, তাদের এই মিশনের অংশ হিসেবে আমাদের বিপ্লবী যোদ্ধা ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ওসমান হাদি ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুলি চালানো হয়েছে। অথচ এখনো সেই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে রাশেদ খান আরও বলেন, ‘৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণার আগে প্রশ্ন আসে—তাহলে গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র্যাব ও যৌথ বাহিনী কী করছে?’
তিনি বলেন, এর আগে অপারেশন ডেভিল হান্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার ফ্যাসিবাদের দোসর যারা সরকার, উপদেষ্টা পরিষদ ও বিভিন্ন বাহিনীতে রয়েছে, তাদের ধরতে অপারেশন ডেভিল হান্ট-২ ঘোষণা করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সরকার সংস্কারের কথা বলে ক্ষমতায় এসে বাস্তবে সেই সংস্কার দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং গত ১৬ মাসে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনই দৃশ্যমান হয়েছে। এর ফলেই আজ দেশে গুপ্তহত্যা ও অস্থিতিশীলতা বাড়ছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় এই সরকারের অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে চরম সমন্বয়হীনতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। সরকার সবসময় বলেছে, তারা রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করবে, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তুলবে—যা হবে আমেরিকা ও ইউরোপের মতো আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা; কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন জনগণ দেখেনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১৬ মাসে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার ফলেই তাদের দুর্বৃত্তরা আজ গুপ্তহত্যায় নেমেছে।
গণ অধিকার পরিষদের এ নেতা আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার—তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুক্তিযোদ্ধারাও যে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন দেখেছিলেন, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেই বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারিনি।’
আওয়ামী লীগকে সরাসরি অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, ‘যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করে, তারাই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘এ কারণেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। ওই অভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছে। নির্বিচারে গুলি করে শিশু, বৃদ্ধ, তরুণ এমনকি মা-বোনদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা আর সেই অন্ধকার সময়ে ফিরে যেতে চাই না।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘এই নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ফ্যাসিবাদমুক্ত হতে হবে। সরকার যদি জাতিকে এমন একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারে, তবেই নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথ সুগম হবে।’
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির প্রার্থী
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. মাসুদুজ্জামান মাসুদ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ জানান, দল থেকে আমার ওপর কোনো চাপ, নির্দেশনা বা হুমকি নেই। আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তাজনিত কারণে আমি নিজ থেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয় আছে। নেগেটিভ পরিবেশও এর একটা কারণ। মূলত আমার ফ্যামিলি হচ্ছে ম্যাটার।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজ থেকে আমাকে মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য যে আমি সেটা ধরে রাখতে পারলাম না। আমার অনেকটা তীরে এসে তরী ডোবানোর মতো অবস্থা। এরজন্য আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
তিনি বলেন, পরবর্তীকালে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে, আমি তার পক্ষে কাজ করবো। আমি প্রতিশ্রুতি দিলাম সংসদ সদস্য না হলেও আমি মানুষের পাশে থাকবো।
এমকে
রাজনীতি
পাকিস্তানের মতো এবার হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে জিততে হবে: রাশেদ প্রধান
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছিল, হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে বুদ্ধির যুদ্ধ করতে হবে। পাকিস্তানের মতো এবার হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা মানচিত্র পেয়েছি, পতাকা পেয়েছি, নামকাওয়াস্তে স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু সার্বভৌমত্ব পাই নাই। পাকিস্তান বাহিনীকে পরাজিত করে হিন্দুস্তানের করদ রাজ্যে পরিণত হয়েছিলাম।
রাশেদ প্রধান বলেন, মুজিব থেকে হাসিনা, কোনো সরকার আমাদের হিন্দুস্তানের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেয় নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বাদ নিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে গুলি আসলে পাল্টা গুলি ছুড়তে হবে। ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। ভূমি দখল ও অবৈধ পুশ ইন রুখে দিতে হবে। খুনি হাসিনাকে ফেরত আনতে দেশি ও বিদেশি চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ভারতীয় অশ্লীল সংস্কৃতি, বিনোদন ও চিকিৎসা ত্যাগ করতে হবে। ভারতীয় পণ্য বয়কট করতে হবে। দেশে বসবাসরত ভারতীয় দালালদের চিহ্নিত করতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনকে কবর দিতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহিদুর রহমান বাবলা, প্রকাশনা সম্পাদক এস এম জিয়াউল আনোয়ার, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, ঢাকা জেলা সভাপতি শামীম আহমেদ, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এমকে
রাজনীতি
ফ্যাসিস্ট শক্তি নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে: নাহিদ ইসলাম
ফ্যাসিস্ট শক্তি নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তি অস্থিতিশীল, তারা নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে। একাত্তর এবং চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছেন। ওসমান হাদির ওপর হামলাকাদীদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি সরকার। সরকার পুলিশের ওপর নির্ভর হয়ে আমাদের জীবন নিরাপদ করতে পারবে না।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এই ভূখণ্ডের মানুষ মানবিক মর্যাদা, স্বার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করেছে। কিন্তু ৫৪ বছরে বারবার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সাম্য ও মানবিক মর্যাদার পরিবর্তে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হয়। এ সময় গণভোটে হ্যাঁ-এর পক্ষে গণজোয়ার করতে এনসিপির প্রার্থিরা কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। অর্ধ শতাব্দিতেও তা পারিনি। নতুন বাংলাদেশে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, একাত্তরের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মুক্তিযুদ্ধকে দেখতে হবে।
এমকে
রাজনীতি
মুক্তিযুদ্ধের ‘কল্পকাহিনীর’ ৯০ ভাগই মিথ্যা: আমির হামজা
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি আমির হামজা বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এতদিন পর্যন্ত মিথ্যা রচনা। আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তার লিখিত বইতে আমরা পড়েছি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে সকল কল্পকাহিনী লেখা এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিজয় র্যালি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি এতদিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই বিজয়ের র্যালি এই কারণে যে আমরা দেশের স্বাধীনতার পক্ষে। ভারতের যে আগ্রাসন এর বিরুদ্ধে ছিলাম এ কারণে আমাদের বিরোধী বানিয়ে রেখেছিল। আগামীর বাংলাদেশ আমরা ভারতের তাবেদার মুক্ত করে এদেশকে স্বাধীনচেতা হিসাবে চলতে চাই, আজকের এই র্যালির এটাই উদ্দেশ্য। আগামীতে দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকবে ইনশাল্লাহ।
আমির হামজা আরও বলেন, এদেশে যারাই জন্ম নিবে তারাই সম্মানিত নাগরিক। সবাইকে নিয়ে আমরা আবার এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার মনে হয় পিছনের ইতিহাস পিছন দিকে টানা ঠিক না। পিছনের সব ইতিহাস ভুলে আমরা নতুন ইতিহাস তৈরি করব। এখানে কোন দল-মত না থাকাই ভালো সবাই আমরা এক।
এসময় বিজয় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, সহকারী সেক্রেটারি মাজহারুল হক, শহর জামায়াতের আমির এনামুল হক সহ দলটির বিভিন্ন পযার্য়ের নেতৃবৃন্দ।
এমকে




