আইন-আদালত
বাউল শিল্পী আবুল সরকারের জামিন নামঞ্জুর
মহান আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির মামলায় গ্রেপ্তার বাউল শিল্পী আবুল সরকারের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়দা জজ আদালতের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসান এ রায় দেন।
এসময় বেশ কিছু আইনজীবী আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে আদালত চত্বরে মিছিল করেছেন।
আদালতে আবুল সরকারের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে ১৫ থেকে ১৬ জন আইনজীবী অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌঁসুলী অ্যাডভোকেট আ ফ ম নুরতাজ আলম বাহার।
বাউল শিল্পী আবুল সরকারের আইনজীবী জিন্নত আলী বলেন, গত ২৩ নভেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম জামিন শুনানি হয় আবুল সরকারের। ওই জামিন শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে ফৌজদারি বিধি মোতাবেক জেলা ও দায়দা জজ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের জামিন শুনানি হয়।
তিনি আরও বলেন, আবুল সরকার আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে ২৯৫ এর ‘ক’ ধারায় দেশের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দিতে পারেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নুরতাজ আলম বাহার বলেন, মহান আল্লাহ ও কোরআনকে না জেনে, না বুঝে বাউলরা যাতে মনগড়া বক্তব্য দিতে না পারে সে সেটির দিকে জোর দিতে বিষয়টি আমরা উপস্থাপন করেছি। আদালত আমাদের নথির সকল তথ্য সঠিক পাওয়ায় আবুল সরকারের জামিন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জের একটি পালাগানের আসরে শিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। পরে সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। অপরদিকে আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বাউল সমাজ।
এমকে
আইন-আদালত
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ
সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন খারিজ করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে এটি খারিজের আদেশ দেয়। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইয়েদ মহসিব হোসেন।
তিনি বলেন, বেঞ্চের কার্যতালিকায় রিটটি ছিল। রিটকারী পক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য শোনার পর আদালত রিটটি খারিজ করে দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ রিটের বিরোধিতা করেন।
এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর ব্যারিস্টার সাইয়েদ মাহসিব হোসেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর একটির সাধারণ বিনিয়োগকারী শহিদুল ইসলামের পক্ষে রিট আবেদনটি করেন।
এর আগে, ৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পাঁচ সংকটাপন্ন বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। প্রস্তাব অনুযায়ী ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে নতুন একটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এমকে
আইন-আদালত
জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত চাওয়া রিট খারিজ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে রুল চাওয়া হয়েছে এবং রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে নির্বাচনে জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পরিবর্তে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে রিটার্নি কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
রিটে আরও বলা হয়, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব সহযোগিতা প্রদান করবে। কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হয়।
নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের চাহিদা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক তৈরি হয়।
আইনজীবী বলেন, বর্তমানে নির্বাহী বিভাগ তাদের আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা ও দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের দ্বারা সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল থেকে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ডিসিদের সঙ্গে নির্বাচনের ব্যাপারে মতবিনিময় করছেন এবং তাদেরকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আবারও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আরেকটি প্রভাবিত নির্বাচন হবে সেটা নিশ্চিত।
তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়।
এমকে
আইন-আদালত
রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিল ১৩ জানুয়ারি
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ সোমবারও আদালতে জমা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে ৯১ বার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পরিবর্তন হলো।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম আজ এ দিন ধার্য করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রোকনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোকনুজ্জামান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতি থেকে বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।
চুরির ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পরবর্তী সময়ে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। আর ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাধ্যমে মাত্র ৬৮ হাজার ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার অন্য উদ্যোগে ফেরত আসে। আরসিবিসিতে থাকা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করে ফেরত আনার বিষয়ে সম্প্রতি আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনার ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জন ট্রাইব্যুনালে
চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর একে একে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে হাজতখানায় নেন পুলিশ সদস্যরা।
এদিন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে আনা আসামিরা হলেন– সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সাবেক এমপি ফারুক খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প-বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
এর মধ্যে সালমান, আনিসুল, ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা ফরমাল চার্জ দিয়েছে প্রসিকিউশন। ইনুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আর আনিসুল ও সালমানের ফরমাল চার্জে আনা হয় কারফিউ দিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর পৃথক মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। ওইদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে দুই মাস সময় চাইলে এ আদেশ দেওয়া হয়। গত ২০ জুলাইও তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করে প্রসিকিউশন। তবে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় নতুন করে সময় দেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, আজ সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সতর্ক ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় সবাইকে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দিতে দেখা যায়।
চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। ওইদিন এ ঘটনায় তদন্তে আরও তিন মাস সময় চান প্রসিকিউশন। পরে ২০ জুলাই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ আসামিদের আনা হয়। সবমিলিয়ে একসময়ের হেভিওয়েট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জ জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
আইন-আদালত
গুমের সরাসরি নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা-সংক্রান্ত অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের কাছে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন। তিনি জানান, এসব ঘটনার সরাসরি নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শুনানি শুরু হলে তিনি এ আবেদন করেন।
ট্রাইব্যুনারের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন চীফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন তিন সেনা সদস্য। এদিন সকালে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের হাজির করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সেনা সদস্যরা হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লে. জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ ও লে. কর্নেল (অব) মখসুরুল হক।
এর আগে, ২৩ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। একইসঙ্গে পলাতকদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। স্বেচ্ছায় লড়তে চাইলে শেখ হাসিনার আইনজীবী হন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না। তবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ৩ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করলে মো. আমির হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়।
গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা এ মামলার তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য সাতদিনের মধ্যে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ৮ অক্টোবর এ মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।




