রাজনীতি
একটি দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করছে: সালাউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, একটি দল বলছে এই মার্কাতে ভোট দিলে তরতরিয়ে জান্নাতে যাওয়া যাবে। ইহকালে কীভাবে চলব তার কোনো বক্তব্য নেই। কোনো নীতি-আদর্শ নেই, পরিকল্পনা নেই, শুধু ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে।
সোমবার সকালে রাজধানীর খামাড়বাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সালাউদ্দিন বলেন, আমরা ধর্মের ট্যাবলেট বিক্রি করতে চাই না। আমরা চাই জনগণের কল্যাণের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা কী আছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। জনগণকে সহজ ভাষায় বিএনপির পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা বিনা পরিশ্রমে জান্নাতে যেতে চায় তাদের জানতে হবে সেখানে যাওয়ার বাস স্টেশনটা কোথায়। জনগণ এসব বোঝে। যদি আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আগে থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন না করি তাহলে আমরা নিজেরাই ব্যর্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছি।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জামায়াত ধর্মের নামে ব্যবসা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
সাত দিনব্যাপী বিএনপির এই কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে, আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে মানুষের মতামত জানবে বিএনপি। যার আলোকে প্রস্তুত হবে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার।
দ্বিতীয় সেশনের সমাপনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন তিনি। গতকাল উদ্বোধন করা হয় সাত দিনব্যাপী এই কর্মসূচি। আগামী ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা।
এমকে
রাজনীতি
নারী জাগরণের আলোক দিশারি বেগম রোকেয়া: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কঠোর রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন সেই সময়ের অগ্রণী এক অগ্রদূত। নারী জাগরণের একজন আলোক দিশারি।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি তার জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পিছিয়ে পড়া। অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা। বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার বিস্তারকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন ও এর মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটানো সম্ভব। বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া এ দেশের মুসলিম নারীসমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে বেগম রোকেয়াকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে স্থির, অদম্য ও অবিচল। বেগম রোকেয়া তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনেছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতিকে জীবনের মর্মস্থলে তিনি স্থাপন করেছিলেন নারীর স্বায়ত্তশাসন ও আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে। আর এ জন্য তিনি বিশ্বাস করতেন নারীকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। নারীসমাজকে স্বাবলম্বী করতে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, শত কূপমন্ডূকতার বাধা সত্ত্বে। বেগম রোকেয়ার উচ্চারণের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে নারীর সঠিক স্বাধীনতা। তার কর্মময় জীবন ও আদর্শ নারীসমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তার অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। বেগম রোকেয়া এ দেশের নারী জাগরণের এক অক্লান্ত পথিকৃৎ। তিনি নারীসমাজের অগ্রগতির জন্য শিক্ষাকে বাস্তব ও অপরিহার্য বলে মনে করতেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষাই নারীকে স্বমহিমায় অভিষিক্ত করবে। তার দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি ছিল নারীর ভাগ্যোন্নয়ন এবং সে জন্য তাদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার। বেগম রোকেয়ার নারী স্বাধীনতার অর্থ গভীরভাবে বিচারসহ তার জীবন ও আদর্শ বাস্তবায়নই এ দেশের নারীসমাজকে আলোকিত ও আত্মনির্ভরশীল করতে প্রেরণা জোগাবে।
এমকে
রাজনীতি
আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনের হাসপাতালে নিতে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার অনুমতি নিয়েছিল। তবে আজ সেই অনুমতি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে তারা। অর্থাৎ মঙ্গলবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসছে না এবং খালেদা জিয়াও আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জার্মানিভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ স্থানীয় সমন্বয়কারী সংস্থার মাধ্যমে পূর্বের স্লট অনুমোদন প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। এটি আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছি।
এর আগে রোববার জমা দেওয়া অপারেটরের প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় অবতরণ ও একই দিন রাত ৯টার দিকে উড্ডয়নের অনুমোদন নিয়েছিল।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানিভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এটি বোমবার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ মডেলের একটি বিজনেস জেট যা দীর্ঘ দূরত্বের মেডিকেল ইভাকুয়েশনের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। চ্যালেঞ্জার ৬০৪ তার শক্তিশালী ট্রান্সকন্টিনেন্টাল সক্ষমতার জন্য পরিচিত, যা ঢাকা–লন্ডন মেডিকেল ট্রান্সফারের জন্য উপযোগী।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন। এই অসুস্থতাগুলোর মধ্যে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং কিডনি জটিলতা অন্যতম। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত কিছুদিন ধরেই তাকে বিদেশে নেওয়ার তোড়জোড় চলছে।
২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। হাসপাতালে ভর্তির পর তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। এর ফলস্বরূপ, ২৭ নভেম্বর তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তিনি ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
রাজনীতি
ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় অব্যাহতি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান।
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল-১ এ আদেশ দেন। বিরূপ মন্তব্যের জেরে আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান।
এদিন বেলা ১১টার পর আইনজীবীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন বিএনপির এই নেতা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ফজলুর রহমান ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আল্লাহর পরই আপনাদের প্রতি আমার সম্মান।
একপর্যায়ে ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করার পাশাপাশি আদালত অবমাননা থেকে ফজলুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনার মতো ব্যক্তির কাছে এমন বক্তব্য আশা করি না।
গত ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর বিএনপির এই নেতাকে আজ সোমবার সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন ট্রাইব্যুনাল। এরমধ্যেই গত ৩ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ফজলুর রহমান।
আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে গত ২৬ নভেম্বর প্রসিকিউশন জানায়, চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর চ্যানেল 24-এর একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান। ওই টকশোতে ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি, এই কোর্ট আমি মানি না।’
পরে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সবাই জানে, জানবে না কেন? আমার ইউটিউব শুনেন, আমি এই কোর্ট মানি না। এই কোর্টের আমি বিচার মানি না, ইউটিউবে বলেছি, টকশো’তে বলেছি। যদি না বলে থাকি এখন বললে আমার ভুল, মাফ চাইব, প্রতিদিন বলছি এই কোর্টের বিচার আমি মানি না। এই কোর্টের গঠন প্রক্রিয়া বলে এই কোর্টে বিচার হইতে পারে না। এই কোর্টে যারা বিচার করছে আমার ধারণা এদের মধ্যে, এদের ভেতরে একটা কথা আছে।
এছাড়াও ওই টকশোতে তিনি অনেক মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে প্রসিকিউশন সেদিন আরও জানায়, আমরা শুধু কোর্ট নিয়ে তিনি যেটুকু কথা বলেছেন সেটি ট্রাইব্যুনালের সামনে পড়েছি।
রাজনীতি
ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির শুরুতে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি ডিসেম্বর বা আগামী জানুয়ারিতেই দেশে ফিরতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তাজুল ইসলাম। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের বিভিন্ন প্রস্তুতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব এখন আরও সুসংগঠিত হচ্ছে এবং যেকোনো সময় বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
তাজুল ইসলাম জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরলে দলের আন্দোলন, সাংগঠনিক পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা আরও গতিশীল হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই, ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারির মধ্যেই তারেক রহমানকে দেশে দেখতে পাবো। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার এবং দলের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে তারেক রহমানের দেশে ফেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে তার প্রত্যাবর্তন নির্ভর করছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ওপর।
দলীয় কর্মীরা এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আসবে।
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে মঙ্গলবার সকালে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে আগামী মঙ্গলবার সকালে ঢাকা পৌঁছাতে পারে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। রোববার রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপাসনের জন্য যে এয়ার অ্যাম্বুলেসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেটি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ইতোমধ্যে ওই সময়ে ঢাকায় অবতরণের অনুমতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বেবিচক সূত্র। এক কর্মকর্তা বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার কথা থাকলেও ‘কারিগরি ত্রুটি’ দেখা দেওয়ায় কাতার বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে।
কাতার সরকার যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে সেটি হলো বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ (সিএল৬০)। জার্মানির শীর্ষস্থানীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও মিশন-ক্রিটিক্যাল এভিয়েশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ এটি পরিচালনা করে।
প্রতিষ্ঠানটি বোম্বার্ডিয়ার বিজনেস জেটের বহর পরিচালনা করে, যা রোগীদের জন্য চিকিৎসা পরিবহন ও ভিআইপি পরিবহন উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবসা পরিচালনা করে।
চ্যালেঞ্জার ৬০৪ দীর্ঘপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় সক্ষমতার জন্য পরিচিত। এটি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা ফ্লাইটের জন্য উপযোগী। বিএনপি চেয়ারপারসন গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি সমস্যার কারণে কাতারের মূল উড়োজাহাজটি ঢাকায় পৌঁছাতে না পারায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পূর্বপরিকল্পিত স্থানান্তর বিলম্বিত হচ্ছে। সমস্যার সমাধান হলে শনিবার উড়োজাহাজটি পৌঁছাতে পারে।



