জাতীয়
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের ফেসবুক আইডি হ্যাকড
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৩০ মিনিটে নিজের আইডি থেকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। সকলের অবগতির জন্য বিষয়টি জানানো হল।
এর এক মিনিট আগে ৭টা ২৯ মিনিটে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যটাস দেওয়া হয়। সেখানে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয়, ‘Resignation.’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরও স্বপদেই বহাল আছেন তিনি।
যদিও তার পদ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা রয়েছে, বিশেষ করে ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাকে অপসারণের দাবি জানানো হলেও, অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
জাতীয়
লটারিতে ৫২৭ থানার ওসি পদায়ন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই থানার ওসিদের পদায়ন করা হলো। দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের মতো এবার ৫২৭টি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য লটারি করে ওসি পদায়নের আগে সৎ, নিরপেক্ষ পরিদর্শকের তালিকা ইউনিট প্রধানদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। তার ওপর ভিত্তি করে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি লটারিতে মোট ৫২৭ থানায় নতুন ওসি পদায়ন করা হয়েছে। পদায়ন করা কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় প্রস্তাবিত লেখা রয়েছে। ৫২৭ থানার মধ্যে মেট্রোপলিটনের কোনো থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়নি।
পদায়নের মধ্যে রয়েছে-ঢাকা রেঞ্জে ১৩ জেলায় ৯৮ থানার ওসি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১ জেলায় ১১১ থানার ওসি, খুলনা রেঞ্জে ১০টি জেলায় ৬৪ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও ময়মনসিংহ রেঞ্জের ৪ থানায় ৩৬ ওসি, বরিশাল রেঞ্জের ৬ জেলায় ৪৬ ওসি, সিলেট রেঞ্জের ৪ জেলায় ৩৯ থানার ওসি, রাজশাহী রেঞ্জে ৮ জেলায় ৭১ থানার ওসি এবং রংপুর রেঞ্জের ৮ জেলার ৬২ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, সারাদেশে থানার সংখ্যা ৬৩৯টি। এরমধ্যে জেলা পর্যায়ে থানার সংখ্যা ৫২৭টি, মেট্রোপলিটন এলাকায় ১১০। মেট্রোপলিটন এলাকার ১১০টি থানার ক্ষেত্রে লটারি হবে না বলে জানায় সূত্রটি।
সূত্রমতে, মেট্রোপলিটন এলাকায় অভ্যন্তরীণভাবে ওসি পদায়নের কাজটি করবেন সংশ্লিষ্ট কমিশনাররা।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হয়।
জাতীয়
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১০৬ মামলায় চার্জশিট দাখিল
জুলাই মাসে ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনাগুলোয় দায়ের মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০৬টির চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৩১টি হত্যা মামলা এবং বাকি ৭৫টি অন্য ধারায়।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার্জশিটকৃত ৩১টি হত্যা মামলা পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, কুড়িগ্রাম, শেরপুর জেলা এবং পিবিআই, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের। অন্যান্য ধারার ৭৫টি মামলা পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, বরগুনা জেলা এবং পিবিআই, সিআইডি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে দায়ের এসব মামলার সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা প্রতিটি মামলা তদারকি করছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। অন্য মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(এ) ধারায় বৈষম্যবিরোধী ৪৩৭টি মামলায় মোট ২ হাজার ৮৩০ জনকে অব্যহতির জন্য আদালতে অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
জাতীয়
ইউনূসের কাজে সন্তুষ্ট ৬৯ শতাংশ মানুষ, বিএনপির চেয়ে জামায়াতে পছন্দ বেশি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর দেশের বেশিরভাগ মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি রয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সর্বশেষ জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৯ শতাংশ মানুষ ড. ইউনূসকে সমর্থন করেছেন, আর ৭০ শতাংশ বর্তমান সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এছাড়া আগামীতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ৮০ শতাংশ মানুষ।
আইআরআইয়ের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চ গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগে এই জরিপ পরিচালনা করে। ‘ন্যাশনাল সার্ভে অব বাংলাদেশ, সেপ্টেম্বর–অক্টোবর ২০২৫’ শিরোনামে গতকাল সোমবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৩ শতাংশ মনে করেন দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে, যেখানে ৪২ শতাংশ ভিন্নমত দিয়েছেন। উন্নতির কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন—অর্থনৈতিক অগ্রগতি, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং খাদ্য নিরাপত্তা। অন্যদিকে যারা মনে করেন দেশ ভুল পথে যাচ্ছে, তারা প্রধান কারণ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারের কাজ সমর্থন করেন বলে জানানো হয়েছে। যেখানে ২৬ শতাংশ মানুষ এটার বিরোধিতা করেছেন এবং বাকি চার শতাংশ মানুষ কোনো মতামত প্রদান করেননি। একই প্রশ্নে ৬৯ শতাংশ মানুষ ড. ইউনূসের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
রাজনৈতিক দলের পছন্দের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ৫১ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)কে পছন্দ করে। অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে পছন্দ করেন বলে জানিয়েছে। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগকে যথাক্রমে ৩৮, ৩৩ ও ২৫ শতাংশ মানুষ পছন্দ করেন।
আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন কি না জানতে চাইলে ৬৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তারা অবশ্যই ভোট দেবেন। এছাড়া ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আরো ২৩ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা সম্ভবত ভোট দেবেন না।
আগামী সপ্তাহে ভোট হলে কোন দলকে ভোট দেবেন- এমন প্রশ্নে ৩০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বিএনপির কথা বলেছেন। যেখানে ২৬ শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। অন্যদিকে এনসিপিকে ছয় শতাংশ, জাতীয় পার্টিকে পাঁচ শতাংশ এবং ইসলামী আন্দোলনকে চার শতাংশ মানুষ ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। অন্য দলগুলোর ভোট রয়েছে ১১ শতাংশ। সাত শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, তারা কাকে ভোট দেবেন এখনো নিশ্চিত নন। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন ১১ শতাংশ ভোটার।
অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ ‘খুবই আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছেন। দেশের প্রধান সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ২১ শতাংশ দুর্নীতিকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখিয়েছেন, আর ১৮ শতাংশ রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া ৪৮ শতাংশ মানুষ আগামী বছর দেশের অর্থনীতি আরো ভালো হবে বলে মনে করেন। মাত্র ১৮ শতাংশ মনে করেন অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের দিকে যাবে। ৭২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করাকে তারা সমর্থন করেন। এছাড়া দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন ভবিষ্যতের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তবে জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা দেশে নতুন রাজনৈতিক দল দেখতে চান। যেখানে ৪৩ শতাংশ বর্তমান দলগুলোর ওপর সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেছেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৮ শতাংশ মানুষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সংস্কার বলে মনে করেন। ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করে বর্তমান সরকার সুন্দরভাবে সংস্কার কাজ শেষ করতে পারবেন।
জাতীয়
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি
গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এই অধ্যাদেশটির গেজেট প্রকাশ করা হয়।
অধ্যাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ জামিন ও আপস অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া গুমের আদেশ বা অনুমতি দেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও সমান সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি বিষয়টি অস্বীকার করে বা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখে এবং এ কারণে ওই ব্যক্তি যদি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে একে গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। দায়ী ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
গুম হওয়া কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরেও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব না হলে এ অধ্যাদেশের অধীনে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
যদি কোনো ব্যক্তি সজ্ঞানে গুমের সাক্ষ্য-প্রমাণ গোপন, বিকৃত বা নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকি ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা অন্য কোনো অজুহাত এক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও তিনি মূল অপরাধের সমান দণ্ডপ্রাপ্ত হবেন। অভিযুক্ত পলাতক থাকলেও বিচার সম্পন্ন করা যাবে।
গত ৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
জাতীয়
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক সুরঞ্জিত বরখাস্ত
পলায়ন ও অসদাচরণের অভিযোগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৌলভীবাজার জেলা সঞ্চয় অফিসের সহকারী পরিচালক সুরঞ্জিত দাশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান সই করা আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, মৌলভীবাজার জেলা সঞ্চয় অফিস/ব্যুরোর সহকারী পরিচালক সুরঞ্জিত দাশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পলায়ন ও অসদাচরণের অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(গ) ও ৩(খ) বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিধিমালা ২০১৮-এর ১২(১) অনুযায়ী তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন। সে প্রেক্ষিতেই ওই বিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।



