রাজধানী
দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর চকবাজারে দুটি ভবনে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের সাত ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগুন নেভানোর কাজে লালবাগ, পলাশী ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের মোট ৭টি ইউনিট নিয়োজিত ছিল। ইউনিটগুলোর দ্রুত প্রচেষ্টায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের তদন্তকারী দল এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, চকবাজারে মূলত দুটি ভবনে আগুন লেগেছিল। প্রথম ভবনটি তিনতলা বিশিষ্ট। এর মধ্যে নিচ তলা ডালের গোডাউন ও মিল, দ্বিতীয় তলায় কর্মচারীদের আবাসন আর তৃতীয় তলায় লাগেজ ফিটিংস কারখানা। আর দ্বিতীয় ভবনটি দুই তলা বিশিষ্ট। এই ভবনের নিচ তলায় ওয়ার্কশপ ও দ্বিতীয় তলায় অফিস।
এর আগে বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে, পরে আরও তিনটি ইউনিট পৌঁছায়।
একই দিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জহুরি মহল্লায় একটি ৬ তলা আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজধানী
চকবাজারে আবাসিক ভবনে আগুন
রাজধানীর চকবাজারের রহমতগঞ্জ ডালপট্টি এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করেছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চকবাজারে তিনতলা একটি আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে, আরো চারটি ইউনিট পথে রয়েছে।
আগুনে এখনো কোন হতাহতের খবর নেই বলেও জানান তিনি। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
রাজধানী
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দূষিত। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুমান কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও আজ ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
২৬১ স্কোর নিয়ে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ভারতের রাজধানী ‘দিল্লি’, যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। একই সময় ২২৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেকটি শহর ‘কলকাতা’।
এদিকে ২১৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দ, যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। আর ২১৬ স্কোর নিয়ে এই তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছে রাজধানী ‘ঢাকা’।
আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
এমকে
রাজধানী
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর
বিশ্বে বায়ুদূষণের তালিকায় চতুর্থ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ২১৯। যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ার-এ এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ প্রথম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো, যার স্কোর ২৭৮, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ২৪৭, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাশকেন্ট, স্কোর ২২৬ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা, স্কোর ২০৭।
একটি শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, তার লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক জানিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।
প্রতিষ্ঠানটির মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। আর ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
এমকে
রাজধানী
সেতু নির্মাণসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
ভোলা থেকে বরিশাল যাতায়াতে সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে— ভোলায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ, গ্যাস সংযোগ প্রদানসহ অন্যান্য। অবরোধের কারণে সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। পরে তারা শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় শাহবাগ থেকে বাংলামোটরমুখী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। মিছিল নিয়ে যমুনা অভুমুখে যাত্রা শুরু হলে পুলিশ ব্যরিকেড দিয়ে তা আটকায়।
আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের প্রধান দাবি ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ। ভোলার প্রতিটা মানুষ এই দাবিকে সমর্থন করে। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য এই সেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই দাবির সঙ্গে পুরো ভোলাবাসীর সমর্থন রয়েছে। যে কারণে আমরা দাবি আদায়ের রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হয়েছি। আশা করবো, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে খুব দ্রুত ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
তারা বলেন, আমরা কয়েকদিন যাবত সেতু নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগে কর্মসূচি পালন করছি। আজ আমরা একটি মিছিল বের করেছি, যেখানে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন চাই। ভোলা-বরিশাল সেতু চালু হলে দুই দিকের মানুষের সংযোগ স্থাপন হবে, মানুষই খুবই উপকৃত হবে। তাই আমরা চাই সরকার আমাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যাশার এই সেতু নির্মাণ করে দিক।
আন্দোলন কর্মসূচিতে ঢাকায় বসবাসরত ভোলার বাসিন্দারা নানা ব্যানার ফেস্টুনসহ উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীদের একজন ইসমাঈল সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত একটি সেতু নির্মাণ আমাদের প্রধান দাবি। যাতায়াতে আমরা চরম দুর্ভোগের শিকার হই। নদী পারাপারের ক্ষেত্রে লঞ্চের ওপরই নির্ভর করতে হয়, ফলে রাতের বেলায় যাতায়াত প্রায় অসম্ভব। চিকিৎসার জন্য কাউকে ঢাকায় আনতে হলেও অনেক সময় পুরো একটি দিন অপেক্ষা করতে হয়।’
আন্দোলনকারীদের সবাই ভোলা জেলা থেকে আগত কিংবা চাকরির জন্য আগে থেকেই ঢাকা ছিল বলে জানান তিনি।
রাজধানী
খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়: মির্জা ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ জুম্মা রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় অবদান রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি কারাভোগ করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। আমরা জানি, গত দুদিন ধরে তিনি আবার অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং গতকাল রাতেই ডাক্তাররা বলেছেন যে, তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়।
মহাসচিব আরো বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে গণতন্ত্রের নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য সারাদেশের জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছিলাম এবং সারা দেশের মসজিদে মসজিদ দোয়া হচ্ছে। আজকে আমরা এখানে এই নয়া পল্টনের মসজিদে নামাজ আদায় করে সবাই খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছি। আল্লাহ যেন তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেন।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



