রাজনীতি
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলবে: ড. হেলাল
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের ঘরে বন্দি করবে না। কারণ নারীদের ঘরে বন্দি করে রাখা ইসলামী রাষ্ট্রের নীতিতেও নাই, জামায়াতে ইসলামীর নীতিতেও নাই।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পল্টন থানার উদ্যোগে স্থানীয় নারীদের সঙ্গে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী দক্ষিণের ব্যবসায়ী বিভাগের সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী ফরাজি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে পল্টন থানার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ঢাকা-৮ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের ঘরে বন্দি করবে না। কারণ নারীদের ঘরে বন্দি করে রাখা ইসলামী রাষ্ট্রের নীতিতেও নাই, জামায়াতে ইসলামীর নীতিতেও নাই। স্বাধীনতা সংগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এদেশের নারী সমাজের রক্ত-ঘাম লেগে আছে। নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই নারী সমাজকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা সম্ভব নয়। নারীদের ঘরে বন্দি নয় বরং জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের যোগ্যতা অনুযায়ী তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে; তাদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলবে। নারীসমাজের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। ইসলামী বিধান মোতাবেক নারী তার প্রাপ্য সম্মান-মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবে। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
ঢাকা-৮ আসনকে একটি নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামীতে জনগণ তাকে নির্বাচিত করলে ঢাকা-৮ আসনকে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-দুর্নীতিমুক্ত একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য মানবিক এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। জনভোগান্তি দূরীকরণে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস- বিদুৎ ও পানি সরবরাহের পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দৌড়গৌড়ে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি শিশুদের মেধা বিকাশে খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদনের আয়োজন করা হবে। মাদক মুক্ত করতে যুব সমাজের জন্য খেলাধুলা ও শরীর চর্চার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা করা হবে।
‘আমার ঢাকা, আমাদের ঢাকা; গড়বো মোরা একসাথে’ স্লোগানে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকাকে নতুন বাংলাদেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয়দের জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণকে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য মানবিক শহর উপহার দেওয়াই জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার।
রাজনীতি
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকাস্থ আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক মি. জঁ ডেনিস পেসমে’র নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মি. জঁ ডেনিস পেসমে এর নেতৃত্বে তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা ডিভিশনের অর্থ উপদেষ্টা মিস. মেহরিন এ মাহবুব ও অপারেশন ম্যানেজার এমএস গায়েল মার্টিন।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মিজানুর রহমান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মুহাম্মাদ সফিউল্লাহ এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
বৈঠকে বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিকখাতের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন, টেকসই অর্থনীতি, করব্যবস্থা ও সামাজিক খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
রাজনীতি
শামারুহ মির্জার পোস্ট, ‘রায় দিল, আব্বুকে ফোন করলাম, কাঁদলাম!’
চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এই রায়ের পর আবেগী একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মেয়ে শামারুহ মির্জা।
সোমবার বিকাল সোয়া ৩টায় নিজের ফেসবুক পেজের পোস্টে শামারুহ মির্জা লিখেছেন, ‘রায় দিল। আব্বুকে ফোন করলাম! কাঁদলাম! সেই ২০১৩ থেকে আমি অপেক্ষা করছিলাম! আমাদের জীবনের যে ভয়াবহ ক্ষতি করেছিল হাসিনা, কতবার ভেবেছি, কবে সুযোগ আসবে।’
শামারুহ মির্জা আরও লিখেছেন, ‘আমি মামলা করব, আমাদের মানসিক, শারীরিক এবং আর্থিক ক্ষতি করার জন্য। এই ১২ বছরে কত লাখ লাখ পরিবার শেষ করেছে হাসিনা। কত মানুষ খুন করেছে, গুম করেছে! মজলুমের দোয়া আজ কবুল হলো। আল্লাহ সর্বশক্তিমান।’
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির আদেশ দেন। মামলার দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তবে এক নম্বর অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচনে সহায়তা করায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এমকে
রাজনীতি
‘কিছু আসে যায় না, আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, তিনিই নেবেন’- রায়ের আগে হাসিনা
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগমুহূর্তে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমর্থকদের উদ্দেশে পাঠানো এক অডিও বার্তায় দাবি করেছেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং তাকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তিনি বলেছেন, রায় নিয়ে তার কোনো উদ্বেগ নেই এবং তিনি আবার জনগণের জন্য কাজ করবেন। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
বাংলাদেশে তার ক্ষমতাকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজকের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনা বলেন, অভিযোগ ‘মিথ্যা’ এবং তিনি এমন রায়কে গুরুত্ব দেন না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে পাঠানো অডিও বার্তায় আওয়ামী লীগ সভাপতি দাবি করেন, নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার দলকে ‘শেষ করে দিতে’ চাইছে।
৭৮ বছর বয়সী হাসিনা বলেন, ‘এটা এত সহজ না। আওয়ামী লীগ শেকড় থেকে উঠে এসেছে, কোনো ক্ষমতাদখলকারীর পকেট থেকে না।’
তিনি জানান, প্রতিবাদের ডাক দেওয়ার পর দেশজুড়ে সমর্থকেরা যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তা তাকে নতুন করে আশ্বস্ত করেছে। তার ভাষায়, ‘তারা আমাদের বিশ্বাস দিয়েছে। জনগণ এই দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদী ও খুনি ইউনুস আর তার দোসরদের দেখিয়ে দেবে বাংলাদেশ কত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে; জনগণই বিচার করবে।’
গত বছর দেশজুড়ে সহিংসতায় রূপ নেওয়া বিক্ষোভের পর হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে যান এবং তার আগে পদত্যাগ করেন। এরপর ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে। ঢাকায় আদালত হাজিরার নির্দেশ দিলেও তিনি তা অমান্য করেন।
সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনা বলেন, ‘চিন্তা করার কিছু নেই। আমি বেঁচে আছি, বেঁচে থাকব, আবার মানুষের কল্যাণে কাজ করব, আর বাংলাদেশের মাটিতেই বিচার করব।’
ইউনুসকে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জোর করে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অপসারণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তার অভিযোগ, ‘ইউনুস খুব পরিকল্পনা করে ঠিক এই কাজটাই করেছে।’
তিনি দাবি করেন, গত বছরের ছাত্রবিক্ষোভে সরকার সব দাবি মেনে নিলেও একের পর এক নতুন দাবি তোলা হয়। তার ভাষায়, ‘উদ্দেশ্য ছিল বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে তিনি নাকচ করে বলেন, ‘আমি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি আর তারা আমাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ দেয়?’
হাসিনার অভিযোগ, ইউনুস সরকার পুলিশ, আওয়ামী লীগ কর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হত্যার দায়ে অভিযুক্তদের সাধারণ ক্ষমা দিয়েছে। তার কথায়, ‘এভাবে সাধারণ ক্ষমা দিয়ে সে নিজের কাঁধেই দায়টা চাপিয়ে দিয়েছে।’
এই ক্ষমা ভুক্তভোগীদের পরিবারের জন্য বিচারপ্রাপ্তির পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ‘কী ধরনের মানবতা এটা?’—প্রশ্ন তার।
হাসিনা বলেন, ‘রায় দিক, আমার কিছু যায় আসে না। আল্লাহ আমাকে জীবন দিয়েছেন, আল্লাহই নেবেন। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আমার বাবা-মা, ভাইবোন সবাইকে হারিয়েছি, তারা আমার ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
গণভবনে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গণভবন আমার সম্পত্তি না, এটা সরকারি সম্পত্তি। তারা বলে এটা নাকি বিপ্লব। লুটেরা আর সন্ত্রাসীরা কোনো বিপ্লব করতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের আদালতের রায় তাকে থামাতে পারবে না। ‘আমি জনগণের সঙ্গে আছি। আমি আমার কর্মীদের বলছি—চিন্তা কোরো না। সময়ের ব্যাপার মাত্র। তোমরা কষ্ট পাচ্ছ, আমরা ভুলব না, হিসাব হবে। আর আমি বিশ্বাস করি, আমি সেটা ফিরিয়ে দিতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
হাসিনা দাবি করেন, তার সরকারের সময়ে দেশের মানুষের জীবন বদলে গিয়েছিল। ‘আজ বেকারত্ব বাড়ছে। আয় নেই। দেশে উৎপাদন নেই। শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুট হচ্ছে। বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করতে হবে। সবাই ভালো থেকো। জয় বাংলা, জয় বাংলা, বাংলাদেশ।’
রাজনীতি
হাসিনার রায়ের অপেক্ষায় জাতি: মির্জা ফখরুল
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়কে ঘিরে জাতি এখন অপেক্ষায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে মির্জা ফখরুল লেখেন, ‘ঢাকায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষিত হবে। আমি আশা করব আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ন্যায্য বিচার নিশ্চিত হবে। জাতি অপেক্ষায় আছে!’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘মুগ্ধ, ওয়াসিম, আবু সাইদ আরও অনেকে অপেক্ষায় আছে! অপেক্ষায় আছে আগামীর বাংলাদেশ।’
পোস্টের সঙ্গে তিনি জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে তৈরি একটি পোস্টারও শেয়ার করেন।
রাজনীতি
শেখ হাসিনাকে হাজার বার ফাঁসি দিলেও কম হবে: মীর স্নিগ্ধ
শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে তার জন্য যদি তাকে হাজার বারও ফাঁসি দেওয়া হয়, সেটাও তার জন্য কম হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অন্যায়-অপরাধের বিচার ৫ আগস্টেই হয়ে গেছে। এখন শুধু আদালতের আনুষ্ঠানিক রায়ের প্রকাশের অপেক্ষা। তবে যে অপরাধ করেছে, তার জন্য যদি তাকে হাজার বারও ফাঁসি দেওয়া হয়, সেটাও তার জন্য কম হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, গুম-খুন-হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবার এবং গত ১৭ বছর ধরে নির্যাতিত মানুষের একটাই প্রত্যাশা—শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর করা হোক।
এদিকে, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
এই মামলায় পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
সোমবার বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।



