জাতীয়
অক্টোবর মাসে সড়কে ঝরেছে ৪২৩ প্রাণ
গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৪২৩ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৫৮৯ জন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ)।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সংগঠনটির চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএর বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ঢাকা বিভাগে ১১৫টি দুর্ঘটনায় ১০৯ জনের মৃত্যু এবং ১৬৩ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ৮৯ জন, আহত ১৮৮ জন। রাজশাহী বিভাগে ৫৪টি দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪ জন ও আহত ৪৪ জন। খুলনা বিভাগে ৫৯টি দুর্ঘটনায় ৫৪ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত। বরিশাল বিভাগে ২৯টি দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু ও ৫৯ জন আহত। সিলেট বিভাগে ২৩টি দুর্ঘটনায় নিহত ২২ জন, আহত ৪১ জন। রংপুর বিভাগে ৫১টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হন। ময়মনসিংহ বিভাগে ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন।
অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত মোটরযানের সংখ্যা ছিল ৬৯৫টি। এর মধ্যে মোটরকার বা জিপ ১৫টি, বাস বা মিনিবাস ১১৪টি, ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান ১২৪টি, পিকআপ ৩১টি, মাইক্রোবাস ২৩টি, মোটরসাইকেল ১৬৪টি, ভ্যান ২২টি, ট্রাক্টর ৫টি, ইজিবাইক ২৭টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ১১টি, অটোরিকশা ৪১টি এবং অন্যান্য যান ১১৮টি।
এসব দুর্ঘটনায় মোটরকার বা জিপে ২ জন, বাস বা মিনিবাসে ৬৪ জন, ট্রাক বা কাভার্ডভ্যানে ৪৮ জন, পিকআপে ১১ জন, মাইক্রোবাসে ৮ জন, মোটরসাইকেলে ১৩০ জন, ভ্যানে ২১ জন, ট্রাক্টরে ১ জন, ইজিবাইকে ১৭ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশায় ১১ জন, অটোরিকশায় ৩২ জন এবং অন্যান্য যানবাহনে ৯৬ জনসহ মোট ৪২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এমকে
জাতীয়
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু আগামীকাল, জানুন কোন দেশে কখন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার জন্য চালু হচ্ছে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ। আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ অ্যাপের উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বাংলাদেশে এবারই প্রথম পোস্টাল ভোট দেওয়ার সুযোগ চালু হচ্ছে। এ জন্য অ্যাপে নিবন্ধনের পর সে অনুযায়ী শুধু প্রতীক দিয়ে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে তাদের কাছে।
অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটাররা টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ‘না’ ভোট যুক্ত থাকবে ওই ব্যালটে। যদি কোনো আসনে একজন মাত্র প্রার্থী থাকেন, শুধু সেসব আসনের ভোটাররাই এই ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি ভোটাররা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঁচ দিন করে নিবন্ধনের সময় বেঁধে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলের ৫২টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররা।
এ ছাড়া উত্তর আমেরিকার ১৪টি দেশ ও ওশানিয়া অঞ্চলের দুটি দেশের থাকা বাংলাদেশি ভোটাররা ২৪-২৮ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
এদিকে ইউরোপের ৪২টি দেশে নিবন্ধন করতে হবে ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ৪ ডিসেম্বর মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে নিবন্ধন শুরু হবে, যা চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যালট পেপার যে খামে পাঠানো হবে তার সঙ্গে থাকবে একটি ঘোষণাপত্র। ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ওই ঘোষণাপত্রেও স্বাক্ষর করতে হবে ভোটারকে। ভোটার যে নিজে ভোট দিয়েছেন সেটি উনি ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করবেন এবং সেটিতে স্বাক্ষর করবেন।
যদি কোনো ভোটার শুধু ভোট দিয়ে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর ছাড়াই ব্যালট পেপার বাংলাদেশে পাঠান সেক্ষেত্রে ওই ভোটটি বাতিল ভোট হিসেবেই গণ্য করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
প্রবাসী ভোটার বাদেও এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি চাকরিজীবী ও দেশের ৭১টি কারাগারে বন্দি ও কয়েদিরা। তাদের জন্যও আলাদা নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব ও প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের পরিচালক কে এম আলী নেওয়াজ সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ও প্রত্যাহারের পর যখন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে তারপরই অ্যাপ থেকে স্ব স্ব আসনের প্রার্থী তালিকা জানতে পারবেন প্রবাসী ভোটাররা।
ওই আসনে কোনো রাজনৈতিক দল বা তার পছন্দের প্রার্থীর প্রতীক ভোটার নিজেই দেখতে পারবেন অ্যাপে। সেখান থেকে প্রবাসী ভোটার ১১৯টি প্রতীকের মধ্যে তার পছন্দের প্রতীকের ব্যালটের পাশে টিক বা ক্রস চিহ্ন দেবেন।
প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান জানান, ‘পছন্দের প্রতীকে ভোট দেওয়ার পর ব্যালট রিটার্ন খামে ভরে তারপর কাছাকাছি পোস্ট অফিসে পাঠাবেন। আগে থেকেই ডাক মাসুল পে করা থাকবে। সে কারণে এটা চলে আসবে দেশে স্ব স্ব ঠিকানায়।’
জাতীয়
এরা তো শিবির স্যার, নতুন ফোর্স লাগবে: ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম আবারও আলোচনায়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ওপর লাঠিচার্জের পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনায় পড়েছেন তিনি। ভিডিওতে ডিসি মাসুদকে ফোনে বলতে শোনা যায়, ‘এরা তো শিবির তো স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।’
সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার সময়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ভাঙচুর করতে গেলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এর পরপরই সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং সন্ধ্যার দিকে জনতার ভিড় আরও বাড়তে থাকে। ওই সময় ডিসি মাসুদের ফোনালাপের ভিডিওটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ধারণ করা হয় এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামে একটি ফেসবুক পেজ ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছে, ‘কোন আন্দোলন দমনের জন্য ‘শিবির ট্যাগ’ এখনো কার্যকর… গতকাল ফ্যাসিস্ট আমলের পাবনার ডিসি বর্তমান রমনা ডিসি মাসুদ ধানমন্ডি-৩২ রক্ষার জন্য আন্দোলনকারীদের শিবির বলে আখ্যায়িত করে আন্দোলন দমন করার অনুমোদন নেন।’
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনদের একশ্রেণি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিসি মাসুদকে সমালোচনা করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে জানতে ডিসি মাসুদকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এদিকে ডিসি মাসুদকে ঘিরে এর আগেও একাধিকবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় তার হাতে এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার ছবি প্রকাশ পায়, এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। যদিও এর আগেও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পাবনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না চালিয়ে তাদের মধ্যে সাহস জুগিয়েছিল তিনি।
সে সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা ভাইরাল ভিডিওতে মাসুদ আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘যদি তোমাদের অ্যাটাক করার জন্য কেউ আসে, তাহলে আমি আছি। আমার উপর দিয়ে যাইতে হবে। আগে আমাকে মারতে হবে, তারপর যাইতে হবে। এই দিকে গ্যাঞ্জাম করার দরকার নাই, ওইদিকে কেউ যদি আসে আমি দেখতেছি।’
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে দেশের রাজনৈতিক ও গণ-আন্দোলনে দ্রুত উপস্থিত হওয়া এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। গত মে মাসে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে বিচার ও দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলনে নামলে, খেলার মাঠ থেকে সরাসরি জার্সি পরা অবস্থায় ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া নিয়েও আলোচনায় আসেন এ কর্মকর্তা।
তবে বিতর্কের সঙ্গে পরিচিতি নতুন নয়—গত ১৫ এপ্রিল সায়েন্সল্যাব মোড়ে সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় তিনি বলেছিলেন, ‘এই সংঘর্ষের কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।’ সে ঘটনাও তাকে আলোচনায় এনেছিল।
প্রসঙ্গত, মাসুদ আলম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করেছেন, পরে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হন। গত বছরের ৫ আগস্ট ডিএমপিতে বদলি হয়ে রমনা বিভাগের ডিসি হিসেবে যোগ দেন।
জাতীয়
বাংলাদেশি গণমাধ্যমসহ বিশ্বের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিপর্যয়
ক্লাউডফ্লেয়ারের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বাংলাদেশি গণমাধ্যমসহ বিশ্বের জনপ্রিয় বেশ কিছু ওয়েবসাইট হঠাৎ অচল হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স, চলচ্চিত্র পর্যালোচনা বিষয়ক সাইট লেটারবক্সডসহ অসংখ্য ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করলে ব্যবহারকারীরা একটি ত্রুটি বার্তা দেখতে পান, যেখানে বলা হয়, ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে পেজটি লোড করা সম্ভব হয়নি।
ইন্টারনেট অবকাঠামো হিসেবে কাজ করা ক্লাউডফ্লেয়ার সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ, উচ্চ মাত্রার ট্রাফিক সামলানোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে থাকে। তাদের সিস্টেমে সামান্য ত্রুটিও একাধিক ওয়েবসাইটে প্রভাব ফেলতে পারে। এক বিবৃতিতে ক্লাউডফ্লেয়ার বলে, ‘আমরা এমন একটি সমস্যার বিষয়ে অবগত, যা বহু গ্রাহকের সেবা ব্যাহত করতে পারে। তদন্ত চলছে এবং তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপডেট দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে ওয়েবসাইট বিভ্রাট পর্যবেক্ষণকারী প্ল্যাটফর্ম ডাউন ডিটেক্টরও একই সমস্যায় পড়ে। তবে কিছুক্ষণ পর সাইটটি লোড হলে দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট বিভ্রাটের ঘটনায় রিপোর্টের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। প্রভাবিত ব্যবহারকারীরা একটি বার্তা দেখেন, যেখানে উল্লেখ ছিল, ‘ক্লাউডফ্লেয়ারের নেটওয়ার্কে অভ্যন্তরীণ সার্ভার ত্রুটি দেখা দিয়েছে। কয়েক মিনিট পর আবার চেষ্টা করুন।’
জাতীয়
জাল কাগজপত্র জমা দিলে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি
যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করার সময় জাল কাগজপত্র জমা দিলে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।
সতর্ক বার্তায় জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করার সময় জাল কাগজপত্র জমা দিলে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। সব সময় বৈধ কাগজপত্র জমা দিন, এ বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেবেন না।
জাতীয়
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনার রায় পরবর্তী জনপ্রতিক্রিয়া, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ ও এ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, বন্দি প্রত্যর্পণ, সাইবার ক্রাইম ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশ পরীক্ষিত বন্ধু। অদূর ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে মর্মে তিনি এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নির্বাচনের তারিখ ও সময় এবং সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আশা করি নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তবে এর নির্দিষ্ট দিন ও তারিখ নির্ধারণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের যে তারিখই নির্ধারণ করুক, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
শেখ হাসিনার রায় পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ছোটখাটো দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে চাইলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
অপরাধের মাত্রা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অপরাধ বাড়ছে না। এটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। মানুষ এখন স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছে। যা বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে করতে পারেনি।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান ও জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ মিশন আঞ্জা কেরস্টেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



