জাতীয়
১৩ নভেম্বর সারাদেশে খোলা থাকবে দোকান ও শপিংমল: মালিক সমিতি
আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা সহ বাংলাদেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল যথারীতি খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির স্ট্যান্ডিং কমিটির যৌথ সভায় আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল যথারীতি খোলা থাকবে।
এদিকে, ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সারাদেশে লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরপর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বাস ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনমনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুর্বৃত্তরা যেভাবে নাশকতা চালাচ্ছে, তাতে রাস্তায় চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। যে কোনো সময় ককটেল এসে শরীরে লাগতে পারে। এছাড়া পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করাছে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কেউ কেউ বলছেন, সম্ভবত প্রতিশোধ নিতে মরিয়া আওয়ামী লীগ মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেরকমটা হলে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটা নিয়ে আতঙ্কিত মূলত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে জনমনে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।
তবে রাজধানীতে শঙ্কার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ঝটিকা মিছিলের সঙ্গে জড়িত ৫৫২ জন গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। তবে গ্রেফতারদের অধিকাংশই রাজধানীর বাইরে থেকে আসা। হেলমেট ও মাস্ক পরে হামলা চালানো হচ্ছে। এসব কাজে অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে।
অপরিচিত কাউকে আশ্রয় না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজধানীবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিজের যানবাহন অন্য কাউকে দেয়ার আগে ও আগন্তুক কাউকে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানাবেন। অরক্ষিত বাসেই বেশি আগুন দেয়া হয়েছে। কম প্যাসেঞ্জারবাহী বাসে আগুন দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় নাশকতাকারীদের দমনে জনগণের সহযোগিতা চাই। নাশকতাকারীদের প্রতিহত করবে ঢাকাবাসী।
এ বিষয়ে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমও। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন নিয়ে সতর্ক আছে সরকার, আশঙ্কার কারণ নেই। কোনো ধরনের সন্ত্রাস সহ্য করা হবে না। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন।
লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে শুরু হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল। বিজিবি বলছে, আগামীকালকে ঘিরে ডাকা লকডাউন কর্মসূচিতে কেউ যাতে কোন নাশকতা করতে না পারে তার প্রস্তুতি হিসেবে রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে ঢাকার রাজপথে কর্মসূচি কঠোরভাবে দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এটা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়, এটা জুলাই, চিরকালের জন্য।’
জাতীয়
ঢাকায় আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনকে ঘিরে সব ধরনের নাশকতা এড়াতে প্রস্তুত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পাশাপাশি লকডাউনকে ঘিরে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া কর্মকর্তা ডিসি তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে শুরু হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল।
সকালে রাজধানীর এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর, ধানমণ্ডি ৩২, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, কাকরাইল, হাইকোর্টসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ১২ প্লাটুন বিজিবি।
বিজিবি বলছে, আগামীকালকে ঘিরে ডাকা লকডাউন কর্মসূচিতে কেউ যাতে কোন নাশকতা করতে না পারে তার প্রস্তুতি হিসেবে রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলেও জানানো হয়।
এছাড়াও মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের লকডাউন ঘিরে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন নিয়ে সতর্ক আছে সরকার, আশঙ্কার কারণ নেই। কোনো ধরনের সন্ত্রাস সহ্য করা হবে না। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন।
জাতীয়
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোট ১৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলায় মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজধানীতে মোতায়েন করা হয়েছে ১২ প্লাটুন বিজিবি। আর গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে মোতায়েন করা হয়েছে এক প্লাটুন করে বিজিবি।
এদিকে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বাস ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনমনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুর্বৃত্তরা যেভাবে নাশকতা চালাচ্ছে, তাতে রাস্তায় চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। যে কোনো সময় ককটেল এসে শরীরে লাগতে পারে। এছাড়া পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করাছে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কেউ কেউ বলছেন, সম্ভবত প্রতিশোধ নিতে মরিয়া আওয়ামী লীগ মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেরকমটা হলে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটা নিয়ে আতঙ্কিত মূলত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে জনমনে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।
তবে রাজধানীতে শঙ্কার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ঝটিকা মিছিলের সঙ্গে জড়িত ৫৫২ জন গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। তবে গ্রেফতারদের অধিকাংশই রাজধানীর বাইরে থেকে আসা। হেলমেট ও মাস্ক পরে হামলা চালানো হচ্ছে। এসব কাজে অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে।
অপরিচিত কাউকে আশ্রয় না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজধানীবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিজের যানবাহন অন্য কাউকে দেয়ার আগে ও আগন্তুক কাউকে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানাবেন। অরক্ষিত বাসেই বেশি আগুন দেয়া হয়েছে। কম প্যাসেঞ্জারবাহী বাসে আগুন দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় নাশকতাকারীদের দমনে জনগণের সহযোগিতা চাই। নাশকতাকারীদের প্রতিহত করবে ঢাকাবাসী।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে ঢাকার রাজপথে কর্মসূচি কঠোরভাবে দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এটা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়, এটা জুলাই, চিরকালের জন্য।’
জাতীয়
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখলেই গুলির নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড এবং অস্ত্রবাজি ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।
আজ (মঙ্গলবার) পুলিশের সকল সদস্যের উদ্দেশে ওয়্যারলেসে দেওয়া এক বার্তায় তিনি আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিন গান (এসএমজি) ব্যবহার করে ‘ব্রাশফায়ার’ করার নির্দেশ দেন। তবে এ আদেশ কোনো নিরস্ত্র মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
সিএমপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, মঙ্গলবার দুপুরে কমিশনার ওয়ারল্যাস সেটের মাধ্যমে টহল ও থানা পুলিশকে একাধিকবার নির্দেশ দেন— ‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’
একই সঙ্গে পুলিশের উদ্দেশে তিনি টহল ও অভিযানে শিশা শটগান, দুইটি গ্যাস গান এবং নাইন এমএম পিস্তল বহন করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট সাতটি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গত ৫ নভেম্বর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা নিহত হন। একই ঘটনায় এরশাদ উল্লাহও আহত হন। পরদিন একই এলাকায় গুলিতে এক প্রতিবন্ধী রিকশাচালক আহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিএমপি কমিশনার নতুন করে এ নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, দেখামাত্র ব্রাশফায়ার হবে শুধুমাত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের জন্য। নিরস্ত্র জনসাধারণের ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে না। এমনকি আওয়ামী লীগের যারা ঝটিকা মিছিল করে এটা তাদের ওপর প্রয়োগ হবে না। তাদের গ্রেপ্তার করব, আদালতে সোপর্দ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য সন্ত্রাসীদের নগরে প্রবেশের সাহসই কমানো। আমাদের এলাকায় প্রকাশ্যে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসীরা যেন আর সাহস না পায়, সেজন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য নির্দিষ্ট সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করা। দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের আত্মরক্ষার অধিকার সবসময় রয়েছে। প্রয়োজনে সব দায় আমি বহন করব।
এর আগে ১১ আগস্ট নগরের বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং ইশান মিস্ত্রি হাট এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ ওরফে রানা গুরুতর আহত হন। পরদিন (১২ আগস্ট) ওয়্যারলেসে সিএমপির সব সদস্যের উদ্দেশে মৌখিক নির্দেশনায় সিএমপি কমিশনার বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যে অস্ত্রের প্রাধিকার ছিল, ওই প্রাধিকার অনুযায়ী থানার মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি, ডিবির টিমসমূহ ও সকল ফোর্স অস্ত্র ক্যারি করবে।
আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া এবং লাইভ এমুনিশন ছাড়া কোনো পেট্রোল পার্টি, মোবাইল পার্টি, ডিবির পার্টি, চেকপোস্ট পার্টি বের হবে না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগের প্রাধিকার অনুযায়ী লাইভ এমুনিশন ছাড়া কেউ বের হবে না। প্রাধিকার অনুযায়ী অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং স্যুট পরে তারপর ডিউটিতে যাবে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র রবার বুলেট দিয়ে কাজ হচ্ছে না। বন্দরে (বন্দর থানা) একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেকদিন আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। বন্দর থানার অফিসার যে অবস্থায় পড়েছেন, ওই পরিস্থিতিতে পড়লে যেন লাশ ছাড়া মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি ফেরত না আসে। পুলিশের কোনো টহল পার্টির সামনে অস্ত্র বের করলে, আই রিপিট, সেটা ধারালো অস্ত্র হতে পারে কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র হতে পারে, অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই, সবাইকে বলছি। আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার, দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ পর্যন্ত, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার সকল পুলিশ অফিসারের আছে। অস্ত্র কিংবা কোপ দেওয়ার আগে অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে। সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয়
দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেবিচকের সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি বিমানবন্দরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই বিমানবন্দরগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এবার এর পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
চিঠিতে বলা হয়, সব বিমানবন্দরে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দর এলাকায় সব ধরনের টহল বৃদ্ধি এবং মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। সম্ভাব্য যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার্বিক ফায়ার সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়।
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। জনস্বার্থে সবাইকে সচেতন থাকার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে গত দুই দিন ধরে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে যানবাহনে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ওইদিন নাশকতা-বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
জাতীয়
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ঘোষণা করেছেন, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সব রাজনৈতিক দল মেনে নেবে।
দেশের সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়ে চলমান বিতর্কের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, রাতারাতি সব সংস্কার শেষ করা সম্ভব নয়। বাস্তবে এত বড় ধরনের সংস্কার করা সহজসাধ্য নয় এবং ক্রমান্বয়ে সংস্কার করলে ভালো জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সবাই মনে করেন সব সংস্কার এখনই করে ফেলতে হবে, কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা যখন অ্যাকটিভিজম করেছি তখন ভেবেছি কত সহজ, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি কত কঠিন।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, সব সংস্কার যেন সংবিধানেই আটকে গেছে, অন্য কোনো সংস্কার কারো চোখেই পড়ে না।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবিধানকে কোনো ‘ম্যাজিক’ হিসেবে উল্লেখ না করে বলেন, শুধু লিখে দিলেই সমাধান হয়ে যায় না; রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অভ্যাস বাদ না দিলে কোনো কিছু পরিবর্তন হবে না।
সাংবিধানিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন বলে লেখা থাকলেও, কখনো কি তা হয়েছে?
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দেওয়া বেশির ভাগ প্রস্তাবই ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে দাবি করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, কমিশনের দেওয়া ৭০-৮০ ভাগ সংস্কার প্রস্তাব ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে, অথচ অপপ্রচার করে বলা হয়, “কোথায় সংস্কার, কোথায় সংস্কার?”
ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের কাছে এই সংস্কারগুলো ধরে রাখার অনুরোধ রেখে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচিত সরকার এলে এই সংস্কারগুলো ধরে রাখবে কি না, তা নিয়ে একটি ভীতি কাজ করে। তিনি নতুন সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন যেন তারা সংস্কারগুলো ধরে রাখেন এবং সেগুলোকে আরো শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান।



